ডেস্ক রিপোর্ট:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের উপর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এবার তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিউলিপ সিদ্দিককে তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় জোটটি। ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশনে অক্সফাম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও স্পটলাইট অন করাপশনের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন অন্তর্ভুক্ত।
টিউলিপ যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ দেশটির অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। অথচ খোদ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
কোয়ালিশন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বর্তমান অবস্থান গুরুতর স্বার্থের সংঘাত তৈরি করেছে। ট্রেজারি মন্ত্রী হিসেবে তিনি অর্থপাচার নিয়ম ও অর্থনৈতিক অপরাধের জন্য যুক্তরাজ্যের কাঠামোর দায়িত্বে আছেন, অথচ তার পরিবারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে এমন একটি সরকারের সঙ্গে, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে।
কোয়ালিশন আরও জানায়, তার পদত্যাগ মন্ত্রী হিসেবে তার শপথ ভাঙা হয়েছে কি না, তা নিয়ে স্বাধীন উপদেষ্টার তদন্তের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে না। মন্ত্রীর বর্তমান দায়িত্বের আওতায় যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও সুনাম রক্ষায় জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টিউলিপ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থানে রয়েছেন কি না তা, নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে খালার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিকের পূর্ববর্তী সংযোগ ও সেই সময়ে কেনা পাঁচটি সম্পত্তির বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, এগুলোতে টিউলিপ বা তার পরিবার বসবাস করেছে ও এসব সম্পত্তি আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের দ্বারা-ই কেনা হয়েছিল।
এছাড়া শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি বা নিজেকে বারবার নির্দোষ দাবি করলেও বাংলাদেশের গণভবনে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনি প্রচারপত্র, লেবার পার্টির পোস্টারসহ টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বেশকিছু জিনিস পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস বলছে, তাদের প্রতিবেদক বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপহার হিসেবে টিউলিপকে দেওয়া পোশাক-গয়না, দামি কলমের মোড়কসহ নানা জিনিস গণভবনে পড়ে থাকতে দেখেছেন। এসব বিষয় টিউলিপকে নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে।
তবে বিতর্ক চলতে থাকলেও লেবার সরকার টিউলিপের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, ট্রেজারি মন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে স্বাধীন উপদেষ্টার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান ও আমরা সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে কিছু বলবো না।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের টাইমলাইন কেমন হবে—এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা চান, গণতান্ত্রিক উত্তরণ সফল হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাবেন। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি।
আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। তারা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তারা বলেছেন, সংস্কারের জন্য সময় কম থাকায় তারা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তারা চাপ দিচ্ছেন না, বরং পরামর্শ দিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত থাকে, সেটা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হোক, তা আমরা চাই না। তারা এ বিষয়টি সমর্থন করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকা উচিত। অন্যথায়, জাতি যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে দুর্নীতিবাজরা নেই। ফলে এবারের কোরবানির গরুর দাম কম বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই, আর দুর্নীতিবাজরাও নেই বলেই অনেকের হাতে গরু কেনার মতো অর্থ নেই। এ ছাড়া গরুর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এবার কোরবানির পশুর বাজারে দামও কিছুটা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা হাটের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি হাটে আসা ক্রেতা, বিক্রেতা এবং সেবা–সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণে আছে। সবাই সহযোগিতা করলে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আরও স্বস্তিদায়ক হবে।
ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ এলে অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
গণসংবর্ধনার আয়োজন করেন গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিপি নুর বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন- আমি ঢাকা থেকে নির্বাচন করব; কিন্তু মা-মাটিকে তো ভুলে যাওয়া যায় না। এই চরের কাদামাটি, এই নদীর পানি গায়ে মেখে বড় হয়েছি, এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কী করে। আপনারা যদি সমর্থন করেন তাহলে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) থেকেই নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে রাষ্ট্র ঠিক করতে বেগ পেতে হচ্ছে। হয়ত আগামী ২-১ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা না করে সংহতি এবং সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পুরনো দল পুরনো নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব দরকার। গণঅধিকার পরিষদের যে গণজোয়ার উঠেছে, আমরা এ রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
ভিপি নুর বলেন, একক কোনো দল যেন সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না করতে পারে তাই দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করার দাবি করেছি। সব দলের যেন সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকে এ প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। কোনো অপরাজনীতি নতুন বাংলাদেশে চলবে না।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন মির্জা আব্বাস জানান, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই, যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে তারা আজকের দিনকে খাটো করে দেখাতে চায়। তাদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।’
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ৭১ দেশকে জন্ম দিয়েছে, তবে বিগত সময়ে স্বাধীনতার ধারণা নষ্ট করা হয়েছে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই চব্বিশের অভ্যুত্থান হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল কেনা ও ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "সীমান্তে সবসময় প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়া ছিল। তবে বিজিবির কাছে সাউন্ড গ্রেনেড বা টিয়ারশেল ছিল না। অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে— বিজিবি কেন টিয়ারশেল বা সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেনি। মূলত এসব সরঞ্জাম তাদের কাছে ছিল না। এখন আমরা তাদের এগুলো কেনার অনুমতি দিয়েছি। শিগগিরই এগুলো কেনা হবে।"
সীমান্ত পরিস্থিতি অনুযায়ী কোন সময় কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোনো বড় ধরনের সমস্যা নেই।"
ভারতের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড থাকা এবং তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "ভারতের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড আছে। তারা এটি নিয়ে খারাপভাবে নেবে না।"
মন্তব্য করুন
সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ মুহূর্তে অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তবে যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এতে কতটা সময় লাগতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পুরোপুরি আয়োজন করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আবুল ফজল আরও বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, তা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। তখন নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে, এটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কাছে রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকলেও ভারী মারণাস্ত্র থাকবে না। তিনি জানান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) মতো বিশেষায়িত ইউনিটের কাছে থাকবে ভারী অস্ত্র।
শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরপর র্যাব-১ কার্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এপিবিএন, থানা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক উন্নয়ন কাজ করছে সরকার। তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিগত ১১ মাসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দু-একটি ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া এবারের ঈদ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করেছেন দেশবাসী।
মন্তব্য করুন
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপিত হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর সহায়তায় আমরা উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভার শুরুতে একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বড়দিনের জন্য পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে:
থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য পরিকল্পনা:
উৎসব দুটি সফলভাবে উদযাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভায় ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের কিছু লোক বলছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কিন্তু কেনো কঠিন হবে? নির্বাচন করতে এতো সময় কেনো লাগবে? যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে জুন-জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজশাহীতে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া কামনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হলে অন্তবর্তী সরকারের বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। আমাদের একটি সংবিধান আছে, তারপরও গণপরিষদ নির্বাচন কেনো? এ ধরনের কথাগুলো মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কারও কাছে মাথা নত করে না, এটাই বিএনপির অপরাধ, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে মিটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একটি লুটেরা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর মতো একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা করে রক্তাক্ত হাত নিয়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। শহিদদের রক্তের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের আগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেনো? যারা লুটেরা, যারা খুনি, তাদেরকে ভারত আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহত ও নিহত ১৫ জনকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এহসানুল হক সমাজী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা পৌনে ৪টার দিকে বৈঠক শেষে পার্ক লেনের হোটেল থেকে তারেক রহমানকে হাসিমুখে বের হতে দেখা গেছে। দুপুর ২ টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়েছিল।
জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক প্রসঙ্গে কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকের কোনো ফরমেট নেই। তারেক রহমান যেহেতু বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মিটিংটি হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার এবং জুলাই চার্টারসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে লন্ডনে বৈঠকের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন