বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাত্রা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এবার জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথমার্ধে তিনি লন্ডন যাচ্ছেন। দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে মেডিকেল বোর্ডের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি। তবে এটি এখনও নিশ্চিত নয়। সবকিছু খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন ১৬ সদস্যের একটি টিম। এ টিমে তার চিকিৎসা বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য, তিনজন দলীয় নেতা, দুজন একান্ত সচিব, একজন প্রটোকল অফিসার, পুত্রবধূ এবং দুজন গৃহকর্মী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন তার পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ৮ বছর পর মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের এ সাক্ষাৎ হবে।
সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যেসব হাসপাতালে তার চিকিৎসা হবে সেখানকার অ্যাপয়েন্টমেন্টও নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসএসএফ একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা আমার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে বিদেশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। আমি এসএসএফ-এর সার্বিক পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্ট। এজন্য আমি সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসএসএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী, তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এই বাহিনী আমার নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরগুলো সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিবের রাষ্ট্রীয় সফরের সামগ্রিক নিরাপত্তা এই বাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা হুমকির ধরন ও প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসএসএফ সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এসএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, সম্প্রতি এসএসএফ যমুনার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করেছে। এসএসএফ একইভাবে এই কার্যালয়েরও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করবে। এসএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত মনোবলের সন্নিবেশে দিন দিন আরো উন্নতি সাধন করবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্ধারিত সময়সীমা মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
রোববার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার সাভারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০ ডকুমেন্ট স্ক্যানার এবং ৪৩০০ ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউএনডিপি। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী। সিইসি জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপেও তাদের সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে আয়োজনের দাবি করা হলেও সিইসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছয় মাসের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে এতে কিছুটা কমবেশি হতে পারে।”
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার যুক্ত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনেক মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করায় মামলার তদন্ত কাজ বিলম্বিত হচ্ছে, প্রকৃত নিরাপরাধ ব্যক্তিরা যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।
আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দপ্তর এবং পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এসময় র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, পুলিশের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থানাগুলো থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্রগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উদ্ধার করতে ব্যাপকভাবে অভিযান চালানো হবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা র্যাব-১১ এর কার্যলয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোন বাংলাদেশি অবৈধ উপায়ে ভারতে থাকলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের গ্রহণ করবে বাংলাদেশ। ভারতে থাকা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের গ্রহণ করা হবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এর আগে সকাল ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জ র্যাব-১১ সদর দপ্তর পরিদর্শন করে র্যাব কর্মকর্তাদের খোঁজ খবর নেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন পরিদর্শন করে বৃক্ষ রোপন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামক একটি সংগঠনের সমর্থকেরা হামলা চালায়। তারা হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “যদি এমন ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, তবে সারা বাংলার মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান, সংগঠক বিল্লাল হোসেন, মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত হিমু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশের ‘টোন’ (কণ্ঠস্বর) ভিন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সভা শেষে তিনি সীমান্ত সম্মেলনের আলোচ্যসূচি তুলে ধরেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি নতুনত্ব কী চাচ্ছেন? নতুনত্ব হলো, আগে যেভাবে কথা বলা হতো, এবার কথার টোন আলাদা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সীমান্ত সম্মেলনে কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক ও দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করা। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিএসএফ এবং তাদের দেশের দুষ্কৃতকারীরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যায়, এটাও যাতে তারা না করেন, সেজন্য তাদের বলা হবে। অনেক সময় তারা সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে পারাপারের চেষ্টা করে, এগুলো যাতে না হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘ভারতীয়রা অনেক সময় সীমান্তের কাছে মাদক বা ফেনসিডিলের কারখানা তৈরি করে সেগুলো বাংলাদেশে পাঠায়। এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে। সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে অনেক কাজ আছে যেগুলো করার নিয়ম নেই, সেগুলো অনেক সময় তারা করতে চায়। কিছু কাজ আছে যেগুলো করতে হলে দুই দেশের অনুমোদন লাগে।’
আগরতলা দিয়ে ভারতের শিল্প বর্জ্য বাংলাদেশে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি আছে। তবে চুক্তিতে ইটিপি/এসটিপি লেখা আছে, যা উচিত ছিল ইটিপি ও এসটিপি। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি যাতে সুষম বণ্টন হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। ছোটখাটো নদীগুলোর ক্ষেত্রে আলোচনা করা হবে, কারণ বড় নদীগুলোর বিষয়ে আলাদা নদী কমিশন রয়েছে। ফেনীর মুহুরির চরে বর্ডার পিলার স্থাপন নিয়ে সমস্যা আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেটা তারা কীভাবে বন্ধ করতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। এছাড়াও কো-অর্ডিনেটর বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নামে একটি বড় বিষয় আছে, এটা নিয়েও আলোচনা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কীভাবে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হয়, আস্থা আরও বাড়ে, সে বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলা হবে। গত সরকার ভারতের সঙ্গে কয়েকটি অসম চুক্তি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো যাতে বাতিল হয়, সেজন্য আমরা বলব। বলব চুক্তি এভাবে নয়, ওইভাবে হওয়া দরকার ছিল। এই চুক্তিগুলোর বিষয়ে আমরা এর আগেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের (ভারত) জানিয়েছি।’
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের শাস্তি ও জরিমানা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভিসা ছাড়া যারা বাংলাদেশে আছে, তারা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি। তারা জরিমানা দিয়ে চলে যেতে পারবে। এরপরও যদি তারা থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা, ১৫০ জায়গায় বেড়া নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের সমস্যা, নদীগুলো নিয়ে সমস্যা—এসব আমাদের মূল এজেন্ডা। এসব বিষয়ে আমরা ছাড় দেব না।’
মন্তব্য করুন
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সরকার কাজ করছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকলেও তা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকায় কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্বের হার কমানো গেলে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে আলোচনা হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে তাদের নিজেদের কারণেই। সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে। তবে, সবাইকে কাজ দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার নিমতলী এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাওয়ামুখী আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই বাসের হেলপার মো. জীবন (৪৪) নিহত হন। তার বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাঁও গ্রামে। এ ঘটনায় বাসযাত্রী মো. রায়হান (২৭) আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তিনি সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের বাসিন্দা।
অপরদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে শ্রীনগরের হাসাড়া এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনায় আরও দুজন প্রাণ হারান। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের আনুমানিক বয়স ৩৫ ও ২৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ক্যামিলিয়া সরকার জানান, রাতেই দুজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয় এবং ভোরে আরও দুজনের মরদেহ আনা হয়েছে।
পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু নির্বাচন কমিশনের জন্য ৫ সদস্যের সিলেকশন কমিটি গঠনের সঙ্গে একমত বিএনপি। এজন্য একটা সার্চ কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৮ তম দিন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা শুধুমাত্র সংবিধানে উল্লেখ থাকলেই যথেষ্ট নয়, তার কার্যকর স্বাধীনতা উপযুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা অতীতে বলে এসেছি যে, প্রতিটি সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবিধানে আলাদা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এনে, সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আচরণবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তবে, নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি সংবিধানে আলাদা করে উল্লেখ করা যায়- এই ক্ষেত্রে আমরা একমত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানায়, সংলাপে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন কমিটি গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। এই কমিটিতে থাকবেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার (সভাপতি), বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি।
এই কমিটি নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রার্থী খুঁজে বের করতে একটি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যেখানে সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ নাম জমা দিতে পারবে। সংসদে একটি আইন প্রণয়ন করে এই অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটির কাঠামো নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সেটি সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিটি চাইলে এই তালিকা থেকে অথবা নিজেরা আরও প্রার্থী বিবেচনায় নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।’
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বৈশাখ উৎযাপনের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ বছর ব্যাপক আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে। রোজার মত চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
সম্প্রতি বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির দোকানে ভাঙচুর হয়েছে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, এসব দোকানের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানায়, সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় ৪৯ জনকে আটকও করা হয়েছে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কি না এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকেই ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গায় মেলাও হচ্ছে, বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন