অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচারে আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি এমন অনেক প্রশ্ন আসছে। আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের আয়োজন ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার শেষ দিনের প্রথম পর্বে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক মনির হায়দার।
সংলাপে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ-পদবী দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, কিন্তু খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের উপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল সেদিকে আপনারা ফোকাস করেন নি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এই বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় চেষ্ট থাকবো। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মত দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্রকে এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ততবেশি এজেন্ডা ভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবো।’
দেশে ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোন বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরুহ।’
বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কি সেটা আমাদের বলবেন। আমরা সেটায় যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম, সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে, সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্সোনাল গ্রাস এক্সপোজ করার জন্য মামলা দিয়েছেন, আসামির খাতায় নাম দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কি হবে এবং এটার সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা তার কোনো কনফ্লিক্ট হবে কি-না প্রশ্ন এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আইনিভাবে, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, সেই ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৯৭৩ এর ১৯ নম্বর আইন। সে আইনে মানবতাবিরোধী আইনের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যে অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিভিলিয়ান পপুলেশনের উপর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার বিচার হবে। সেটি একটা দুইটা স্পেসিফিক ঘটনার দরকার নেই। ইন জেনারেল সেটার বিচার হবে। ঐ আইনেই বলা আছে, ডমেস্টিক অন্যান্য আইনে যাই বলা থাকুক না কেন, ঐটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোন বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।’
মন্তব্য করুন
সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালানো প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “ডেভিল যতদিন শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত অপারেশন চলবে।”
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “গাজীপুরে যারা ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের টার্গেট করে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলবে।”
গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। এরপরই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু করা হয়। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই যৌথ বাহিনী সাড়াশি অভিযান শুরু করে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা রয়েছে।”
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো দিকগুলোও তুলে ধরার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার যাদের চোখে পড়ে না, তারা আসলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন না। শুধু ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলো না দেখে ভালো বিষয়গুলোও দেখতে হবে। সরকারের ভুল যে নেই, তা নয়। সমালোচনা করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। এতে ভুল সংশোধন করা যাবে।
আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূসক ও কাস্টমস সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার অনেক জুনিয়র অর্থনীতিবিদ আছেন, যারা শুধু সরকারের ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলোই দেখেন।
শুধু বলেন, এটা নেই, ওটা নেই। কিন্তু ভালো দিকগুলোর প্রতিও নজর দেওয়া জরুরি। এ সময় তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সুনাম রয়েছে জানিয়ে তা ধরে রাখার পরামর্শ দেন।
এ সময় ২০২৫-২৬ কর বছরের ই-রিটার্নের উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এর মধ্যে মো. রাসেল হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে জাহাংগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি জানান, আসামি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বয়স্ক, অনেক অসুস্থ। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। এসব বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিল প্রার্থনা করছি।
এ সময় জাহাংগীর আলম বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কিছু বলার আছে। অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন একই আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার দুই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তী দায়িত্ব শেষে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না। বুধবার (২ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনীতির প্রতি কোন টান নেই উল্লেখ তিনি পোস্টে লেখেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জল্পনা চলছে। আমার কিছু বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছি যে প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আমি কোনও শীর্ষ রাজনৈতিক দলে অথবা নতুন প্রতিষ্ঠিত কোনও দলে যোগ দিচ্ছি। সত্যি বলতে, কোনও রাজনৈতিক দল বা এমপি হওয়ার পর আপনি যে ধরণের জীবনধারা গ্রহণ করেন তার প্রতি আমার কোনও ক্রাশ নেই।”
রাজনীতির আর্থিক দিক নিয়ে মন্তব্য করে তিনি লিখেছেন, “সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বে আর্থিক সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা নেই—যতক্ষণ না আপনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ হন।”
শফিকুল আলম বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী সময়ে আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না। আমি সাংবাদিকতা এবং সক্রিয় লেখালেখির পেশায় ফিরে যেতে চাই। আমার মনে কিছু বই আছে। আমি আমার বাকি জীবন জুলাইয়ের বিদ্রোহের উপর একচেটিয়াভাবে লেখার জন্যও ব্যয় করতে পারি।”
এই আন্দোলনকে ‘স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী, সুন্দর ও বিস্তৃত রাজনৈতিক সংগ্রাম’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শফিকুল আলম লেখেন, “রবার্ট ক্যারো যেভাবে তার প্রিয় বিষয় লিন্ডন জনসনের ওপর পুরো জীবন লেখালেখি করেছেন, তেমনি একজন লেখক সারাজীবন জুলাই বিপ্লব নিয়ে লিখে যেতে পারেন। যদিও অনেকে ‘বিপ্লব’ শব্দটি পছন্দ করেন না।”
নতুন পরিচয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেন শফিকুল আলম। তিনি লেখেন, “আমার জীবনের শেষের দিকে নতুন রূপান্তরের পর কি আমি নিরাপদ থাকব? গত কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীর কাছ থেকে ভয়ংকর হুমকি পেয়েছি। তবে হতে পারে, এসব হতাশ কিছু মানুষের হতাশার প্রকাশ, যারা মানুষের শেষ ভালোবাসাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।”
সবশেষে শফিকুল আলম বলেন, “আমি সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা রাখি। তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। আমি অপেক্ষায় থাকবো আমার নতুন জীবনের।”
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলামের সোনালি যুগে বিশ্বসভ্যতা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোল শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান এক গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস গড়ে তুলেছিল। মুসলমানরা শৌর্য-বীর্য, জ্ঞানবিজ্ঞান ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। সেই গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কলহ, একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য এবং শ্রদ্ধার অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়াসহ নানা কারণে আজ মুসলমানরা পিছিয়ে পড়েছে। এই সম্মান ফিরে পেতে মুসলমানদের আবার শিক্ষা-গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন করতে হবে। আজ মুসলিমদের দখলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদকে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে দুঃখজনকভাবে মুসলিম বিশ্বে মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের অপর্যাপ্ত অবদানকে প্রতিফলিত করে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে মুসলমানদের আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যাতে তারা বেশি করে অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে যখন বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে।
মন্তব্য করুন
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সরকার কাজ করছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকলেও তা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকায় কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্বের হার কমানো গেলে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে আলোচনা হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে তাদের নিজেদের কারণেই। সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে। তবে, সবাইকে কাজ দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ টি বোয়িং বিমান কেনার অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুবুর রহমান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার ২৫টি বোয়িংয়ের অর্ডার দিয়েছে। এর আগেও ১৪টি বোয়িং অর্ডার ছিল। এবার রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ ইস্যুকে মাথায় রেখে অর্ডার বাড়ানো হয়েছে।’
বানিজ্য সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক কমাতে তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে থাকছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক হার কমানোর লক্ষ্যে এই আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াশিংটনে ২৯ ও ৩০ জুলাই ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভব হলে ৩১ জুলাই আরেকটি বৈঠক হতে পারে।’
শুল্ক আলোচনার অগ্রগতি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ চুক্তির খসড়া পাওয়ার পর আমরা কয়েক দফায় কাজ করেছি। ওয়াশিংটনে দুই দফা সরাসরি বৈঠক হয়েছে, অনলাইনে সভা হয়েছে, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকও করেছি। সব পক্ষের মতামত নিয়েই ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রকে চূড়ান্ত অবস্থান জানানো হয়েছে। সব খসড়ার জবাব দিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক হার কমবে এবং ভারতের কিংবা ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের পণ্যের ওপর তুলনামূলক কম শুল্ক বসবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটি থেকে গম, তুলা এবং বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার কথাও বলেন বাণিজ্য সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘বোয়িং কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ভারত ও ভিয়েতনাম ১০০টি করে অর্ডার দিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া দিয়েছে ৫০টি। তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সরবরাহ করবে কোম্পানি। অর্ডার অনুযায়ী যাদের আগে দেয়া হয়েছে, তারা আগে পাবে। আমাদের কিছু বোয়িং অতিদ্রুত দরকার। হয়তো আগামী দুই এক বছরের মধ্যে কিছু বিমান হাতে পাওয়া যাবে।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে দেশে ৯ মিলিয়ন টন গম আমদানি হয়। আগে কখনও এককভাবে কোনো দেশ থেকে তা আনা হতো না। কিন্তু এখন রেড সি সংকটে সরবরাহ চেইনে পরিবর্তন এসেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির চুক্তি ইতিমধ্যেই হয়েছে। তুলার ক্ষেত্রেও তাদের কাছ থেকেই আমদানি চলছে, যদিও সেটা কিছুটা কমেছে। বেসরকারি খাত সয়াবিন তেল আমদানির পরিকল্পনা করছে, এ নিয়েও তারা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবে।’
বাংলাদেশের মার্কিন নির্ভরতা বাড়লে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে কি না এমন প্রশ্নে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমরা যদি আরেকটি দেশ থেকে সুবিধাজনক পণ্য আমদানি করি, তাতে চীন বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে টানাপোড়েন হবে না। ব্যবসায়িক বাস্তবতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে চীনের ওপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে। উৎপাদন স্থানান্তর হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর কিছু অংশ আমরা বাংলাদেশে টানতে পারি।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব আলোচনা চলছে, সেখানে বিনিয়োগ ইস্যু থাকলেও সেটা মুখ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সঙ্গে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে রয়েছে। সেটি কমানোর লক্ষ্যেই তারা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নীতিতে যাচ্ছে।’
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য কেনার কারণে দেশের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। ব্যবসায়ীরা সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করেই আমদানি করছেন। সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়িক স্বার্থই প্রধান বিবেচনা।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত রায়ে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দলটির প্রতীক নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিলো আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
মন্তব্য করুন
অন্যায়ভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো এবং ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যারা অকারণে পণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে তরুণদের সোচ্চার হতে হবে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় রমজান মাস উপলক্ষে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাজারে তদারকি জোরদার করতে হবে। এবারের রমজান মাস যাতে সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যেসব স্থানে সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, সেসব স্থানকে প্রাধান্য দিয়ে পণ্য বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এছাড়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারাবছর ধরে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে বলে জানান ফরিদা আখতার।
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সোমবার রাত কিংবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে কাতারের আমির রাজকীয় বহরের বিশেষ এই বিমান পাঠিয়েছেন। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।
লন্ডন যাত্রার আগে রোববার রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, “বেগম খালেদা জিয়া তার চিকিৎসার জন্য আগামী মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেই কারণেই আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।”
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। লন্ডনে পৌঁছানোর পর তিনি কিছুদিন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কেয়ার ইউনিটে যাবেন। সেখানেই তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার যাবতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেডিকেল রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর, জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার এবং পেটের ফ্লুইড জমা ও রক্তক্ষরণ রোধে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ট্রান্সজুগুলার ইনট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (TIPSS) সম্পন্ন করেছিলেন।
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলই যুক্তরাষ্ট্রে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
মন্তব্য করুন