

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার খুব দুর্বল। কার, এদের পেছনে কোনো দল ও জনমত নেই।
বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ভুল্লি ইউনিয়নের কুমারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যে ধ্বংসস্তূপ রেখে গিয়েছিল এই ধ্বংসস্তূপকে তুলে ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার রাস্তায় এত দাবি দাওয়ায় এই সরকার ভারাক্রান্ত। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা হবে।
মির্জা ফখরুল আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, এই দাবি দাওয়ার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে পড়তে পারে। তাই আগে নির্বাচন হোক, পরে সকল দাবি-দাওয়া পূরণ। পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলিসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
মন্তব্য করুন


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী জানান, একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এআই পদ্ধতি অবলম্বন করে তা করা হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোনো আইডি নেই।
তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের নামে একটি মহল নীল নকশা তৈরি করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। এসব ব্যাধি বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোনো স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
মন্তব্য করুন


ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য যদি কোনো কারণে নষ্ট হয় তাহলে সেটা ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনকেই কেবল টেনে নিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি এসময় সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যেন সেদিকে না যাই।’
রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা চাই সবাই যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বিজয়ী হয়েছিলাম। যে কারণে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে, সেই রকম ঐক্য যেন আমরা বজায় রাখি। এই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই হবে আমাদের সামনের দিনে এগিয়ে চলার জন্য একমাত্র শক্তি।
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এই প্রশ্নে এক থাকব। দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিবাদকে কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন হতে দেব না। সব দরজা বন্ধ করে দিতে হবে এই ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের। সেই জায়গায় যেন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।
জুলাই সনদকে জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক সমঝোতার একটা ঐতিহাসিক পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, সবার সম্মতিক্রমে এই জাতির একটা ঐক্যের মধ্য দিয়ে যেন আমাদের জুলাই সনদটা বাস্তবায়িত হয় এবং আমরা শহীদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। এই জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। সেই আহ্বান সবাইকে জানাব। যারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন এনসিপি। তাদের অনেক রকমের বক্তব্য আছে, যেগুলো আমরা নিজেরাও ধারণ করি। আমাদের অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার হিসেবে কিন্তু সেগুলোকে একটা বাস্তব রূপ দিতে হবে এবং বাস্তবের নিরিখে কথা বলতে হবে। আমরা যেন এমন কোনো প্রস্তাব না দেই যাতে করে ভবিষ্যতে সেই প্রস্তাবগুলো, সেই আদেশগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, কেউ যেন আমাদের এই টোটাল প্রক্রিয়াটাকে একসময় অবৈধ বলে আওয়াজ না দিতে পারে। সে কথা আমি আজ বা আগামী ৫ বছরের জন্য বলছি না। আগামী ১০ বছর পরে বা ১৫ বছর পরে যাতে এই প্রশ্নটা নিয়ে কেউ আদালতে না যেতে পারে সেরকম একটা ভিত্তি আমাদের এখনই রচনা করতে হবে। সুতরাং অতি সাবধানে আমাদের অর্জিত সাফল্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করেও তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে ভারতকে দাদাগিরি করা বন্ধ করতে হবে। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। ৩৬ দিনের সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছিলেন। একদিকে ভারত আমাদের পানি দিচ্ছে না, অন্যদিকে তারা আমাদের শত্রু শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার মতো সম্মান দিয়ে রেখেছে।
তিস্তা রক্ষার আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং সব অধিকার আদায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
মন্তব্য করুন


সংস্কার না করে বিএনপি নির্বাচন চায়- এমন ধারণা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবসময়ই প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত এক জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি যেটা মনে করি- আজ অত্যন্ত জরুরি একটা আলোচনা হচ্ছে যা ভীষণ জরুরি। সে আলোচনাটা যদি আমি অংশগ্রহণ করতে পারতাম পুরো সময় এবং সবার বক্তব্য শুনতে পারতাম তাহলে আমি সবচেয়ে উপকৃত হতাম। দুর্ভাগ্য আমার, যে আমি পুরো সময়টা হয়তো থাকতে পারব না। তারপরেও আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজকে যে তারা আজকে একটা অত্যন্ত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সংলাপের আয়োজন করেছেন আমি সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা আজকে এখানে উপস্থিত আছেন আমাদের দেশের জাতির অত্যন্ত বরেণ্য নেতৃবর্গ আমাদের বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং আজকের এই সভায় উপস্থিত আমাদের ভাই ও বোনেরা সবচেয়ে বড় যেটা আমাদের যারা এই জুলাইয়ের যে অভ্যুত্থান সেই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা এখানে অনেকে আছেন। যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা এখানে আছেন তাদের সবাইকে আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম। বিষয়টা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি আসলে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা আমার কথাগুলো বলা সেই সঙ্গে অন্যদের কথাগুলো শোনা এটা বোধ হয় আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সেজন্য আমার নিজেরই আমি অত্যন্ত দুঃখিত বোধ করছি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত সবচেয়ে জটিল একটা রাজনৈতিক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়টার মধ্যে আমাদের যে কাজটা আমাদের ওপর পড়েছে সে কাজটা হচ্ছে যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে আমরা যেন আমাদের স্বপ্নের মত করে দেখতে পারি সেই বিষয়টাকে কতটা স্থির করা যায় নির্ধারণ করা যায়। আজকে যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে আমি খুব সংক্ষেপে চলে আসছি সামনের দিকেই এসছি যে আপনার ঐক্য- এরা যেটা নির্ধারণ করেছেন সংস্কার ও নির্বাচন। আজকে ৫৩ বছর পরে এটা আমাদের দুর্ভাগ্য জাতিগতভাবে যে ৫৩ বছর পরে আজকে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে। আমাদের খুব ভালো হতো যদি আমরা প্রথম থেকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে একটা জায়গায় এসে পৌঁছাতে পারতাম। আমরা এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে আমি আমাদের দল থেকে বলতে পারি মনে করেন যে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ আছেন আমরা কিন্তু সংগ্রাম শুরু করেছি- তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। সেই সময়ে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে অনেক রাজনৈতিক নেতাদেরকে পঙ্গু করা হয়েছে; কারাগারে দেওয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ বছরগুলো ধরে আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলাম আমরা কিন্তু সেই লড়াইটা করছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমার দলের কথা আমি বলতে পারি যেটা আমার বলা উচিত বলে আমি মনে করি সেটা হচ্ছে আমাদের দলেই আমার ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা রয়েছে; আমাদের ৭০০ এর ওপরে নেতাকর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আয়না ঘরের কথা আপনারা সবাই জানেন- ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদেরকে। এই একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা কিন্তু কখনো থেমে থাকিনি। আজকে যে কথাটা হচ্ছে সোচ্চার হাওয়া সেই সোচ্চার আমরা প্রথম থেকে থাকার চেষ্টা করেছি। তখন আমরা অনেককে আমাদের সঙ্গে পাইনি এখন আমরা তাদেরকে সামনে দেখছি আমাদের খুব ভালো লাগছে আমরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, সংস্কার ব্যাপারটা আমরা অত্যন্ত আন্তরিক আপনাদের অনেকেরই জানা থাকে যদি যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন যে ২০১৬ সালে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি ভিশন ২০৩০ একটা আপনার আমরা একটা ডকুমেন্ট বের করেছিলাম যেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা খুব পরিষ্কার করে উল্লেখ করা ছিল এবং যে বিষয়গুলো আমরা পরিবর্তন আনতে চাই সেই বিষয়গুলোর কথা আমরা উল্লেখ করেছিলাম। সেখানেই আজকে যে বিষয়গুলো একদম সামনে এসছে যে আপনার প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের যে ক্ষমতা তার ভারসাম্য রক্ষা করা এক ব্যক্তি যেন দুবারের বেশি আসতে না পারেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে বিষয়টাকে নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে আপনার যে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট এটা কিন্তু তখনই অর্থাৎ ২০১৬ সালেই আমরা কিন্তু এই বক্তব্যটা নিয়ে এসেছিলাম। আমরা এটা আলোচনার জন্য দিয়েছিলাম জনগণের সামনে পেশ করেছিলাম। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আমরা আমি তখন জেলে চলে গেলাম আমরা বেশ অনেকেই জেলে গেলাম; সেটা আপনাদের মনে থাকার কথা গোলাপবাগে একটা জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা প্রথমে ১০ দফা এবং পরে সব রাজনৈতিক দলগুলো আপনারা সেটাকে সমর্থন করেন। পরে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছিলাম তারা আমরা কিন্তু একসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ৩১ দফা আমরা একটা কর্মসূচি সংস্কারের আমরা নির্ধারণ করি। এখানে মান্না আছেন, জুনায়েদ সাকি আছেন, আমার অন্যান্য রাজনৈতিক বন্ধুরা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই দীর্ঘ দুই বছর আমরা আলোচনা করেছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের যারা প্রখ্যাত এই বিষয়গুলোতে আপনার বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বারবার বসেছি ড. আলী রীয়াজ আছেন তার সঙ্গে কথা হয়েছে অনেকের সঙ্গেই তখন আমরা এই কথাগুলো বলেছি আলোচনা করে নির্ধারণ করেছি সুতরাং সংস্কার পক্ষে আমরা কিন্তু প্রথম থেকে দুর্ভাগ্য আমাদের যে এখন কিছু কিছু বক্তব্য আসছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না নির্বাচন চায় এ কথাটা সঠিক নয়। আমরা বারবার করে বলছি যে আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কারটাকে শেষ অর্থাৎ নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন একটা নির্বাচন করার জন্যগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন একথা ড. রীয়াজ বলেছেন সবাই বলছেন আর এটা বাস্তব যে গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক প্রধান দরজা যেহেতু ডেমোক্রেসি। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায় আমাদের প্রধান সমস্যা যে এই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি এখানে সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। একটা যে কথাটা বারবার এসেছে যে এখানে একটা ডেমোক্রেটিক কালচার যদি না থাকে তাহলে আপনি সেই ডেমোক্রেসিকে বারবার বলতে হচ্ছে আমাদেরকে এই এটা করতে হবে এটা করতে হবে এটা ডেমোক্রেসি এটা এভাবে যেতে হবে এই জিনিসগুলো কিন্তু আপনার একটা চর্চা ছাড়া বারবার প্র্যাকটিস করা ছাড়া কিন্তু সেটা গড়ে উঠবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, ইম্পোজ করে কোনো কিছু করা সম্ভব হবে না। যেমন আমি বলি কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট সিস্টেম আপনার আমরা তিনটা ইলেকশন করেছি। এই তিনটা ইলেকশন প্রত্যেকটি ইলেকশন কিন্তু একটা আরেটার চেয়ে ভালো হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার সিস্টেম আপনার মানুষ করেছে এবং তারা সেটাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করেছে এটা মানুষের কাছে একইভাবে আমরা যদি প্রেসিডেনশিয়াল ফর্ম অব গভর্মেন্টে চলে যেতাম অন্য কিছু দিতাম সেটা ওই মুহূর্তে কিন্তু জনগণ সেভাবে গ্রহণ করতো না আমার কাছে মনে হয়েছে।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নৌকা মার্কা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিচার করব এবং দেশকে সংস্কার করব।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এই প্রথমবারের মতো রাজপথে নামেনি, জীবন দেয়নি। এর আগেও বহুবার মানুষ সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭২ সালে 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বিনষ্ট হয়। দেশকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়। মুজিববাদী সংবিধানে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর নামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করা হয়।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ স্বৈরশাসনের পতন ঘটায়। কিন্তু ৩০ বছর পর আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।"
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত নয় মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।"
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে কাজ করবে? আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ হাসিনা কি গণহত্যাকারী? তাদের বলছি, আপনারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।"
সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সরকারের সমালোচনা করেন।
মন্তব্য করুন


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে পরিবারের লোকদের নিয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ক্ষমতায় থাকাকালে যেসব কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন তাদেরকে দলের দু:সময়ে পাশে পাননি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
চরম দুঃসময়ে যেসব নেতা দলীয় কর্মীদের পাশে ছিলেন না তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণঅভ্যুত্থানের দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। ছিলেন আড়ালে। অথচ আগে প্রায় প্রতিদিনিই বিরোধী দলকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতেন তিনি।
সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া ওবায়দুল কাদেরের এক সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি স্ত্রীসহ এক বাথরুমে ৫ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর কতদিন দেশে ছিলেন এবং পরে কীভাবে পালিয়েছেন সেটিও বেরিয়ে এসেছে ওই সাক্ষাৎকারে।
ওই ভিডিওতে ওবায়দুল কাদের ৫ আগস্টের উত্তাল দিনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘সংসদ এলাকার আমার নিজের বাসাকে এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী আরেকটা বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। তখন চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। এটা আসলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর (সাবেক) গণভবন কেন্দ্রিক। আমি যে বাসাটায় ছিলাম, তারা সে বাসাতেও হামলা করে। তারা জানত না, যে সেখানে আমি আছি।
ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, ‘আমি আমার স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম। অনেকক্ষণ ছিলাম, প্রায় ৫ ঘণ্টা। তারপর একটা পর্যায়ে তারা বাথরুমে ভেতরেও কমোড-বেসিন এগুলো ‘লুটপাট’ করেছে। আমার স্ত্রী তখন বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বারবার বলছিলেন যে আমি অসুস্থ, যাতে করে তাদের প্রবেশ ঠেকানো যায়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক ভেতরে ঢোকার হুমকি দিতে থাকে, বাথরুমে কী আছে তা লুট করতে চায়। এই অবস্থায় আমার স্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী করব? আমি বললাম, দরজা খুলে দাও।’
ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, ‘এরপর ৭-৮ জন যুবক ভেতরে ঢোকে, এবং তারা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আচরণ করতে থাকে। হঠাৎ তারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘নেত্রী তো চলে গেলেন, আপনি যাননি কেন?’ আমি তখন কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এর মাঝেই তারা আচরণ পাল্টে ফেলে। কেউ একজন বলে, ‘আপনার ছবি তুলব’, তারপর শুরু হয় ছবি তোলা, কেউ কেউ সেলফিও নেয়। ধারণা করি, এদের মধ্যে অনেকেই আমাকে চিনতো।’
তিনি জানান, ঠিক কী কারণে প্রথমে তাদের মধ্যে এত আক্রমণাত্মক মনোভাব ছিল, আর কেন হঠাৎ করে সেই আচরণ শীতল হয়ে গেল- তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। আচমকাই তারা ঠান্ডা মাথায় কথা বলা শুরু করে। তাদের মধ্যেই একটা গ্রুপ তখন চাইছিল তাকে রাস্তায় নামিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে, আবার কেউ কেউ চেয়েছিল জনতার হাতে তুলে দিতে। এই পরিস্থিতি তার মনে গভীর চাপ ও মানসিক ভাঙন সৃষ্টি করে। এরপর তারা তাকে একটি শার্ট, লাল পতাকাসংবলিত ব্যাজ এবং মুখে কালো মাস্ক পরিয়ে সংসদ এলাকা থেকে গণভবন অভিমুখী বড় রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। হঠাৎ কোথা থেকে একটি খালি ট্যাক্সি বা ইজি বাইক এসে হাজির হয়- সেই মুহূর্তে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। তিনি মনে করেন, এটি হয়তো তার ভাগ্যের বিষয় ছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বৈরাচার হাসিনার অন্যতম এই সহযোগী বলেন, তাদের মধ্যে দু’জন তাকে ও তার স্ত্রীকে সেই গাড়িতে তোলে এবং পথে যেতে যেতে চারপাশের চেকপোস্ট ও লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি, বিরক্ত করবেন না।’ এইভাবেই তারা তাকে অনেক দূরের একটি জায়গায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভাবতেও পারিনি যে যারা কয়েক মিনিট আগে বাথরুমে জোর করে ঢুকেছিল, তারাই আমাদের এভাবে রক্ষা করবে। সেদিন বেঁচে যাওয়া ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। এটা ছিল পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী তিনমাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ফন্দি আঁটছিলেন দেশের শ্রমিক অসন্তোষ ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার।
মন্তব্য করুন


নির্বাচিত নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের চীন সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সফরে এক চীন নীতির প্রতি বিএনপির দৃঢ় অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজন জানানোর পর চীন ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।
এ নিয়ে দেশটি প্রস্তাব দিলে ভবিষ্যতে ইতিবাচকভাবে দেখবে বিএনপি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কথা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে মায়ানমারকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে চীন বলে জানিয়েছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে গত ২২ জুন ৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৭ জুন দেশে ফেরে প্রতিনিধিদলটি।
সফরে মির্জা ফখরুলের সঙ্গী হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন


গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফেরার একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আর বিকল্প কোনো পথ নেই।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতই সংস্কার করি বা বুদ্ধিজীবীরা মিলে কৌশল আবিষ্কারের চেষ্টা করি, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারব না।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী ও স্বাধীনতাকামী। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই লড়াইয়ে মানুষ বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে যতবার হোঁচট খেয়েছে, ততবারই উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে।
হাসিনাকে শুধু ‘হাসিনা’ বললে সম্মান দেয়া হবে এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দানব হাসিনা দেশের বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, আমাদের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা- সমস্ত কিছু তছনছ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন বলে দাবি করে। অথচ গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ধানের শীষকে আটকে দেয়ার চেষ্টা চলছে। ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা চলে যেতে বাধ্য হবে।
স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে শহিদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করেন নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
৬ আগস্ট বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সব দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে গতকাল রাতে বঙ্গভবনে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান, বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়। এসময় অনতিবিলম্বে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে। লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য হয়।
মন্তব্য করুন