

ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব খোলা। এরপরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে দর্শক উন্মাদনার কমতি নেই। মিরপুর শেরে বাংলায় প্রথম ম্যাচেই গ্যালারি ভরে গেছে দর্শকে। স্টেডিয়ামের গেটেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যনীয়।
দর্শকদের চাপ এত বেশি ছিল, খেলা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই হোম অব ক্রিকেটের মূল প্রবেশদ্বার ২ নম্বর গেটের বাইরে টিকিট না পাওয়া দর্শকদের উন্মত্ত আচরণে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। টিকিট না পেয়ে ২ নম্বর গেট দিয়ে মূল গেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন দর্শকরা। এক পর্যায়ে গেটের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা।
অপ্রত্যাশিত এ ঘটনা বাদ দিলে দর্শকদের এই উন্মাদনা বিপিএলের মতো আসরে ইতিবাচক। বিশেষ করে এর আগে বিপিএলে সিলেট, চট্টগ্রামে এই উন্মাদনা থাকলেও ঢাকার মাঠে দর্শক কম দেখা গেছে। এবারের শুরুতে বেশ দর্শক দেখা গেলো।
প্রথম ম্যাচ চলছে ফরচুন বরিশাল আর দুরন্ত রাজশাহীর। দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যাপিটালস আর রংপুর রাইডার্সের। হাইভোল্টেজ সে ম্যাচে দর্শক উন্মাদনা আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে।
দেড়মাসব্যাপী বিপিএলের একাদশ আসর ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন


নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনলেন লিওনেল মেসি। অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম নয় আর্জেন্টাইন মহাতারকার জন্য। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন এখন প্রতিনিয়তই হচ্ছেন। ম্যাচশেষে পিএসজি কোচ এক প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, এসবে (দুয়ো) অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মেসি।
শনিবার (১৩ মে) রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে অ্যাজাক্সের বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। একবার করে বল জালে জড়িয়েছেন ফাবিয়ান রুইজ ও আশরাফ হাকিমি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। তবে নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা মেসি গোল-অ্যাসিস্ট কিছুই পাননি।
শত্রুভাবাপন্ন ঘরের মাঠে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। যেখানে দুয়ো শোনা এখন এই বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ডের জন্য একরকম স্বাভাবিক হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সুর নরম করা প্যারিসিয়ানদের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তিনি। পার্ক দ্য প্রিন্সেসের মাঠে যতবারই মেসির পায়ে বল গেছে, ততবারই তিনি ‘আল্ট্রাস’ সমর্থকদের দুয়ো শুনেছেন।
তবে ম্যাচশেষে গণমাধ্যমকে গালটিয়ের বলেন, মেসিকে দুয়ো দেওয়া হচ্ছিল। তবে দ্রুতই স্টেডিয়ামের বড় অংশের দর্শকরা লিওর সমর্থনে সরব হয়। এতে দুয়োধ্বনি চাপা পড়ে যায়।'
পিএসজি কোচ আরও যোগ করেন, 'আমার মনে হয়, সে এ ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত। সে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন পরিস্থিতিতে অনেক পড়েছে। তবে আমি আবার বলতে চাই, মেসিকে দেওয়া প্রতিটি দুয়োই সমর্থকদের অনুপ্রেরণাদায়ী চিৎকারে ঢেকে গেছে।'
এদিকে, সমর্থকদের তোপের মুখে পড়লেও সতীর্থদের সমর্থন পেয়েছেন মেসি। খেলা চলাকালে সুয়ারেজের সঙ্গে নেইমারের কথোপকথনের স্ক্রিনশট পরে নিজেদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন ব্রাজিল তারকা। যেখানে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একসঙ্গে আমাদের বন্ধু লিওনেল মেসিকে দেখছি।’
পরে নেইমারের সেই পোস্টে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুয়ারেজও। স্প্যানিশ ভাষায় সুয়ারেজ লিখেছেন, ‘আমি সব সময় গ্রেটদের সম্মান করি।’ তার এই মন্তব্যের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট—মেসি ফুটবল–বিশ্বে কতটা শ্রদ্ধার পাত্র, সেটাই পিএসজির সমর্থকদের মনে করিয়ে দিতে চাইলেন বার্সেলোনার সাবেক তারকা।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলা হলো না সাকিব আল হাসানের। দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাকিবকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনের বেলা বেশ নাটক হয়েছে। তিনি দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে দুবাই আসেন ট্রানজিটের জন্য। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সেখানে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব নিজেই জানান, তার দেশের মাটিতে টেস্টকে বিদায় জানানো হচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সরকার তাকে দেশে ফিরতে বারণ করেছে।
এরপর গতকাল রাতেই এ বিষয়ে কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের দেশে আসা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটি আমার বিষয় নয়।'
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট—সাকিব তখন পোস্ট দিলো যে সে কোথাও আনন্দ করছে। এটা কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে?'
তিনি বলেন, 'এছাড়া যে সমস্ত জুয়া, বেটিং, উশৃঙ্খল আচরণ... আমার মনে হয় এটার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী। এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও করেছে। মায়া লাগে। কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায়, সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।'
মন্তব্য করুন


হংকংয়ের বিপক্ষে শমিত, জায়ান ও ফাহামিদুলসহ তারা চারজনই ম্যাচের শুরু থেকে খেলতে চান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। শুরুবার (১০ অক্টোবর) হংকংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন তিনি।
তবে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে হংকংয়ের কাছে হারের পর বিষণ্ন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। অ্যাওয়ে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন সবাই। আগামী ১৪ অক্টোবরের হংকংয়ের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ।
জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি, শমিত, ফাহামিদুল, জায়ান একসঙ্গে ওয়ার্ম-আপ করি। সে সময় ওদের বলেছি, আমরা যখন নামবো তখন ম্যাচের গতিপথ বদলাতে হবে। আমাদের চার জনের ইমপ্যাক্ট ভালো ছিল। চার জনই শুরুর একাদশে খেলতে চাই। সব মিলিয়ে আমরা ভালো খেলেছি।’
তবে কে খেলবেন তা কোচ ঠিক করবেন। জামাল তেমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন না খেলি সেটা তো ভুল, এটা আমি বলবো। আমি সব ম্যাচ খেলতে চাই। কিন্তু দিনশেষে কারা খেলবে এটা কোচের সিদ্ধান্ত। আমি চাই খেলতে।’
বাংলাদেশ দলের শেষ মুহূর্তে গোল হজম নিয়ে জামাল বলেন, ‘এই দলের একটা হিস্টরি আছে, আমরা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করি। এই ম্যাচের আগে আমরা আলাপ করেছি, আমাদের ফুল ম্যাচ ফোকাসড থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনেও বলেছি, আমরা যদি জিততে চাই বা পয়েন্ট নিতে চাই, আমাদের পুরো ম্যাচে মনোযোগী থাকতে হবে। কিন্তু আমরা পারিনি।’
সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে জামাল বলেন, হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইতিবাচক কিছু করতে চান। ‘তাদের তিন পয়েন্ট দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। আরও তিন পয়েন্ট... ইনশাআল্লাহ আমরা কিছু দিতে পারবো।’
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়রথ চলছেই। সবার আগে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছিল দলটি, গ্রুপপর্ব শেষ করেছে শীর্ষে থেকেই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে আইপিএল ফাইনাল।
আইপিএলে দলকে উৎসাহ যোগাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিয়মিতই গ্যালারিতে দেখা যায় কলকাতার যৌথ মালিক শাহরুখ খানকে। গতকাল প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচেও কন্যা সুহানা খান, ছোট ছেলে আব্রাম খান ও ম্যানেজার পূজা দাদলানিসহ মাঠে উপস্থিত ছিলেন বলিউড বাদশাহ।
কলকাতার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর উৎসবে মেতে উঠতে মাঠে নেমে গিয়েছিলেন শাহরুখ। পরে দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে করেন মাঠ প্রদক্ষিণ। সেই সময় সম্প্রচারকারী সংস্থার একটি অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন বলিউডের এই তারকা। সেই অনুষ্ঠান করছিলেন আকাশ চোপড়া, পার্থিব পটেল এবং সুরেশ রায়নার মতো ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। ভুল বুঝতে সময় লাগেনি কলকাতা মালিকের। দ্রুতই সরে যান সেই জায়গা থেকে। পরে ওই তিনি সাবেক তারকার কাছে ক্ষমাও চান।
অবশ্য শাহরুখ ঢুকে পড়ার পর তার সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন রায়নাসহ অন্য তিন ক্রিকেটার। সেই মুহূর্তের দুইটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। ক্যাপশনে সেখানে লেখেন, ‘সবসময়ের মতো বিনয়ী শাহরুখ খানের সঙ্গে আজ দেখা হওয়া ছিল অসাধারণ ব্যাপার। বিশাল তারকা হওয়া সত্ত্বেও তিনি সবসময় নম্র আচরণ করেন ও প্রত্যেকটি আলোচনায় বিনয়ী থাকেন। ফাইনাল নিশ্চিত করায় কলকাতাকে অভিনন্দন।’
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি মৌসুমের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ ফুটবলার ফিল ফোডেন। তার পুরস্কারও এবার পেলেন ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ইংল্যান্ডের ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লিউএ) বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। মেয়েদের বিভাগে এই পুরস্কার জিতেছেন সিটিরই জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড খাদিজা শ।
আজ শুক্রবার এই দুজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এটি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী-পুরুষ দুই বিভাগেই বর্ষসেরা পুরস্কার উঠল সিটির ঘরে। ২০১৯ সালে ছেলেদের বিভাগে পুরস্কার জিতেছিলেন রাহিম স্টার্লিং। মেয়েদের বিভাগে জিতেছিলেন নিকিতা প্যারিস।
২০২৩-২৪ মৌসুমে সিটির হয়ে আক্রমণভাগে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের নাম হয়ে উঠছেন ফোডেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এরই মধ্যে করেছেন ২৪ গোল। এছাড়া সতীর্থদের দিয়ে আরও ১০টি গোল করিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা হয়েছেন ফোডেন। পরের স্থানগুলোতে আছেন ফোডেনের ক্লাব সতীর্থ রদ্রি ও আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেক্লান রাইস। গত বছর এই পুরস্কার জিতেছিলেন সিটির ফরোয়ার্ড আর্লিং হল্যান্ড।
মেয়েদের বিভাগে খাদিজা পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ ভোট। চলতি মৌসুমে উইমেনস সুপার লিগে এখনো পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার ওপরেই আছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
মন্তব্য করুন


ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলোত্তি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তার স্কোয়াড নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী নেইমারকে বিশ্বকাপে দেখা যাবে কি না, এ নিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মহলসহ ভক্তদের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল সরগরম আলোচনা। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আনচেলোত্তি বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার করে দিলেন।
আনচেলোত্তি বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা নেইমারকে নিয়ে খুবই আগ্রহী। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এখন ডিসেম্বর, বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। মে মাসে যখন আমি স্কোয়াড ঘোষণা করবো, তখন যদি নেইমার যোগ্য প্রমাণিত হয়, ফিট থাকে, অন্যদের সমান বা তাদের চেয়েও ভালো থাকে, তাহলে সে বিশ্বকাপে খেলবে। বিষয়টি এতটাই সরল।’
এ মৌসুমে সান্তোসের হয়ে নেইমার এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলেছেন।
করেছেন ৮ গোল ও ১টি অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও তার পারফরম্যান্স ছিলো উল্লেখযোগ্য, ৪ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের দুই টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ দল থেকে ছিটকে পড়েছেন বাবর আজম। তাকে বিশ্রামের কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। আর বন্ধুর খারাপ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন ফখর জামান। আর তাতেই বাঁহাতি ওপেনারের ওপর চটে লাল পাক ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরে সংঘাতটা লেগেই গেল। গতকাল রোববার পাক বোর্ডের তরফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করা হয়। সেখানেই পাকিস্তানের নয়া নির্বাচক কমিটি ক্রিকেটারদের স্পষ্ট বার্তা দেয়— হয় পারফরম্যান্স কর, নয় সরে দাঁড়াও। বোর্ডের এই অবস্থানের জেরে দল থেকে ছাঁটাই হন বাবর আজম। দলে নেই শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
পাক বোর্ডের তরফে মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডিতে পরের দুই টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়, তা প্রকাশ্যে আসার পরই জানা যায়, দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তিন তারকা ক্রিকেটারকে। এর মধ্যে নাম রয়েছে গত এক দশকে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজমের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখর জামানের লিখেছেন—খারাপ সময়ে যখন বিরাট কোহলির গড় অত্যন্ত কম ছিল। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রান পায়নি, তখন ভারতীয় বোর্ড কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিল। অথছ বাবর আজমের খারাপ সময় তার পাশে দাঁড়াল না পাকিস্তান বোর্ড— এটা অত্যন্ত খারাপ একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করে বলেন, ক্রিকেটারদের ছোট না করে বোর্ডের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।
ফখর জামানের ওপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তান বোর্ড। যদিও তার পোস্টের পরই পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে তার সঙ্গে। পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ফখর জামানের পোস্টে বোর্ড একদমই খুশি নয়। যারা এ বিষয়ে দায়িত্বে রয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
পাক বোর্ডসূত্রে জানা গেছে, নতুন যে নির্বাচক কমিটি হয়েছে, তার অন্যতম সদস্য সাবেক অধিনায়ক আজহার আলি। তিনি বাবর আজমের সঙ্গে শনিবারই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া আরেক নতুন নির্বাচক আকিব জাভেদ জানিয়েছেন— এ মুহূর্তে ক্রিকেটারদের ফর্মের দিকে আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। বাবর-শাহিনদের বোঝানো হয়েছে, ওদের আত্মবিশ্বাস ফেরার জন্য এবং ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য এই দুই টেস্টে বিশ্রাম প্রয়োজন। আর আমাদের এই সিরিজে যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
একটা সময় নিন্দুকেরা বলছেন, নিজের জন্য এবং ক্লাবের জন্য খেলেন মেসি। জাতীয় দলের জন্য না, তার মধ্যে নেই দেশপ্রেম। তবে জাতীয় দলে হয়েও সবকিছু অর্জন করার পর সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে যখন ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন মেসি।
তখন তার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল বেদনার অশ্রু। একটা ট্রফির জন্য কিংবদন্তির এমন কান্না দেখে কোটি ফুটবল ভক্তদের হৃদয় কেঁদেছে। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে সময়ের সেরা খেলোয়াড় তো বটেই, অনেকে এলএম-টেন মানেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
এবার এই তালিকায় যোগ দিয়েছে স্প্যানিশ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মার্কা। তার হাতে তুলে দিয়েছে সর্বকালের সেরা ও সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন এই কিংবদন্তি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একটা সময় স্প্যানিশদের তল্লাটে কাটিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
এক যুগের বেশি সময় ধরে খেলেছেন স্প্যানিশ জায়েন্ট ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। ক্লাবটিকে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ১০টি লা লিগায় শিরোপাসহ জিতেছেন মোট ৩৪টি শিরোপা। এছাড়াও পুরো ক্যারিয়ারে ৪৬টি ব্যক্তিগত ও ৫৬টি দলগত শিরোপা জিতেছেন এই কিংবদন্তি। এবার ক্যারিয়ারে গোধূলীলগ্নে এসে স্প্যানিশ জনপ্রিয় দৈনিক মার্কা কর্তৃক সর্বকালের সেরা ও সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন সর্বোচ্চ আট বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফুটবলার।
মন্তব্য করুন


ততক্ষণে রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেছে। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব। তবে আল্ট্রা এস্পানিওল বা উগ্রপন্থী সমর্থকদের তোপের মুখে শিরোপা উৎসবে ক্ষান্তি দিয়ে একপ্রকার পালিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লেভানদোভস্কিদের।
রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। আর তাতে তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
মন্তব্য করুন


ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়ে গত বছর বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পরিবর্তে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রিগেকে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ক্ষোভে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এমনকি তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদও এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের হাতে ব্যালন ডি’অর না যাওয়ার খবর পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি। ভিনিসিয়ুস কেন প্যারিসে যাননি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন পর এবার তিনি নিজেই কথা বলেছেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভিনিসিয়ুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমাকে আমার ক্লাব যা করতে বলেছে, আমি তা-ই করেছি। তারা আমাকে মাদ্রিদে থাকতে বলেছে, আমি সেটাই করেছি। কোনো সমস্যা নেই। আমরা এখন পরের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।"
ব্যালন ডি’অর জয়ের সবচেয়ে বড় দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি না পাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল—এমন প্রশ্নের জবাবে ভিনিসিয়ুস বলেন, "আমি কখনোই ব্যালন ডি’অর জেতার স্বপ্ন দেখিনি। তবে আপনি যদি এত কাছাকাছি যান, তাহলে অবশ্যই সেটা পেতে চাইবেন। তবে আমার জন্য এখনও ব্যক্তিগত পুরস্কার এবং ক্লাবের হয়ে ট্রফি জেতার সুযোগ আছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি ইতিমধ্যে দুটি ইউরোপীয় ট্রফি জিতেছি। আরও জেতার জন্যই আমি এখানে আছি।"
ভিনিসিয়ুস শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, "আমি এখানে ইতিহাস লেখার জন্য এসেছি। এই ক্লাব এবং প্রেসিডেন্ট আমাকে যা দিয়েছেন, আমি তা শোধ করতে চাই। আশা করি, আমি গোল করে যেতে পারব এবং এই জার্সি গায়ে দিয়ে আরও অনেক ম্যাচ খেলব। এখন আমি জয়ের স্বাদ পেয়েছি এবং এখানে আমার ইতিহাস লেখা শুরু করেছি। আমি আরও চাই।"
মন্তব্য করুন