জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য করতে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে যে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে আগের অবস্থায় আনা হয়েছে। এখন থেকে এই খাতে দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ড এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, রেস্তোরাঁর খাবারের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে তিন-তারকা, চার-তারকা ও পাঁচ-তারকা হোটেল ব্যতীত সব রেস্তোরাঁয় আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বাদে অন্য পোশাক বিপণনে আরোপিত অতিরিক্ত ভ্যাট সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়েছে।
নন-এসি হোটেল, মিষ্টির দোকান এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শতাধিক পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা করেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং জাতীয় নাগরিক কমিটিও।
মন্তব্য করুন
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার টোকিওর জেট্রো সদর দপ্তরে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাইকা যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’-এ তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ১৬ বছরের একটি ভূমিকম্প পার করেছে। সব কিছু ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন টুকরো টুকরো করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
জাপানকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একজন ভালো বন্ধু কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায় এবং জাপান সেই বন্ধু। আমাদের কাজ হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং আপনি আমাদের সঙ্গী ও বন্ধু। এটি বাস্তবে রূপ দিন।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা একটি ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে এটি সম্ভব হয়েছে, তা-ও নিখুঁতভাবে। অন্য একটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলি। তাই আমাদের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে সেই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করা। আপনাদের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং আমরা ইতিমধ্যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।’
মাতারবাড়ি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি পিছিয়ে থাকা একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এটি কেবল অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়। এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ব্যাপার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ আরো বহু মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জন্য দরজার মতো যেমন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তরপূর্ব রাজ্যের মানুষ সমুদ্রের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ হয়ে। মাতারবাড়ি হচ্ছে বাকি বিশ্বের জন্য দরজা। আমরা তাদের জন্য এই দরজা খোলা রাখব।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার তাকেউচি শিনজি বলেন, বাংলাদেশ হলো একটি কৌশলগত বিন্দু যা এশিয়াকে সংযুক্ত করে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে জাপান দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় জাপান সরকার।
জাপান সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান তাকেউচি ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল শিল্পভিত্তিক উল্লেখ করে তিনি আরো বিস্তৃত খাতে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচন করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। এই উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।
নির্বাচন আয়োজনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে আমার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ উপভোগ করছিলাম, তাই প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে অন্য কিছু করার জন্য আমাকে টেনে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরা এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব, যা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।
নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন / সমবায়ী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় নয়। বাংলাদেশ যা করেছে তা একটি উদাহরণ, যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতা রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়; তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ বলেছে, সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে এমন দেশকে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত না হলেও, তা নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ভিত্তিতে।
এবারের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশের সাম্প্রতিক বিজয় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি স্বৈরশাসককে উৎখাত করা হয়েছে। আগস্টে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যিনি ১৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছিলেন। এর আগে তিনি এক সময় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তার শাসনামলে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় সাধারণত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তবে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেটি ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এই সরকারকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে, কিন্তু তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা মামলায় সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহম্মেদ তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শামীম হাওলাদার। তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীম মারা যান। এ ঘটনায় শামীমের ফুফাতো ভাই জাকির হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও প্রফেসর ইউনূসকে বিশ্বে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে, যাতে ভারতীয় মিডিয়া জড়িত রয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আয়োজিত দ্রোহের গ্রাফিতি প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, "যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিবাদী সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "স্বৈরাচারী সরকার যাতে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে, সে বিষয়ে গ্রাফিতির মাধ্যমে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং অন্যান্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পিডি পুল করতে হবে। চিকিৎসকেরা যদি পিডি হন তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের জন্য নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই। আগের মতো সুতা লাগানো ঋণ নেওয়া হয় না। কারণ, ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে এসব থাকলে আমরা সেই ঋণ নেই না।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এবং চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিলে নামে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা। এসময় আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতারা চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থনে মহাসড়কে নেমে ভাঙচুর চালায়। পরে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষ মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের টাইমলাইন কেমন হবে—এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা চান, গণতান্ত্রিক উত্তরণ সফল হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাবেন। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি।
আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। তারা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তারা বলেছেন, সংস্কারের জন্য সময় কম থাকায় তারা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তারা চাপ দিচ্ছেন না, বরং পরামর্শ দিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত থাকে, সেটা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হোক, তা আমরা চাই না। তারা এ বিষয়টি সমর্থন করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকা উচিত। অন্যথায়, জাতি যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন
দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে অনেকে কেন নিরব আছেন, এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ মন্তব্য করেন।
তিনি লেখেন, "জাতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গে যারা সরব ছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তাদের অনেকে কেন নিরব?"
এদিকে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এই স্ট্যাটাসটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। বেশিরভাগ নেটিজেনরা এই স্ট্যাটাসে তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
আতিক ইউ খান নামে একজন মন্তব্য করেন, "তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই, যার কারণে তারা জাতীয় সংগীতে প্রেম খুঁজে। আর তার কারণ হলো জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা একজন ভারতীয়।"
মো. সাইফুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, "এদের কাছে দেশ বড় না, আওয়ামী চেতনা বড়। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী চেতনা হচ্ছে হিন্দুস্তানের গোলামীর চেতনা।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’
তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’
তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’
সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’
১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’
আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’
আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন
খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জুমার নামাজ শেষে তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে, জুমার নামাজ শেষে বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের পূর্ব সমাবেশ শুরু করে।
অন্যদিকে, ইসলামী দলগুলোর ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এলাকায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পল্টন মোড়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জলকামান, এপিসি কার ও দুটি প্রিজন ভ্যান মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশপথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন