ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাজ্যের আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। তারা জানতে চেয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তায় কীভাবে সাহায্য করা যেতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদত্যাগ করতে চায়। তবে, নির্বাচনের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
রবিবার ব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে, বিকেলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ও নির্বাচনের প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যদি বলি যে নির্বাচনে তাদের কোনো আগ্রহ নেই, তাহলে তা সঠিক হবে না। তারা (যুক্তরাজ্য) আমাদের সহায়তায় আগ্রহী এবং জানতে চেয়েছে কীভাবে তারা আমাদের সাহায্য করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এখানে আমাদের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই।”
তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে পদত্যাগ করতে চাই, এবং এটা আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা জানি না, কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে। কারণ, বেশ কিছু কমিশন কাজ করছে এবং তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা বুঝতে পারব, নির্বাচনের জন্য কতটা সময় লাগবে।”
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি সকাল সাড়ে ৬টায় এবং প্রধান উপদেষ্টা সোয়া ৭টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। এ সময় তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল তাদের রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ বিষয়ে জরিমানার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় জুম প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের দেশের বিভিন্ন ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নৌপথে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূরপাল্লার লঞ্চগুলোতে সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হবে বলেও তিনি জানান। এছাড়া নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে নৌপথের বিশেষ অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ টহল কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও যানবাহনসমূহকে ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য বিআইডব্লিউটিসির কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনসমূহ প্রয়োজনে ০২২২৩৩৬২৭৭৯ ও ০১৪০৪৪৪৩৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারবেন।
নৌ দুর্ঘটনা রোধে ঈদের আগের ৫ দিন ও পরের ৫ দিন দিনে-রাতে সার্বক্ষণিক বাল্কহেড (বালুবাহী) চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, সদরঘাট বা অন্যান্য ঘাটে যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করতে পারবেন না। কোনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতেও পারবেন না। বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপদেষ্টা যেসব জলযানের ফিটনেস নেই, তাদেরকে অবিলম্বে ফিটনেস সনদ নেওয়ার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার একটি চার্ট ঘাটগুলোতে টাঙিয়ে রাখতে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা ঢাকার জিরোপয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সাথে সাক্ষাতে তিনি সমর্থনের কথা জানান।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার।
সাক্ষাতে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান সংবিধান সংস্কার বিষয়ক চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডরকে অবহিত করেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে সংবিধান সংস্কার কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এসময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর সংবিধান সংস্কার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এছাড়া তিনি সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মাথায় গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্রের ছয় খাত সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি পৃথক কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর নভেম্বরে আরও আরও পাঁচ খাত সংস্কারের জন্য পাঁচটি কমিশন করা হয়। প্রত্যেক কমিশনকে সুপারিশ জমা দিতে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।
নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।
সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।
খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।
ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।
ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।
বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।
আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।
ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।
আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।
আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।
অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।
নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।
করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ৩৮ দিনের ছুটিতে গেলো স্কুল-কলেজ। আজ ২ মার্চ থেকে এ ছুটি শুরু হয়েছে এবং চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ছুটি শেষে আগামী ৯ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে এ ছুটি নির্ধারিত ছিল।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, পবিত্র রমজান, দোলযাত্রা, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি একসঙ্গে রাখা হয়েছে। ২ মার্চ রমজান দিয়ে দীর্ঘ এ ছুটি শুরু হয়েছে এবং ঈদুল ফিতর শেষে ৮ এপ্রিল ছুটি শেষ হবে।
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। তাতে ২ মার্চ থেকে ছুটি শুরুর কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ছুটির আগে শেষদিন ক্লাস চালু থাকবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যদিকে, ২০ রমজান পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণির কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সোমবার বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আজাদ খানের কাছে স্মারকলিপি দেন।
সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, "শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো সব বই পৌঁছায়নি। গত দুই মাসে সেভাবে পড়াশোনা হয়নি। এর মধ্যে রমজান, ঈদুল ফিতরের এক মাসের বেশি ছুটি। এরপর শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। তাই আমরা দাবি জানিয়েছি, এ লম্বা ছুটিতে সরাসরি সম্ভব না হলেও অনলাইনে যেন ক্লাস হয়। মোটকথা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে হবে।"
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, "দীর্ঘ এ ছুটি শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী। যদিও এবার বই দেরিতে হাতে পাওয়ায় কিছু ঘাটতি হয়েছে। প্রতি বছর এ ছুটি থাকে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা বাস্তবায়ন করবো।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে নয়, ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া, গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেন, “২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।”
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সংস্কার এবং ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে ২০২৫ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময়সীমা আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর তথ্য সিলগালাকৃত খামে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন সরকার গঠনের পর সরকারি প্রায় ১৫ লাখ কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। প্রথম দফায় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এবার আরও এক দফা সময় বাড়ানো হলো।
মন্তব্য করুন
নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো নারী আত্মবিশ্বাস ও নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। নারীর পিছিয়ে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে আমি তার মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই দায়ী মনে করি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, নারীর একটি ইতিবাচক দিক হলো—সে সামান্য সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। নারীর আত্মবিশ্বাস, নিজের উপর আস্থা রাখা এবং কাজের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার ও কর্মপরিবেশ। ফরিদা আখতার বলেন, পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে নারীর এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারাবিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশের নারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একটি দেশের উন্নয়নের মানদণ্ড অনেকটাই নির্ভর করে সেদেশে নারীর অবস্থান ও অবস্থার উপর।
গত ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় থেকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কারণ তারা দেখছে, নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে, তাদের দমাতে হবে। এসব বিষয় আমাদের কারও চোখ এড়ায়নি।
তিনি বলেন, ‘এখানে ধর্মীয় কথাটা না এনে আমি বলছি—একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মেয়েদের পিছিয়ে দিতে ধর্মের অপব্যবহার করছে। এটা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়েছে। সম্প্রতি মেয়েদের ফুটবল খেলায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। নারীদের পিছিয়ে দিতে নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমি একদিকে নারী নির্যাতন হিসেবে দেখি, অন্যদিকে এটাকে সন্ত্রাস হিসেবেও দেখি। আইনিভাবে সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই এটাকে দেখতে হবে এবং অপরাধীদের সঙ্গে কোনো আপস না করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, অধিকারের জায়গায় নারীকে নিজের উদ্যোগেই সচেতন হতে হবে। নারীকে তার প্রতিবন্ধকতাগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
নিজের মন্ত্রণালয়ে কর্মরত নারীদের কাজ অনেকটাই অদৃশ্য থেকে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কাজ নারীরাই করে থাকে। মাঠপর্যায়ে যেসব খাদ্য উৎপাদন হয়, শাকসবজি চাষ, পশুপাখি ও মৎস্য উৎপাদনের পেছনে নারীর শ্রম রয়ে যায় অনুল্লেখ্য। মাঠ পর্যায়ে অনেক প্রান্তিক নারী নিরলসভাবে কাজ করছে, কিন্তু তাদের কাজের কেউ মূল্যায়ন করছে না। এখন আমার দায়িত্ব হলো এসব নারীদের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করা এবং তাদের কর্মকাণ্ড সমাজের কাছে তুলে ধরা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে নারী মৎস্যজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি, যেন পরিসংখ্যানে এসব লড়াকু নারীদের অংশগ্রহণ দেখতে পাওয়া যায়। শুধু মুখে বা কাগজে-কলমে নারীর উন্নয়নের কথা বললে হবে না। বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত নারীদের কাজের বিষয়টিকে সামনে আনতে হবে। অন্যদিকে, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে তারা আরও বেশি কাজে মনোযোগী হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আসলে বদ্ধ ঘরে বসে বক্তৃতার মধ্যে থাকতে চাই না। তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ৮ মার্চ নারীর জন্য এ দিবসটি নারীর অধিকার ও সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ একটি বিশেষ দিন হিসেবে রেখেছে। সুতরাং, এ দিবসটিকে সঠিকভাবে উদযাপন করা উচিত।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘নিজের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নারী কোথাও কোথাও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "আগুন লাগে সচিবালয়ের ষষ্ঠ তলায়। ফায়ার সার্ভিস রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় এবং ১টা ৫৪ মিনিটে কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি সচিবালয় থেকে একটি পাইপ বের করার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় আহত হন এবং পরে মারা যান। তার সঙ্গে আরও দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন, তবে তারা সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন।"
উপদেষ্টা আরও জানান, "আগুনটি ষষ্ঠ তলায় লেগে ওপরের দিকে ছড়িয়েছে, তবে নিচে নামেনি। এই ঘটনার তদন্তে হাই পাওয়ারের একটি কমিটি গঠন করতে কেবিনেট সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের তীব্রতা বাড়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। অবশেষে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সহযোগিতা করে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় এবং পরে সচিবালয় এলাকায় বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
মন্তব্য করুন