ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সকল সরকারি কর্মকর্তার জন্য ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা এবং বৃহৎ করপোরেশনগুলোকে ই-রিটার্নে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডিজিটালাইজেশন বিষয়ে সারাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরুর সিদ্ধান্তও বৈঠকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ) প্রকল্পকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত করার ওপর নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ নিশ্চিত করা, সামগ্রিক চিত্র ও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন রোডম্যাপের দিকে নজর রাখা এবং ভূমি সম্পর্কিত জনসেবা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের জন্য কার্যনির্বাহী সময়সূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান অশিক চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা হিসেবে)। বিশ্বব্যাংক এই অর্থায়নটি করবে 'এনহ্যান্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজন' প্রকল্পের আওতায়।
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্বব্যাংক এর আগে স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি (এসইউএফ) তহবিল থেকে প্রকল্পটির মূল ঋণচুক্তি ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল স্বাক্ষরিত করেছিল। কোভিড-১৯ চলাকালে কিছু অর্থ প্রত্যাহারের পর বর্তমানে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির জন্য অতিরিক্ত ৩ কোটি ডলার অর্থায়ন প্রয়োজন ছিল, যা বিশ্বব্যাংক অনুমোদন করেছে।
এই ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর, যার মধ্যে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে। ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়া, অনুত্তোলিত ফান্ডের ওপর ০ দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট চার্জ থাকলেও, পূর্ববর্তী বছরের মতো এই অর্থবছরে কোনো কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে না।
মন্তব্য করুন
দেড় মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা নিশ্চিত করেছেন যে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে এই অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এর আগে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারে ছিল, তবে ধীরে ধীরে তা কমে গিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ডলারপ্রতি ১২০ টাকার মান নির্ধারণ এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে রিজার্ভ ১৯ থেকে ২০ বিলিয়নের মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমদানি বৃদ্ধির কারণে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ১২৭.৭০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, যা ব্যাংকগুলোকে নতুন এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমদানিতে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ১০ শতাংশ। একই সময়ে রেমিট্যান্স ৩০ শতাংশ এবং রপ্তানি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ইতিবাচক প্রবণতা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ২৯৮ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৭ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৮৮০ জনে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা এবং অন্যজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৭ জনে।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ৩৬ মিনিটে শেষ হয়। মাওলানা জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এই মোনাজাতে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুভেজা চোখে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
এই দিনে তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। চোখ যতদূর যায়, শুধু মুসল্লিদেরই সারি দেখা গেছে। তারা পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করেন। আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৬টা থেকে ঢাকার ৩০০ ফিট, ধওর ব্রিজ এবং ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে ইজতেমাগামী সব যানবাহনের চলাচল বন্ধ ছিল। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা ধীরে ধীরে ময়দান ত্যাগ করছেন। এরপরই এসব সড়ক আবারও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ হলো যৌতুকবিহীন গণবিয়ে। শনিবার বাদ আসর ইজতেমা ময়দানের মূল বয়ানের মঞ্চে ৬৩ জোড়া দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতের মাওলানা যোহাইরুল হাসান মোহরে ফাতেমা অনুসারে এই বিয়ের আয়োজন পরিচালনা করেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, "প্রতিবারের মতো এবারও ৬৩ জোড়া দম্পতির যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার সূচনা হয়। প্রথম পর্বের এই তিন দিনের ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশ নেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত, যেখানে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত (২০ জন অনাবাসী রাষ্ট্রদূতসহ) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৮ জন একত্রিত হয়ে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকারের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ এটি প্রথমবার। এই বৈঠক বাংলাদেশ ও ইইউ-এর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রফিকুল আলম আরও বলেন, আসন্ন যৌথ সভায় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যত গঠনে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকার কারণে নয়াদিল্লির বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থিত বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত বুলগেরীয় দূতাবাস থেকে ৮৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদান করছে।
রফিকুল আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাংককে অবস্থিত কাজাখস্তান দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, চলমান আলোচনা অনুযায়ী, বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তারা ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদান করতে আগ্রহী।
মন্তব্য করুন
অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তিন থেকে চারটি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামী হিসেবে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি নিয়ে অনেকেই জানতে চান। একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জুলাই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত মামলাগুলোর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর ইতিমধ্যে এ আদালতে বিচারের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আদালত পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে চার মাস আগে। এর মধ্যে আদালতে ৩০০টির বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম যাচাই-বাছাই করে ১৬টি মামলা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ১৬টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার তদন্তকাজ এ মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আমরা আশা করি। এরপর চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচারকাজ শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহ সময় প্রস্তুতির জন্য ডিফেন্স আইনজীবীদের দিতে হয়। আমরা আশা করছি, এই তিন সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়াটা ঈদের পরপর এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) অব্যাহতভাবে শুনানি চলছে। সব মামলার রায় পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে শুরু করে পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা যাবে বলে আশা করি। সেই হিসাবে অক্টোবরের মধ্যে তিন-চারটি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এ সমস্ত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আসামী হিসেবে রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘যদি পুরো বিচারকার্যটা বিবেচনা করি, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এক বছরের মতো সময় লাগছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনার আমলে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির একজন নেতার বিচার হয়েছিল, সেই বিচারকাজ শেষ করতে গড়ে কমপক্ষে আড়াই বছর লেগেছিল। এখানে আমাদের এই আদালতে অর্ধেকেরও কম সময় লাগছে।’
সময় কম লাগার কারণ তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত টিম অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত কাজ করছেন। আমরা নিয়মিত খবর রাখছি। এ বিচারকার্যগুলো আরও দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, এই বিচারগুলো অনেক দিন আগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হচ্ছে। এখন যে বিচার চলছে, এর সাক্ষ্য-প্রমাণ এত বেশি রয়েছে যে, আমরা আশা করছি এক বছরের মধ্যেই প্রথম কয়েকটি রায় পাওয়া যাবে।’
আগামী দু-একদিনের মধ্যে জাতিসংঘের তদন্ত টিমের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আমি এই রিপোর্টের ব্যাপারে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলব না। তবে একটি বিষয় বলে রাখি, তাদের এই রিপোর্ট আমাদের তদন্ত ও বিচারকাজকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও সহজ করতে অনেক অবদান রাখবে।’
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়ে শুরু হলো নতুন বর্ষ ২০২৫। মহাকালের স্রোতে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। দুঃখ-কষ্ট ভুলে, নতুন স্বপ্ন আর আশা নিয়ে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ২০২৫ সালকে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানান আয়োজনের মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয় নববর্ষ উদযাপন।
বিদায় মানেই স্মৃতি আর অনুভূতির মিশ্র আবেগ। একটি বছরের গল্প যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। বিদায়ী বছর নিয়ে আসে আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। আজকের ভোরের সূর্য নতুন দিনের বার্তা নিয়ে এসেছে। গেল বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘটেছে নানান ঘটনা। কিন্তু জীবন চলছে তার আপন গতিতে, আর মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে নতুন স্বপ্ন আর আশার আলোয়।
পুরোনো বছরের গ্লানি ভুলে, নতুন বছরের উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মানুষ। বিশেষত, ৩১ ডিসেম্বরের রাতটি ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ হিসেবে উদযাপন করে বিভিন্ন দেশ। এই উৎসবের আনন্দ বাংলাদেশেও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
২০২৪ সালের সব কষ্ট আর হতাশা পেছনে ফেলে, ২০২৫ সালের নতুন প্রত্যাশা ও উদ্দীপনায় মধ্যরাতের ১২টা ১ মিনিটে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় নববর্ষ উদযাপন। দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সমাজ, বিভিন্ন কর্মসূচি ও আনন্দ আয়োজনে অংশ নেয়।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভ কামনা বিনিময়ে মেতে উঠেছে দেশের মানুষ। প্রিয়জনদের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছরের আনন্দ উদযাপন।
মন্তব্য করুন
ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৪ মে) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
গণসংবর্ধনার আয়োজন করেন গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিপি নুর বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন- আমি ঢাকা থেকে নির্বাচন করব; কিন্তু মা-মাটিকে তো ভুলে যাওয়া যায় না। এই চরের কাদামাটি, এই নদীর পানি গায়ে মেখে বড় হয়েছি, এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কী করে। আপনারা যদি সমর্থন করেন তাহলে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) থেকেই নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে রাষ্ট্র ঠিক করতে বেগ পেতে হচ্ছে। হয়ত আগামী ২-১ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা না করে সংহতি এবং সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পুরনো দল পুরনো নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব দরকার। গণঅধিকার পরিষদের যে গণজোয়ার উঠেছে, আমরা এ রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
ভিপি নুর বলেন, একক কোনো দল যেন সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না করতে পারে তাই দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করার দাবি করেছি। সব দলের যেন সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকে এ প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। কোনো অপরাজনীতি নতুন বাংলাদেশে চলবে না।
মন্তব্য করুন