এ দেশে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
আজ শনিবার, নিজ জেলা লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে আজ এই উপদেষ্টাকে।
পথসভায় মাহফুজ আলম বলেন, “বাংলাদেশে দিল্লিপন্থীরা আর সুযোগ পাবে না। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।”
জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক মাহফুজ আলম আরও বলেন, “যদি আওয়ামী লীগ ফিরে আসে, তাহলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে। আমরা বিএনপি-জামায়াতসহ সব ধরনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একত্রে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা উৎখাত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “হাসিনা যেসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, সেগুলো সংস্কার না করে নির্বাচন দিলে, প্রতিষ্ঠানগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে গেলে, মানুষ কখনোই বৈষম্য ও নিপীড়নমুক্ত হতে পারবে না।”
“তাহলে, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এবং সকল রাজনৈতিক ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটানো হবে। এ দেশ থাকবে বাংলাদেশপন্থীদের হাতে। বাংলাদেশে দিল্লিপন্থীদের আর স্থান হবে না,” যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সকল সরকারি কর্মকর্তার জন্য ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা এবং বৃহৎ করপোরেশনগুলোকে ই-রিটার্নে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডিজিটালাইজেশন বিষয়ে সারাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরুর সিদ্ধান্তও বৈঠকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ) প্রকল্পকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত করার ওপর নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ নিশ্চিত করা, সামগ্রিক চিত্র ও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন রোডম্যাপের দিকে নজর রাখা এবং ভূমি সম্পর্কিত জনসেবা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের জন্য কার্যনির্বাহী সময়সূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান অশিক চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তিন থেকে চারটি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামী হিসেবে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি নিয়ে অনেকেই জানতে চান। একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জুলাই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত মামলাগুলোর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর ইতিমধ্যে এ আদালতে বিচারের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আদালত পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে চার মাস আগে। এর মধ্যে আদালতে ৩০০টির বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম যাচাই-বাছাই করে ১৬টি মামলা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ১৬টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার তদন্তকাজ এ মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আমরা আশা করি। এরপর চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচারকাজ শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহ সময় প্রস্তুতির জন্য ডিফেন্স আইনজীবীদের দিতে হয়। আমরা আশা করছি, এই তিন সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়াটা ঈদের পরপর এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) অব্যাহতভাবে শুনানি চলছে। সব মামলার রায় পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে শুরু করে পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা যাবে বলে আশা করি। সেই হিসাবে অক্টোবরের মধ্যে তিন-চারটি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এ সমস্ত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আসামী হিসেবে রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘যদি পুরো বিচারকার্যটা বিবেচনা করি, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এক বছরের মতো সময় লাগছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনার আমলে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির একজন নেতার বিচার হয়েছিল, সেই বিচারকাজ শেষ করতে গড়ে কমপক্ষে আড়াই বছর লেগেছিল। এখানে আমাদের এই আদালতে অর্ধেকেরও কম সময় লাগছে।’
সময় কম লাগার কারণ তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত টিম অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত কাজ করছেন। আমরা নিয়মিত খবর রাখছি। এ বিচারকার্যগুলো আরও দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, এই বিচারগুলো অনেক দিন আগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হচ্ছে। এখন যে বিচার চলছে, এর সাক্ষ্য-প্রমাণ এত বেশি রয়েছে যে, আমরা আশা করছি এক বছরের মধ্যেই প্রথম কয়েকটি রায় পাওয়া যাবে।’
আগামী দু-একদিনের মধ্যে জাতিসংঘের তদন্ত টিমের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আমি এই রিপোর্টের ব্যাপারে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলব না। তবে একটি বিষয় বলে রাখি, তাদের এই রিপোর্ট আমাদের তদন্ত ও বিচারকাজকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও সহজ করতে অনেক অবদান রাখবে।’
মন্তব্য করুন
আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারবো কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা, আমাদের চাপ সৃষ্টি করে যেতে হবে যাতে তারা স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।
তিনি জানান, বার্মিজ সামরিক জান্তাকে খুশি করার জন্য তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র ঘনিষ্ঠ চাটুকার ও কিছু কূটনীতিক রোহিঙ্গাদের জন্য এক নতুন নাম তৈরি করেছিলেন- FDMN, অর্থাৎ 'জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক'। এই শব্দটি আসলে বার্মিজ গণহত্যার মূল আখ্যানকে মেনে নেয়ার একটি কৌশল, যেখানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো 'FDMN' নয়- তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। 'FDMN' শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। (আমি নিজে ওই দুটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম)
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন
জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’
এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।
জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাজ্যের আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। তারা জানতে চেয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তায় কীভাবে সাহায্য করা যেতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদত্যাগ করতে চায়। তবে, নির্বাচনের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
রবিবার ব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে, বিকেলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ও নির্বাচনের প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যদি বলি যে নির্বাচনে তাদের কোনো আগ্রহ নেই, তাহলে তা সঠিক হবে না। তারা (যুক্তরাজ্য) আমাদের সহায়তায় আগ্রহী এবং জানতে চেয়েছে কীভাবে তারা আমাদের সাহায্য করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এখানে আমাদের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই।”
তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে পদত্যাগ করতে চাই, এবং এটা আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা জানি না, কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে। কারণ, বেশ কিছু কমিশন কাজ করছে এবং তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা বুঝতে পারব, নির্বাচনের জন্য কতটা সময় লাগবে।”
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে কিনা, তা বলা কঠিন। তবে আমরা যতটুকু সম্ভব কাজ করার চেষ্টা করবো। ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা আইন মেনে কাজ করবো।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার প্রথম দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, বিকেল ৩টার পর আবদুল মোমেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তার সঙ্গে দুদকের নতুন কমিশনার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী কমিশন ভবনে প্রবেশ করেন।
নিজের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি তিনটি রাজনৈতিক সরকার ও দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নেই, কোনো রাজনৈতিক চাওয়া নেই। এই সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের সেবা, এবং রাজনৈতিক সরকার আমাদের কাজকে প্রভাবিত করবে না। আমরা প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, সমাজ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, দুদকও কিছুটা দুর্নীতিগ্রস্ত হতে পারে। আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ থাকতে পারে, সেটিও আপনাদের সামনে আসবে। যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে তা খতিয়ে দেখবেন।
তিনি জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন কমিশনের স্থাবর ও অস্থাবর আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ২৯ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক ও কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছা. আছিয়া খাতুন পদত্যাগ করেন।
মন্তব্য করুন
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, "দাবি থাকতে পারে, কিন্তু ট্রেন বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা দুঃখজনক। এই বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই, যা করার তা অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আলোচনা চলছে, সমাধান হবে।"
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সারা দেশের ট্রেন চলাচল।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ব্যস্ত টিকিট কাউন্টারগুলোতে নিরবতা বিরাজ করছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাজশাহী কিংবা কক্সবাজারগামী যাত্রীরা স্টেশনে এসে জানতে পারেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ।
পরিবারসহ শীতে স্টেশনে অপেক্ষা করা যাত্রীরা জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার খবর আগে জানলে হয়তো আসতেন না। তবে কাউন্টারে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার (আমি কোনো সিদ্ধান্তদাতা নই)। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি না সেটা বুঝলে পরে আমরা বসবো।
বন্দরের স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।
আন্দোলনকারীদের ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নেই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে রাজনীতি কোনওভাবে প্রবেশ করবে না। যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য সরবরাহ করবে, দ্রুত সরবরাহ করবে এবং মানসম্মত পণ্য দেবে, তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা হবে। সেটা ভারত বা অন্য কোনো দেশ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
তিনি জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। তবে ভারত, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এবং এসব বিষয়ে রাজনীতি কোনওভাবেই সংযুক্ত হবে না।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "হ্যাঁ, দাম স্বস্তি থাকবে। খেজুরের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) হয়ে গেছে, এবং খেজুর চলে আসবে।"
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "যে স্থিতিশীলতা আশা করা হচ্ছে, তা পূর্ণভাবে আসেনি, তবে দাম কিছুটা কমছে। বর্তমানে চাল ও মসুর ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো খাদ্যদ্রব্য, এবং এর আগেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।"
তিনি বলেন, "ভবিষ্যতের দামের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সয়াবিন তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে, এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি, এবং ইতোমধ্যে কিছু সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। আমরা সব ধরনের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি। তাই একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।"
পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজনীতিবিদ বলেছেন যে, বাংলাদেশে কিছু রপ্তানি করা হবে না। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এটা কূটনীতিকরা দেখবেন। ভারতে যখন অতিরিক্ত চাল বা পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়, তখন তারা কোথায় বিক্রি করবে, তা তারাই ঠিক করবেন।"
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "সাপ্লাই চেইনে অনেক বিষয় জড়িত। অনেক মানুষ যুক্ত থাকে, পরিবহন, বাজার ইত্যাদি বিষয়গুলো ঠিক না হলে তো পণ্য গুদামে পড়ে থাকবে, তবে তা তো ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে।"
বাজারে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, এমন তথ্য দেওয়া হলে তিনি বলেন, "এটা একটু সমস্যা হয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেড়ে গেছে।"
সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "সিন্ডিকেট এক জায়গায় থাকে না। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট, পরিবহণ সিন্ডিকেট, রাজনৈতিক সিন্ডিকেট—সবই রয়েছে। আমি সবসময় বলি, রাজনৈতিক সমঝোতা করা খুব কঠিন, কিন্তু চাঁদাবাজির সমঝোতা করা অনেক সহজ।"
ট্যাক্স কমানোর পরও প্রভাব পড়ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এটাই আমার জন্য চিন্তার বিষয়। আমি তো সবকিছুর ওপর শুল্ক শূন্য করে দিয়েছি, তবে তাতে সঠিক ফল পাচ্ছি না।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মন্ত্রিসভার আবারও সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে বলে একাধিক মহল থেকে গুঞ্জন উঠেছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী একাধিক মহলকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কখন কীভাবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক ব্যক্তির কাছে ঈদের পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বলছেন যে, মন্ত্রিসভা আরও বড় করছি। কারণ এখন সরকার বড় হয়েছে এবং কাজকর্ম বেড়েছে। মন্ত্রীদের কাজের পরিধি বাড়ায় মন্ত্রিসভাকে বড় করতে হবে। এরকম আলাপ করা একজন আওয়ামী লীগের নেতা বাংলা ইনসাইডারের কাছে স্বীকার করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন যে, মন্ত্রিসভা আরও করা হতে পারে। তবে ঠিক কবে বড় করা হবে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এখনও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পূর্ণমন্ত্রী নেই। কোথাও কোথাও প্রতিমন্ত্রীরও প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে যে মন্ত্রিসভা রয়েছে সেই মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। এইখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এটি কখন দেওয়া হবে বা কাকে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
একইভাবে মন্ত্রিসভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখানে একজনকে আইন জানা এবং সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং বিজিএমইর পক্ষ থেকে একজন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বিজিএমইর ওই নেতাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, শ্রম আইন জানা একজন ব্যক্তিকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
একইভাবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীতে পদোন্নোতি দেওয়া হতে পারে এবং যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী বয়সে তরুণ পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন, কাজেই মোহাম্মদ আলী আরাফাতও পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়াও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোন পূর্ণমন্ত্রী নেই। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণমন্ত্রীর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত মাত্র দুইজন টেকনোক্র্যাট সদস্য রয়েছেন। আরও অন্তত দুইজন টেকনোক্র্যাট সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, রোজার পর পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঠিক কতজন আবার মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অসমর্থিত একাধিক সূত্র বলছেন যে, আরও তিন থেকে চারজন প্রতিমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে যুক্ত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন