জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হৃদরোগ, বাতজ্বর ও ডায়াবেটিকস এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: রুহুল আমিনকে ফাঁসাতে নানা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি মহল। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার রুহুল আমিন জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর এলাকায় আমি ১২ বছর যাবত চেম্বার করি।এ এলাকার হাজার হাজার রোগী আমার চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নিকলী হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক এর মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস বিভিন্ন সময় রিপোর্ট জালিয়াতি ও ভুয়া রিপোর্ট করে আমার কাছে ধরা পড়ে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আমি চেম্বার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেই।তারা আর এসব ভুল করবেনা মর্মে ক্ষমা চায় এবং আমাকে বিভিন্নজনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে চেম্বার করার অনুরোধ করে। আমি ভুল ও জালিয়াতি না করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে চেম্বার অব্যাহত রাখি। উল্লেখ্য আমি নিকলী ও পাশ্ববর্তী সরারচর বাজারে দুইটি চেম্বার করি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরারচর, শুক্রবার সকালে নিকলী ও শুক্রবার বিকেলে পুনরায় সরারচর চেম্বার করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিকলী চেম্বার মালিকের বাসায় একটি রুমে থাকি। আমার পরিবার ২০১৭ সালে বাজিতপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে আমি ওদের বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান করতে হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সেহরির সময় চেম্বার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরীর মাদকাসক্ত ছেলে ওমর বেলায়েত (পূণ্য)আমার কক্ষে মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিকভাবে আহত করে।
তখন ওর বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে মাদকাসক্ত ও উন্মাদ ছেলেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ও আমার লুন্ঠিত মালামালসহ আটক করে।ছেলে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বের হওয়ার পর আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।আমি চেম্বার মালিককে জানাই ছেলেকে জেল থেকে বের করলে আমাকে জানাতে এবং জেল থেকে রিহ্যাবে দিতে।কিন্তু তারা তা না করে আমাকে না জানিয়ে ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করে। আমি বিষয়টি জেনে আমার নিরাপত্তা ইস্যুটিতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওদেরকে নিকলী চেম্বার ছেড়ে দেয়ার মৌখিক নোটিশ দেই। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে।তারপরও আমি ১৮ এপ্রিল চেম্বারে না বসলে আমাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সরারচর চেম্বারে এসে জানায় - নিকলীর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যাক্তি আমার কাছে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এতে আমি ১৯ এপ্রিল টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। আমি কাউকে টাকা না দেয়ায় ২২ এপ্রিল কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে। ২৩ এপ্রিল তারা ঠিক একমাস আগে যে মামলায় তাদের নিজের ছেলের বিরুদ্ধে আমার ও তার নিজের বাবা-মায়ের উপর হামলার করেছিলো সেই ঘটনাকেই ভিন্নখাতে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আমি মাত্র একটি চেম্বার না করার পরপরই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। অথচ আমি ১২ বছর তাদের চেম্বারে রোগী দেখার পরও তারা কোনদিন আমার বিরুদ্ধে ন্যুনতম অভিযোগ করেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল ও সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মুখরোচক ভুয়া নিউজ করে আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ভুয়া অভিযোগ দায়ের করে আমাকে প্রচন্ড হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় দেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্রজনতা, ডাক্তার সমাজ, বিবেকবান সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার অনুরোধ একজন ডাক্তারকে ভয়াবহ হয়রানি থেকে রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩১ জেলেসহ ভারতীয় দুটি ট্রলিং জাহাজ আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে জয় জগন্নাথ ও মা বাসন্তী নামের দুটি ট্রলিং জসহাজসহ জেলেদের আটক করে। আটককৃতদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল দশটায় পায়রা বন্দরের জেটি এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন জাহাজের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মশিউল ইসলাম।
মশিউল ইসলাম বলেন, আটককৃত জেলে ও জাহাজ দুটিকে কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে ২২ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ইশতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ইসতিয়াক সরকার বিপু ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারা হামলা ও মামলার শিকার হয়। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের দেয়া দুইটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে। দুঃখের বিষয় গণঅভ্যুথানের পরেও বর্তমান সময়ে সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর ইসতিয়াক সরকার বিপু ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। সাথে সাথে শুরু হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপরের ঘটনা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। সম্ভাব্য কাউন্সিলর নির্বাচন ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এতে আওয়ামীলীগের পতিত নেতাকর্মীরাও নিজেদের শত্রুদের সাথে সখ্যতা ও হাত মেলায়। তাদের প্রতিপক্ষতা ও হিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়াতে নানাহ আইনী জটিলতা চালায়। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এমন কূটকৌশল ও আইনি জটিলতা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিজেদের দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে ফাঁসাতে এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও তারা পিছপা হয়নি।
অথচ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দুপুরে ইসতিয়াক সরকার বিপু মোগলটুলি এলাকা থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যায়। এরপর পুলিশের ফোনে খবর পায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হামলা হতে পারে। তখন বিকেল বেলা সে তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয় এবং অবস্থান নেয়। ওই সময়ে থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা । উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থানায় মাইকে বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও ফুটেজ কোতয়ালি থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ও বিভিন্ন কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। রাতে যখন বিপু এলাকায় ফিরে আসেন তখন জানতে পারেন আইনজীবী আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সময়ে পৃথক দুইটি ঘটনায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।
আইনজীবি আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বিএনপি ঘরানার আইনজীবী ছিলেন। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যারা এই হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজ অবশ্যই পুলিশের কাছে আছে, পুলিশ তা জানেও। ওই ফুটেজ সমূহ যাচাই-বাছাই করলে হত্যার সময় বিপু এই ঘটনায় ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই ।
মামলায় ইসতিয়াক সরকার বিপু স্বাভাবিকভাবেই আসামির তালিকায় ছিল না, থাকবার কথাও নয়। কিন্তু পরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বিপুকে জড়িত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যেখানে “ফেইস দ্যা পিপল”এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। ওই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হচ্ছে, শুধুমাত্র ফাঁসাতে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও এলাকার মানুষ সব সত্য জানে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সত্য জানাতে ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুবিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন
মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছে।
আজ বুধবার সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান।
আহতরা হলেন—গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মার্চ টু গোপালগঞ্জকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে সমাবেত হয়।
পরে গোপালগঞ্জ টহল পুলিশের একটি টিমকে লক্ষ্য করে হামলা করে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান জানান, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা এখন পর্যন্ত জানিনা। তবে আমাদের পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছে এবং একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আহত ওই তিন সদস্যকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও কাব কার্নিভাল ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদযাপিত কার্নিভালে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,কাব উপজেলা কমিশনার মোঃ নজরুল ইসলাম,কাব উপজেলা কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সুভাষ বীর।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাব লিডার ফাহমিদা আক্তার, হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক খোদেজা বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মহারাজা সেজে পুরো অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে রাখেন শান্তনু পাল। এসময় মহারাজা তার প্রধান সেনাপতিতে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
কার্নিভালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাব সদস্যরা অংশ নেয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিলে আরো নানা কর্মকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্রসহ কামরুল হাসান (৩২) নামে এক যুবক আটক হয়েছে।
সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার সাজঘর এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১ টি পিস্তল (চাইনিজ), ১ টি ম্যাগাজিন ও ১ টি পিস্তলের এ্যামোঃ উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া কামরুল হাসান কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সবুজ পাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
পরবর্তীতে আটক হওয়া ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ বি-পাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, অস্ত্রধারী যুবকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে-সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এসব ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আজ শুক্রবার তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, মা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিতে ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ। এ অবস্থায় বঙ্গপোসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে ভারতীয় জেলেরা। এমন অপরাধে ভারতীয় পতাকাবাহী ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ সময় দেশীয় প্রশাসনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলার তিনটি বাংলাদেশের জলসীমাতেই আটক করতে সক্ষম হয়।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের শেষে শুক্রবার বিকালে আটক জেলেদের আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ঘারমোড়া বাজার গরুর হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
গত সোমবার সকালে ঘারমোড়ার গরুর হাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আতংকে আছে দূর দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতা, বিক্রেতাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘারমোড়ার গরুর হাট এক বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইজারাদার হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হোমনা উপজেলা ঘারমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহজাহান মোল্লা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা । ১ কোটি ১১ লাখ টাকায় ইজারা নেন ঘারমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা। পরে হোমনা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ইজারা না পেয়ে আবু মুসার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার লোকজন গরুর হাটে ভাংচুর করে ক্যাশ বাক্স নিয়ে যায়। ওই হামলায় হোমনা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো: ফয়সাল, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো:জালাল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের মো মুকুল মেম্বার, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো:মোসলেম আহত হন। এ বিষয়ে গরুর হাটের ইজারাদার আবু মুসা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ইজারাদার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গত ৩ মার্চ ঘারমোড়া গরু বাজারের ডাক পেয়েছি । কিন্তু ঘারমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকবল নিয়ে আমার কাছে বাজারের শেয়ার দাবি করেন, আমি শেয়ার দিতে না বলায় পরবর্তীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেন চেয়ারম্যান শাজাহান। চাদার টাকা না পেয়ে তার লোকবল দিয়ে বাজার ভাঙচুর এবং ক্যাশ থেকে ইজারার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তার বাহিনীরা এবং আমার ছেলে ফয়সাল মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে, এছাড়া অনেকে আহত হয়। পরবর্তীতে থানায় মামলা হয়, এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রমতে, নানা অনিয়মের অভিযোগ ও বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে শাহজাহান মোল্লার সখ্যতা রয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি খাল দখল করে দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে। কুমিল্লা-১ (হোমনা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদকে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করার ছবি রয়েছে ফেসবুকে। এছাড়াও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় তিনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের নদীর অংশ এবং রাস্তার পাশের জমি দখল করে দোকান ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা মুঠোফোনে জানান, তিন বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি । ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । আশা করি অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটবে না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মনোহরদী-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের শিবপুর পচাঁরবাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক ছাড়া কারো পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহত অটোরিকশাচালকের নাম শাহীন মিয়া (৩০)। তার বাড়ি উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের সাতপারা এলাকায়।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছেন। আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য করুন
মৃত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবারের ৪ জন সদস্য সোমবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক এর সাথে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন।
এ সময় তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জিওসি এবং নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং দোষীসাব্যস্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান যে, তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে এবং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবার এতে আশ্বস্ত হয়েছেন। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে যারা সেনা ক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবী করেছেন। তবে তারা তৌহিদের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৭ কিশোর জেলেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী,হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি ও নাজমুল হাসান। ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. ইব্রাহিমকে। আর মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া অপ্রাপ্ত কিশোর জেলেরা হলেন মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব। আটক এসব জেলেদের বাড়ি শহরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২ জেলেকে ইলিশ ধরা অবস্থায় হাতেনাতে আটক, ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর ষ্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন