বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, শতাধিক আহত

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, শতাধিক আহত
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে জুবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত ও প্রায় শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। এদিকে ইজতেমা ময়দান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে ভিডিও বক্তব্য দিচ্ছেন সাদপন্থিরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।


নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০), বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।


আহতরা হলেন- আ. রউফ (৫৫) বি বাড়িয়া, মজিবুর রহমান (৫৮) ময়মনসিংহ,  আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮)  টঙ্গী, আরিফ (৩৪) গোপালগঞ্জ,  ফয়সাল (২৮) সাভার,  তরিকুল (৪২) নরসিংদী, সাহেদ (৪৪) চট্রগ্রাম, উকিল মিয়া (৫৮) নরসিংদী, পান্ত ( ৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪) কেরানীগঞ্জ, আনোয়ার (৫০) নারায়ণগঞ্জ, আবু বক্কর (৫৯) নারায়ণগঞ্জ, আরিফুল ইসলাম (৫০),  আনোয়ার (২৬) সাভার, আনোয়ার (৭৬) নোয়াখালী সদর, ফোরকান আহমেদ (৩৫),  সাতক্ষিরা, আ.রউফ (৫৫) বি বাড়িয়া, মজিবুর রহমান (৫৮) ময়মনসিংহ, আ. হান্নান (৬০) গাজীপুর,  জহুরুল ইসলাম (৩৮) টঙ্গী, সাহেদ (৪৪) চট্রগ্রাম। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 


স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রীজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থিরাও পালটা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ৩ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 



সাদপন্থিদের প্রভাবশালী মুরুব্বী মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইজতেমা ময়দান আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণে আমাদের এক ভাই শহিদ হয়েছেন। ময়দানে অনেক জুবায়েরপন্থি চাকু ও ছোঁড়াসহ আটক হয়েছেন।


এদিকে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ফলে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 


টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত হাফিজুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত একজন নিহত ও অসংখ্য আহত ব্যক্তিদের আনা হয়েছে। 


টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলাল নামে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি ঢাকার বেড়াইদ।


তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত করেন সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। হতাহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।  


এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জনের প্রাণহানি

২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জনের প্রাণহানি
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরে (২০২৪ সালে) বাংলাদেশে মোট ৬,৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮,৫৪৩ জন নিহত এবং ১২,৬০৮ জন আহত হয়েছেন।


শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সংগঠনটি প্রতিবছরের মতো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।


মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১০ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১৫ লাখ থেকে বেড়ে ৬০ লাখে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ছোট যানবাহন রাস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব যানবাহন অবাধে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির হার ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো বেপরোয়া গতি ও বিপদজনক ওভারটেকিং, সড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকদের অদক্ষতা এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা। এছাড়া পরিবহন মালিকদের বেপরোয়া মনোভাব, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, অরক্ষিত রেলক্রসিং এবং রোড ডিভাইডারের পর্যাপ্ত উচ্চতা না থাকা এর অন্যতম কারণ।


এই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া, দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা, সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক নিরাপত্তা উইং চালু করা।


এছাড়া সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রণীত সুপারিশমালার বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। দেশে সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন, জেব্রা ক্রসিং আঁকা ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণপরিবহন চালকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা, সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করার পাশাপাশি গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি আধুনিকায়ন করার সুপারিশও করা হয়েছে।


এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তার জন্য তহবিলের আবেদন সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, পরিবহন সেক্টরে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না। এসব দুর্ঘটনা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড, এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।


এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন কর্মী আবদুল্লাহ আল জহির স্বপন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্য মো. জিয়াউল হক চৌধুরী প্রমুখ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


তিনি সোমবার (১২ মে) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলন - ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রতি এ আহ্বান জানায়।


জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হলে অনেক জিনিস সমাধান হয়ে যায়। অনেক প্রশ্ন সমাধান হয়। আশা করি দেখা সাক্ষাতের কারণে অনেক সুফল পাবো।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে একে অপরকে দোষ দেই। দোষ দিলে সমাধান হবে না। আমাদের মধ্যে ঘাটতি আছে। সেটা নিয়ে নিজেদের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।


তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অভাব ঘাটতির মধ্য দিয়েও ভালো করা সম্ভব। অন্তবর্তী সরকার নিজেদের সীমারেখার মধ্যে কাজ করছে।


তিনি আরও বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন মানসিকতার উন্মোচন করছি এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। স্বাস্থ্য সেবায় কোনো কাঠামো লাগে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বক্তব্য রাখেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই: ফখরুল

নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই: ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।


বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।


বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট ছিল এবং তাতে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।


তিনি আরও বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন, যা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ২০২৬ সালের জুনের কথা বলেছেন, যা পরস্পরবিরোধী এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সকলে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সকলে
ছবি: সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।


বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।


রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল।


এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়। রায় দেওয়ার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন সর্বোচ্চ আদালত।



এ মামলায় ১০ বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। রায়ে সব আসামির খালাসের প্রত্যাশা করেন দলটির আইনজীবীরা।


তারা জানান, জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করতেই বিচারের নামে প্রহসন করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। 


আর রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, ধারণার ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া ঠিক হয়নি। আর দুদকের অবস্থান ছিল, মামলার নথিপত্র, সাক্ষ্যপ্রমাণে কোথাও বেগম জিয়াসহ আসামিদের দুর্নীতি অনিয়ম কিংবা বিশ্বাসভঙ্গের প্রমাণ মেলেনি।


 মঙ্গলবার খালাস চেয়ে শুনানি করেন এ মামলার আরেক আসামি কাজী সলিমুল হকের আইনজীবী। এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি।


উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলাকালীন, খালেদা জিয়া এবং তার পরিবার ও দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়, যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল, তার নেতৃত্বে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর মামলা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনা শুরু হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা


ডেস্ক রিপোর্টঃ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।

সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন-কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি—এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।

জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।

ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।

সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

৪৮ ডিগ্রি ছাড়ালো ভারতের রাজস্থানের তাপমাত্রা, ৯ জনের মৃত্যু

৪৮ ডিগ্রি ছাড়ালো ভারতের রাজস্থানের তাপমাত্রা, ৯ জনের মৃত্যু
মৃত্যুর ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যরাজস্থানে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোক ও গরমে অসুস্থতাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত ‍বৃহস্পতিবার রাজস্থানের তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্য সরকার অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তারা বলছে, মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে তারা। গরমের কারণেই যে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়।

চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে ব্যাপক তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে। গত বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। রাজস্থানে প্রতিবছরই অনেক বেশি গরম পড়ে।

উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এ বছর বৃষ্টিপাত হয়েছে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

বর্তমানে ১৭০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং চলছে : নসরুল হামিদ

বর্তমানে ১৭০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং চলছে : নসরুল হামিদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০টি সংসদীয় আসনের সীমানার গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ১০টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছে। 

শনিবার (৩ জুন) বিজি প্রেস থেকে সংসদীয় আসনের গেজেট ছাপানো হয়েছে।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) স্বাক্ষরিত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণ আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/ মতামত দরখাস্তসমূহের তথ্যাবলী পর্যালোচনা করে এবং শুনানিকালে উপস্থাপিত তথ্য ও যুক্তিতর্ক বিবেচনান্তে প্রাথমিক তালিকায় প্রকাশিত নির্বাচনি এলাকার প্রয়োজনীয় সংশোধন করে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হলো যেসব আসনের

পিরোজপুর-১ : এ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এখন নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে এই আসনে ইন্দুরকানী উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে।

পিরোজপুর-২ : ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। সেটি বাদ দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

গাজীপুর-২ : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড গাজীপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এই ওয়ার্ড এতদিন গাজীপুর-৫ আসনে ছিল।

গাজীপুর-৫ : সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড এই আসনের আয়তন থেকে বাদ পড়েছে। অর্থাৎ আগের চেয়ে এই আসন ছোট করা হয়েছে।

ফরিদপুর-২ : এই আসনের এলাকা থেকে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বাদ দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর-৪ : আগে এই আসনে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ছাড়া সদরপুর উপজেলার বাকি এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন কৃষ্ণপুরসহ পুরো সদরপুর উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

কুমিল্লা-১ : এই আসন থেকে মেঘনা উপজেলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তিতাস উপজেলাকে।

কুমিল্লা-২ : এখানে মেঘনা উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। তিতাস উপজেলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী-২ : এই সংসদীয় আসন আগে সেনবাগ উপজেলা এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নাটেশ্বর ও আম্বর নগর নিয়ে গঠিত ছিল। এবার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নকেও এখানে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এটির আয়তন বেড়েছে।

নোয়াখালী-১ : এই আসন থেকে সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এটি ছোট করা হয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

১২ দিনে প্রবাসী আয় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা

১২ দিনে প্রবাসী আয় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বি‌শ্লেষ‌ণে দেখা গে‌ছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।

অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। ত‌বে প‌রের মাস এ‌প্রি‌লে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

‘দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল’

‘দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল’
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল



অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল।


সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।


গত ১৬ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, "দুদক ছিল, উচ্চ আদালত ছিল, কিন্তু বিচার হয়নি। তবে বিচার হয়েছে খালেদা জিয়ার।"


বিচার না হওয়ায় দুর্নীতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "দুদকে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।"


দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, "সৎ প্রজন্ম তৈরি করতে পারলে দুর্নীতিবিরোধী সমাজ গঠন করা সহজ হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেবল প্রতিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ নয়, বরং সবার মনে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে হবে।"

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০

এবার দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই: সিইসি

এবার দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই: সিইসি
ছবি: সংগৃহীত



প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবার দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ 


সোমবার (০৫ মে) সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


এএমএম নাসির উদ্দীন জানান, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না নির্বাচন কমিশন। যে কোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের সকল সদস্য মিলে নেয়া হয়। একক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না। 


সিইসি জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ইশরাক হোসেনকে শপথ করানোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে একই পরিবারের তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত

কমল এলপি গ্যাসের দাম

কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না: শফিকুল আলম

দেশে মোট রিজার্ভ ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

আগামী নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

‘জুলাই আন্দোলনের মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ গঠন’

চীন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে : ফখরুল

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়

মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাঁচ বছর ধরে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল উক্ত নারী

১০

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল

১১

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে: রিজভী

১৩

আবারও রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

১৪

সোশ্যাল বিজনেস পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা

১৬

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

১৭

আ’লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

একনেক সভায় ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

১৯

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার

২০