অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব নানাবিধ সংকটে জর্জরিত। আমাদেরকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে হবে; যা জ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সার্বজনীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত 'আর্থনা' শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা এ বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, "আজকের যুবসমাজ, যারা এই গ্রহের ভবিষ্যৎ কর্ণধার, তাদেরকে আমরা পিছনে ফেলে আসতে পারি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে যুবসমাজের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা ও ক্ষমতায়নের রূপান্তরধর্মী শক্তি প্রত্যক্ষ করেছি।"
এর আগে, কাতারে পৌঁছানোর পর অধ্যাপক ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কাতার সরকারের প্রটোকল প্রধান ও রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির আমন্ত্রণে অধ্যাপক ইউনূস এই সফরে গেছেন। শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি কাতারের আমিরের সাথে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে এ কথা বলেন।
রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে। দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, কীভাবে পরিসংখ্যান ম্যানিপুলেট করে উন্নয়নের গল্প সাজানো হয়েছে। যদিও উন্নয়নের কথা শোনানো হয়েছে, তবে প্রকৃতপক্ষে ভেতরে ভেতরে চলছে লুটপাটের এক বিশাল মহাযজ্ঞ।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল।" তিনি আরও বলেন, "আর্থিক খাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল আতঙ্কজনক। এই ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে, তবে কেউ এ নিয়ে কথা বলেনি।"
শ্বেতপত্রটি আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হবে।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৯ জুন) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, বৈঠকটি মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাবনা ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন।
এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। সফরটি ঘিরে রয়েছে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা তাৎপর্য।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সফরের অংশ হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. ইউনূস। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের কাছ থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।
প্রেস সচিব আরও জানায়, লন্ডনে যাত্রার আগে ঢাকায় ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ওই বৈঠকে সফরের বিভিন্ন দিক ছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী। সফরকালে বৈঠক হবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় নিয়েও।
চার দিনের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশাও প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামক একটি সংগঠনের সমর্থকেরা হামলা চালায়। তারা হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “যদি এমন ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, তবে সারা বাংলার মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান, সংগঠক বিল্লাল হোসেন, মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত হিমু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখ ভুয়া, এমন তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
বশির উদ্দিন বলেন, "সমাজে বৈষম্য তৈরি হওয়ায় আন্দোলন হয়েছে, যা দূর করা সম্ভব নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে।"
করের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, "প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় করই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এর যথাযথ প্রয়োগ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো অনৈতিকভাবে লাভ করেছে, যা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একই সভায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সম্মানীয় ফেলো এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, "আমরা অবাক হয়ে দেখেছি কীভাবে অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কর সংগ্রহ করতে হলে ক্রমান্বয়ে প্রত্যক্ষ কর প্রদানকারীর কাছে যেতে হয়, কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ কর আহরণে কোনো পরিকল্পনা দেখছি না। যারা কর দেয় না, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের এ বিষয়টি চিন্তিত করেছে। আগামী গরমে জ্বালানি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, এই আশঙ্কা করছি।"
এছাড়া, রেকর্ড পরিমাণ আমন উৎপাদন করলেও সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য নেই জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, "সংগ্রহ অভিযানে আগে যেমন দুর্নীতি ছিল, তা এখনো বিদ্যমান। কৃষক তার ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।"
এ সরকার কী ধরনের অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার রেখে যাবে, এ প্রশ্ন তুলেন দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, "সুষম, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে যে ধরনের প্রশাসনিক কাঠামো বা সংস্কার প্রয়োজন, সে ধরনের কোনো রূপরেখা আমরা দেখলাম না।"
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হতে পারে। তিনি সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হলে সমাধান হবে না।" স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান, ধৈর্যের সঙ্গে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে।
সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ না করে মাঠ বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ জানানো শ্রেয়। তিনি আরও বলেন, জনগণের দুর্ভোগের জন্য অবরোধ করা ঠিক নয়। দাবিদাওয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান পাওয়ার জন্য তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, "সরকার চায় প্রতিটি বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।" এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা দেশের জন্য কাজ করে, তারা পজিটিভ কাজই করে, কিছু ভুল হতে পারে, তবে সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। ঢাকা পোস্ট এবারের মা দিবসে মায়ের স্মৃতিচারণে কিছু লেখার আহবান জানিয়েছে। সেই লেখা যদি কর্তৃপক্ষের ভালো লেগে যায় তাহলে লেখাটি হয়তো এই নির্ধারিত সংবাদমাধ্যমের ফিচার বিভাগে ছাপানোর কথা। এমন ভাবনা থেকে যে কেউ জন্মদাত্রী মাকে নিয়ে দুই লাইন লিখতে চাইবে কিন্তু কারো কারো পক্ষে এটা বেশ কঠিন। বিশেষ করে যে সন্তানের মা খুব সহসাই নিরবে কাউকে না বলে চলে গেছে দূর নক্ষত্রে ভিড়ে।
এক শোকাভিভূত অভিজ্ঞতা থেকে মাকে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে কারণ মা একজন সন্তানের জন্য কত বড় আর্শীবাদ সেটা সদ্য মা হারানো সন্তানের থেকে আর কে ভালো জানবে?
জন্মের পর থেকে শুরু করে শৈশব কৈশোর এবং যৌবনের প্রতিটি পর্যায়ে মা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মায়ের হাতে ভর দিয়ে পদচারণা শুরু, মায়ের চোখে পৃথিবী দেখা, গল্প শোনা, এলোমেলোভাবে কলম ধরে প্রথম কিছু একটা লিখতে চেষ্টা করা, আবার কখনো একটু ভয় পেয়ে মুরগির ছানার মতো বুকের মধ্যে লুকিয়ে পড়া, খানিক বাদে বের হয়ে আবার আকাশ দেখা, এমন অসংখ্য স্মৃতিতে জর্জরিত হয়ে তবেই তো একজন সন্তান বিকশিত হয়। আর এভাবেই মায়ের ছায়াতলে আমরা দিন দিন বড় হয় আর আমাদের মায়েরা ছোট হতে থাকে। মা নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য, কল্যাণের জন্য ত্যাগের এক মহিমান্বিত উদাহরণ রচনা করে যায় প্রতিনিয়ত।
সন্তান মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। আর এজন্যই বোধহয় মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কই একমাত্র স্বার্থহীন সম্পর্ক। তাই তো পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে অনেক উঁচুতে রাখা হয়েছে। ধর্ম, বর্ণ জাতি, গোষ্ঠী, সর্বত্রই মায়ের মর্যাদা সবার উপরে। এমনকী স্রষ্টার পক্ষ থেকেও কঠোর সতর্কবার্তা রয়েছে মায়ের মর্যাদার বিষয়ে।
পৃথিবীতে মা বেঁচে থাকাটা সন্তানের জন্য যে কতোটা সাহসের, কতোটা অনুপ্রেরণার সেটা বোধহয় মাকে হারানোর পরেই বেশি অনুভব হয়। মা হচ্ছেন একটা সন্তানের কাছে এমন একটি ব্যাংক, যেখান থেকে যত খুশি ঋন নেয়া যায় কিন্তু সেই ঋন পরিশোধ না করলেও কোনো জেল-জরিমানা হয় না।
এতো তাড়াতাড়ি মাকে হারিয়ে ফেলবো সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। মাসে দুই-একবার করে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। মায়ের চোখে আমি ছিলাম ভীষণ অবাধ্য, রোগা, না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছি ইত্যাদি। ডায়াবেটিসের কারণে মা চোখে কম দেখতো অথচ সন্তানের চোখের নিচে কালো দাগ, বড় বড় চুল, কিংবা গলার নিচের হাড় এসব আর কেউ না দেখলেও কেবল মা-ই দেখতে পেতেন। ভালো-মন্দ কিছু খাবার নিয়ে পেছনে পেছনে এ ঘর থেকে ওই ঘরে যাওয়া, মায়ের এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত দাগ কেটে যাচ্ছে বুকের গভীরে। আল্লাহর কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন মাকে তার জান্নাতের ছায়ায় আশ্রয় দেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন অনির্বাচিত সরকারের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার লক্ষণ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, দেশের জনগণ সাংঘর্ষিক রাজনীতি বা মবোক্রেসি চায় না। নির্বাচনের সঙ্গে বিচার, সংস্কার সাংঘর্ষিক নয়। সবগুলো চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ভিন্নমত হলেও আমরা সম্মান করতে শিখব। ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী- তিনটি শক্তি শেখ হাসিনার পতনে কাজ করেছে।
নতুন সরকারকে সাপোর্ট দিয়েছে। শেখ হাসিনা পলায়ন করেছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দেশের মালিকানা ফিরে পাবে, এমন আশায় আমরা বুক বেঁধেছি। জনগণের অধিকারহীন অবস্থায় আসার কথা ছিল না।
অনির্বাচিত সরকার যদি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে, তবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গণমাধ্যমের ওপর চাপ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিক। রাজনীতিবিদদের অনুধাবন করতে হবে, আগামীর রাজনীতি আগের মতো হবে না।
সূত্র: কালেরকন্ঠ
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংক, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস—এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে এনআইডির তথ্য ফাঁস করেছে। নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পেয়েছে। তবে এটি ইচ্ছাকৃত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে কোন প্রতিষ্ঠান কতটুকু তথ্য নিচ্ছে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত তথ্য নিচ্ছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পরে নাসির উদ্দিন কমিশন পুনরায় যাচাই-বাছাই করে। নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর বিসিসির সাথে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এবার বিসিসির পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিয়মিত মতবিনিময় ও তদন্ত চলমান থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান চুক্তি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষে রায় হলে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হবে। তিনি এ বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের উল্লেখ করে বলেন, "ভারত এ আইন মেনে কাজ করতে বাধ্য হবে।"
গত শনিবার নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। এ জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থা, সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। জানুয়ারির মধ্যে ওই কমিশনগুলোর সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বাস্তবায়ন করার কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এ সংস্কার বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি বলেন, "নতুন বাংলাদেশ" গড়তে আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছি, তাই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে।
নির্বাচন কখন হবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, "নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করবে।"
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনূস প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি।" তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তি নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রাখেন, নিয়ম-কানুন মেনে চলেন এবং দুর্নীতিমুক্ত থাকেন, তারা নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত।
ড. ইউনূস বলেন, হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠন করার বিরাট কাজ এখন আমাদের করতে হবে।
তিনি বলেন, "হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রের রীতি-নীতি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে, যাতে হাসিনা এবং তার দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।"
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, "এ বছর আগস্টে ছাত্রনেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকশ শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনার ১৫ বছরের শাসন শেষ হয়। তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।"
কূটনৈতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। এ ক্ষেত্রে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের কারণে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সার্কের লক্ষ্য হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মতো নিজেদের মধ্যে চলাফেরার স্বাধীনতা এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য উৎসাহিত করা। তিনি ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, "সংখ্যালঘু ইস্যুতে যা বলা হচ্ছে তার বেশিরভাগই প্রোপাগান্ডা।" তিনি দাবি করেন, এসব তথ্য সঠিক নয়। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে সঠিক তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানান এবং বলেন, "আমরা এসব অপ-তথ্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কাজ করছি।"
অন্য আঞ্চলিক সম্পর্কের বিষয়ে ড. ইউনূস চীনকে "আমাদের বন্ধু" হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "সড়ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত চীন আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।"
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ড. ইউনূস দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা (আসিয়ানে) বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ আসিয়ানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ হিসেবে এটি গ্রহণ করতে চায়, বিশেষ করে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার পর।"
তিনি জানান, মালয়েশিয়া আগামী জানুয়ারিতে আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে এবং তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, "এই দায় (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে?" তিনি বলেন, "রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের একটি সুস্পষ্ট গন্তব্য এবং অভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করা দরকার।"
বাংলাদেশ মিয়ানমারে জাতিসংঘ-শাসিত একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে, যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে নিরাপদে থাকতে পারে এবং তাদের দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন