

ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ জরুরি নয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, যদি জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে শেখ হাসিনা দণ্ডিত হন, তবে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন।
শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, শেখ হাসিনার পরিণতি যদি নির্মম হয়, তবে তার পাশে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা দাঁড়াতে সাহস পাবেন না। যারা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, সংবিধানকে ছিঁড়ে মানুষের অধিকার লুণ্ঠন করেছে, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং বিচারের মাধ্যমে তারা কারাগারে যাবে। জুলাই বিপ্লবে শহিদরা ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এই বিপ্লব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সংঘটিত হয়েছিল। এ বিপ্লবের অর্জনকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রকারী এর বিরোধিতা করতে পারবে না। বিপ্লবীরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আওয়ামী লীগ ভোটাধিকার হরণ করেছিল, যা ফ্যাসিস্ট শাসনের একটি উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা থেকে হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ঢাকায় এনে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ধারাবাহিকতায় বিগত তিনটি নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছিল। যারা এসব নির্বাচনের মাধ্যমে কলঙ্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, যা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেফতার এবং বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা, মধ্যরাতের নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত করা উচিত। যারা নির্বাচনি অপরাধে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার হওয়া উচিত।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন:
১. বিগত নির্বাচনকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করে যারা নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনি অপরাধ করেছে, তাদের বিচার করা।
২. সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করা।
৩. আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন পরিবেশ না থাকলে যে কোনো সময় ভোট বন্ধের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে ফিরিয়ে দেওয়া।
৪. নির্বাচনকালীন সন্ত্রাস, ভীতি সঞ্চার, বা অন্য যেকোনো নির্বাচনি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া।
৫. দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা এবং ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাধা দেওয়া।
৬. আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া।
৭. নির্বাচনি গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করা আইন বাতিল করা।
৮. নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা করা।
৯. নির্বাচনী মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করার উপায় বের করা।
১০. নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং কোনো চাপের কাছে মাথা নত না করার আহ্বান জানানো।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচন বানচাল হলে ফ্যাসিবাদের আবার উত্থান হবে। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কোনো আন্দোলন করা সঠিক হবে না।
শনিবার এনডিপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্ন্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআর’সহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও বিভিন্ন দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।
জামায়াত যাদের নিয়ে আন্দোলন করছে ও বক্তব্য দিচ্ছে, ‘২৪ এর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী ছিল— এ প্রশ্ন তুলে, সেটি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। এসময়, গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি জাতিসংঘকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যদি বলি যে আগামীকাল রাস্তায় নামবো, তাহলে মনে হয় ড. ইউনূস ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না। কিন্তু আমরা চাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস সফল হোন। ওনার সাফল্য মানেই হলো, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সফলতা। আজকে যারা জুলাই আন্দোলনের মুকুট চায়, তাদের তো মুকুট অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। আমরাও দিয়েছি।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং মন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করিনি। কিন্তু ওনারা (বৈষম্যবিরোধী নেতারা) এত ঘন ঘন সচিবালয়ে যায় কেন, ডিসি অফিসে যায় কেন। আজকে যে জাতি তাদের মাথায় তুলেছে, সেই মাথা থেকে যদি পায়ের তলায় পড়ে যায় সেটার জন্য কি জাতি দায়ী?
দেশে দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা। দুর্নীতি বাড়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসিনার আমলের ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো রয়ে গেছে। এই সরকার তো দুর্নীতি রোধে হাত দেয়নি! কয়জনকে ধরা হয়েছে? ধরার উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বিচারও করেনি।
দেশের বন্দর নিয়ে গয়েশ্বর বলেছেন, বন্দর চালানোর জন্য যদি দেশে লোক না থাকে তাহলে বিদেশ থেকে আমরা এক্সপার্ট আনতে পারি। যেমনটি গার্মেন্টস শিল্প উন্নয়নে বিদেশের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলিডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম।
মন্তব্য করুন


মতভেদ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জাতীয় কোনো ইস্যুতে বা গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয় তিনি সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিজয় র্যালির আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই- বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কারণ, আমি বিশ্বাস করি ধর্ম, দর্শন, মত যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার।
এসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও সমর্থন চান তিনি।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।
গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের সামনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অপার সম্ভাবনা এবং সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের কারণে আসা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে; জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে, ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে না। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। আর কোনো রক্তাক্ত চব্বিশ আমাদের দেখতে হবে না।
বিজয় মিছিল আয়োজন নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টের আমলে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকের বিজয় মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা।
মন্তব্য করুন


বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথম দিন থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে এবং তাকরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞ টিম এ বিষয়ে কাজ করছে।’
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ‘ভেটেরিনারি সায়েন্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ইত্যাদি খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর সেটাই হবে নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এককভাবে রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র পরিপূর্ণভাবে পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। সেই গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য আমাদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিন্নমতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য ছিল। বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর অবিচার হয়েছে। ৬০-৭০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজার লোক গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে, জেলখানার মধ্যে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। গত ৫ আগস্ট আমি নিজেও কারাগারে বন্দী ছিলাম।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাইয়ের ত্যাগের প্রতি আমরা যদি সম্মান জানাতে চাই, তাহলে যার যার অবস্থান থেকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে এই ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। কথাবার্তায়, আচার-আচরণে গণতান্ত্রিক হতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আনতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং পরিচালক (পিআরটিসি) অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
মন্তব্য করুন


শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখা পর্যন্ত আল্লাহ যেন বেগম খালেদ জিয়াকে বাঁচিয়ে রাখেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (২৯ নভেম্বর) হাসপাতালে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আল্লাহ যেন ওই জিনিসটা (শেখ হাসিনার ফাঁসি) বেগম খালেদা জিয়াকে দেখায়, যার কারণে তার আজকে এই পরিণতি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। যদি কোনো ডাক্তার তার চিকিৎসা করতে আসতেন, তখন ওই ডাক্তারকে হয়রানি করা হতো। এভাবে ক্রমশ তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
দল-মত নির্বিশেষে দেশবাসী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছে উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং ফ্যাস্টি খুনি হাসিনার ফাঁসি যেন তিনি দেখে যেতে পেরেন—আপনার সবাই তার জন্য দোয়া ককরবেন।
রাজধানীর একটি হাসপাতালের সিসিইউতে ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ অবস্থায় চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া। ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া। এর সঙ্গে রয়েছে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরনো সমস্যা। ফলে একটি রোগের চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তার আশু-রোগমুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ সাগর হোসেনের পাঠানো বার্তায় রাষ্ট্রপতি সংকটাপন্ন খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে এ দোয়া প্রার্থনা করেন।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি নিয়মিত বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া জাতির জন্য ভীষণ রকম অনুপ্রেরণা। তার সুস্বাস্থ্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিহিংসামূলক মামলার প্রেক্ষাপটে লিখিত বই ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, "বেগম জিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সম্মান পেয়েছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যিনি বিনা সংকোচে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন। একইভাবে ব্রিটিশ সরকারকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা কোথাও কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি। বেগম জিয়া যেখানে যা চেয়েছেন, তা পেয়েছেন।"
নির্বাচন নিয়ে অশুভ প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, "নতুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতা থেকে চলে যান, তারপরও কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সংস্কারের কথা তারা বলে, অথচ বিএনপিই প্রথম সংস্কার শুরু করেছিল।"
দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পরে ৭ আগস্ট বেগম জিয়া বলেছিলেন, ধৈর্য ধরতে হবে। কোনো প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করা যাবে না। নেতাকর্মীদের এই মনোভাব ধারণ করতে হবে।"
গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "দেশকে রক্ষা করতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। বিভক্তির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কারণ কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই এই বিভক্তি দূর করা সম্ভব। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।"
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। খুব শিগগির আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেব। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।
তিনি জানান, জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এই দেশের মানুষ গ্রহণ করে না।’
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি সংস্কার কমিশন থেকে নয়, বরং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি থেকে এসেছে। এই পিআর পদ্ধতি জনগণ চায় না, জনগণ চায় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে।’
নির্বাচন ঘিরে সামনে কঠিন পরীক্ষা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কোনো কিছু বিশ্বাস করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার আহ্বান জানান তিনি। সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে ছিল।
এখনো কেউ কেউ প্রচার করছে যে আমরা সংস্কার চাই না—এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। বিএনপি নিজেই সংস্কার আন্দোলনের ফসল।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, কিছু দল বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা চাই ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হোক।
জনগণ এখনই নির্বাচন চায়। আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই সুযোগটি যেন হারিয়ে না যায়।’
মন্তব্য করুন


বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১৬০টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশাচালক শ্রমিক দল এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে নানা সুবিধা দিয়েছেন। এই সুযোগে ভারত সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।”
তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা বা উন্নয়নকাজ নিতে হলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু ভারত তা না মেনে একতরফাভাবে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
রিজভী বলেন, “৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ভারত ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। শেখ হাসিনা এই বেআইনি কার্যক্রম ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং ভারতের প্রতি নতজানু থেকে সীমান্তরক্ষীদের প্রতিরোধ করার সুযোগ দেননি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা সবসময় দাবি করেন, তাঁকে নাকি কেনা যায় না। কিন্তু ভারত তাঁকে সবার আগে কিনেছে। আর সেই কারণেই তিনি নিজের দেশের স্বাধীনতা ও গৌরবকে পদদলিত করে ভারতের অন্যায্য কার্যক্রমে সুযোগ করে দিয়েছেন।”
দোয়া মাহফিলে রিজভী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশাচালকদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। আহতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মন্তব্য করুন