বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, শতাধিক আহত

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, শতাধিক আহত
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে জুবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন নিহত ও প্রায় শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। এদিকে ইজতেমা ময়দান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে ভিডিও বক্তব্য দিচ্ছেন সাদপন্থিরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।


নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০), বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।


আহতরা হলেন- আ. রউফ (৫৫) বি বাড়িয়া, মজিবুর রহমান (৫৮) ময়মনসিংহ,  আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮)  টঙ্গী, আরিফ (৩৪) গোপালগঞ্জ,  ফয়সাল (২৮) সাভার,  তরিকুল (৪২) নরসিংদী, সাহেদ (৪৪) চট্রগ্রাম, উকিল মিয়া (৫৮) নরসিংদী, পান্ত ( ৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০), বেলাল (৩৪) কেরানীগঞ্জ, আনোয়ার (৫০) নারায়ণগঞ্জ, আবু বক্কর (৫৯) নারায়ণগঞ্জ, আরিফুল ইসলাম (৫০),  আনোয়ার (২৬) সাভার, আনোয়ার (৭৬) নোয়াখালী সদর, ফোরকান আহমেদ (৩৫),  সাতক্ষিরা, আ.রউফ (৫৫) বি বাড়িয়া, মজিবুর রহমান (৫৮) ময়মনসিংহ, আ. হান্নান (৬০) গাজীপুর,  জহুরুল ইসলাম (৩৮) টঙ্গী, সাহেদ (৪৪) চট্রগ্রাম। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 


স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রীজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থিরাও পালটা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ৩ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 



সাদপন্থিদের প্রভাবশালী মুরুব্বী মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইজতেমা ময়দান আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণে আমাদের এক ভাই শহিদ হয়েছেন। ময়দানে অনেক জুবায়েরপন্থি চাকু ও ছোঁড়াসহ আটক হয়েছেন।


এদিকে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ফলে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 


টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত হাফিজুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত একজন নিহত ও অসংখ্য আহত ব্যক্তিদের আনা হয়েছে। 


টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলাল নামে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি ঢাকার বেড়াইদ।


তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত করেন সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। হতাহতদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।  


এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান

পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। 


বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।


সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’


এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’


জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’


জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।


জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।


জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’


জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’


সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ৫টি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময়

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ৫টি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময়
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় করেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এসব চুক্তি ও নোট বিনিময় হয়।


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

যেসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি বিষয়ক সহযোগিতা, ব্যবসায়িক কাউন্সিল গঠন (এফবিসিসিআই ও এনসিসিআইএম), বিএমসিসিআই ও মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান এমআইএমওএসের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (আইএসআইএস) মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত।


এর আগে সকাল ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। সেখানে ড. ইউনূসকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।


গার্ড অব অনার প্রদান শেষে আনোয়ার ইব্রাহিম তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা নয়, সকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখানে পর্যালোচনা করা হয়েছে।’


তিনি আরও যোগ করেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের মাটি কেটে নেওয়া, অবৈধ পাহাড় ধ্বংসসহ পরিবেশগত নানা সমস্যা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’


মিয়ানমার সীমান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আরাকান সীমান্ত একটি জটিল অঞ্চল। আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও বাস্তবে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে। এখানে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বৈত করের সমস্যা রয়েছে—একদিকে মিয়ানমার সরকার, অন্যদিকে আরাকান আর্মি উভয়ই শুল্ক আদায় করে। তবে আমরা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। সর্বোপরি, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।’


সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরাকান আর্মির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কিছু সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাদের কিছু সদস্য বাংলাদেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে—এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে ভাইরাল ভিডিওগুলোর সবই সত্য নয়, আবার সবটা মিথ্যও বলা যাবে না। এখানে সতর্কতার সঙ্গে বিচার করা জরুরি।’


পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি—পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল। আমি এখানে তিন দফায় দায়িত্ব পালন করেছি। একসময় ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে গণহারে প্রাণহানি হতো, যা মিডিয়ায়ও আসত না। এখন পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সাজেক পর্যন্ত ভ্রমণ করছেন। ছোটখাটো অপরাধ সমতলেও ঘটে, শুধু পাহাড়কে দোষারোপ করা যায় না।’


যৌথ বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনীর অভিযান কোনোভাবেই কমেনি। বরং গণমাধ্যম ও জনসাধারণের সহযোগিতায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’


সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্য ঘটনা প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের কিছু মহল বিভ্রান্তি ছড়ায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সর্বদা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—এ ধারা বজায় রাখার অনুরোধ রইল।’


ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘাত প্রসঙ্গে তার পরামর্শ, ‘এরা আমাদেরই তরুণ ভাই। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’


চট্টগ্রামের রাউজানে সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া—এ অঞ্চলে পাহাড় ও সমতলের মিশ্র অবস্থান। সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে পাহাড়ে আত্মগোপন করছে। আমরা স্থানীয় পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কোনো অপরাধী প্রকাশ্যে থাকলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার

কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার

কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছি। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্ৰ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ।

সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

অক্টোবরে ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৮,৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

অক্টোবরে ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৮,৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
ডলারের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

২০ মে চালু হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’

২০ মে চালু হচ্ছে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’

আগামী ২০ মে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন।

সোমবার (১৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আম পরিবহন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে একই খরচে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন জেলার জেলা প্রশাসকরা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই তিন জেলা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, এবার ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ ট্রেনে ৯টি করে ওয়াগন থাকবে। এছাড়া আম পরিবহন ও বাজারে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। আমের বাজারে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে। সড়কে আম পরিবহনে কোনো ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। এমনকি কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্যান্য পরিবহনে বেশি ভাড়া নিলে বা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

গণভবনে ‘আয়নাঘরের’ রেপ্লিকাসহ জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার

গণভবনে ‘আয়নাঘরের’ রেপ্লিকাসহ জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
ইউনূসের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‌“জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‌“জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”

গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর লাখো জনতা গণভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা গণভবনের দেয়াল এবং বিভিন্ন কক্ষে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি আঁকে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণভবনের এই জাদুঘরে একটি 'আয়নাঘর' পুনর্নির্মাণ করা উচিত, যেখানে শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে বিরোধী ও ভিন্নমত পোষণকারীদের আটক করে নির্যাতন চালাতো। জাদুঘরে পরিদর্শনকারী দর্শনার্থীরা এই আয়নাঘর দেখে নির্যাতনের সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে পারবে।”

অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা দলকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনের ২০০৯ সাল থেকে ঘটে যাওয়া সকল অপকর্মের স্মৃতিগুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে।” এছাড়া অন্যান্য দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মৃতিকে সংরক্ষণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানার জন্যও বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশের ‘টোন’ (কণ্ঠস্বর) ভিন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সভা শেষে তিনি সীমান্ত সম্মেলনের আলোচ্যসূচি তুলে ধরেন।


এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি নতুনত্ব কী চাচ্ছেন? নতুনত্ব হলো, আগে যেভাবে কথা বলা হতো, এবার কথার টোন আলাদা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সীমান্ত সম্মেলনে কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক ও দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করা। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিএসএফ এবং তাদের দেশের দুষ্কৃতকারীরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যায়, এটাও যাতে তারা না করেন, সেজন্য তাদের বলা হবে। অনেক সময় তারা সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে পারাপারের চেষ্টা করে, এগুলো যাতে না হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।


জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘ভারতীয়রা অনেক সময় সীমান্তের কাছে মাদক বা ফেনসিডিলের কারখানা তৈরি করে সেগুলো বাংলাদেশে পাঠায়। এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে। সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে অনেক কাজ আছে যেগুলো করার নিয়ম নেই, সেগুলো অনেক সময় তারা করতে চায়। কিছু কাজ আছে যেগুলো করতে হলে দুই দেশের অনুমোদন লাগে।’


আগরতলা দিয়ে ভারতের শিল্প বর্জ্য বাংলাদেশে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি আছে। তবে চুক্তিতে ইটিপি/এসটিপি লেখা আছে, যা উচিত ছিল ইটিপি ও এসটিপি। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি যাতে সুষম বণ্টন হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। ছোটখাটো নদীগুলোর ক্ষেত্রে আলোচনা করা হবে, কারণ বড় নদীগুলোর বিষয়ে আলাদা নদী কমিশন রয়েছে। ফেনীর মুহুরির চরে বর্ডার পিলার স্থাপন নিয়ে সমস্যা আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেটা তারা কীভাবে বন্ধ করতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। এছাড়াও কো-অর্ডিনেটর বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নামে একটি বড় বিষয় আছে, এটা নিয়েও আলোচনা হবে।


জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কীভাবে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হয়, আস্থা আরও বাড়ে, সে বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলা হবে। গত সরকার ভারতের সঙ্গে কয়েকটি অসম চুক্তি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো যাতে বাতিল হয়, সেজন্য আমরা বলব। বলব চুক্তি এভাবে নয়, ওইভাবে হওয়া দরকার ছিল। এই চুক্তিগুলোর বিষয়ে আমরা এর আগেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের (ভারত) জানিয়েছি।’


ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের শাস্তি ও জরিমানা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভিসা ছাড়া যারা বাংলাদেশে আছে, তারা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি। তারা জরিমানা দিয়ে চলে যেতে পারবে। এরপরও যদি তারা থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা, ১৫০ জায়গায় বেড়া নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের সমস্যা, নদীগুলো নিয়ে সমস্যা—এসব আমাদের মূল এজেন্ডা। এসব বিষয়ে আমরা ছাড় দেব না।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি করলেন শেখ হাসিনা

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি করলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

‘থার্টি-ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস বন্ধে থাকবে মোবাইল কোর্ট’

‘থার্টি-ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস বন্ধে থাকবে মোবাইল কোর্ট’
ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।


সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনের দায়ে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে। পুনরায় একই অপরাধ করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।


রোববার, জনস্বার্থ রক্ষার্থে এসব ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে রাজধানীর সব ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।


চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। অতিরিক্ত শব্দদূষণ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, ফানুস উড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ড এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০