

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে লন্ডনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আমি আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরে যাবো।
বুধবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় তারেক রহমান আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দু’মাস পর দেশে বহুল প্রত্যাশিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তাদের সামনে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
এ সময় দেশে ফেরার সময় লন্ডনের বিমানবন্দরে কোনো ধরনের হট্টগোল না করার অনুরোধ জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, কেউ যেন বিমানবন্দরে না যান। তিনি বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, আমি কোনো স্বপ্নের মধ্যে নেই, আমি আছি পরিকল্পনার মধ্যে। তিনি দাবি করেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া সংকটময় সময়ে দেশকে খাদ্যসংকটের কিনারা থেকে উদ্ধার করেছিলেন। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে সরকার গঠন করতে পারবে দলটি। তবে সামনে পথ অত্যন্ত কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় তারেক রহমান দলের ৩১ দফা সংস্কার ও উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশের অসচ্ছল পরিবারের জন্য মাইক্রোচিপ সংযুক্ত ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে, যা পরিবারের গৃহকর্ত্রীদের হাতে দেয়া হবে। কৃষকদের জন্য ‘কৃষক কার্ড’ চালুর কথাও জানান তিনি।
শিক্ষা খাতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি জানান, সরকার গঠন করলে ‘কুঁড়ি’ টেলিভিশন অনুষ্ঠান নতুনভাবে সাজানো হবে এবং সেখানে খেলাধুলা যুক্ত করা হবে।
প্রবাসীদের জন্য ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে রোগ প্রতিরোধে জোর এবং স্বাস্থ্য খাতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালুর পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এসব উদ্যোগের সুফল জনগণ পাবে বলে আশ্বাস দেন।
এছাড়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় বাড়াতে সরকারি সহযোগিতা, ছোট ওয়ার্কস্পেস, ফ্রি ওয়াই-ফাই এবং ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ঐক্য বজায় রাখতে পারলেই একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব খসরুজ্জামান খসরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহিদুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন


আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণের সঙ্গে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে নিজের দেশে ফেরা নিয়েও তথ্য দিয়েছেন তিনি। যদিও দেশে ফেরার বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন তারিখের কথা তিনি জানাননি।
তারেক রহমান কেবল বলেছেন, ‘কিছু সঙ্গত কারণে এখনো হয়তো দেশে ফেরা হয়ে ওঠেনি। তবে সময় তো চলেই এসেছে মনে হয়। ইনশাআল্লাহ, দ্রুতই ফিরে আসব।’
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।
প্রায় ৫০ মিনিটিরে সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পেরিয়ে গেছে, অনেকের ধারণা ছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আপনি দেশে এসে স্বশরীরে দলের নেতৃত্ব দেবেন, গত এক বছর বারবার প্রশ্নটি আসছে এখনো আসছে- আপনি এখানো দেশে ফিরেননি কেন? কবে দেশে ফিরবেন সেটা আমরা কি জানতে পারি?
এর জবাবে তারেক রহসান বলেন, ‘‘ফিজিক্যালি (শারীরিকভাবে) আমি এই দেশে (ব্রিটেনে) রয়ে গেলেও মন–মানসিকতার দিক থেকে আমি বিগত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই আছি। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।’
নির্বাচনের আগেই দেশে আসবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলি-নির্বাচনের সঙ্গে, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতি কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে জনগণের প্রত্যাশিত একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন থেকে কীভাবে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকব।’
আপনি না আসার পেছনে আপনার দলের নেতাকর্মীদের কেউ কেউ নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলেছেন, আপনি কি কোনাে ধরনের শঙ্কা বোধ করেছেন, এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের শঙ্কার কথা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে শুনেছি। সরকারেরও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক সময় অনেক শঙ্কার কথা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।’
মন্তব্য করুন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকায় ফের ফ্যাসিবাদ মাথাচড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে হলে এখন দেশে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার সকালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বরিশাল জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের আয়োজনে নগরীর সদর রোডে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হল সম্মুখে শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, ‘শেখ হাসিনা ওসামা বিন লাদেনের খালাতো বোন। ২২৭ মামলার আসামি হয়ে ভারতে পলাতক রয়েছেন। সেখানে থেকে ওসামা বিন লাদেনের মতো ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। আর ওই বার্তায় মামলার বাদীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
এখন সবচেয়ে বড় যে কাজ তা হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার অনতিবিলম্বে শেষ করা। অন্যথায় দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদ মাথাচড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করতে হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাচিত সরকারের প্রধান নন, জনগণের সমর্থিত সরকারপ্রধান আপনি।
তাই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আপনার নেই। মানবতার করিডর খোলার চিন্তা না করে অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিন। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো খোঁড়া অজুহাত না দেখিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
মহানগর শ্রমিক দল আহবায়ক মো. ফয়েজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান, বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সহ-বন ও পরিবেশ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, মহানগর শ্রমিক দল সদস্যসচিব শহিদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে টাউন হলের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ থেকে চকবাজার হয়ে গির্জা মহল্লা হয়ে টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় মন্তব্য করে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায়। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
আব্দুল হালিম বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, ১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ একেক দিন একের রূপে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দলটির পতন হয়েছে। এখন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি বলে দাবি করে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দেবে বলে প্রত্যাশা জামায়াতের।
আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের কিছু লোক বলছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কিন্তু কেনো কঠিন হবে? নির্বাচন করতে এতো সময় কেনো লাগবে? যদি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে জুন-জুলাই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজশাহীতে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া কামনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হলে অন্তবর্তী সরকারের বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। আমাদের একটি সংবিধান আছে, তারপরও গণপরিষদ নির্বাচন কেনো? এ ধরনের কথাগুলো মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কারও কাছে মাথা নত করে না, এটাই বিএনপির অপরাধ, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ। শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়ে মিটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একটি লুটেরা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি হবু চন্দ্র রাজা ও গবু চন্দ্র মন্ত্রীর মতো একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা করে রক্তাক্ত হাত নিয়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন। শহিদদের রক্তের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের আগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেনো? যারা লুটেরা, যারা খুনি, তাদেরকে ভারত আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহত ও নিহত ১৫ জনকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এহসানুল হক সমাজী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করেও তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে ভারতকে দাদাগিরি করা বন্ধ করতে হবে। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। ৩৬ দিনের সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছিলেন। একদিকে ভারত আমাদের পানি দিচ্ছে না, অন্যদিকে তারা আমাদের শত্রু শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার মতো সম্মান দিয়ে রেখেছে।
তিস্তা রক্ষার আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং সব অধিকার আদায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেছেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন মির্জা আব্বাস জানান, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই, যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে তারা আজকের দিনকে খাটো করে দেখাতে চায়। তাদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।’
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ৭১ দেশকে জন্ম দিয়েছে, তবে বিগত সময়ে স্বাধীনতার ধারণা নষ্ট করা হয়েছে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই চব্বিশের অভ্যুত্থান হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কয়েক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট চেয়ারম্যানের মোড় এলাকার আরমান কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে অভিযানের সময় অসংগতি পাওয়ায় দুজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তারা হলেন- আরমান কোল্ড স্টোরেজের এজিএম রেজাউল করিম লেবু, আলু ব্যবসায়ী রাসেল।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, কোল্ড স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা নির্ধারণ করে হয়েছে। তারপরও অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩/৪ দিন দেখব। এরমধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সরকারের কাছে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করবো।
আরমান কোল্ড স্টোরেজ প্রসঙ্গে সফিকুজ্জামান বলেন, এখানে রাসেল নামের এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা আলু ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে ১২ হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে চার কোটির বেশি টাকা লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছে। কী উদ্দেশ্যে লোন নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর সিন্ডিকেট বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


গত সরকার নিজেদের ভারতের কাছে সমর্পণ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা মানতে পারত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে গণসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী জানান, শেখ হাসিনা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিল্লির কাছে এমনভাবে আত্মনিবেদন করেছিলেন, সে আত্মনিবেদন থেকে তিনি ফিরে আসতে চাননি।
তিনি সেটা করলেন এবং তার এফেক্ট শুরু হয়েছে। এর যে বর্জ্য নদীতে পড়ছে, দিনকে দিন নদীগুলোর পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে আমরা ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি।
বিএপির এই নেতা জানান, ফারাক্কা বাঁধ চালু করার বিষয় শেখ মুজিবকে জানানো হয়েছিল যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। তখন শেখ মুজিব অনুমতি দিলেন। সর্বনাশ সেদিনই হয়ে গেছে। এরপর আর তারা (ভারত) মনেই করেনি বাংলাদেশের সাথে কথা বলা দরকার।
ন্যাশনাল ইন্টারেস্টে যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মাওলানা হামিদ খান ভাসানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন তো নির্বাচনের জায়গায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই। সবচেয়ে বেশি নির্বাচন যিনি চাইবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য, তিনি হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে খসরু বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ যেন নির্বাচিত সরকার গঠন করতে পারে সেই চাওয়া সবচেয়ে বেশি ছিল বেগম জিয়ার।
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সঙ্গে নির্বাচন পেছানোর সম্পর্ক নেই, কারণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনিই সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পেলেই তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘উনি যে অবস্থায় থাকুক, উনি চাইবেন বাংলাদেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠন করুক, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরে আসুক, বাংলাদেশের মানুষ আবার তাদের তাদের মালিকানা ফিরে পাক। যদি সবচেয়ে বেশি কেউ চেয়ে থাকে (নির্বাচন) সেটা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্নটা আসছে কোথা থেকে?’
মন্তব্য করুন