প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের টাইমলাইন কেমন হবে—এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা চান, গণতান্ত্রিক উত্তরণ সফল হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাবেন। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি।
আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। তারা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তারা বলেছেন, সংস্কারের জন্য সময় কম থাকায় তারা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তারা চাপ দিচ্ছেন না, বরং পরামর্শ দিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত থাকে, সেটা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হোক, তা আমরা চাই না। তারা এ বিষয়টি সমর্থন করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকা উচিত। অন্যথায়, জাতি যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন
দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, চালসহ বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও তিন মাস সময় লাগবে। এজন্য আগামী মার্চে সংশোধিত বাজেটে ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চালসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্যের সরবরাহ এখন থেকে আর কমতে দেয়া হবে না। চাল, ডাল, সারসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না।
এছাড়া, অনেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করেন, তবে এটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১২টি পুরোপুরি কার্যকর, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে। এটিও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন
নিত্য পণ্যের চড়া দামে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে আমাদের পক্ষ থেকে ইচ্ছে করে তাদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে না, এমন মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সিস্টেমের সঠিক কাজ না হওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় রাজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ছয় বছর সময় লেগেছে, যা সাধারণভাবে অস্বাভাবিক। এই প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অনেক আইন ও পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, তবে সমস্যা হচ্ছে এর বাস্তবায়ন নিয়ে।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেন, আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে এবং পণ্য আমদানি প্রক্রিয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকার সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ৩৯টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মন্তব্য করুন
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের সদস্যসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানায়।
তিনি জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের নয় মাস পর বুধবার (৭ মে) দিনগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্র জাগো নিউজকে জানায়, আবদুল হামিদ শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। নিরাপত্তার অভাবের অজুহাতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাত ১১টার দিকে সাধারণ যাত্রীবেশে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। এ সময় তার মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ ছিল। পরে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তাকে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আজ সকালে কর্মস্থলে এসে আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তিনি বিদেশ যাওয়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসার অজুহাত দেখিয়েছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের আরও অনেকে আসামি হয়েছেন।
কিন্তু তারপরও কেন আবদুল হামিদকে দেশ ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমিগ্রেশন পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের মামলার বিষয়টি ইমিগ্রেশন বিভাগ অবগত ছিল। কিন্তু তার বিদেশ সফরের বিষয়ে আদালত বা দুদক থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই তার বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হয়নি। আর এমনিতেই আবদুল হামিদ শারীরিকভাবে অসুস্থ।
সূত্র: জাগো নিউজ২৪
মন্তব্য করুন
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও মাস্ক পরতে অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জনসমাগমপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ পরবর্তী (ঈদুল আজহার ফিরতি যাত্রা) ট্রেন যাত্রায় সকল যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ অনুরোধ করা হয়েছে।
শুক্রবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড–১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
২০২২ সাল থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করে। পরের বছর থেকে করোনা রোগী শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে মাস্ক পড়ার যে বিধি নিষেধ তাও সে সময় তুলে নেওয়া হয়।
এ বছর নতুন করে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে অতিসংক্রমণশীল এই ভাইরাস। সম্প্রতি রাজশাহীতে কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে জেলাটিতে ২৬টি নমুনার ১৩টিতেই করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য ভোটার তালিকা এক মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বছরের মাঝামাঝিতে আয়োজন করা যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করা প্রয়োজন নয়। এর ফলে জাতীয় নির্বাচনের আরও বিলম্ব হতে পারে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট, ট্যাক্স এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই পদক্ষেপগুলোর কারণে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।
নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।
সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।
খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।
ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।
ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।
বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।
আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।
ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।
আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।
আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।
অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।
নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।
করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সংগঠন হায়দরাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীর আয়েজন করা হবে। সেখানে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা অংশ নেবে।
এছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় হতে যাওয়া বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনী অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সম্প্রতি হায়দরাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহী।
এসময় তিনি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন ও এইচসিএসটিএসআইকে ঢাকায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও ত্বরান্বিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন উভয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তাছাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি কার্গো জাহাজ পৌঁছানোর বিষয়টিকে তিনি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
সেলিম মেনন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগ উভয় দেশের বৃহত্তর বাণিজ্য সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করবে।
মেমন এসময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানের প্রদর্শনীতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, বিপরীতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলায় যোগদানের জন্য পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান। এছাড়া মেনন ঢাকায় শুল্ক ছাড়পত্র পেতে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানিকারকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যরাজস্থানে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোক ও গরমে অসুস্থতাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্য সরকার অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তারা বলছে, মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে তারা। গরমের কারণেই যে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়।
চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে ব্যাপক তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে। গত বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। রাজস্থানে প্রতিবছরই অনেক বেশি গরম পড়ে।
উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এ বছর বৃষ্টিপাত হয়েছে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ‘পুশ ইন’ ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত থেকে যাদের পুশ ইন করা হচ্ছে; তারা প্রোপার চ্যানেলে আসছে না।
অমানবিকভাবে তাদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ভারতের হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।’
যাদের পুশ-ইন করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে করোনা ভাইরাস আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বলা হয়েছে।
তবে সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, নিজেদের সচেতনতা। এখন সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং সচেতনভাবে চলাফেরা করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে নয়, ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া, গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেন, “২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।”
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সংস্কার এবং ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে ২০২৫ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
মন্তব্য করুন