

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসএসএফ একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা আমার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে বিদেশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। আমি এসএসএফ-এর সার্বিক পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্ট। এজন্য আমি সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসএসএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী, তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এই বাহিনী আমার নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরগুলো সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিবের রাষ্ট্রীয় সফরের সামগ্রিক নিরাপত্তা এই বাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা হুমকির ধরন ও প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসএসএফ সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এসএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, সম্প্রতি এসএসএফ যমুনার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করেছে। এসএসএফ একইভাবে এই কার্যালয়েরও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করবে। এসএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত মনোবলের সন্নিবেশে দিন দিন আরো উন্নতি সাধন করবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত (২০ জন অনাবাসী রাষ্ট্রদূতসহ) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৮ জন একত্রিত হয়ে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকারের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ এটি প্রথমবার। এই বৈঠক বাংলাদেশ ও ইইউ-এর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রফিকুল আলম আরও বলেন, আসন্ন যৌথ সভায় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যত গঠনে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকার কারণে নয়াদিল্লির বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থিত বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত বুলগেরীয় দূতাবাস থেকে ৮৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদান করছে।
রফিকুল আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাংককে অবস্থিত কাজাখস্তান দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, চলমান আলোচনা অনুযায়ী, বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তারা ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদান করতে আগ্রহী।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ইশরাকের মেয়র হওয়া না হওয়ার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আইনি জটিলতা থাকায় এ ঘটনায় আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই, আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বা দোষারোপ করা সমীচীন হবে না।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সাভারের জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে "উদ্যোক্তা উন্নয়নে তারুণ্য ও আগামীর সম্ভাবনা" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত যুব সমাবেশ-২০২৫ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, ইশরাকের মেয়র হওয়া না হওয়ার সিদ্ধান্ত আমি একা নিচ্ছি না।
এখানে সরকার কাজ করছে। আর সরকার যখন কাজ করে তখন ব্যক্তি হিসেবে করে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি। সেটা পেলে সিদ্ধান্ত নেব।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন যেন জনজীবনে কোন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভারত কর্তৃক পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের থেকে ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আমরা মনে করি। এখন আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে, বিকল্প ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সাময়িক কিছু সমস্যা হবে। তবে আমরা মনে করি, এতে করে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এর আগে যুব সমাবেশ- ২০২৫ এ প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি জোর দেন তিনি। জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তাগণের সঙ্গে মেলাবন্ধন সৃষ্টিসহ রাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে যুবক যুবতীদের অবহিতকরণের উদ্দেশ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশনের (ইউএসিআইআরএফ) চেয়ারম্যান স্টিফেন শ্নেক।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হয়।
তাদের আলোচনায় বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি, প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়গুলো উঠে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ধর্মের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এবং দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেছেন, আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা পুরো পরিস্থিতি স্বচ্ছ রাখতে চাই। সাংবাদিকরা যে কোনো সময় বাংলাদেশে এসে সরেজমিনে তদন্ত করতে পারেন। অনেক আন্তর্জাতিক সাংবাদিক এরই মধ্যেই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ইসলামপন্থি উগ্রবাদী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করতে এবং সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি সুপরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশের মিডিয়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ফিলিস্তিনে গণহত্যা দেশের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।
ইউএসিআইআরএফ চেয়ারম্যান স্টিফেন শ্নেক দেশে চলমান সংস্কার কমিশনগুলোর কার্যক্রম এবং প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন নিয়ে জানতে চান।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখা।
প্রফেসর ইউনূস রোহিঙ্গাদের দুর্দশা এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের দীর্ঘদিনের নিপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরতে USCIRF-এর সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, তার অনুরোধের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতেই এই অভিযান চলছে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
আজ সোমবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
৫ আগস্ট ঘিরে মানুষের মধ্যে কোনো আতঙ্ক রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ৩ আগস্ট নিয়েও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে এসেছে।
তিনি আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
তবে তা উন্নত হয়েছে কি না, সেটা জনগণই ভালো বলতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রে একটি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর রূপান্তর ঘটাবে। বর্তমান অস্থির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ। এ সময়, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচনের জন্য আরো ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’
এ সময় লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সাতটি পরামর্শ উপস্থাপন করে তিনি।
এশিয়ার পারস্পরিক নির্ভরতাকে সহযোগিতায় রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এশিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈচিত্র্যই এর শক্তি এবং পরীক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে, অথচ সেই অর্থের অভাবে কোটি মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে কিংবা ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাও মেটাতে পারছে না। মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ইতোমধ্যে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, আর সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সেই সংকটকে আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত করেছে।
এর আগে সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাপান পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী টোকিও বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন


এবারের নির্বাচনকে দেশের জন্য কিছু করার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় ইসি। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।’
জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অংশীজনদের পরামর্শ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং নারী নেত্রীদের সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে ইসি।
সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত আছেন।
এরপর জুলাই যোদ্ধা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি। ইতোমধ্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংলাপে উঠে আসা মতামত তার কমিশন বাস্তবায়ন করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করে ইসি। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংলাপ শুরুর দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অর্ধেকেরও বেশি সুশীল ও বুদ্ধিজীবী অংশ নেয়নি।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান। উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটের প্রেক্ষাপটে সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতিই এগোচ্ছে— এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো। সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বডি ক্যামেরা থাকবে। যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে খুন-অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে না। আমার কাছে তো ম্যাজিক নেই, বলবো যে লাইট অফ বন্ধ হয়ে যাবে আর তা হয়ে গেল। ব্যাপারটা এমন না।
জাতীয় পার্টি ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, সব রাজনৈতিক দল এখন মাঠে। অনেকে বের হতে চায় না, ঘরে বসে রাজনীতি করতে চায়। তাদের পার্টি অফিস নিয়ে সমস্যা আছে।
এ সময় রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার ওপরের বা সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। রোববার এ আদেশ জারি করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই থেকে আরও ৬০ দিন পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ)।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর ২ মাস করে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
মন্তব্য করুন


এশিয়ার দেশ চীনে আবারও দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঢেউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী জুনে দেশটিতে প্রতি সপ্তাহে নতুন ধরন এক্সবিবিতে ৬ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে হঠাৎ করে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহারে বাধ্য হয় চীন সরকার। এছাড়া তুলে নেওয়া হয় সব বিধিনিষেধ। এসব কঠোর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ইমিউনিটি সৃষ্টি হয়। তবে নতুন ধরন এক্সবিবি এই ইমিউনিটি ধ্বংস করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের করোনা বিশেষজ্ঞ ঝং নানসেন গত সোমবার এক তথ্যে জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা জুন থেকে প্রতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ৪ কোটি থেকে বেড়ে ৬ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
সাসসেপটিবল-এক্সপোসড ইনফেকসাস-রিকভার্ড মডেলের ওপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাষ করে জং বলেছেন, ‘কয়েকদিন পর সংক্রমণের যে ঢেউ দেখা যাবে সেটি এড়ানো খুবই কঠিন হবে।’
ওমিক্রনের নতুন উপধরন (এক্সবিবি ১.৯.১, এক্সবিবি ১.৫ এবং এক্সবিবি ১.১৬) মোকাবিলায় চীনে ইতোমধ্যে দুটি নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েন জং। এছাড়া আরও চারটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
গত ডিসেম্বরে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই সময়ের পর জুনে আবারও তীব্র সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টি ভাইরাল ওষুধ রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন


চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি মাসে ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ১,৪৫৯ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে। এই নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম ৩ পয়সা কমানো হয়েছিল, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমানো হয় এবং নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
মন্তব্য করুন