

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, তার স্ত্রী রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান, ছেলে রাফসান হাসান এবং জামাতা রাকীন আল-মাহমুদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও, তাদের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা রয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়, নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিসিবির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এবং তার পরিবারের আরও ৫ সদস্যের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন বিষয়ে বিদ্যমান নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে নিবন্ধিত করা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার আট হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট দেখেছেন।
মন্তব্য করুন


দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার (৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। তবে এই ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩৪৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৬০৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৭২ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮৬৯ জন। ঢাকায় ১ হাজার ২৫২ এবং ঢাকার বাইরে ৬১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সর্বোচ্চ ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন


পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন


ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৪ মে) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এতে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট, ফেরারি আসামি ভোটে অযোগ্য, মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ বাতিল এমন একগুচ্ছ নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। থাকছে ‘না’ ভোটও। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিও এমপি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়।
অনুচ্ছেদ ২ সংশোধন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা বাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী রাখা হয়েছে। এতে সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনকে আর আগের মতো বেগ পেতে হবে না।
২০০১ ও ২০০৮ সালের ভোটে এমন বিধান ছিল।
অনুচ্ছেদ ৮ সংশোধন করে ভোটকেন্দ্র (পোলিং স্টেশন) প্রস্তুতের ক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন অফিসারের হাতে রাখা হয়েছে। আগে এ ক্ষমতা ডিসির হাতে ছিল।
অনুচ্ছেদ ৯ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বরখাস্ত করতে পারবেন, তবে ইসিকে অবহিত করতে হবে।
অনুচ্ছেদ ১২-তে বলা হয়েছে, কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি ঘোষিত হলে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবে। তিনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকলে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।
কোনো প্রতিষ্ঠানের কাযনির্বাহী পদকে ‘লাভজনক’ পদের সংজ্ঞাভুক্ত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কাযনির্বাহী পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে না।
হলফনামায় দেশে-বিদেশে আয়ের উৎস এবং সবশেষ বছরের রিটার্ন জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ মিথ্য তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে এমপি পদও বাতিল করতে পারবে ইসি।
অনুচ্ছেদ ১৩ সংশোধন করে জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ১৯-এর সংশোধনীতে ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি একজন থাকে, তাহলে ব্যালট পেপারে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে। না ভোট বেশি পড়লে পুনরায় নির্বাচন হবে। ফের একক প্রার্থী থাকলে তিনি নির্বাচিত হবেন।
অনুচ্ছেদ ২০-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের জোটগতভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
অনুচ্ছেদ ২৬-এর সংশোধনীতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ২৭-এ আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং যোগ করা হয়েছে। প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও দেশের ভেতরে কয়েদিরা এ সুযোগ পাবেন।
অনুচ্ছেদ ৩৬-এ বলা হয়েছে, ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এ ছাড়াও সমভোট পেলে লটারির পরিবর্তে পুনভোট হবে। প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ভোটার প্রতি ১০ টাকা, দলের ব্যয় দেখানো, অনুদানের অর্থের হিসাব ওয়েবসাইটে প্রকাশ, উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পর্যন্ত বদলিতে ইসির অনুমোদনের বিধান আনা হয়েছে। আবার মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য, গুজব ও এআই অপব্যবহার রোধে প্রার্থী ও দলের বিষয়ে অপরাধ বিবেচনা শাস্তির বিধান আনা হয়েছে।
এদিকে নিবন্ধন স্থগিত হলে প্রতীক স্থগিত, অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলে ইসির হাতে ক্ষমতা, আচরণ বিধি প্রতিপালনে ইসি কর্মকর্তাদেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ডের পাশাপাশি সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। দলের ক্ষেত্রেও জরিমানার বিধান আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী মারছা বাস ও কক্সবাজারমুখী একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন।
হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের মাঝে চার নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী হাঁসের দিঘি সেনাক্যাম্পের দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ওসি মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। তিনি বলেন, দুপক্ষের অন্তর্কোন্দল ছাড়া আপাতত অন্য কোনো ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না। ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে র্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় র্যাবের ফুট পেট্রোল, গাড়ি ও মোটরসাইকেল টহল, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স, ড্রোন পর্যবেক্ষণ দল এবং ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া নদীপথেও র্যাবের নৌ-টহল চলছে।
তিনি আরও বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। এসময় মোবাইল চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টি, মাদকাসক্তি, উচ্ছৃঙ্খলতা ও পকেটমারদের দমাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এ সময় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিমসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে "চোরতন্ত্র" প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দেওয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করা সেই সময়ের নিয়মিত ঘটনা ছিল। সে সময় পাচার করা অর্থ দিয়েই এখন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে পাচারকারীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই বিপ্লবের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যারা এই বিপ্লবে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এখানে কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি বরং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে। এ ধরনের অপপ্রচার করে পরাজিত শক্তি আপনাদের জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, "জুলাই বিপ্লবের সময় অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের 'জাতির শত্রু' হিসেবে চিত্রিত করেছিল। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল যা শাসকদের কাছে আন্দোলনকারীদের দমন করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল। যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তবে হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হতো এবং আন্দোলনকে 'অরাজকতা সৃষ্টিকারী' হিসেবে দেখানো হতো।"
সাংবাদিকতা কেবল পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, "জুলাই বিপ্লবে কার কী ভূমিকা ছিল তা আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “যদি ফ্যাসিস্ট সরকার আরও এক মাস সময় পেত, তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখা যেত। সেই রাতে শিক্ষক, সাংবাদিক এবং তরুণদের টার্গেট করে হত্যা করা হতো। ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে গেলে যুবসমাজের চাকরির অধিকারও হরণ করা হতো।”
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক কোনো দলের বিশেষ সুবিধা নেওয়া ও নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাববেন না। মনে রাখবেন পেশি শক্তি কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। আপনাদের সব কাজ জনস্বার্থ ও আইন দ্বাড়া পরিচালিত হয়।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের তোষামোদ করতে বারণ করে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক দল থেকে দূরে থাকবেন। আমি বারবার আপনাদের বলছি, আপনারা এখন যদি তেল দেওয়া শুরু করে দেন তাহলে আপনাদের তেল কিন্তু নির্বাচনের পর শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অতএব এখন যার কাছে যে তেলটা আছে রিজার্ভ করে রাখবেন। পরে কিন্তু তেলটা কাজে লাগাতে পারবেন। এজন্য আপনারা কোনো দলের দিকে যাবেন না। আপনারা একেবারে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা এটা পূরণ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে এ সুপারিশ করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির পুলিশ সংস্কার কমিটির প্রধান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটি বিএনপির কাছে সুপারিশ না চাইলেও আমরা সুপারিশমালা দিয়েছি। রাষ্ট্রের এই অত্যাবশ্যকীয় সেবার (পুলিশ) সংস্কার এখন সময়ের দাবি। সুপারিশমালায় বিএনপি পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব কমানোর সুপারিশ করেছি আমরা।সুপারিশে পুলিশ বাহিনীকে সঠিক দিকনির্দেশনা, পরামর্শ এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি পুলিশ কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন স্বরাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান।
সুপারিশে স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশকে অপরাধ দমনে সহায়তা দেওয়া, জনসাধারণ-পুলিশ সম্পর্ক উন্নয়নে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক উপজেলা-থানায় একটি নাগরিক কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য, সুশিক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে এ কমিটি গঠিত হবে।
সুপারিশে বিএনপি আরও বলছে, পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোয় থাকা র্যাব ইতোমধ্যে দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং সুধীজন র্যাবকে দেশে সংঘটিত অধিকাংশ গুম, খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের জন্য দায়ী করেছে। বাহিনীটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে র্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হলো। র্যাবের দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং থানা পুলিশ যেন পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ে জোর দিয়েছে বিএনপি। তারা বলছে, এর মাধ্যমে সমাজে বিবিধ অপরাধ প্রবণতা এবং সামাজিক অস্থিরতা কমবে, পুলিশ-জনসাধারণের মধ্যে দূরত্ব কমবে, জনসচেতনতা বাড়বে এবং আইনের শাসন জোরালো হবে। এই উদ্দেশ্যে গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি ইউনিয়নে এবং শহরাঞ্চলে প্রতিটি ওয়ার্ডে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন কমিউনিটি পুলিশ কর্মকর্তা (উপ-পরিদর্শক পদের নিচে নয়) নিয়োজিত হবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় তার একটি অস্থায়ী দপ্তর থাকবে।
তিনি নিয়মিতভাবে এলাকার গণপ্রতিনিধি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইমাম, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, মহিলা সমাজ, কৃষক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবেন। সবার অংশগ্রহণে প্রাপ্ত সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কমিউনিটি পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় অপরাধ দমন ও নিবারণে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেবেন।
এ ছাড়া এলাকায় জমি সীমানা, সম্পদ মালিকানা, মানহানি বা অন্য কারণে মতবিরোধ, গৃহবিবাদ, শিশু ও নারী নির্যাতন, মাদক সেবন, জুয়া, সুদ, গ্যাং কালচার, সাম্প্রদায়িক উসকানি ইত্যাদি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চালাবেন।
মন্তব্য করুন