

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কুমিল্লার ৯টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
কুমিল্লা -১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) সংসদীয় আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা -৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, কুমিল্লা -৪( দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও বি পাড়া) আসনে হাজী জসিম, কুমিল্লা -৬ (সদর ও সদর দক্ষিণ) সংসদীয় আসনে মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা -৮ (বরুড়া) সংসদীয় আসনে জাকারিয়া তাহের সুমন , কুমিল্লা -৯ ( লাকসাম-মনোহরগন্জ) আসনে আবুল কালাম ওরফে চৈতি কালাম, কুমিল্লা -১০ ( লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে আব্দুল গফুর ভূইয়া, কুমিল্লা -১১ ( চৌদ্দগ্রাম) আসনে কামরুল হুদা।
কুমিল্লা -২ ( হোমনা-তিতাস) ও কুমিল্লা -৭ (চান্দিনা) আসনে পরে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে ।
মন্তব্য করুন


মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের মধ্যে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ আখাউড়া-আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ মিনিট স্থায়ী সৌজন্য সাক্ষাতটি বেলা সাড়ে এগারটায় শুরু হয় এবং ১১টা ৪৮ মিনিটে শেষ হয়।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, কুমিল্লা এরিয়া মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এবং ভারত সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে চীফ অব স্টাফ, ১০১ এরিয়া মেজর জেনারেল সুমিত রানা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের সদস্য হিসেবে ৩ জন স্টাফ অফিসার এবং ১ জন অধিনায়ক পর্যায়ের বিজিবি অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
অনুরূপভাবে ভারত সেনাবাহিনীর ৩ জন অফিসার এবং অধিনায়ক পর্যায়ের বিএসএফ অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উভয় দেশের প্রতিনিধিগণ নিজেদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা উপহার বিনিময় করেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১৬ই ডিসেম্বর, পহেলা বৈশাখ এর মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহে উভয় দেশের মধ্যে এ ধরনের সৌজন্য সাক্ষাতের প্রচলন আছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সংক্ষিপ্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ।
মন্তব্য করুন


৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ বীর-এর আওতায় কুমিল্লা সদর উপজেলার রাণীরবাজার এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের চার সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৩ গজ ইউনিফর্ম কাপড়সহ বিভিন্ন অবৈধ ও সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান শেষে আটককৃতদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালসমূহ হল, ইয়াবা ৭৮ পিস, মোবাইল ফোন ৯ টি,পাওয়ার ব্যাংক ১ টি, চাপাতি ১ টি, কুড়াল ১ টি, বড় ছুরি ১ টি
কাঁচি ২ টি, কাটিং প্লাস ১ টি, সিসিটিভি ডিভিআর ১ টি, সেলাই রেঞ্জ ১ টি, বাটুল (লোহার বস্তু) ১ টি, স্ক্রু ড্রাইভার ২ টি, গাঁজা ২৫০ গ্রাম ও ছুরি ১ টি এবং
সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় ৩ গজ।
আটককৃত গ্যাং সদস্যরা হলেন, কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার দিলীপ চন্দ্র শীলের ছেলে চয়ন চন্দ্র শীল, সদরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর এলাকার হানিফের ছেলে মোহাম্মদ ফরিদ, দেবিদার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন
এবং একই গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে তুহিন।
উদ্ধারকৃত সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় একটি স্পর্শকাতর নিরাপত্তাজনক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের এই ধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতে বড় ধরণের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ২৩ বীর-এর এমন সঠিক ও কৌশলী অভিযানে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটো মিশুক চালক সৈকত হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া তুহিন মজুমদার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে। ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুক চালক নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) অটো মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ০২ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাড়ী থেকে বের হয়। রাত ১১ টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সৈকত বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে ভিকটিম সৈকত (১৯) এর লাশ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৭। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদার (৩২) এর অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ০৭ আগষ্ট রাতে র্যাবের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিমের সু-সম্পর্ক ছিল। সে সূত্র ধরে গত ০১ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা একত্রে মিলিত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটো মিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০২ জুলাই রাত ১১ টায় আসামীরা অটো মিশুকসহ ভিকটিমকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে কুপিয়ে হত্য করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটো মিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মনোহরদী-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের শিবপুর পচাঁরবাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক ছাড়া কারো পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহত অটোরিকশাচালকের নাম শাহীন মিয়া (৩০)। তার বাড়ি উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের সাতপারা এলাকায়।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছেন। আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার কথার করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে আইএসপিআর (আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ভোররাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো: তৌহিদুর রহমান (৪০), একই দিন দুপুর ১২:৩০ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমনকে কম মামলা দিয়ে আদালতের প্রেরণ করার জন্য জোর তদবিদ করছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ করায় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া সুমন নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের মোগলটুলি উত্তর গাংচর এলাকার মৃত আলাউদ্দিন আহাম্মদের বড় ছেলে।
তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা সুমন সম্প্রতি নিজেকে মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এক নেতার অনুসারীদের সাথে চলাফেরা করেন। গতকাল ছাত্রলীগ- যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে বিএনপির ওই অংশের নেতাকর্মীরা তার জন্য জোর তদবির শুরু করেন, যাতে করে দু একটি মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়, এবং সহজেই জামিনে বের হয়ে আসতে পারে। শোনা যাচ্ছে একটি দুর্বল মামলা দিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে আরো হয়তো মামলা হতে পারে। তবে তিনি তদবিরের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন


ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় বিবি কুলসুম (৪০) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিবি কুলসুম চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়।
রোববার (১৪ মে) গভীর রাতে সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিবি কুলসুম ওই গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী।
কুলসুমের স্বজনরা জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের মামলার ভয়ে ঈদের আগে থেকে কুলসুমের স্বামী অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার দিন রাতে কুলসুম তিন সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। কখন কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউ টের পায়নি। স্বামী তছির রোববার রাত থেকে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েছেন। কল রিসিভ না হওয়ায় তছির তার বড় ছেলেকে সোমবার (১৫ মে) সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলেন (বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামে থাকেন)। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে তছিরও বাড়িতে ছুটে আসেন।
পূর্ব ইলিশার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ভোলা সদর থানা পুলিশের ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনা জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেও হতে পারে। তবে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও সিআইডির টিম মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খুব দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে তিন লবণচাষির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও পানিরছড়া বারঘর পাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান মীর কাশেম চৌধুরী জানান, রোববার (১৪ মে) সকাল ১০টায় মাঠে পলিথিন ও লবণ উঠানোর জন্য আনুমানিক ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার কারণে ঠান্ডায় ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিদওয়ানকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন আর বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে লবণ মাঠে পলিথিন উঠাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মুহাম্মদ নেছার নামের আরেকজনের। তাকে রাত সাড়ে ১০টায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় সোনা মিয়া নামের আরেক কৃষককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়া এলাকাবাসী রাত সাড়ে ১১টায় লবণ মাঠ থেকে আনছারের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, হোয়ানকের বিভিন্ন গ্রামের আরও ১০/১৫ জন লবণচাষি এখনও ঘরে ফিরেননি।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, তিনজনের মৃত্যু ও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে কী কারণে তারা মারা গেছেন সেটা সঠিক জানি না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।
ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ঘারমোড়া বাজার গরুর হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
গত সোমবার সকালে ঘারমোড়ার গরুর হাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আতংকে আছে দূর দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতা, বিক্রেতাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘারমোড়ার গরুর হাট এক বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইজারাদার হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হোমনা উপজেলা ঘারমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহজাহান মোল্লা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা । ১ কোটি ১১ লাখ টাকায় ইজারা নেন ঘারমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা। পরে হোমনা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ইজারা না পেয়ে আবু মুসার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার লোকজন গরুর হাটে ভাংচুর করে ক্যাশ বাক্স নিয়ে যায়। ওই হামলায় হোমনা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো: ফয়সাল, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো:জালাল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের মো মুকুল মেম্বার, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো:মোসলেম আহত হন। এ বিষয়ে গরুর হাটের ইজারাদার আবু মুসা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ইজারাদার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গত ৩ মার্চ ঘারমোড়া গরু বাজারের ডাক পেয়েছি । কিন্তু ঘারমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকবল নিয়ে আমার কাছে বাজারের শেয়ার দাবি করেন, আমি শেয়ার দিতে না বলায় পরবর্তীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেন চেয়ারম্যান শাজাহান। চাদার টাকা না পেয়ে তার লোকবল দিয়ে বাজার ভাঙচুর এবং ক্যাশ থেকে ইজারার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তার বাহিনীরা এবং আমার ছেলে ফয়সাল মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে, এছাড়া অনেকে আহত হয়। পরবর্তীতে থানায় মামলা হয়, এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রমতে, নানা অনিয়মের অভিযোগ ও বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে শাহজাহান মোল্লার সখ্যতা রয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি খাল দখল করে দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে। কুমিল্লা-১ (হোমনা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদকে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করার ছবি রয়েছে ফেসবুকে। এছাড়াও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় তিনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের নদীর অংশ এবং রাস্তার পাশের জমি দখল করে দোকান ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা মুঠোফোনে জানান, তিন বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি । ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । আশা করি অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটবে না।
মন্তব্য করুন