

এক চেতনার বদলে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেন? তাহলে কি নতুন করে শেখ হাসিনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে?
আজ শনিবার প্রেসক্লাবে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জুলাই আন্দোলনে আবাবিল পাখির মতো বাচ্চারা রাস্তায় নেমে আসে। আমরা মুক্তি পেলাম। গণতন্ত্র মুক্তি পেল। তবে অভ্যুত্থান পরবর্তী তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, একটি সংগঠনের লোক সব জায়গায় বসে থাকে। শেখ হাসিনার আত্মারা আবার নতুন করে দেশের ওপর ভর করেছে।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের ফের নিরুৎসাহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তারা আগে নির্বাচন করেছেন। কেউ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান। তাদের তো রাজনৈতিক জীবনী আছে। তাদেরকে মানা করি কী করে? “তবে এটা ঠিক, এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত। সেটাই নেতাকর্মীদেরকে বলতে চেয়েছি।”
দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় এবার চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথমধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে ৮ মে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে নিষেধ করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এ সিদ্ধান্ত বলে আওয়ামী লীগের ভাষ্য।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবারো সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন আওয়ামী লগী সভানেত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পারিবারিক ফর্মুলা কী? নিজের ছেলে মেয়ে স্ত্রী, এই তো। তারপর হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলেমেয়ে, কয়জন স্ত্রী দাঁড়িয়েছে। এর বাহিরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, আমাদের লক্ষ্য।
“সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখব না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হল নির্বাচনকে অর্থবহ করা।”
জাতীয় নির্বাচনের মত এবারের উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি ও সমমনারা। ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ তৈরি করতে দলীয় প্রার্থী না দেওয়া এমনকি কাউকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্য দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মত সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্ব কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে।
“আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। বাস্তবতা সেটাই। আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। কারণ সাধারণত আসামিকে দেখালে পাবলিক তো সেটা নিবে না।”
মন্তব্য করুন


পিআর একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মানুষ বিভ্রান্তিতে ভুগবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রিজভী বলেন, একটি ইসলামী দল পিআর-এর জন্য তুমুল আন্দোলনের কথা বলেছে। এটা একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান, যা কারও জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না। পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি কারও জন্য মঙ্গল হবে না। বরং এতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
২০১৩ সালের ‘শাপলা চত্বর’ ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের সময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের রক্ত নিয়ে তামাশা করেছিল শেখ হাসিনা। অপপ্রচার, গণহত্যা দিয়ে মুসলমানদের দমন করা যাবে না।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান-এর পক্ষ থেকে মাওলানা ফারুকীর প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতার বার্তাও পৌঁছে দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য-সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, রুবেল আমিন ও শাহাদত হোসেন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


‘দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন দায় নেবে না’ বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ওই স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেয়া হবে না- ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্তব্য করুন


গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারেক রহমান জানান, দেশকে অবশ্যই বেআইনি মবের শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর গণতান্ত্রিক উত্তরণের সময় অতিক্রম করছি, যার প্রথম ধাপ হলো জাতীয় নির্বাচন। আমাদের সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে আজ যা ঘটেছে, তেমন অস্থিতিশীলতামূলক ঘটনা যেন আর ছড়িয়ে পড়তে না পারে এবং আমাদের গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত না করে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি এবং মিত্র গণতন্ত্রপন্থি অংশীদারদের অবশ্যই সংযম ও সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনাকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। দেশকে অবশ্যই বেআইনি মবের শাসন এবং বর্তমান অস্থিরতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখতে চাই, তাহলে আমাদের মবের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখা উচিত, আইনের শাসন সমুন্নত রাখা উচিত এবং একটি শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও স্থিতিশীল দেশ গড়ে তোলা উচিত। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক পথে জনগণকে ক্ষমতাবান করার এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার, সাম্য এবং মর্যাদা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সফল হতে পারব।’
বিবৃতিতে নুরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এবং ঘটনার আইনানুগ তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এদিকে নুরের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
মন্তব্য করুন


এক চেতনার বদলে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেন? তাহলে কি নতুন করে শেখ হাসিনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে?
আজ শনিবার প্রেসক্লাবে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জুলাই আন্দোলনে আবাবিল পাখির মতো বাচ্চারা রাস্তায় নেমে আসে। আমরা মুক্তি পেলাম। গণতন্ত্র মুক্তি পেল। তবে অভ্যুত্থান পরবর্তী তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, একটি সংগঠনের লোক সব জায়গায় বসে থাকে। শেখ হাসিনার আত্মারা আবার নতুন করে দেশের ওপর ভর করেছে।
মন্তব্য করুন


নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সংলাপের ২০তম দিনে আজ সোমবার (২৮ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করার পর আবার আলোচনায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরাই প্রস্তাব করেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং পরবর্তী সংসদ এখানে কোনো সংশোধনী আনলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
তিনি আরো বলেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে।
কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহিতা থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন—সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরো প্রস্তাব দিয়েছি- নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে এমন দাবি কেউ করেনি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়। আমরা মনে করি না যে ‘নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কিভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
মন্তব্য করুন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রতিবিপ্লব শক্তি ক্রমাগত উঁকি-ঝুঁকি মারছে, কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি এবং সেটা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ভারত এটাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় মিডিয়া শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যেভাবে কথা বলছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের ভাষা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিপ্লব ও গণতন্ত্রের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারণ প্রতিবিপ্লব শক্তি সবসময় উঁকিঝুঁকি মারছে এবং সেটাকে কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, এখন সরকারের সমালোচনা করলে গুম হতে হবে—এমন ভয় থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সমালোচনা করবো সফলতার জন্য, কিন্তু এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যদি সত্যিকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে, সেখানেই স্বৈরাচারের উৎপত্তিটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে, রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করানো যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগকে বিচার বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। আইনসভাকে আইনের কাজ করতে দিতে হবে। সেখানেই থাকবে পুরো ক্ষমতার ভারসাম্য।
তাহলে পরে কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপরে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। একটা আরেকটার ভারসাম্য হয়ে পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বাস করি, আমরা একটা জায়গায় ঐকমত্যে আসতে পারব। আমরা বলেছি, ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে বসতে পারবেন না।
এখানেই স্বৈরাচারকে রুখে দেওয়া হলো, এখানে ফ্যাসিবাদের উপত্তি বন্ধ করে দেওয়া হলো। তারপর কী করা হবে? রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই এই গণতন্ত্র রক্ষাকবজ হিসেবে শক্তিশালীর ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো হবে। তার জন্য বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের এমপিরা গোপন ব্যালটে স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। সেটা আরেকটা বিপ্লব হবে।
আর প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আমরা ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করলাম। সেটা কি আমাদের বড় ধরনের অর্জন নয়? আমরা যদি প্রতিক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে সীমাবদ্ধ করি, তাহলে কিন্তু নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হবে। রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করা যাবে না। আমরা সেই সংস্কার চাই, যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মিত হবে।’
মন্তব্য করুন


জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা মানতে স্বাক্ষরকারী দলগুলো বাধ্য নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, সনদে বিভিন্ন দলের কিছু নোট অফ ডিসেন্ট আছে। সনদে উল্লেখ আছে ইশতেহারে উল্লেখ করে রায় পেলে সেভাবে বাস্তবায়ন করবে, অথচ সুপারিশমালায় নেই। গণভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে হবে, সেই অবস্থানে আছি।
তিনি বলেন, নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। সনদের বাইরে যদি সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা মানতে স্বাক্ষরকারী দলগুলো বাধ্য নয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এখন কোনো প্রজ্ঞাপনকে যদি আদেশ হিসেবে নামকরণ করতে চায় এবং সেটার আইনি মর্যাদা না থাকে, তাহলে সেটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু সেটা আইন হবে না।’
মন্তব্য করুন


আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণের সঙ্গে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে নিজের দেশে ফেরা নিয়েও তথ্য দিয়েছেন তিনি। যদিও দেশে ফেরার বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন তারিখের কথা তিনি জানাননি।
তারেক রহমান কেবল বলেছেন, ‘কিছু সঙ্গত কারণে এখনো হয়তো দেশে ফেরা হয়ে ওঠেনি। তবে সময় তো চলেই এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ, দ্রুতই ফিরে আসব।’
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।
প্রায় ৫০ মিনিটিরে সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পেরিয়ে গেছে, অনেকের ধারণা ছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আপনি দেশে এসে স্বশরীরে দলের নেতৃত্ব দেবেন, গত এক বছর বারবার প্রশ্নটি আসছে এখনো আসছে- আপনি এখানো দেশে ফিরেননি কেন? কবে দেশে ফিরবেন সেটা আমরা কি জানতে পারি?
এর জবাবে তারেক রহসান বলেন, ‘‘ফিজিক্যালি (শারীরিকভাবে) আমি এই দেশে (ব্রিটেনে) রয়ে গেলেও মন–মানসিকতার দিক থেকে আমি বিগত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই আছি। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’
নির্বাচনের আগেই দেশে আসবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলি-নির্বাচনের সঙ্গে, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতি কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে জনগণের প্রত্যাশিত একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন থেকে কীভাবে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকব।’
আপনি না আসার পেছনে আপনার দলের নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলেছেন, আপনি কি কোনাে ধরনের শঙ্কা বোধ করেছেন, এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের শঙ্কার কথা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে শুনেছি। সরকারেরও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক সময় অনেক শঙ্কার কথা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।’
মন্তব্য করুন