অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এমন সতর্ক থাকতে হবে, যেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি। এ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের এই বিষয়ে খুবই স্বচ্ছ হতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি অল্প কিছু সংস্কার এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যদি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে হয়তো আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদে প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোট প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে, যা এখন দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং জাতীয় সংহতি বিনষ্টের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি সবাইকে সচেতন থেকে জাতীয় ঐক্য অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চলতি করবর্ষে জমা দেওয়া অনলাইন আয়কর রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।
আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।
শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।
করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।
ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।
ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ তার পরিবারের আট সদস্যের বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২১ নভেম্বর ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন।
তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন বলে আজ মঙ্গলবার জানান দুদকের প্রসিকিউটর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।
সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে আদেশ হওয়া অন্যরা হলেন- আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা বেগম, তাদের তিন ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর, সাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহান এবং তিন পুত্রবধূ সাবরিনা সোবহান, সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান ও ইয়াশা সোবহান।
দুদক উক্ত ৮ জনের ১৪৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ, সম্পদ কেনা ও ব্যাংকে লেনদেনের তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে আরও সম্পদ কেনা, বিনিয়োগ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়া আবেদনে থাকলেও যেগুলোর টাকার পরিমাণ আবেদনে উল্লেখ নেই।
আবেদনে বলা হয়, আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের কেউ বিদেশে টাকা পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেননি।
প্রসিকিউটর সালাম জানান, বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশের সংস্থাকে আদালতের আদেশ দেখাতে হয়। তাই ঢাকার আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট দেশ দেখিয়ে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব হবে।
আদালত আদেশে আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের আটজনের সম্পদ জব্দের আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট দেশ সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্লোভাকিয়া, সাইপ্রাস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আদেশ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে দুদকের করা আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে জানা গেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে বিপুল পরিমাণে ব্যাংকঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের একাংশ বিদেশে পাচার করে সেখানে সম্পত্তি কেনা হয়েছে এবং বিনিয়োগ করা হয়েছে।
দুদক বলেছে, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ৩০ লাখ ইউরো (বর্তমান মূল্যে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে স্লোভাকিয়ার নাগরিকত্ব নেন। তার স্ত্রী ইয়াশা সোবহান ২০ লাখ ইউরোর (২৫ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব নেন সাইপ্রাসের। আহমেদ আকবর সোবহান ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম আড়াই লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় তিন কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব নেন ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে।
আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের আট সদস্য বিভিন্ন দেশের ১৯টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। সাফওয়ান সোবহান ও তার স্ত্রী সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাবিব ব্যাংক ও সাইপ্রাসের ইউরো ব্যাংকে হিসাব খুলে অবৈধ অর্থ লেনদেন করেন।
এর আগে আদালত গত ২১ অক্টোবর আহমেদ আকবর সোবহানসহ তার পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। গত ৬ অক্টোবর তাদের দেশীয় ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনই হলো প্রকৃত সরকার।" তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও মনোযোগী হতে হবে।
সভায় তিনি আরও জানান, পুলিশের যেসব সদস্য বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি, নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিশ্চিত করার নির্দেশও প্রদান করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস পেয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
২০০৭ সালের ২৭ মে যৌথবাহিনী বাবরকে আটক করে। গ্রেপ্তারের সাত দিন পর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল লাইসেন্সবিহীন রিভলবার রাখার অভিযোগে তাকে ১৭ বছরের সাজা দেন। তবে হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বিচারিক আদালতের এই সাজা অবৈধ ছিল।
আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, যৌথবাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের সাত দিন পর এই মামলা উদ্দেশ্যমূলকভাবে দায়ের করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল যে একটি লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জব্দকৃত তালিকায় সেই ব্যাগের কোনো উল্লেখ ছিল না। এই অসঙ্গতির ভিত্তিতে হাইকোর্ট বাবরকে খালাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
১৫ রমজান থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন সতর্ক করে বলেন, নৌযানে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিলে শুধু জরিমানা নয়, সংশ্লিষ্ট লঞ্চের রুট পারমিটও স্থগিত করা হবে। এছাড়াও ঈদযাত্রায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয়ভাবে সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত অর্থ বিদেশে পাঠানো প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এখন থেকে সেবার অর্থ বিদেশে পাঠাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে নিয়মিত বৈদেশিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে।
১২ জানুয়ারি, রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে, যার মাধ্যমে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সেবা খাতের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে: রয়টার্স মনিটর, ব্লুমবার্গ ফি, ব্যাংকার্স আলমনার্ক, ডিউ ডিলিজেন্স রেপোজিটরি ব্যয়, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস ফি, মূল্য যাচাই ফি ইত্যাদি। এছাড়া, ব্যাংকগুলোকে বিদেশ ভ্রমণকারীদের লাউঞ্জ সুবিধা সংক্রান্ত খরচ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশে ফি পাঠাতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, বছরে একজন কার্ড হোল্ডার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, সাবেক পরিচালক মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাহেনা হক ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের আবেদনপত্রের পেশা ক্রমিকে অসদাচরণ ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রাইভেট সার্ভিস উল্লেখ করেন।
সেইসঙ্গে অন্য আসামিরা বেনজীরের দাপ্তরিক পরিচয় সম্পর্কে জেনেও বিভাগীয় অনাপত্তি সনদ সংগ্রহ ও যাচাই না করে পরস্পর যোগসাজশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে ওই অভিযোগে বলা হয়।
মন্তব্য করুন