ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত শোকাহত হয়েছে। ভারত শেখ হাসিনার জন্য খুব কষ্ট পেয়েছে এবং তারা যড়ষন্ত্র করছে যাতে শেখ হাসিনাকে আবার দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানো যায়।
রবিবার বিকেলে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল-জুলুম সহ্য করে দেশে ছিলেন এবং এখনো আছেন, কিন্তু শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এটিই হলো শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় মিডিয়া স্বাধীন দেশের বিষয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার জন্য। ভারতকে আমি বলব— যদি শেখ হাসিনার জন্য এত মায়া থাকে, তাহলে ভারতে তার জন্য আরেকটি তাজমহল তৈরি করুন।
তিনি বলেন, ভারতীয় যড়ষন্ত্রের কারণে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন মেয়রের বাড়ি থেকে ভাত আনতে রাষ্ট্রের মাসে ২৫ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে—এটা কী ভাবা যায়? এর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিমাণ বোঝা যায়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে জনগণের গণতন্ত্র হরণ করে নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছে। পুলিশের একজন আইজি হাজার কোটি টাকার মালিক, এবং একজন মন্ত্রীর দেশের বাইরে ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছেন, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামতো দেশ পরিচালনা করেছেন এবং ব্যাংক লুট করেছেন। শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু, এখন ভারতে পলাতক থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তাই ফ্যাসিবাদ যাতে পুনরায় ক্ষমতায় না আসে, সে জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।
ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মানবতাবিরোধী মামলায় যারা অভিযুক্ত হবেন তারা আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) আইনের সংশোধনীতে এমন বিধান যুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইসিটি আইনের সংশোধনী আনা হয়।
এদিন বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব আরও জানায়, অধ্যাদেশটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩-এ নতুন সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই আইনে সেকশন ৯ (১) এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। একইভাবে, তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।
এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তিনি।
মন্তব্য করুন
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)রাও পালিয়ে গেছেন। ৫১টি জেলার পিপি গায়েবি মামলার তথ্য পাঠিয়েছেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সংস্কার নিয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা আমলের গুম-খুন ও জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই সংলাপের দ্বিতীয় দিন চলছে।
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, "সব বিচার আইন বিভাগই করবে, কোনো গাফিলতি হবে না। হাসান মাহমুদ, ওবায়দুল কাদেরের মতো বদমাশরা কেন পালিয়ে গেল, এই প্রশ্ন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে করা হবে।"
আলোচনার শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা গত ১৬ বছরে দেশে ঘটে যাওয়া সব হত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সকল গুমের বিচার দাবি করেন। ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সরকারের গুমের সংস্কৃতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র গুম হওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
এছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অন্তবর্তী সরকার এখনও গুমের বিচার শুরু করেনি।
সংলাপের দ্বিতীয় সেশন দুপুর ২:৩০ থেকে শুরু হবে, যেখানে সংস্কারের দায়িত্ব ও নির্বাচন বিষয়ক দিক নিয়ে আলোচনা হবে। বিকেল পৌনে ৫টায় পঞ্চম অধিবেশন শুরু হবে, যেখানে ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হবে।
মন্তব্য করুন
পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ইজতেমা নিয়ে সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সাদ ও জুবায়ের দুটি পক্ষই আমাদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে ছিল। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর হাতে তাদের দমন করা হবে।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘১৮৫ জনের মতো পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেয়নি, এ সংখ্যা নগণ্য। বাকি পুলিশ সদস্যরা কার্যকরী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী যেমন র্যাব, বিজিবি উপস্থিত রয়েছে। নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
সভায় মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকারসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সরকার কোস্টগার্ডকে আধুনিকায়নের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হেলিকপ্টার বোর্ড সংযুক্তির মাধ্যমে আরও আধুনিকায়নের কাজ চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া নতুন দেশকে এগিয়ে নিতে কোস্টগার্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।
সমুদ্র সীমা সুরক্ষিত রাখতে কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল দিয়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে এবং সাগর-নদীতে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সফলভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে কোস্টগার্ডের সালাম গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় বীরত্বপূর্ণ ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চারটি ক্যাটাগরিতে কোস্টগার্ডের ৪০ সদস্যকে পদক প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন
বুকে অপারেশন হয়েছে, তাই ভারী কাজ করতে পারি না। এ জন্য তেমন কাজ পাই না, আর কাজ না করতে পারলে খাবার জুটে না। তবে যেদিন থেকে ভালো কাজের হোটেলের সন্ধান পেয়েছি, সেদিন থেকে কোনোদিন আর না খেয়ে থাকতে হয়নি।’
কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর কাওরানবাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কে স্থাপিত 'ভালো কাজের হোটেলে’ খেতে আসা দিনমজুর রফিক মিয়া।
তিনি বলেন, ভালো কাজের হোটেলে প্রতিদিন একবার এসে খেয়ে যাই। এই একবেলা খাবারটাই দুইবেলা না খেয়ে খাওয়া হয়। প্রতিদিন এসে একটা ভালো কাজের কথা বললেই খেতে পারি। তা-নাহলে পুরোদিনই না খেয়ে থাকা লাগত।
রফিক মিয়ার মতো অসংখ্য দিনমজুর, ভিক্ষুক ও অসহায়ের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে ভালো কাজের হোটেল নামে ব্যতিক্রমী এ হোটেলটি। স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানুষকে ভালো কাজের দিকে উৎসাহ জুগাতেই তাদের ‘ভালো কাজের হোটেলে’র কার্যক্রম। অস্থায়ী এই হোটেলে যারাই এসে খাবার খান, তারা প্রতিদিনই কোনো না কোনো একটি ভালো কাজ করে আসেন। আবার কেউ কোনো ভালো কাজ করতে না পারলেও প্রতিশ্রুতি দিলে তিনিও খাবার পান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নতুন পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত করেছে। হত্যা মামলার আসামি হওয়া এবং আত্মগোপনে থেকে পাসপোর্টের আবেদন করায় তার আবেদন স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনের পাসপোর্ট আবেদনও স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা বিভাগের পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক ইসমাইল হোসাইন বলেন, শিরীন শারমিনের পাসপোর্ট বিষয়ে কোনো নতুন ডেভেলপমেন্ট হয়নি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
এর আগে, ৫ নভেম্বর ‘ঘরে বসেই পাসপোর্ট পাচ্ছেন শিরীন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায়, হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ ব্যবস্থায় শিরীন শারমিনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি ও চোখের আইরিশ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ২২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য বরাদ্দকৃত সব কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে হজ গাইডসহ ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজ গাইডসহ এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ করতে পারবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, ২০২৫ সালের হজযাত্রীর জন্য কোটার এই বিভাজন করা হয়েছে। চিঠি অনুসারে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি ১৪৪৬ সালের হজ আগামী বছরের ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, হজ গাইডদেরকে হজযাত্রীর মতোই প্রাক-নিবন্ধনসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হজ গাইডদের তালিকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
এ বছরের হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৯৪৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ৮৪২ জনসহ মোট ১০ হাজার ৭৮৭ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
মন্তব্য করুন
খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জুমার নামাজ শেষে তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে, জুমার নামাজ শেষে বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের পূর্ব সমাবেশ শুরু করে।
অন্যদিকে, ইসলামী দলগুলোর ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এলাকায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পল্টন মোড়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জলকামান, এপিসি কার ও দুটি প্রিজন ভ্যান মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশপথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিজিবি সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন