বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের কথা ছিল। তবে কিছু অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
নতুন সিদ্ধান্তে আবেদনকারীদের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনের জন্য ২২ দিন সময় দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীরা ৩৪ দিন সময় পাবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদন ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বিসিএসে আবেদন স্থগিত করা হয়েছিল। তবে গত বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আবেদন ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর পিএসসি আবেদনের তারিখ ঘোষণা করেছে।
৪৭তম বিসিএসে মোট ৩,৪৮৭ জন ক্যাডার পদে এবং ২০১ জন নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে রয়েছে। এই ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি আরও মন্তব্য করেছেন যে এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার একটি অত্যন্ত নিরাপদ ও শক্তিশালী ভিত্তি পাবে।
বুধবার জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এনএইচকে)-কে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ইউনূস বলেন, "যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন নতুন নির্বাচিত সরকারের কাজ করার জন্য একটি খুবই নিরাপদ ও সঠিক ভিত্তি থাকবে।"
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তরুণরা ইতিমধ্যেই তাদের প্রভাবশালী ভূমিকা প্রদর্শন করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "তরুণরা তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে জানাতে চায়। আমাদের মধ্যে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।"
অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস নিশ্চিত করতে চান যে বাংলাদেশ তার নিজ পায়ে দাঁড়াবে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, "আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ তখন একটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা ছিল।"
জাতীয় নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠনের জন্য অপরিহার্য অংশ। তিনি এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন প্রাথমিক সময়সীমা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।
নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।
সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।
খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।
ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।
ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।
বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।
আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।
ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।
আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।
আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।
অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।
নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।
করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্ধারিত সময়সীমা মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
রোববার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার সাভারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০ ডকুমেন্ট স্ক্যানার এবং ৪৩০০ ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউএনডিপি। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী। সিইসি জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপেও তাদের সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে আয়োজনের দাবি করা হলেও সিইসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছয় মাসের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে এতে কিছুটা কমবেশি হতে পারে।”
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার যুক্ত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
১৫ মার্চ থেকে কমিশনের মেয়াদ আরও সাড়ে তিন মাস বাড়িয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য গত ২৭ আগস্ট সরকার এই কমিশন গঠন করে। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর কমিশনের দায়িত্ব ও প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা সংশোধন করা হয়।
পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
তদন্ত সম্পন্ন করে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল কমিশনের। তবে পরে সময়সীমা বাড়ানো হয়, যা গত ১৪ মার্চ শেষ হয়।
এই তদন্ত কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্ত সংস্থা এবং অনুরূপ কোনো বাহিনী বা সংস্থার সদস্য বা সরকারের মদদে, সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টির 'আয়না ঘর' বা অন্য কোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান করা, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করা। এছাড়াও, গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ যে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করাও কমিশনের কাজের অন্তর্ভুক্ত।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহা সামনে রেখে শ্রমিকদের পাওয়া পরিশোদের জন্য চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মালিকদের সময় দিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করলে যেসব মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা জানান, ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি।
বুধবার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রার প্রস্তুতিমূলক সভা করেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সভা শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা জানান তিনি।
বেতন পরিশোধ না করলে মালিকরা দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় পাঁচজন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। আরো অনেকের বিরুদ্ধে হবে। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, অন্যথায় জেলে যেতে হবে।
ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় লঞ্চে অস্ত্রধারী চার জন করে আনসার থাকবে, বাল্কহেড ঈদের আগে ও পরে তিনদিন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৪ জুনের মধ্যে তাদের ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারা উপস্থিত না হলে, তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সোমবার (১৬ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতের আদেশে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাদের ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের অবগত করা হবে। তবে এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি শেখ হাসিনা কিংবা আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রথম দফায় প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে এই ফলাফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রার্থীরা পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফলাফল দেখতে পারবেন।
গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়, যাতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ জন। পরে ১৮ নভেম্বর পিএসসির নতুন কমিশনের সদস্যরা আগে উত্তীর্ণদের সঙ্গে সমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে লিখিত পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভাব্য বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে পিএসসি জানায়।
এদিকে, পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ৭ এবং ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর জারি করা ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ফল জানতে হলে পিএসসির ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (http://bpsc.teletalk.com.bd) এ প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া, যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে। এসএমএস পাঠানোর জন্য লিখতে হবে: PSC<Space>46<Space>Registration Number এবং পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: PSC 46 123456
এছাড়া, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে পিএসসির ওয়েবসাইট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে অনুমোদন দিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায়ই তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নীতিগত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। রোহিঙ্গাদের কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র যারা অসুস্থ, তাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যে দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের কথা বলেছেন, তা আসলে স্লিপ অব টাং। প্রকৃতপক্ষে গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।”
এ সময় কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের কারণে রাখাইনের রাজধানী সিটোয়েতে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, সেটি এখনও জানা যায়নি। কেননা, নেটওয়ার্কের কারণে মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (১৪ মে) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে লিখেছেন, রাখাইনের রাজধানী সিটোয়েতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যোগাযোগের মূল টাওয়ার পড়ে গেছে। আমাদের দূতাবাসের দপ্তরটি সমুদ্র থেকে ৭০০ মিটার দূরে। কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানেই আছেন। তবে এখন তাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যোগাযোগ স্থাপনে সময় লাগবে।
মন্তব্য করুন