রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এর মধ্যে মো. রাসেল হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে জাহাংগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি জানান, আসামি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বয়স্ক, অনেক অসুস্থ। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। এসব বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিল প্রার্থনা করছি।
এ সময় জাহাংগীর আলম বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কিছু বলার আছে। অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন একই আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার দুই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভবিষ্যতে কেউ আর অর্থপাচার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম ও দুর্নীতি স্বাভাবিক হতে ২-৪ মাস সময় প্রয়োজন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ক্ষয়-ক্ষতি শুরু হলেও এখন কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে এবং বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলছে।
বেসরকারি খাতে ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, পলিসি রেট আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যাতে কমে না যায়, সেদিকে সরকারের নজর রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাজস্ব আদায়কারী ও আইনপ্রণেতাকে আলাদা করা হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বাণিজ্য সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখনো পুরোপুরি হয়নি। এছাড়া জ্বালানি সমস্যা এখনও বিদ্যমান, যার কারণে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হবে।
এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে। ব্যবসায়ীরা হতাশ হবেন না। গত ১৫ বছরে যা হয়েছে, তা অকল্পনীয় ছিল এবং এর ক্ষতি প্যারাসিটামল দিয়ে সারানো সম্ভব নয়। কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সম্মেলনে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশকে যেতে হবে কি না এবং চ্যালেঞ্জগুলো নেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা এখনই পর্যালোচনা করা উচিত।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমানে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনিটারি পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি খাত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে এবং ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোও জরুরি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চারটি কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা প্রতিবেদনগুলো জমা দেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জমা দেওয়া কমিশনগুলো হলো: ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বৈঠক চলছে বলে জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে। আজ বিকেল তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে সরকার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এটি হলো গত ৩ অক্টোবর কমিশন গঠনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের পরবর্তী ধাপ।
মন্তব্য করুন
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছ থেকে বাংলাদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে। তিনি অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ বিএসএফের।
বিএসএফ জানায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিয়মিত টহলের সময় ওই কর্মকর্তাকে সন্দেহজনকভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে কোনো দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় ভূখণ্ডে এভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েননি।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর একটি, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদীঘেরা ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনবসতি এবং শহরাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচারের ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে।
বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও গরু পাচার, জাল মুদ্রা চোরাচালান রোধে কাজ করছে। এ জন্য সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বেড়া নির্মাণের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক কর্মকর্তা এককভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, নাকি কোনো চক্রের হয়ে কাজ করছিলেন—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনা সীমান্তে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এনেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা রয়েছে—একটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর এবং অন্যটি ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে চূড়ান্ত তারিখ নির্ভর করবে জনগণের চাওয়া সংস্কারের মাত্রার ওপর।
শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য রূপা হকের সঙ্গে আলোচনার সময় ড. ইউনূস এ মন্তব্য করেন। আলোচনায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও আগাম সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়ে কথা হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গত তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেই সময় ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং ভুয়া স্পিকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের জনগণ তাদের কণ্ঠ ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের কণ্ঠস্বর জোরপূর্বক দমন করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।”
ব্রিটিশ এমপি রূপা হক বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে আমি খুবই উৎসাহিত।”
রূপা হক আলোচনায় উল্লেখ করেন, কেন গত জুলাই মাসে জনগণের বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের ঘটনাগুলোও উঠে আসে। তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভই গণঅভ্যুত্থানের মূল কারণ।”
আলোচনার শেষে রূপা হক বলেন, “আমি আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আবারও আসতে আগ্রহী।” সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস পেয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
২০০৭ সালের ২৭ মে যৌথবাহিনী বাবরকে আটক করে। গ্রেপ্তারের সাত দিন পর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল লাইসেন্সবিহীন রিভলবার রাখার অভিযোগে তাকে ১৭ বছরের সাজা দেন। তবে হাইকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, বিচারিক আদালতের এই সাজা অবৈধ ছিল।
আদালতে বাবরের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, যৌথবাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের সাত দিন পর এই মামলা উদ্দেশ্যমূলকভাবে দায়ের করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল যে একটি লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জব্দকৃত তালিকায় সেই ব্যাগের কোনো উল্লেখ ছিল না। এই অসঙ্গতির ভিত্তিতে হাইকোর্ট বাবরকে খালাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মুহূর্তে ইসি অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ইসি প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে ওঠে, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য সবচেয়ে আগের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এতে কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই ইসির অগ্রাধিকার। তাই ইসি এখন শুধু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইসি তা বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বিতর্কিত আঞ্চলিক পরিচালক সাঈমা ওয়াজেদ পুতুলকে শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এর চার মাস আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে। খবর হেলথ পলিসি ওয়াচের।
ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ ইমেইলে জানান, সাঈমা ১১ জুলাই থেকে ছুটিতে থাকবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ডব্লিউএইচও-এর সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বেহম ‘কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, বেহম ১৫ জুলাই মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কার্যালয়ে পৌঁছাবেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সাঈমা দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তবে শুরু থেকেই অভিযোগ ওঠে যে তার প্রভাবশালী মা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই বিষয়ে দুদকের তদন্ত শুরু হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। দুদক সূত্রে জানা যায়, সাঈমা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল দলিল ব্যবহার) লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি অনারারি পদে কর্মরত ছিলেন বলে দাবি করেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এই তথ্য তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবেদন করার সময় উপস্থাপন করেছিলেন।
দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান, সাঈমা তার সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রধান থাকাকালে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেন, যা তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আদায় করেন। তবে এই অর্থের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দুদকের মামলায় দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আরো যে ধারাগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হলো—বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা ও অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পত্তি গ্রহণ) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।
এই অভিযোগের পর থেকে সাঈমা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন না, কারণ বাংলাদেশে প্রবেশ করলেই তার গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের টাইমলাইন কেমন হবে—এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা চান, গণতান্ত্রিক উত্তরণ সফল হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাবেন। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি।
আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। তারা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তারা বলেছেন, সংস্কারের জন্য সময় কম থাকায় তারা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তারা চাপ দিচ্ছেন না, বরং পরামর্শ দিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত থাকে, সেটা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হোক, তা আমরা চাই না। তারা এ বিষয়টি সমর্থন করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকা উচিত। অন্যথায়, জাতি যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ৭ দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে শুরু হওয়া তিন দিনের অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে তিনি এসব প্রস্তাব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সালে এবং তারও আগে থেকে সম্পদ এবং সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার এবং আরকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদশে না প্রবেশ করে।
এ সময় রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অবদান রাখার সংকল্প ঘোষণা করে, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৭ দফা প্রস্তাব দেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং সমাধান সেখানেই আছে।
নির্বাচন নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেশ এখন স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষণ ঘোষণা করা হচ্ছে।
উলেখ্য, উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোববার (২৪ আগস্ট) ‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক তিন দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতর যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
২৪ আগস্ট সম্মেলনের প্রথম দিন বিকালে বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। এতে যোগ দেন ৪০টি দেশের প্রতিনিধি। ছিলেন জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করা সব অংশীজন।
তিন দিনের এ সম্মেলন থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজবেন তারা।
সম্মেলনের শেষ দিনে (২৬ আগস্ট) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বিদেশি অতিথিরা। তিন দিনের সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফান্ড, গণহত্যার বিচার, খাদ্য সহায়তা ও রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ব্যাপারে জোর দেওয়া হবে।
এছাড়াও সম্মেলন থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরবে সরকার।
মন্তব্য করুন
ফিটনেসবিহীন বাসের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন শেষে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় সাত হাজার মানুষ নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অনেক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহন দায়ী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন কীভাবে সড়কে চলাচল করছে এবং কেন বিআরটিএ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের যানবাহনের কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার সময় মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফোন বা মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। মেসেজে লেখা থাকবে— ‘আপনার গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার সময় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা করুন।’ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা না করা হয়, তাহলে সেই যানবাহনের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।”
গণপরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, চালকরা মাদকাসক্ত কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি আমাদের ব্যর্থতা।”
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দ্রুত নিশ্চিত করতে বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কাজ ধীরগতিতে চলছে। এটি দ্রুত করতে হবে।”
বিআরটিএতে প্রায় সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন এই লাইসেন্সগুলো দ্রুত বিতরণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী মার্চের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
মন্তব্য করুন