ডেস্ক রিপোর্ট:
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকায় চার প্লাটুন এবং চট্টগ্রামে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা জড়ো হন। পরে তারা শাহবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে তার ভক্তরা।
অন্যদিকে, গতকাল যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকায় চার প্লাটুন এবং চট্টগ্রামে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা জড়ো হন। পরে তারা শাহবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে তার ভক্তরা।
অন্যদিকে, গতকাল যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকায় চার প্লাটুন এবং চট্টগ্রামে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা জড়ো হন। পরে তারা শাহবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে তার ভক্তরা।
অন্যদিকে, গতকাল যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক একটি কৌশল হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে, ভোটের অধিকার হরণ করে এবং নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্যই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য এশীয় নেতাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ চীনের বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে জোরালো অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মিয়ানমারের সংকট শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত নেই, এটি পুরো এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। গত সাত বছরে বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক। এখন এশীয় নেতাদের উচিত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।"
তিনি বলেন, "গাজায় চলমান গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও তা থামছে না। ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল মুসলিম বা আরব বিশ্বের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।"
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, "ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, ঋণের বোঝা অসহনীয় হয়ে উঠেছে এবং মানবিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। এই অবস্থায় এশিয়াকে শক্তিশালী ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, দায়িত্বশীল অর্থায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এশিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এশিয়ার সভ্যতা বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান শুধু এশিয়াই নয়, সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।"
তিনি এশিয়ার যুবশক্তির সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "এই অঞ্চলের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।"
এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন, যেখানে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে ২৯৫৭টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর দুই দিনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে ২৯৫৭টি মামলা করেছে। জরিমানা করা হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকা।
এছাড়াও দুই দিনে অভিযানকালে ১২১টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৬টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়ে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তার উদ্দেশ্যে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এই কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।”
তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে জাপানের ‘দৃঢ় সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই সম্পর্ক সবসময়ই শক্তিশালী ছিল।”
সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।”
জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে কোনো জাপানি কোম্পানি চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।”
তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগণের পুনর্বাসন হতে পারে এবং তারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।
এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।
৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন
সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২০টি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা ভোগ দখলে রেখেছেন। এছাড়া, তাদের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা রয়েছে এবং মোট ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আসামি তার ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) র্যাব বিলুপ্ত, ডিজিএফআইকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এসবি ইমিগ্রেশনের বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল/ট্রানজিট ভিসা আবেদনে অনলাইন অ্যাপ উদ্বোধন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজীকরণ ও পাসপোর্ট আবেদনকারীদের জটিলতা/অভিযোগ ৯৯৯-এ জানানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ র্যাব বিলুপ্তির প্রস্তাব দিয়েছে। বিজিবিকে সীমান্ত রক্ষার মধ্যে থাকা, ডিজিএফআইকে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ও আনসারের ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ না রাখার বিষয় প্রস্তাবনাও দিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা সবাই বসবো। বসার পর আমাদের যা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) সেটা আমরা জানাবো। তাদের এই তদন্তের বিষয়ে আমরা তো সবাই স্বাগত জানিয়েছি। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।’
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। বুধবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক ও অন্যরা।
মন্তব্য করুন
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনের দায়ে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে। পুনরায় একই অপরাধ করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
রোববার, জনস্বার্থ রক্ষার্থে এসব ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে রাজধানীর সব ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। অতিরিক্ত শব্দদূষণ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, ফানুস উড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ড এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় ব্যাংক খাত থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় চুরি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া এত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা সম্ভব নয়।
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তার দাবি, দেশের বড় ব্যাংকগুলোতে জোরপূর্বক দখল ও নতুন শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধা দিতে ব্যাপক ঋণ বরাদ্দের মাধ্যমে এই অর্থ বের করা হয়েছে। তিনি এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে এই চক্রের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গভর্নরের অভিযোগে বলা হয়, সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা প্রায় এক হাজার কোটি ডলার (প্রায় ১.১ লাখ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার করেছেন। প্রতিদিন নিজেদের নামে ঋণ অনুমোদন করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এস আলম গ্রুপ গভর্নরের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আইনজীবী সংস্থা কুইন ইমানুয়েল উরকহার্ট অ্যান্ড সুলিভান বলেছে, আহসান মনসুরের এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে।
অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের জনসংযোগ এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
সাক্ষাৎকারে গভর্নর আরও জানান, নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পদত্যাগ ও শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের চাপের মুখে পদত্যাগের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, কিভাবে তাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে পাঠানো হয়েছিল এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আহসান মনসুর জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোতে নিরীক্ষা চালিয়ে পাচারের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আদালতের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় ব্যাংক খাত থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় চুরি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া এত বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করা সম্ভব নয়।
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তার দাবি, দেশের বড় ব্যাংকগুলোতে জোরপূর্বক দখল ও নতুন শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধা দিতে ব্যাপক ঋণ বরাদ্দের মাধ্যমে এই অর্থ বের করা হয়েছে। তিনি এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে এই চক্রের প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
গভর্নরের অভিযোগে বলা হয়, সাইফুল আলম ও তার সহযোগীরা প্রায় এক হাজার কোটি ডলার (প্রায় ১.১ লাখ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার করেছেন। প্রতিদিন নিজেদের নামে ঋণ অনুমোদন করতেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এস আলম গ্রুপ গভর্নরের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আইনজীবী সংস্থা কুইন ইমানুয়েল উরকহার্ট অ্যান্ড সুলিভান বলেছে, আহসান মনসুরের এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে।
অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের জনসংযোগ এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
সাক্ষাৎকারে গভর্নর আরও জানান, নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পদত্যাগ ও শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের চাপের মুখে পদত্যাগের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, কিভাবে তাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে পাঠানো হয়েছিল এবং পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আহসান মনসুর জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোতে নিরীক্ষা চালিয়ে পাচারের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় আদালতের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করবে। সেই সরকার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
শনিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণফোরামের ৭ম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘১৫ বছর ধরে যেসব দাবি ছিল না, এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সেগুলো উঠে এসেছে। এগুলো কে করছে, তা বুঝতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে বিভিন্ন উপায়ে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। যে ঐক্যে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করা হয়েছে, সেই ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ধর্মের নামে যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো আসল কিনা তা দেখতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। তাই বিএনপি এই সরকারকে সহযোগিতা করছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জাতীয় সরকার গঠন করবে এবং প্রস্তাবিত ৩১ দফাও বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, কিছু ধর্মীয় ইস্যু থাকলেও, যেভাবে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তুলে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, বাংলাদেশ এমন নয়।
মন্তব্য করুন