

বাংলাদেশ পুলিশের সাত অতিরিক্ত ডিআইজি এবং সাত পুলিশ সুপারকে বদলি করেছে সরকার। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করে নতুন একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনের সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
বদলি হওয়া সাত অতিরিক্ত ডিআইজির মধ্যে ডিএমপির সুলতানা নাজমা হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, ডিএমপির মো. ছালেহ উদ্দিনকে র্যাবে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের (সিএমপি) মো. হুমায়ুন কবিরকে পিবিআইয়ে, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মোহাম্মদ রিয়াজুল হককে পুলিশ টেলিকম ইউনিটে, পিবিআইয়ের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হককে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে, বিএমপির মো. শামীম হোসেনকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া ওএসডি হওয়া আসমা সিদ্দিকা মিলিকে ঢাকা টিডিএসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বদলি হওয়া সাত পুলিশ সুপারের মধ্যে ডিএমপির গৌতম কুমার বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাকে পুলিশ সদর দপ্তরে, বরিশাল পিবিআইয়ের মো. হুমায়ুন কবিরকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে, রেলওয়ে পুলিশের শাকিলা সোলতানাকে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে, পিবিআইয়ের মোমতাজুল এহসান আহাম্মদ হুমায়ুনকে হাইওয়ে পুলিশে, পিবিআইয়ের আবু তোরাব মো. শামসুর রহমানকে হাইওয়ে পুলিশে, এসবির মো. আমীর খসরুকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। নির্বাচনের সময় নিয়ে দলগুলোর বক্তব্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। এতে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের, দলের নয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা মাথার মধ্যে এটাই রাখছি- ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, আমরা ফেব্রুয়ারিতে চলে যাবো।
তিনি বলেন, এখন রাজনৈতিক দল তো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলে এবং ওইটা তো একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। আপনারা তো এটা সবসময় দেখেছেনই। বাংলাদেশে ট্রেডিশনালি এসব রাজনৈতিক কথাবার্তা হতো, এখনো ঠিক ওরকমভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে। কথাবার্তায় খুব বেশি গুণগত পরিবর্তন হয়নি। ফলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কে কী বলবেন এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখবেন।
‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আছি। আমাদের স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) সর্বজন স্বীকৃত একজন বিশ্বপর্যায়ে নন্দিত মানুষ। উনি নিজে ঘোষণা করেছেন, তার এ ঘোষণা থেকে আমাদের পিছিয়ে আসার বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই।’ যোগ করেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মন্তব্য করুন


সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নেই। বাজারে যারা দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, সেটা তাদের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত হতে পারে—সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়।
এর আগে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৬ টাকা, পাম ওয়েলের দাম ১৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৩ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
গত আগস্টেও ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। সে সময় ব্যবসায়ীরা লিটারপ্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছিল মাত্র এক টাকা বাড়াতে।
নতুন করে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক হলেও উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে—সরকার এখনো বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয়নি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকার ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল প্রশাসন’ কিছু মানুষের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বাস্তবে সরকার মাত্র ১৫ মাসেই তাদের প্রায় সব লক্ষ্য অর্জন করেছে।’
আজ মঙ্গলবার শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলছি—এটি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সরকারগুলোর একটি। তারা তাদের প্রায় সব লক্ষ্যই অর্জন করেছে।’
কেউ কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের অদক্ষতার অভিযোগ করলেও তা নাকচ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরেছে।
বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলা বন্ধ হয়েছে’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র এই সরকারের দুর্বলতার কারণে ‘পাল্টা শুল্ক সুবিধা দেবে না’—এমন সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করা হয়েছে কোনো লবিং ফার্ম ভাড়া না করেই।’
সরকারের আইন প্রণয়ন বিষয়ক কাজের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৫ মাসে রেকর্ডসংখ্যক আইন পাস হয়েছে, যার মধ্যে বিস্তৃত শ্রম সংস্কার আইনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
জুলাই ঘোষণা ও সনদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং জুলাই চার্টার এমন এক রাজনৈতিক সমঝোতা গড়ে তুলেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুনর্গঠন করতে পারে।’
সরকারের অন্যান্য অর্জনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন, ফলে ভবিষ্যতে কোনো সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামিন বা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বন্দর অপারেটর লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বিনিয়োগ।’
এ ছাড়া নতুন পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো বাংলাদেশের অবস্থানকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রে নিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধির পথে ফিরেছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাট রোধ করা হয়েছে, টাকা স্থিতিশীল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে নেমে ৭ শতাংশ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতের কার্যক্রম অনুযায়ী, অতীতের নিপীড়নের জন্য জবাবদিহি শুরু হয়েছে এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ন্যায়বোধের আবির্ভাব ঘটেছে। শেখ হাসিনাকে তার অবস্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গুম বন্ধ হয়েছে।
একসময়ের জাতীয় জীবনে আধিপত্যকারী বিএএল চরমপন্থী রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং একটি সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ এসেছে। পূর্ববর্তী নির্যাতনের ওপর নির্মিত জনপ্রিয় প্রামাণ্যচিত্রগুলো এর প্রমাণ। এটি এক ফারুকি-ইফেক্ট।’
র্যাব এখন আইনের অধীনে পরিচালিত হয়, আর কোনো অনানুষ্ঠানিক মতবাদে নয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়রানি থেকে সরে এসেছে বলে শফিকুল আলম জানান।
গত ১৬ মাসে একটিও সাজানো ‘ক্রসফায়ার’ ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
সরকারের আরো অনেক সাফল্য রয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ইতিহাসের এক আগ্রহী পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত কিছু অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার এই ১৫ মাসে করেছে।’
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। এটি চালু হলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, মানবাধিকার পরিষদ সরাসরি সেগুলো তদন্ত করতে পারবে।’
শারমিন মুরশিদ আরও বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় বিষয়টি ইতিবাচক দেখছে সরকার।’
এর আগে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফলকার টুর্ক।
সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে।’
গতকাল সোমবার রাতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। দুই দিনের ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় থেকে সাতজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
মন্তব্য করুন


দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে এমনটাই বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শুক্রবার সকালে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নারীদের দক্ষভাবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রাক্তন ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে। নীতি-নৈতিকতার সাথে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্যাডেটসহ জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌযানগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ বিষয়ে জরিমানার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় জুম প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের দেশের বিভিন্ন ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নৌপথে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদে দেশের বিভিন্ন নৌপথে জলযানসমূহের সুষ্ঠু চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূরপাল্লার লঞ্চগুলোতে সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হবে বলেও তিনি জানান। এছাড়া নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে নৌপথের বিশেষ অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ টহল কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও যানবাহনসমূহকে ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য বিআইডব্লিউটিসির কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনসমূহ প্রয়োজনে ০২২২৩৩৬২৭৭৯ ও ০১৪০৪৪৪৩৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারবেন।
নৌ দুর্ঘটনা রোধে ঈদের আগের ৫ দিন ও পরের ৫ দিন দিনে-রাতে সার্বক্ষণিক বাল্কহেড (বালুবাহী) চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, সদরঘাট বা অন্যান্য ঘাটে যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি করতে পারবেন না। কোনো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতেও পারবেন না। বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপদেষ্টা যেসব জলযানের ফিটনেস নেই, তাদেরকে অবিলম্বে ফিটনেস সনদ নেওয়ার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার একটি চার্ট ঘাটগুলোতে টাঙিয়ে রাখতে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা ঢাকার জিরোপয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি জানান, দুদক এ বিষয়ে কাজ করছে।
বুধবার গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছে; দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে দুদক।’
এর আগে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি ব্রিটেনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।
প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।
এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এমন সতর্ক থাকতে হবে, যেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছি। এ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের এই বিষয়ে খুবই স্বচ্ছ হতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে।
মন্তব্য করুন


জাতীয় জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় এই স্বাক্ষরগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাক্ষরগ্রহণ অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত।
অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ–সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঞ্চে নেতাদের মধ্যে দেখা গেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখকে।
এর আগে দুপুরে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুপুর ১টার দিকে জুলাই যোদ্ধারা অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বৃষ্টি নামলে অনুষ্ঠান কিছুটা বিলম্বিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা দেরি হতে পারে। তিনি লেখেন, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, কিছু অতিথি ইতিমধ্যেই ভেন্যুতে এসে পৌঁছেছেন। আমাদের ইতিহাসের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, খুব ভালো সনদ হতে যাচ্ছে। কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, তবে আমরা ভবিষ্যতে সেটি সমাধানে কাজ করব। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্রের পথে শক্ত যাত্রা শুরু হবে।
এদিকে দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এ রকম ঘটনা বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। ঐকমত্য কমিশনের আহ্বানের পরও পরিস্থিতি যেভাবে গড়িয়েছে, তা শুভ বার্তা নয়।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি দাবি কমিশন বিবেচনায় নিয়েছে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে জুলাই সনদে সংশোধন এনেছে। এখন আর তাদের উদ্বেগের কারণ নেই।
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ দুপুর ২টার দিকে জুলাই জাতীয় সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করে।
উল্লেখ্য, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দল আগেই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জানায়, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া তারা সনদে সই করবে না। একইভাবে, সংশোধিত খসড়া না পেলে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত জানায়।
মন্তব্য করুন


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ের ফলে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন, দিনের ভোট রাতে হবে না। মৃত মানুষও ভোট দিতে পারবেন না। এর মধ্য দিয়ে দেশ গণতান্ত্রিক মহাসড়কে হাঁটা শুরু করলো।
বৃহস্পতিবার সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনবর্হাল করে আপিল বিভাগ রায় দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আপিল বিভাগ আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়টি আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করেছেন। আপিল বিভাগ এই রায়কে প্রসপেক্টিভ ইফেক্ট দিয়েছেন। অর্থাৎ আগামী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এই রায় কার্যকর হবে। ফলে ত্তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে আনা হয়েছিল। সেটাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে, এটা সাংবিধানিক বলে ঘোষিত হলো। ত্তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবেই হয়তো পূর্ণাঙ্গ রায়ে আসবে। কারণ এই লাইনে শুনানির ভিত্তিতেই কনক্লুশন এসেছে।
নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে সংবিধানের ৫৮(গ)৩ অনুসারে প্রধান বিচারপতিই কি এই সরকারের প্রধান হবেন? জুলাই সনদে কিন্তু ভিন্ন ধরনের কথা বলা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় আসলে সেটা দেখা যাবে।
পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার সঙ্গে এই রায় কোনভাবে সাংঘর্ষিক হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। এটা পঞ্চদশ সংশোধনীর ইস্যু। অসৎ উদ্দেশ্যে এই সংশোধনী আনা হয়েছিল উল্লেখ করে হাইকোর্ট এটাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, সে পার্টটা আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ হয়নি। যদি চ্যালেঞ্জ হয়ও, আপিল বিভাগ এই রায়টাকে অতিক্রম করবে না। এটা রিভিউয়ের রায়। রিভিউয়ে আপিলের অনুমতি দিয়ে এই রায়টা হয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। পরবর্তী সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান রয়েছে, সেটা কার্যকর হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকের রায়ে আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়টিকে কলঙ্কিত বলা হয়েছে। এটা কেন বলা হয়েছে, সেটা পূর্ণাঙ্গ রায়ে থাকবে। তবে আমি মনে করি, ওই রায়টি ত্রুটিপূর্ণ ও কলঙ্কিত বলেই তা বাতিল করা হয়েছে। শুনানিতে অনেক গুলো কারণ আমরা দেখিয়েছি। তার অন্যতম একটি হলো, ওই রায়টি লেখার ক্ষেত্রে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ যারা তার সহায়ক ছিলেন, তারা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। আমাদের আইনে রায়ের সংজ্ঞা বলা আছে, যেটা মুখ দিয়ে ঘোষণা করা হয়, সেটাই রায়। এটা পরিবর্তনের পদ্ধতিও রয়েছে আইনে। তবে তারা কোনো কিছুই অনুসরণ না করে ঘোষিত রায়কে নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এটা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপ করে যে নির্বাচন হয়েছিল, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে কবর রচিত হয়েছিল, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর গণতান্ত্রিক মহাসড়কে বাংলাদেশ হাঁটবে, কোনটা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।
মন্তব্য করুন