ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাহারুল আলম। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশপ্রধান হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া বাহারুল আলম একসময় এসবির প্রধান ছিলেন। দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত এই কর্মকর্তা ২০২০ সালে অবসরে যান। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা বিভাগের পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে, সাজ্জাত আলী বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ১৯৮৪ সালে পুলিশে যোগ দেন। তিনি একসময় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ছিলেন এবং লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরি জীবনে তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ গঠিত হলে সেখানে ডিআইজির দায়িত্ব পান এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদরদপ্তরে কাজ করেন। মেধাবী, কর্মঠ এবং সৎ পুলিশ অফিসার হিসেবে বাহিনীতে তাঁর বিশেষ সুনাম রয়েছে। সাজ্জাত আলী ঝিনাইদহের শৈলকূপার বাসিন্দা।
এছাড়া, গত সোমবার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর চাকরি পুনর্বহাল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের মধ্যে বড় ধরনের রদবদল ঘটে। ওই সময় পুলিশের ৩২তম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট মো. ময়নুল ইসলাম এবং ৩৭তম ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান মো. মাইনুল হাসান।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি আরও মন্তব্য করেছেন যে এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার একটি অত্যন্ত নিরাপদ ও শক্তিশালী ভিত্তি পাবে।
বুধবার জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এনএইচকে)-কে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ইউনূস বলেন, "যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন নতুন নির্বাচিত সরকারের কাজ করার জন্য একটি খুবই নিরাপদ ও সঠিক ভিত্তি থাকবে।"
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তরুণরা ইতিমধ্যেই তাদের প্রভাবশালী ভূমিকা প্রদর্শন করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "তরুণরা তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে জানাতে চায়। আমাদের মধ্যে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।"
অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস নিশ্চিত করতে চান যে বাংলাদেশ তার নিজ পায়ে দাঁড়াবে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, "আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ তখন একটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা ছিল।"
জাতীয় নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠনের জন্য অপরিহার্য অংশ। তিনি এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন প্রাথমিক সময়সীমা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
লুটের টাকা সরাসরি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সোমবার (১৯শে মে) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানায় প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব জানায়, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, লুটের টাকা ম্যানেজমেন্টে একটি ফান্ড গঠনের জন্য। এই অর্থ ডিপোজিটর এবং একইসঙ্গে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘লুটের অর্থের পরিমাণ অনেক। এটি বাজেট বা অন্য কোনো খাতে না এনে পুরোপুরি দরিদ্র জনগণের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
এছাড়াও বৈঠকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার ও লুট হওয়া অর্থ ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরইমধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকে লুট ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। আর দেশে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগীদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আর সেই অর্থই এবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার কথা জানাল সরকার।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রোববার (২০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
বৈঠকে শেখ হাসিনা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় প্রণয় ভার্মার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া যায়। আমরা মূলত আলোচনা করেছি কীভাবে আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারি।
সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে এ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, এটি নিয়মিত বৈঠক ছিল। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমরা দুই দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল, বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল, পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরামর্শক সভা নিয়ে হাইকমিশনার জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এফওসি করতে চাই।
মন্তব্য করুন
গত পাঁচ বছরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে ৮১২টি মামলা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার কর্মকর্তারা এই তথ্য জানান।
কর্মকর্তারা বলছেন, মামলাগুলোর মধ্যে কিছু আছে উচ্চ আদালতে। কিছু আছে জেলা নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে। ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মামলাগুলো হয়েছে, যার মধ্যে অল্প কিছু মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অধিকাংশই অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মাইনুল ইসলামের তৈরি করা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়েছে ১৩২টি। ওই নির্বাচনে জেলা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়েছে দুটি মামলা।
এ ছাড়া বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মামলা আছে ১৪টি, উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত ২৮টি ও পৌরসভা নির্বাচন সংক্রান্ত ৪৬টি মামলা হয়েছে। আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মামলা হয়েছে ৫৯০টি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করা হলে বিভিন্ন সময় সংস্থাটি মামলা লড়ে থাকে। তবে সে জন্য কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
স্থানীয় নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের আলোচনা শুরু হওয়ায় বিভিন্ন নির্বাচনি মামলাগুলোও খতিয়ে দেখছে ইসি। যে কারণে মাঠপর্যায়ে তথ্য চাইলে ৮১২টি মামলার তথ্য ওঠে আসে কর্মকর্তাদের পাঠানো প্রতিবেদনে।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবে গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড. আসিফ নজরুল সৌদি আরব, ওমান ও কাতার সরকারের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই সফর ও বৈঠকের ফলাফল নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ড. আসিফ নজরুল। তিনি লিখেন, "সৌদি আরবে আমার এবারের সফর ছিল সরকারি, সেখানে কিছু ভালো খবর পেয়েছি। রিয়াদে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাতার ও ওমানের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সৌদি আরব সেখানে আকামাবিহীন বাংলাদেশিদের বিষয়ে চাকরিদাতাদের দায়-দায়িত্ব আরও কঠোরভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, চাকরির চুক্তি আগেই বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাছে পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করবে বলেছে, পেশাজীবীদের সার্টিফিকেটের সত্যায়ন বাংলাদেশ থেকেই করবে বলেছে।"
ওমানের বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, "ওমান সেখানকার সকল বাংলাদেশিদের থাকার বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দ্রুত বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে বলেছে।" কাতারও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল আরও লিখেন, "এখনো পর্যন্ত সব প্রতিশ্রুতিই। তবে সেগুলো আন্তরিক মনে হয়েছে। আমরা বিষয়গুলোর অগ্রগতি যেন হয়, তা নিয়ে ফলো-আপ করবো।"
প্রবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, "প্রবাসে কেউ কেউ আমার কাছে বিমান ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন। এটা আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় না, তবুও আমি বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দু-একদিনের মধ্যে বসবো।"
তিনি আরও লিখেন, "সবশেষে, আপনাদের বহু মানুষের কাছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সম্পর্কে ভালো মূল্যায়ন পেয়েছি। তাদের কাজের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম দেখে আমারও ভালো লেগেছে। দুই দিনে চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুধু নয়, তারা আমার সঙ্গে সৌদি আরবের বড় বড় প্রায় ২০টি চাকরিদাতা কোম্পানি ও প্রবাসে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সঙ্গে দুটো মিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো নিয়ে পরে লিখবেন বলেও জানান উপদেষ্টা।"
মন্তব্য করুন
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা প্রদানের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (আজ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
সচিব ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, “মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তবে আমি এই কমিটির একজন সদস্য। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে দুইটি বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, মহার্ঘ ভাতা খুব শিগগিরই কার্যকর হবে। তবে এবার কিছু পরিবর্তন আসছে। আগে পেনশনভোগীরা মহার্ঘ ভাতা পেতেন না, এবার তারাও এ সুবিধা পাবেন। তারা একটি যৌক্তিক পরিমাণ ভাতা পাবেন। আগামী বছর ইনক্রিমেন্টের সময় এই ভাতা মূল বেতনের সঙ্গে যোগ হবে।”
এই অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত, এই বাজেটের মধ্যেই এটি কার্যকর হবে। ৩০ জুনের আগেই এটি বাস্তবায়িত হবে, ইনশাআল্লাহ।”
মহার্ঘ ভাতার হার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বলা ঠিক হবে না। অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারবেন।”
ভাতা কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও যোগ করেন, “কোনো নির্দিষ্ট তারিখ অনুমান করা সঠিক হবে না। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানাবেন।”
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে "চোরতন্ত্র" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দেওয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করা সেই সময়ের নিয়মিত ঘটনা ছিল। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যারা এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এখানে কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি বরং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে। এ ধরনের অপপ্রচার করে পরাজিত শক্তি আপনাদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, "জুলাই বিপ্লবের সময় অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের 'জাতির শত্রু' হিসেবে চিত্রিত করেছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল যা শাসকদের কাছে আন্দোলনকারীদের দমন করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল। যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তবে হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হতো এবং আন্দোলনকে 'অরাজকতা সৃষ্টিকারী' হিসেবে দেখানো হতো।"
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, "জুলাই বিপ্লবে কার কী ভূমিকা ছিল তা আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “যদি ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক মাস সময় পেত, তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখা যেত। সেই রাতে শিক্ষক, সাংবাদিক এবং তরুণদের টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে গেলে যুবসমাজের চাকরির অধিকারও হরণ করা হতো।”
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, চলতি গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। "জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ" শীর্ষক এই আলোচনায় উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বণ্টনে সমন্বয় রাখা হবে এবং জ্বালানি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার অস্থায়ী হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে জ্বালানি খাতের বকেয়া পরিশোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। "বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ আমাদের সাথে ব্যবসা করতে আগ্রহী হবে না," বলেন তিনি।
এছাড়া, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০% কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যাস চুরি ও লাইন লিকেজ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এনজিএস আমদানিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর পাশাপাশি আগামী বছর বকেয়া পরিশোধের চাপ কমবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। "ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি," যোগ করেন তিনি।
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, বিটিতে অংশগ্রহণকারী না পাওয়ায় পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে বিইআরসিকে দায়িত্ব না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তেলের দাম ওঠানামা করে। প্রতিবেশী দেশের বাজার ও ভর্তুকির বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হয়।"
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সব অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বনকে কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী ও জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে।
উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সুফল প্রকল্পের ভেরিফিকেশন করাতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় বন জরিপের দ্বিতীয় চক্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বনবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার গঠন, বনভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূপ্রকৃতি, ভূমি ব্যবহার ও ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সংক্রান্ত মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, এই কার্যক্রম একটি ভালো উদ্যোগ। এখন প্রয়োজন থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস, অনলাইন ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং এবং পাঁচ বছর অন্তর তথ্য হালনাগাদ করা।
উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
বছর সাতেক আগে নাসিমাকে বিয়ে করেন সুদান প্রবাসী জাকির মিয়া। কঠোর পরিশ্রম করে সুদানের রাজধানী খার্তুমে একটি দোকানের মালিক বনে যান তিনি। সিলেটের এ বাসিন্দা ২০১৯ সালে স্ত্রীসহ এক বছরের সন্তানকে সুদান নিয়ে যান। দেশটিতে যাওয়ার পর এ দম্পতির আরেক সন্তান পৃথিবীতে আসে। দুই সন্তানকে নিয়ে সুদানে ভালোই চলছিল জাকির-নাসিমার দাম্পত্য জীবন। কিন্তু সুদানের সংঘাত তাদের সুখের সংসারকে ভিন্ন পথে ঠেলে দিয়েছে।
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে দেশে ফেরা ১৩৬ জনের একজন নাসিমা। তিনি দুই সন্তান ও তার ছোট ভাইকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু নাসিমার স্বামী তাদের সঙ্গে দেশে ফেরেননি। নাসিমা বলেন, ওখানে আমরা ভালোই ছিলাম। হঠাৎ করে সব অন্যরকম হয়ে গেল। কোনোরকমে সন্তানদের নিয়ে চলে এলাম। ওদের বাবা ওখানে রয়ে গেলেন। দোকান রেখে উনি আসতে চাইলেন না। ওনার জন্য চিন্তা হচ্ছে, যদি কিছু হয়ে যায়।
সুদানফেরত লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা মো. শাহজাহান খার্তুমে থাকতেন। খার্তুমে নিজ চোখে সংঘাত দেখা শাহাজাহান এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন। কথা বলতে গেলে তার চোখ বেয়ে নেমে আসে জল। বিমানবন্দরে আলাপকালে তিনি বলেন, কীভাবে যে বেঁচে আসছি সৃষ্টিকর্তা বলতে পারবেন। শূন্য হাতে জীবনটা নিয়ে কোনোরকমে ফিরে এসেছি। চোখের সামনে গোলাগুলি দেখেছি। যা কিছু সঙ্গে ছিল সবই এক দল নিয়ে গেছে। কয়টা জামা ছাড়া কিছুই আনতে পারিনি।
মন্তব্য করুন