সৌদি আরবে গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড. আসিফ নজরুল সৌদি আরব, ওমান ও কাতার সরকারের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই সফর ও বৈঠকের ফলাফল নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ড. আসিফ নজরুল। তিনি লিখেন, "সৌদি আরবে আমার এবারের সফর ছিল সরকারি, সেখানে কিছু ভালো খবর পেয়েছি। রিয়াদে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাতার ও ওমানের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সৌদি আরব সেখানে আকামাবিহীন বাংলাদেশিদের বিষয়ে চাকরিদাতাদের দায়-দায়িত্ব আরও কঠোরভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, চাকরির চুক্তি আগেই বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাছে পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করবে বলেছে, পেশাজীবীদের সার্টিফিকেটের সত্যায়ন বাংলাদেশ থেকেই করবে বলেছে।"
ওমানের বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, "ওমান সেখানকার সকল বাংলাদেশিদের থাকার বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দ্রুত বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে বলেছে।" কাতারও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল আরও লিখেন, "এখনো পর্যন্ত সব প্রতিশ্রুতিই। তবে সেগুলো আন্তরিক মনে হয়েছে। আমরা বিষয়গুলোর অগ্রগতি যেন হয়, তা নিয়ে ফলো-আপ করবো।"
প্রবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, "প্রবাসে কেউ কেউ আমার কাছে বিমান ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না, তবুও আমি বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দু-একদিনের মধ্যে বসবো।"
তিনি আরও লিখেন, "সবশেষে, আপনাদের বহু মানুষের কাছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্পর্কে ভালো মূল্যায়ন পেয়েছি। তাদের কাজের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম দেখে আমারও ভালো লেগেছে। দুই দিনে চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুধু নয়, তারা আমার সঙ্গে সৌদি আরবের বড় বড় প্রায় ২০টি চাকরিদাতা কোম্পানি ও প্রবাসে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সঙ্গে দুটো মিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো নিয়ে পরে লিখবেন বলেও জানান উপদেষ্টা।"
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি অল্প কিছু সংস্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যদি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে হয়তো আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোট প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে, যা এখন দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং জাতীয় সংহতি বিনষ্টের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি সবাইকে সচেতন থেকে জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষায় এবার এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করছে সরকার। ইতোমধ্যে ‘হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন’ শীর্ষক খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। এসব জলাধারের পানি দূষণ করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধানের প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়ায়। অপরাধীর সহায়তাকারীও পাবেন একই শাস্তি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য হাওর ও জলাভূমিসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১৬৮৩/২০১৪-তে দেওয়া আদেশে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন দ্রুত প্রণয়নের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী এ আইনের খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর। খসড়াটি তারা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
খসড়ার বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত চেয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এজন্য ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি মতামত এসেছে। যা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। সবশেষে এটি মন্ত্রিসভায় উঠবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা, আইসিটি) গাজী মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে কমিটি করা হয়েছিল। এরপর সবার সমন্বয়ে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়াটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরবর্তী যা যা প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করবে।
তিনি বলেন, মূলত হাইকোর্টে একটি মামলার রায়ের আলোকে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল আইন করার জন্য। সে আলোকে মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়েছিল। এরপর খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুখবর হচ্ছে মোখার যে ভয়াবহতা আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা কেটে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খুব বেশি একটা হয়নি।খুব দ্রুতই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ভাসমান টার্মিনালের একটি লাইন থেকে খুলে গিয়েছে, অন্যটি সংযুক্ত আছে। সংযুক্ত থাকা টার্মিনালের মাধ্যমে দুই একদিনের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। সংযোগহীন টার্মিনালের মেরামতের কাজ করতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। এতে ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাসের ঘাটতি হতে পারে। ফলে কিছু কিছু জায়গায় লোডশেডিং হবে। তবে গতকালের (শনিবার) মতো বড় আকারে হবে না।
ওএফএ/এমএ
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ছয়জন অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই সম্মাননা তুলে দেন।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যেসব নারী এই সম্মাননা পেয়েছেন, তারা হলেন— অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য শরিফা সুলতানা, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য হালিমা বেগম, সফল জননী হিসেবে মেরিনা বেসরা, জীবনসংগ্রামে জয়ী নারী হিসেবে লিপি বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য মো. মুহিন (মোহনা) এবং বিশেষ সম্মাননা হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল।
এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে তাদের অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ এ ধরনের সম্মাননা ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে-সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এসব ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আজ শুক্রবার তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, মা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিতে ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ। এ অবস্থায় বঙ্গপোসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে ভারতীয় জেলেরা। এমন অপরাধে ভারতীয় পতাকাবাহী ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ সময় দেশীয় প্রশাসনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলার তিনটি বাংলাদেশের জলসীমাতেই আটক করতে সক্ষম হয়।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের শেষে শুক্রবার বিকালে আটক জেলেদের আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।
ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দীন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী মলি এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মুগদা থানাকে নির্দেশ দেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, আইন সম্পাদক কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফুটপাতে ছানা ও মাঠা বিক্রি করার সময় জালাল উদ্দীন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘শপথ ভঙ্গের শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং শপথ ভঙ্গের শামিল। কারণ, ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পরামর্শ চাওয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা উচিত। প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিরা এ বিষয়ে মতামত দেন, যার প্রথম লাইন ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু পদত্যাগ করেছেন...।’ এরপর সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় একটি নোট রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়, যা তিনি গ্রহণ করেন এবং তার ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।’’
আসিফ নজরুলের মতে, ৫ আগস্টের ভাষণ এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা সত্যিই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন প্রায় আড়াই মাস পর রাষ্ট্রপতি যদি বলেন, তিনি পদত্যাগপত্র পাননি, তবে এটি স্ববিরোধী বক্তব্য এবং শপথ ভঙ্গের শামিল। এতে তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংবিধানে বলা আছে, যদি রাষ্ট্রপতির শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা না থাকে কিংবা তিনি গুরুতর অসদাচরণ করেন, তবে তার পদে থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।’’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির এমন স্ববিরোধী কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তবে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন।
‘‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিন সপ্তাহ অনুসন্ধান চালান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সেখানে কোনো পদত্যাগপত্র জমা নেই। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চাইলে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তার কাছে আছে কি না, জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাইনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘৫ আগস্ট সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ফোন আসে, বলা হয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে এসে সাক্ষাৎ করবেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই জানানো হয়, তিনি আসবেন না।’’
তিনি বলেন, ‘‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যখন বঙ্গভবনে এলেন, তখন আমি তার কাছে জানতে চাই, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না। কিন্তু তিনিও বলেন, শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে আসেন। তখন আমি তাকে বলি, আমিও এটি খুঁজে পাইনি।’’
এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে জটিলতা ও বিতর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হতো, এজন্য মামলার তদন্ত শেষ হতে দেরি হতো। আমরা যে সংশোধনী আনছি, তাতে বলা হবে তদন্তকারী কর্মকর্তা যাকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাকেই তদন্ত কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের মামলার তদন্তের সময়সীমা আমরা অর্ধেক করে দিচ্ছি। আগে তদন্তের সময়সীমা ছিল ৩০ দিন, এখন সেটা ১৫ দিন করা হচ্ছে। একইভাবে বিচারের সময়সীমাও অর্ধেক করা হচ্ছে। ধর্ষণের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ না হওয়ার অজুহাতে কাউকে জামিন দেওয়া যাবে না। বর্তমান আইনে রয়েছে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিন দেওয়া যেত। সংশোধিত আইন অনুযায়ী ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে কোনো জামিন দেওয়া যাবে না।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন