স্টাফ রিপোর্টার:
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের আওতাধীন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচনে ২ জন প্রার্থীর তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র বৈধতা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ মে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে নির্বাচনী বিধিমোতাবেক ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত হলফনামায় তাদের মামলা সংক্রান্ত
উধরষু ইধহমষধফবংয গরৎৎড়ৎ
কোনো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেন নাই। তারপরও কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন এবং জাকির হোসেন দুলালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন তার হলফনামায় একাধিক মামলার তথ্য গোপন করেছেন। যেমন, ২০০২ সালের মোহাম্মদপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩০২/৩৪ অনুযায়ী মামলা নং-৩৯/২০০২ , ২য় মামলা ২০০৬ সালের তেজগাঁও থানাতে অস্ত্র আইনের ধারা ১৯ (ক) অনুযায়ী জি আর নং-৭৯৮/২০০৬, ৩য় মামলা ২০০৪ সালের মিরপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ দন্ড বিধি অনুযায়ী জি আর নং- ৮২/২০০৪, চতুর্থ মামলা ২০০৪ সালের সবুজবাগ থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩) ধার অনুযায়ী জি আর নং-৪০২/২০০৪ সহ আরো অনেক মামলা তিনি গোপন করেছেন।
অপর প্রার্থী জাকির হোসেন দুলাল তার হলফনামায় নিম্নের মামলার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১৯ সালের গোসাইরহাট থানাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ (এ) অনুযায়ী এফআইআর -০৭/৩৫ ।
এই মামলাগুলো ছাড়াও এই ২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা সংক্রান্ত সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এর এতগুলো মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের হলফনামায় ইচ্ছাকৃত মামলার তথ্য গোপন করেছেন, যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) দফা (ঙ) এর পরিপন্থি।
যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী মনোনয়নপদত্রর সাথে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে এবং মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল তাদের হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন বিধায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ হওয়ার কথা।
এই ঘটনা বাইরে প্রকাশের পর নির্বাচনী এলাকা গোসাইরহাটে ভোটার ও অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলার ভোটার দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার আগেই তারা অবৈধ, তাদের কাছ থেকে কিভাবে গোসাইরহাটবাসীর উন্নয়ন হবে!?” আরো একজন ভোটার আল-আমিন বলেন, “এতগুলো মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন অতিসত্ত্বর বাতিল করা হোক ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হোক”। এছাড়াও সাধারণ মানুষের আলোচনায় সুষ্ঠ ভোট না হওয়ার আশংকা প্রকট হচ্ছে।
গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রশ্ন করেন,”আমার হলফনামায় মাত্র ১টি নিষ্পত্তিকৃত মামলার তথ্য না দেওয়াতে, নির্বাচন কমিশনার আমার মনোনয়নপত্রটি স্থগিত করলেন, অথচ মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এতগুলো মামলার তথ্য গোপন করেও কিভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়? ” তিনি আরো বলেন, “আমি আশা করি আগামী আপিল শুনানীর দিনে, নির্বাচন কর্মকর্তা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি ভোট উপহার দিবেন”
উল্লেখ্য, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন বৈধতার আপীলের শুনানী আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটার ও সকল প্রার্থী ১১ মে নির্বাচন কমিশনার থেকে সঠিক সিদ্ধান্তের আশায় থাকবে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চান্দগাঁও ক্যাম্পের অফিস থেকে পলাশ সাহা নামে এক কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বহদ্দারহাটে অবস্থিত র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পলাশ সাহা (৩৭) র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন জানান, পলাশ সাহাকে তার অফিস কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তার পরিবারের উদ্দেশে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পলাশ সাহার স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের অভ্যন্তরে মারা যাওয়া রিজাউল করিমের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
রেজাউল করিম শেরপুর জেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে। তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পর রাত ৯টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ পায় স্থানীয়রা। এরপর রেজাউল করিম আর ফেরত আসেনি।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলারের নিকট দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয়জন পালাতে সক্ষম হলেও একজন সেখানে একটি কালভার্ট হতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের পানিতে তলিয়ে যায়।
সূত্র থেকে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত রিজাউলের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
রিজাউলের লাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে গত ২৯ এপ্রিল ৯ বছরের শিশু তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণসহ নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ সদস্যরা। এর আগে নিহত শিশুটির মা বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণসহ হত্যার ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে গত ৩০ এপ্রিল রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ফেরুয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক ও হত্যাকারী মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘাতক মফু কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল খালেকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটির পিতা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। নিহত সোনালী উপজেলার শিশু শিক্ষা বিদ্যা নিকেতন কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। সকাল ৭টায় সে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়, বেলা ১১ টার দিকেও ভিকটিম বাড়ী না ফিরলে ভিকটিমের মা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং কালক্ষেপন না করে তিনি তার মেয়ের স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। স্কুলে পৌছানোর পর স্কুল শিক্ষিকার শরনাপন্ন হয়ে মেয়ের বিষয়ে কোন হদিস না পেয়ে ভিকটিমের মা স্কুল থেকে ফেরার পথে ভিকটিমের বেশ কয়েকজন সহপাঠির কাছে জানতে পারেন যে, ভিকটিম স্কুল শেষে বাড়ি চলে গিয়েছে। অতঃপর ভিকটিমের মা বাড়ি ফিরে আসেন এবং স্থানীয় লোকজন ও আশেপাশের প্রতিবেশীদের সহায়তায় সম্ভাব্য সকল স্থানে তার মেয়ের সন্ধান করেন। ইতিমধ্যে ভিকটিমের মা তার প্রবাসী স্বামীর সাথে আলোচনা করে আশেপাশের কয়েকজন লোকজন নিয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। বিকেল সোয়া ৩টায় ভিকটিমের লাশের বিষয়ে অবহিত করলে ভিকটিমের মা ও সাথে থাকা লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান এবং ভিকটিমের মরদেহ দেখতে পান। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি ভিকটিমের মাসহ অন্যান্য লোকজনদেরকে জানায় যে, সে আসামী মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে ঘটনার দিন বেলা সোয়া ১১ টার সময় ঘটনাস্থলের রাস্তার পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নিহত ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামীর প্রতিবেশীর মেয়ে এবং পূর্ব পরিচিত। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী মফিজুল তার অসৎ কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে গত ২৯ এপ্রিল সকাল আনুমানিক পৌণে ১১ টায় ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ভিকটিমের আসার অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। পথিমধ্যে ভিকটিম স্কুল থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌছালে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে কৌশলে রাস্তার পাশের ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামী মফিজুল ভিকটিমের মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে ভিকটিম শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অতঃপর আসামী মফিজুল ভিকটিমের কোন নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ও অন্যান্য লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমের মৃতদেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা হতে পালিয়ে চাঁদপুরে চলে যায় এবং সেখানে আত্মগোপন করে।
নারায়নগঞ্জ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিতের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ সরকার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানা সূত্রেও জানা যায়, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ১টি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ায় স্থানীয় প্রবাসী আবুল হাশেমসহ এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আব্দুল হাই কানুর কারণে তারা গত ১৫ বছর এলাকায় থাকতে পারেনি।
২০১৬ সালের আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যার প্রতিবাদে এবং কানু ও তার ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া।
সোমবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল হাই কানুর সাথে আ’লীগ ব্যতিত আর কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগীরা ঘটনা করেছে। এসময় আমিও সাথে ছিলাম। হত্যাকান্ডের শিকার রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী কানু। আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন হত্যার ঘটনাও অন্যতম নির্দেশদাতা কানু মেম্বার। কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। ঐ নির্বাচনে আমাকেও লাঞ্চিত করে।
স্থানীয় ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততা নাই। গত ২০১৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে কানু মেম্বার। ঐদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু মেম্বার আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আধাঁরে মারধর করে।
আবদুল হালিম মজুমদারের ভাই আবদুর রহমান (৮০) বলেন, কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। আ’লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের দ্বন্ধেই রবিবার দুপুরে কানুকে আটক করে এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি মেম্বার ও অবঃ সেনাসদস্য আবদুল হক বলেন, কানু এই এলাকায় গত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং চাঁদাবাজীর সাথেও সে জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন বলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নাই। এমনটি ভাইরাল ভিডিওকে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জামায়াতের কোন পদ-পদবীতে নাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে বলেন, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাংচুরের মামলার তথ্য রয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, সকলের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়ানো সম্মানহানীর কোন সুযোগ আইনে নাই।
মন্তব্য করুন
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নিজ জেলা পাবনায় এসে পৌঁছেছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১৫ মে) বেলা ১২টা ৮ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতি এসে পৌঁছান। এরপর ১২টা ১৫ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার নবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সফরসূচি অনুযায়ী জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি আজ দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে জেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর ১টা ৪৫ মিনিটে পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে বাবা-মায়ের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর দুপুর ২টায় স্কয়ার বাগানবাড়িতে পারিবারিক সমাধিস্থলে উপস্থিত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রার্থনায় অংশ নেবেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে ফিরে রাত্রিযাপন করবেন।
পরের দিন মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে স্কয়ার সায়েন্স অ্যান্ড লাইফ প্লান্ট উদ্বোধন করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকেল ৩টায় পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
মন্তব্য করুন
সাপ্তাহিক বাংলাদেশী (আমেরিকা) পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ এর নির্বাহী পরিচালক শরাফাত হোসেন বাবু কুমিল্লা প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করে কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। এ সময় কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব ও হিউম্যান বিয়িং ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে তাকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী দিলশাদ হোসেন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাদিক মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা শামসুদ্দিন দুলাল, এবি পার্টির কুমিল্লা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ মাসুদ, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তাওহীদ হোসেন মিঠু, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সী, মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মনজুরুল আলম রুবেল, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রাসেল সোহেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, কুমিল্লা ইউথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবু রায়হান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লার মূখ্য সংগঠক ও এনসিপি নেত্রী ফারহা এমদাদ, এনসিপি কুমিল্লা শ্রমিক উইং এর আহবায়ক ফজলে এলাহী রুবেল, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক অনিক, এনসিপি নেত্রী অনন্যা, বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোসলে উদ্দিন, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসাদুজ্জামান খান আকন্দ জনি, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জুয়েল, ডেইলি স্টার কুমিল্লা প্রতিনিধি খালিদ বিন নজরুল, জাগরণী টোয়েন্টি ফোর টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান, জিটিভির উত্তর প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফি, বাংলাদেশ সমাচারের ইয়াসিন, চ্যানেল এস টিভির রাজিব সাহাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু।
মন্তব্য করুন
নাফ নদীর মোহনায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি আটক করে রাখা একটি পণ্যবাহী জাহাজ ১৬ দিন পর মুক্তি পেয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি পণ্যসহ টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী চারটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু রাখাইন সীমান্তে নাফ নদীতে আরাকান আর্মি জাহাজগুলো আটকে দেয়। এর দুই দিন পর ধাপে ধাপে তিনটি জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ১৬ দিন পর বাকি একটি জাহাজও ছেড়ে দেওয়া হলে শনিবার দুপুরে সেটি টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, আরাকান আর্মি জাহাজগুলো তল্লাশির জন্য আটকে রেখেছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
এদিকে, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ীদের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া তিনটি জাহাজ গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে নাফ নদীর মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে আরাকান আর্মি তল্লাশির নামে সেগুলো আটকে দেয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনায় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মনোয়ার সরকারের উদ্যোগে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের সহ সভাপতি ও কুমিল্লা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি মনোয়ার সরকারের সার্বিক তত্বাবধানে হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের কৃপারামপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি ও যুক্তরাজ্যের জিয়া পরিষদের সহ সভাপতি মনোয়ার সরকার।
মনোয়ায় সরকার তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ যখন সংকটপূর্ণ ও ব্যর্থ রাষ্টের প্রায় ধারপ্রান্তে ঠিক তখনি একটি নতুন স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) আত্ম প্রকাশ ঘটান। তখনই থেকেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা শুরু হতে থাকে।
এরপর থেকে যখনি বাংলাদেশ কোন কঠিন পরিস্থিতে পড়েছে তখনি জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে এনে একটি সুন্দর কল্যানমুখী, অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশ গঠনে অগ্ৰনি ভূমিকা পালন করেছে!
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। উনার নীতি আদর্শ, সততা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা দেশের কল্যানে রাজনীতি ও কাজ করে যাবো। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, দেশের মধ্যে কোন রকম চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলবাজি, জুলুম, নির্যাতন ইত্যাদি মেনে নেওয়া হবে না। যারা এসব করবে তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর অবস্থান নিবেন। যদি দলের কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের ও দেশের মানুষের উন্নয়নে আগামী নির্বাচনে বিএনপি কে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই। তাই সামনের নির্বাচনে সবাই বিএনপি কে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদান করার আহবান জানান তিনি।
সভায় মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ভাষানিয়া তিন নং ওয়ার্ডের নাসির মিয়া কৃপারামপুরের গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক লিটন মিয়া, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলাউদ্দিন আহমেদ, শ্রীমদ্দি গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ প্রমুখ।
এছাড়াও এলাকার বিশেষ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও কাব কার্নিভাল ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদযাপিত কার্নিভালে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,কাব উপজেলা কমিশনার মোঃ নজরুল ইসলাম,কাব উপজেলা কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সুভাষ বীর।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাব লিডার ফাহমিদা আক্তার, হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক খোদেজা বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মহারাজা সেজে পুরো অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে রাখেন শান্তনু পাল। এসময় মহারাজা তার প্রধান সেনাপতিতে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
কার্নিভালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাব সদস্যরা অংশ নেয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিলে আরো নানা কর্মকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মাত্র পাঁচ বছরের এক ছোট্ট শিশু, মুনতাহা আক্তার জেরিন। তার মিষ্টি হাসি ও চঞ্চলতা পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করত। প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয় এই শিশুটিকে, এবং এতে জড়িত ছিলেন তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। কিছুদিন আগে তার খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান বিবি শিশুটিকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যান।
ঘরের ভেতর ওড়না ও রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে রাখা হয়। গভীর রাতে মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের পাশের নালায় পুঁতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে মরদেহটি পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এসময় আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩ নভেম্বর দুপুরে মুনতাহা পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে মুনতাহার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে অনেকেই মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য আবেগঘন পোস্ট দেন এবং স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন।
মন্তব্য করুন