ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "আপনারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করেছেন, যেখানে অনেকের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করলে, জনগণ তো কথা বলবেই। কেন এতো জটিলতার সৃষ্টি করছেন?" সোমবার ঢাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, "আলী ইমাম মজুমদারের মতো ১/১১-র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আজও সরকারে ভূমিকা পালন করছেন। তাদের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে কিছু বলা হয় না। শেখ হাসিনার সহচরদের যারা নিঃশব্দে তাঁর স্বার্থে কাজ করে গেছেন, তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।"
বিএনপি মুখপাত্র আরও বলেন, "রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, তা নিয়ে কেন আমরা দেশে জটিলতা সৃষ্টি করছি? আমাদের দায়িত্ব হলো শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করা এবং তার সহযোগীদের বিচার করা।"
রিজভী বলেন, "গণতন্ত্রের পথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অবদান ইতিহাসে লেখা থাকবে। তবে সংবিধান বহির্ভূত কিছু যেন না হয়, এ জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"
তিনি শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে বলেন, "এ ভদ্রমহিলাকে যেন জন্মের পর করলার রস খাওয়ানো হয়েছিল, কারণ তিনি সবসময় উগ্রভাবে প্রতিরোধের কথা বলেন। তার অডিও ফাঁস হওয়ায় দেখা গেছে, তিনি তার অনুসারীদের রক্তপাতের নির্দেশ দিচ্ছেন, যা ভয়ংকর।"
এসময় বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, যেমন স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, এবং ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকায় ফের ফ্যাসিবাদ মাথাচড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে হলে এখন দেশে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার সকালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বরিশাল জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের আয়োজনে নগরীর সদর রোডে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হল সম্মুখে শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, ‘শেখ হাসিনা ওসামা বিন লাদেনের খালাতো বোন। ২২৭ মামলার আসামি হয়ে ভারতে পলাতক রয়েছেন। সেখানে থেকে ওসামা বিন লাদেনের মতো ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। আর ওই বার্তায় মামলার বাদীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
এখন সবচেয়ে বড় যে কাজ তা হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার অনতিবিলম্বে শেষ করা। অন্যথায় দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদ মাথাচড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করতে হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাচিত সরকারের প্রধান নন, জনগণের সমর্থিত সরকারপ্রধান আপনি।
তাই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আপনার নেই। মানবতার করিডর খোলার চিন্তা না করে অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিন। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো খোঁড়া অজুহাত না দেখিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
মহানগর শ্রমিক দল আহবায়ক মো. ফয়েজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সহ-বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, মহানগর শ্রমিক দল সদস্যসচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে টাউন হলের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ থেকে চকবাজার হয়ে গির্জা মহল্লা হয়ে টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের অহেতুক প্রলাপে প্রতীয়মান হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ সুকৌশলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনকে অনিরাপদ করে তুলতে চায়। অবিলম্বে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশে-বিদেশে তার অবস্থান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেশের জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনি এমন একজন ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বানিয়েছেন দেশের জন্য যার কোনো দৃশ্যমান অবদান নেই। তিনি তো বাংলাদেশের জন্য নন, বিদেশের জন্য কাজ করবেন।
গত বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, খলিলুর রহমান যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গটি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক। ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাওয়ার মতো ড. খলিলুর রহমান বলেন, কেবল আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে আমাকে যদি বলা হয় আপনি বিদেশি নাগরিক, তাহলে কাল তারেক রহমান সাহেবকেও সে কথা বলতে হবে। আমাকে ঢিল নিক্ষেপ করলে সেই ঢিল কিন্তু অন্যের ওপর গিয়েও পড়তে পারে।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এহেন বক্তব্য নিঃসন্দেহে আত্মগরিমার প্রদর্শন এবং দুরভিসন্ধিমূলক। খলিলুর রহমান তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্ট, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত এবং মানুষের মাঝে তার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্য নিয়েই এই বক্তব্য রেখেছেন, যা দুর্ভাগ্যজনক বিভ্রান্তিকর।
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরশাসকরা একবার ক্ষমতা থেকে চলে গেলে আর ফিরে আসে না। আওয়ামী লীগের যুগের শেষ সময় এসে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে দেখা গেছে, একবার পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকরা আর ফিরে আসতে পারেনি। এরা মূলত ডামি সরকার। সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে পড়ে।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড়মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল, আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কথিত ‘মিডনাইট নির্বাচন’। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনও ছিল একটি প্রহসন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার হুংকার দিচ্ছে যে তারা আবার ফিরে আসবে এবং আগের মতো ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু জনগণ তাদের এসব ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, বিগত সময়ের শাসকরা জনগণের আমানতের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। তারা জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন, চুরি-ডাকাতি ও লুটপাট করেছেন এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অশান্তির কারণ না হয়। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে সংগঠিত অপরাধগুলোর তদন্তের ভিত্তিতে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে ইসলামপন্থীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটি বৈষম্যের প্রমাণ। আগামী পরিকল্পনা কমিশনে ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পূর্ণগঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এ স্বল্প সময়ে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু হাত দেননি। তিনি প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রেখেছেন। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইন তিনি এসময়ে প্রণয়ন করেছেন। বর্তমানে সময়ে এসে সেগুলোকে শুধু যুগোপযোগী করা হয়েছে মাত্র।
রোববার (১৪ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে অধিদপ্তর আয়োজিত সাপ্তাহিক ‘বিশেষ লার্নিং সেশন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন গণগ্রন্থাগার ভবন হবে আধুনিক স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন। ভবনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে এর গ্রন্থাগারটি হবে পরিবেশবান্ধব জায়গায় বসে জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। আর গ্রন্থাগার হলো সভ্যতা-সংস্কৃতির সূতিকাগার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জীবনের সব ক্ষেত্রেই গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা. মরিয়ম বেগম।
সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক সাপ্তাহিক লার্নিং সেশন আয়োজন একটি সময়োপযোগী ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ কর্মসূচিকে দীর্ঘমেয়াদে চালিয়ে যেতে হবে এবং নিত্য নতুন বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে হবে যাতে আমাদের পাঠকদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)-এ দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষায় গুণগত মান বৃদ্ধিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাচ্চাদের সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
ড. বিধান রঞ্জন রায় জানান, পরিমার্জন এবং টেন্ডার বাতিলের কারণে কিছু ক্লাসে বই বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। তবে জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই বিতরণ সম্পন্ন হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, উপপরিচালক সাদিয়া উম্মুল বানিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে তিনি দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর রূপায়ণ সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার সুপারিশমালা জমা দেওয়া হবে। সেখানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব করবে এনসিপি।’
গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান আর কার্যকর নেই উল্লেখ করে নতুন সংবিধান রচনা করার দাবি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা।
সারোয়ার বলেন, ‘এনসিপি মনে করে আগামী নির্বাচন গণপরিষদ হওয়া উচিত। সংবিধান সংস্কার কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।’
বর্তমানে ভোটার হওয়ার জন্য একজনকে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করতে হয়। আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ২৫ বছর বয়স পূর্ণ করতে হয়। এবার এই বয়সসীমা কমিয়ে আনার প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছে তরুণদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা নিজে ও তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেশে একটি গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি পাশের দেশ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর যারা কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন দরবেশ (সালমান এফ রহমান) কারাগার থেকে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন। তিনি মাঝেমধ্যে জেলখানা থেকে বার্তা পাঠাচ্ছেন যে, এতগুলো শ্রমিক নেমে গেলেই তো হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সেমিনার হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) এই আলোচনাসভার আয়োজন করে।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘আমি জানি না তাদের বিচার প্রক্রিয়া কিভাবে চলছে। কিভাবে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এই কথাগুলো বলছে। নিশ্চয়ই তাদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তারা সেই সুযোগ নিয়ে কথাবার্তা বলছে।’
কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদেরকে কারাগারে নিয়ে মাদকসেবী ও ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে রাখা হতো। আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে গুম-খুন করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিজভী আরো বলেন, ‘সরকার সংস্কারের কথা বলছে, যা ভালো। কিন্তু সংস্কারের নামে আপনারা সময়ক্ষেপণ করবেন না। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। এমন সংস্কার নিয়ে আসুন যাতে মানুষ ন্যায়বিচার পায়। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয়। তা না হলে মানুষ ভালোভাবে নেবে না।’
অ্যাবের সভাপতি ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন অ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে মুখোমুখি করার উদ্যোগ নিতে হবে৷ এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।
শুক্রবার (২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানায়।
তারেক রহমান জানান, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে৷ তারপরেও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কেনো এতো সময়ক্ষেপণ করছেন? এ নিয়ে জনগণের মনে ধীরে ধীরে প্রশ্ন বেড়েই চলেছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা এবং জনগণের রায়কে অবহেলা করে রাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করা হলে সেটি শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে৷ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে মুখোমুখি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷ এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানায়, রাষ্ট্র ও রাজনীতি মেরামতের জন্য সংস্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে। চলমান সংস্কার যদি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অবজ্ঞা করতে হয়; তাহলে সংস্কারের তাৎপর্যটা কি? এটি আজ বহু মানুষের প্রশ্ন৷
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তারেক রহমান জানান, আমাদের দলীয় আর্দশ ভিন্ন হলেও আমাদের উদ্দেশ্যে যেহেতু দেশের স্বার্থ রক্ষা এবং জনগণের কল্যাণ সাধন। লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলাদেশ, ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বরে আধিপত্যবিরোধী তাবেদারমুক্ত বাংলাদেশ, ‘৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী বাংলাদেশ এবং ২০২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশ৷ দেশের ইতিহাসে এমন প্রতিটি বাঁকে মানুষ কেনো অকাতরে জীবন দিয়েছিলেন? কি ছিল এই শহীদদের স্বপ্ন? শহীদদের স্বপ্ন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবল তাদের আত্মত্যাদের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা আমরা করতে পারি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘৭১ আর ২৪-এর রাজনৈতিক বার্তাটি হলো- দিল্লির তাবেদার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পিন্ডি ত্যাগ করেনি। ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বরে দেশের সিপাহী জনতা এই বার্তাটি দিয়েছিলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারী চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মসজিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন