

ডেস্ক রিপোর্টঃ
পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মীরা কাজে যোগ না দিলে বিকল্প জনবল নিয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ কারো কোনো নাশকতা বরদাশত করা হবে না। আজ রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
সম্প্রতি কয়েক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশের কয়েক জেলায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) নেতা কর্মীরা। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকেরা। এই ঘটনার পর পবিসের কয়েক নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় সমিতির কর্মীরা কাজ না করে আন্দোলনের ডাক দেয়। এসব প্রেক্ষাপটে এই কথা বলেন উপদেষ্টা
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও আরইবি একীভূত করা, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি উঠেছে। কিন্তু সরকারের সব জায়গায় আউটসোর্স করা কর্মী আছে। এসব দাবি রাতারাতি মেনে নেওয়ার মত নয়। অর্থনৈতিক বিষয় আছে।’
বহু মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কেউ এভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে পারে না আইনত। অনেকেই সরকারকে দুর্বল ভাবছে। তাই যখন-তখন দাবি তুলছে। আসলে তা নয়। বহু মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এ সরকার এসেছে, তাই মানুষের সমর্থন আছে।’
সাবস্টেশন বা বিদ্যুতের লাইন কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা কাজ না করলে বিকল্প জনবল দিয়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। বিদ্যুৎ বন্ধ করা বেআইনি ও অন্যায়। আশা করব, তারা এসব কাজ থেকে সরে আসবে।’
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অধ্যাদেশ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-২০২৫ (আরপিও বা রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অর্ডার অর্ডিন্যান্স) আইন পাসের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ দুটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিন বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানান।
এ দুটি আইন ছাড়াও আরও তিনটি আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। আইন তিনটি হলো- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন।
এ আইন তিনটি সম্পর্কে আরও কিছুটা আলোচনা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।
এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।
৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই কমার্স টিম যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে কালকে খুব ভোরবেলা। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারবো। কারণ, যেটা দিয়েছে, সেটা ঠিক অফিসিয়াল…। ইউএসটিআর’র সঙ্গে যখন আলাপ করবেন উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ম্যান্ডেটরি। এর আগের দিন কথা বলেছেন। কালকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।
মিটিংয়ে কি কোনো উন্নতি হওয়ার আশা করা যায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি। যাই হোক, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য পদক্ষেপগুলো নেবো। এখন বৈঠকটা মোটামুটি পজিটিভ। ৬ তারিখ বোধহয় একটা মিটিং হয়েছে, মোটামুটি পজিটিভ।
চিঠি তো ইতোমধ্যে ইস্যু হয়ে গেছে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট দিয়েছে। এটা ওয়ান টু ওয়ান যখন নেগোসিয়েশনে ঠিক হবে। চিঠি তো বহু আগে দিয়ে দিতো, ৩৫ শতাংশ। এইটা আবার ১৪টা দেশের জন্য বলছে একই। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে, সেজন্যই তো ইউএসটিআর’র সঙ্গে কথা বলা। এটা ফাইনাল না।
ভিয়েতনাম চেষ্টা করে ২৬ শতাংশ কমিয়েছে, বাংলাদেশের কেন মাত্র ২ শতাংশ কমানো হলো। তার মানে কি নেগোসিয়েশন ভালো হয়নি? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, না নেগোসিয়েশন….। এটা ঠিক যে আমাদের ডেফিসিট মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। ওখানে কিন্তু ওরা কনসেশন দিতে পারে, মানে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এত কম ডেফিসিট। আমরা চেষ্টা করছি যে, আমাদের এত কম ডেফিসিট, এতো শুল্ক দেওয়ার তো জাস্টিফিকেশন থাকে না।
তিনি বলেন, ওরা যেটা করছে ব্ল্যাঙ্কেট কতগুলো করেছে। চায়নার জন্য আলাদা। একেবারে চায়নার একটা সিঙ্গেল হ্যান্ডেলে ডিল করে ওরা। আর বাকিরা… এটা যেটা করেছে ১৪টা দেশের একই বলেছে। এখন আমরা নেগোশিয়েট করবো।
চিঠিতে যে সমস্ত কন্ডিশন দেওয়া হয়েছে এগুলো কি ফুলফিল করা সম্ভব? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন তো আমি কিছু বলতে পারবো না।
রাজস্ব আয় নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এইবার কালেকশন যা হয়েছে মোটামুটি, একেবারে বিরাট গ্যাপ না। আর আগামী বছর চেষ্টা করছি শুধু ট্যাক্স, ভ্যাট না দিয়ে সিস্টেমটা চেঞ্জ করলে দেখবেন কালেকশনটা অনেক বেশি হবে। লিকেজ হবে না, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতাঁত করে কিছু করতে পারবে না। আমাদের ট্যাক্স ক্যাপাসিটি ভালো, কিন্তু আমরা সেটা ইউটিলাইজ করতে পারিনি। সে কারণে রেভিনিউ কিছুটা শর্ট।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবার দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
সোমবার (০৫ মে) সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এএমএম নাসির উদ্দীন জানান, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না নির্বাচন কমিশন। যে কোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের সকল সদস্য মিলে নেয়া হয়। একক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না।
সিইসি জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ইশরাক হোসেনকে শপথ করানোর দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছে। CA Press Wing Facts পেজে প্রকাশিত ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি, ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালে ২,২০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অথচ এই তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত।
পোস্টে আরও জানানো হয়, স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি। এই সময়ে ৩৬৮টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়েছে এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। পুলিশের সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব ঘটনার বেশিরভাগই ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে, যখন দেশে কোনো কার্যকর সরকার ছিল না। এসব সহিংসতার বড় অংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, এ ধরনের অপরাধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে।
মন্তব্য করুন


ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী আবারও যদি বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ করার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আগামী ১৩ নভেম্বর ফ্যাসিবাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন বা ব্লকেডের হুমকি দেওয়া হচ্ছে-এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন আইজিপি।
আইজিপি বলেছেন, ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে গেছে গণমানুষের প্রতিরোধে। গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে তাদের উৎখাত হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী যদি দেশে আবার বিশৃঙ্খলা বা অপরাধ করার চেষ্টা করে তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে। দেশের জন্য, জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে এবং করে চলেছে। যেসব ফেসবুক পেজ থেকে পলাতক ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেই পেজগুলোকে নিয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছে।
আইজিপি আরও বলেন, আমাদেরকে আইন মান্যতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ৯০ শতাংশ মানুষকে আইন-কানুন মানতে হবে, নিয়ম মাফিক চলতে হবে। বাকি ১০ শতাংশ না হয় আইন মানবে না । তাদের মোকাবিলায় নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে। কিন্তু আগে তো ৯০ শতাংশ মানুষকে আইন মানতে হবে।
নির্বাচন চলাকালে দেশের কোথাও কোনো ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা কী ধরনের হতে পারে—এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্যই আসলে আমরা তৈরি হচ্ছি। আমাদের এখনকার সব কর্মকাণ্ড এটাকে ঘিরেই। দেশে এই প্রথম নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষযে পুলিশের ট্রেনিং চলছে। কারণ, এটা এমন একটা দায়িত্ব যার ওপর দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ এবং ভাগ্য নির্ভর করছে। আমরা এই দায়িত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, জনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বিস্তারিত বলা আছে—নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনসঙ্গতভাবে যতটুকু যাওয়া দরকার, আমরা ততটুকুই যাব। নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনুমানিক দেড় লাখ পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে।
মন্তব্য করুন


রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবৈধভাবে পাসপোর্ট নেওয়া ঠেকাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এখনই তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া তুলে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে এই প্রক্রিয়া তুলে দিলে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সুযোগ পাবে। এজন্য এখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাসপোর্ট জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এমআরটি (মেশিন রিডেবল টেম্পোরারি) পাসপোর্ট নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আর এমআরটি পাসপোর্ট এখন আর থাকবে না।”
পাসপোর্ট পেতে সাধারণ মানুষ এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই ভোগান্তি কমিয়ে আনার জন্য সরকার কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের বিদেশিদের আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পাসপোর্ট প্রক্রিয়া থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ কমপ্রোমাইজ করে আমরা কোনো পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করব না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সাথে পূর্বের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে। ভবিষ্যতের সম্পর্কগুলোও জাতীয় স্বার্থকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হবে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)-এর লালমাই অডিটোরিয়ামে "ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন" বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেন। কর্মশালার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে জনপ্রতিনিধিদের কার্যক্রম পরিচালনা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নতুন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় সরকার কমিশন ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার শেষ হলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বার্ড-এর মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব সাইফ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন আর্ডো'র গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. খুশনুদ আলী।
এই কর্মশালায় ১২টি দেশের ২০ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল শ্রীলঙ্কা, মিশর, ভারত, ঘানা, জাম্বিয়া, নামিবিয়া, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, ওমান, মালয়েশিয়া, কেনিয়া এবং বাংলাদেশ।
আফ্রিকান-এশিয়ান রুরাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (আর্ডো) এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নীতি-নির্ধারক ও আর্থিক সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিই ছিল এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে, পল্লী এলাকায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কৌশল শিখতেই এই দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন


৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ/পদায়ন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা গত ৩০ ডিসেম্বর তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, নিয়োগ পাওয়া সহকারী কমিশনারদের চাকরি শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনার হিসেবে উপযুক্ত পদে পদায়ন করার জন্য তাদের বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, এসব কর্মকর্তাকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যোগদান করা সহকারী কমিশনারদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অবৈধভাবে যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন তাদের ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না বলে জানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অবৈধ ভারতীয়দের প্রোপার চ্যানেলে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৭ মে) সুন্দরবনে বিজিবির ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সুন্দরবনের জল সীমানায় বিজিবির যশোর রিজিয়নের আওতাধীন রিভারাইন বর্ডার গার্ড (আরবিজি) কোম্পানির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জলসীমান্ত রক্ষায় কাজ করবে বিজিবির ভাসমান বিওপি।
ভারত সুন্দরবনের জলসীমাসহ বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভারত মান্দারবারি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন করেছিল, সেখানে আমি পরিদর্শন করেছি। ভারতকে আমরা জানিয়েছি- আমাদের কোনো বাংলাদেশি যদি তাদের (ভারতে) ওখানে থেকে থাকে তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠান। যেমন ভারতের যারা বাংলাদেশে আছে তাদের আমরাও প্রোপার চ্যানেলে পাঠাই। আমরা কাউকে পুশইন করি না।
তিনি জানায়, গতকাল আপনারা দেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পুশইনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে আনসার এবং স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধে ভারত পুশইন করতে পারেনি। আপনারা সবাই যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ভারত পুশইন করতে পারবে না। বিজিবির সঙ্গে জনগণ এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতা দরকার।
পুশইন ঠেকাতে প্রতিবাদমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডিপ্লোমেটিক সল্যুশনের (কূটনৈতিক সমাধান) জন্য এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের জন্য এ বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার কাছে এটা (পুশইন) ওরকম উসকানি মনে হচ্ছে না। যেহেতু এর আগেও উনারা (ভারত) পুশইন করেছিল অনেক আগে; যে সময় পুশইন করেছিল সে সময় আমি বিজিবির ডিজি ছিলাম।
হঠাৎ এই সময় আবার কেন ভারত পুশইন করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিছুদিন আগে শুনেছেন গুজরাটে বাঙালি কলোনির মতো ছিল (বাঙালি বস্তি)। গুজরাটে সেটা ভেঙে দেওয়ার পরেই এটা (পুশইন) শুরু হয়েছে।
ইউএনএসিআরের কার্ড হোল্ডারদেও পুশইন করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটা আমরা অলরেডি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। এর ভেতর কিছু রোহিঙ্গা চলে আসে। যেসব রোহিঙ্গা আমাদের দেশে ছিল তাদেরও পাঠিয়েছে, আবার ভারতীয় রোহিঙ্গাদেরও পাঠিয়ে দিচ্ছে। এজন্য আমরা এটার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় আছে কি না, যাদের পুশব্যাক করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ ভারতীয় একেবারেই নাই আমি বলবো না। আপনাদের অনুরোধ করবো যদি থাকে জানান, আমরাও যেন প্রোপার ওয়েতে (নিয়ম মাফিক) পাঠাতে পারি।
ভারত যেহেতু পুশইন করছে বাংলাদেশও ভবিষ্যতে পুশব্যাক করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার দেশের নাগরিক হলে পুশব্যাক করার কোনো অধিকার নেই। অবৈধভাবে ভারতীয় যারা বাংলাদেশে আছে তাদেরকে ভারতের মতো পুশব্যাক করবো না, তাদের প্রোপার চ্যানেলে পাঠাবো। অবৈধভাবে পাঠানো আইনসিদ্ধ নয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, আরবিজি কোম্পানির অধিনায়ক, বিজিবির অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা ও সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন