স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহিদা আক্তারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার ভানী ইউনিয়ন, রাজামেহের, ধামতী, সুলতানপুর ও গুনাইঘর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তারা । এ সময় গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গণসংযোগ ও স্থানীয়দের সাথে প্রচারণায় অংশ নেন তারা। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, আগামী ২৯ মে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিতের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ সরকার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানা সূত্রেও জানা যায়, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ১টি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ায় স্থানীয় প্রবাসী আবুল হাশেমসহ এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আব্দুল হাই কানুর কারণে তারা গত ১৫ বছর এলাকায় থাকতে পারেনি।
২০১৬ সালের আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যার প্রতিবাদে এবং কানু ও তার ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া।
সোমবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল হাই কানুর সাথে আ’লীগ ব্যতিত আর কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগীরা ঘটনা করেছে। এসময় আমিও সাথে ছিলাম। হত্যাকান্ডের শিকার রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী কানু। আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন হত্যার ঘটনাও অন্যতম নির্দেশদাতা কানু মেম্বার। কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। ঐ নির্বাচনে আমাকেও লাঞ্চিত করে।
স্থানীয় ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততা নাই। গত ২০১৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে কানু মেম্বার। ঐদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু মেম্বার আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আধাঁরে মারধর করে।
আবদুল হালিম মজুমদারের ভাই আবদুর রহমান (৮০) বলেন, কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। আ’লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের দ্বন্ধেই রবিবার দুপুরে কানুকে আটক করে এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি মেম্বার ও অবঃ সেনাসদস্য আবদুল হক বলেন, কানু এই এলাকায় গত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং চাঁদাবাজীর সাথেও সে জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন বলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নাই। এমনটি ভাইরাল ভিডিওকে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জামায়াতের কোন পদ-পদবীতে নাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে বলেন, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাংচুরের মামলার তথ্য রয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, সকলের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়ানো সম্মানহানীর কোন সুযোগ আইনে নাই।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর উত্তর ঠাকুরপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিালনা করে মোঃ মাসুদ রানা প্রধান (৩৮) নামের একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১ সিপিসি ২ সদস্যরা। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২ টি এলজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মাসুদ রানা প্রধান (৩৮) কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর গ্রামের মৃত. মতিউর রহমান প্রধানের ছেলে।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে পতিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রেখে বড় ধরনের নাশকতাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করার পরিকল্পনা করে আসছিল। এছাড়াও পূর্বে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শো-ডাউনে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। বর্তমানে সে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল বলে জানায়।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে রুজুকৃত হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলাসহ মোট ৭ টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব ১১,সিপিসি ২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মনোহরদী-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের শিবপুর পচাঁরবাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক ছাড়া কারো পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহত অটোরিকশাচালকের নাম শাহীন মিয়া (৩০)। তার বাড়ি উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের সাতপারা এলাকায়।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছেন। আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
মন্তব্য করুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য চীনে অবস্থান করেছিলেন। গত ১৮ জুলাই থেকে তিনি চীনে অবস্থান করছেন। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজনের হুমকি-ধমকির জন্য এলাকায় সব সময় অবস্থান করতে পারেননি এই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ তাকে ৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় উপজেলার নিউ মার্কেট চত্ত্বরের মারধরের একটি মামলায় ৮১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। চীনে অবস্থান করে কিভাবে মারধরের মামলার আসামি হলেন , এ বিষয়টি বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়।
দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ির মো: নাজমুল হক বাদি হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেবিদ্বার উপজেলায় আওয়ামী লীগের মত বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং রয়েছে। আওয়ামী লীগে যেমন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও আবুল কালাম আজাদের দুই গ্রুপ ছিল, তেমনি বিএনপিতেও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুরুল আহসান মুন্সি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সির আলাদা আলাদা গ্রুপ রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের একটা অংশ অপর অংশকে বিপদে ফেলার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সর্ম্পক উন্নয়ন করে বিভিন্ন মামলায় নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে কোন প্রকার সংঘর্ষে না থেকেও মামলার আসামি হচ্ছেন অনেকে। ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগির ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি আজাদের ভাই মামুনের পক্ষে কাজ না করায় প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির ফলে ইউপি কার্যালয়েও যেতে পারতেন না চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু। চেয়ারম্যান মিঠুর বসতজমিতে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। তাঁর জমি দখলের পায়তারাও হচ্ছে। যার ফলে বছরজুড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই চেয়ারম্যান। ফলে জুলাই মাসে অসুস্থ্য হয়ে চীনে যান চেয়ারম্যান মিঠু। সেখানেই বর্তমানে অবস্থান করছেন। সেই চীনে থেকে রাজনৈতিক কারনে মামলার আসামি হয়েছেন চেয়ারম্যান মিঠু।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মো: নাজমুল হকের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এই বিষয়ে ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু জানান, আমি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ্য। তাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। আমাকে অন্যায়ভাবেই মামলার আসামি করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়টির সমাধান করবেন।
এই বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য । এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজন ও লাঞ্ছিত হন।
মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবশেষে তিন দিন পর পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপ পরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাঁকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ কক্ষ থেকে বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর উপ পরিচালক নুরুল আলম এঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্টোর কিপার মিরাজ হোসনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে 'এঘটনা কেন ঘটিয়েছেন' মর্মে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি এয়ারগান এবং ৩টি ছুরিসহ শহীদ মিয়া নামের এক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করে।
আটক হওয়া ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় লালমাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মৃত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবারের ৪ জন সদস্য সোমবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক এর সাথে তার অফিস কক্ষে সাক্ষাত করেন।
এ সময় তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জিওসি এবং নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং দোষীসাব্যস্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান যে, তৌহিদের পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়ে সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে এবং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও পরিবার এতে আশ্বস্ত হয়েছেন। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে যারা সেনা ক্যাম্পে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবী করেছেন। তবে তারা তৌহিদের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে-সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এসব ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আজ শুক্রবার তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, মা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিতে ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ। এ অবস্থায় বঙ্গপোসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করছে ভারতীয় জেলেরা। এমন অপরাধে ভারতীয় পতাকাবাহী ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক ফিশিং ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে বিদেশি পতাকাবাহী ট্রলার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ সময় দেশীয় প্রশাসনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ট্রলার তিনটি বাংলাদেশের জলসীমাতেই আটক করতে সক্ষম হয়।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের শেষে শুক্রবার বিকালে আটক জেলেদের আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলামেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরের আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রাইভেটকার ভর্তি ৩২ কেজি গাঁজাসহ ৪ জনকে আটক করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি -২ সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন, বিলকিছ (২৮), আয়েশা বেগম (৪২), গিয়াস উদ্দীন (২৮) এবং আব্দুল খালেক (২৯)। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে ৩২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া বিলকিছ (২৮) নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার কাছারকান্দি গ্রামের হযরত মিয়া এর মেয়ে, আয়েশা বেগম (৪২) একই গ্রামের মৃত বাদশা মিয়া এর মেয়ে, গিয়াস উদ্দীন (২৮) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত হাফেজ আহমেদ এর ছেলে এবং আব্দুল খালেক (২৯) একই থানার একলাছপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি -২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন