গোল যেন হচ্ছিলই না! তবে যখন হলো, তখন একেবারে নাটকীয়ভাবে—যোগ করা সময়ে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল। বদলি হিসেবে নামা দারউইন নুনেজের সেই দুই গোলেই ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরল লিভারপুল।
ম্যাচের শুরু থেকেই লিভারপুল ছিল আধিপত্য বিস্তারকারী দল। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সময় যত গড়িয়েছে, তাদের চাপ ততই বেড়েছে। কিন্তু গোলের দেখা কিছুতেই মিলছিল না।
অন্যদিকে, স্বাগতিক ব্রেন্টফোর্ড খেলেছে প্রতি আক্রমণের কৌশলে। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও দুর্বল ফিনিশিংয়ের কারণে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
লিভারপুল অবশ্য একের পর এক ব্যর্থ আক্রমণের পরও আশা হারায়নি। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে তাদের ধৈর্যের ফল মেলে।
৯১ মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের নিচু পাস থেকে গোল করে লিভারপুলের সমর্থকদের স্বস্তি দেন নুনেজ। এরপর, ৯৩ মিনিটে হার্ভে এলিয়টের বাড়ানো পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। দুই মিনিটের ব্যবধানে করা এই দুই গোলেই জয় নিশ্চিত করে লিভারপুল।
এই জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ২১ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৪৩, ফলে তাদের সঙ্গে লিভারপুলের ব্যবধান এখন সাত পয়েন্ট।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
সৌদি আরবের জেদ্দায় শুরু হয়েছে ২০২৫ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলাম। রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ পর নিলামের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
এবারের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নাম উঠেছে ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিংয়ের। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের এই ক্রিকেটারকে পেতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যায়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মিলে তাকে দলে ভেড়ানোর জন্য আক্রমণ করে।
একসময় হায়দরাবাদ ১৫ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নিতে চেয়েছিল। তবে আর্শদীপ সিংয়ের সাবেক ক্লাব পাঞ্জাব কিংস ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর হায়দরাবাদ তাদের বিড বাড়িয়ে ১৮ কোটি রুপি পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই দামে আর্শদীপকে আবারও দলে নেয় পাঞ্জাব কিংস।
এদিকে, মেগা নিলামের প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ভালো অঙ্কের অর্থ পাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা। তাকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে গুজরাট টাইটান্স।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এলেই যেন তাসকিন আহমেদকে লক্ষ্য করে ওত পেতে থাকে ইনজুরি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। মাংসপেশীর ইনজুরিতে পড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনিশ্চিত তাসকিনের খেলা। তবে এখনো আশা হারায়নি বিসিবি। তাসকিনকে পেতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি সংস্থাটি।
তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার, সেটি নিতে পারছেন না তাসকিন। আসর শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনজুরির কারণে এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তাসকিন। তার বিকল্প হিসেবে ডাক পেতে পারেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। বিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন তাসকিন। সেখানে চিকিৎসা করা হবে তার। এরপর সময় মতো যদি চোট থেকে সেরে উঠতে পারেন তাসকিন, তাহলে বিশ্বকাপে খেলবেন। যদি চোট কেটে উঠতে না পারেন, তাহলে দেশে ফিরে আসতে হবে ডানহাতি সেনসেশনাল এই পেসারকে।
আগামী ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচগুলো হবে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। বিশ্বকাপের আগে এটিই হবে বাংলাদেশের শেষ প্রস্তুতি।
এদিকে আজ সোমবার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার জোর সম্ভাবনা থাকলেও তাসকিনের চোটের রিপোর্ট দেখার অপেক্ষায় দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দল ঘোষণা করা বলে জানিয়েছে বিসিবি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২১ সালে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার আর্থিক জটিলতায় ক্লাব ছাড়তে হয় লিওনেল মেসিকে। এরপর তিনি পাড়ি দেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। প্যারিসের ক্লাবটিতে মেসি যে সুখী ছিলেন না সেটি জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। ক্লাবে অসুখী মেসি বাড়ি ফিরেও শান্তিতে থাকতে পারতেন না। প্রতিবেশিরা বিরক্ত করতেন তাকে। জনপ্রিয় ক্রীড়া ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন এমন তথ্য।
গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসিকে প্রতিবেশিরা মূলত বিরক্ত করত তার ছেলেদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে। ইএসপিএনকে মেসি বলেন, ‘প্যারিসে (প্রতিবেশিরা) রাত নয়টা বা দশটার দিকে দরজায় ধাক্কা দিয়ে বলত, আমার বাচ্চাদের ফুটবল খেলা উচিত নয়। প্রতিবেশিরা আমাদের বিরক্ত করত... এটা আমার মনে অনেক বড় দাগ কেটেছিল এবং তার প্রভাব মাঠেও পড়েছে। প্যারিসে ব্যক্তিগতভাবে আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম না।’
মেসি আরও জানিয়েছেন, প্যারিসে যেভাবে তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, ব্যাপারগুলো সেভাবে ঘটেনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেন, ‘তাদের (পিএসজি) সঙ্গে আমার কোনো কিছুই ছিল না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি যেভাবে আশা করেছিলাম তেমনটা হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে আমি পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম; আমার জন্য ব্যাপারটি কঠিন ছিল। ব্যক্তিগতভাবে এর বাজে প্রভাব আমার ওপর পড়েছে। আমি যখন প্যারিসে ছিলাম, আমার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যেটি হয়েছে সেটি হচ্ছে (আর্জেন্টিনার হয়ে) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
২০২৩ সালে পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়মিতে ভেড়েন মেসি। সেখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিছুদিন পরই যে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা! শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার নামবেন মেসিরা। ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আলবিসেলেস্তেদের অভিযান।
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতের মাটিতে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্টের জন্য দল গোছাতে শুরু করেছে প্রতিযোগি দেশগুলো। বাংলাদেশও সদ্য সমাপ্ত আয়ারল্যান্ড ও আসন্ন আফগানিস্তানের বিপক্ষের সিরিজ দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য পেতে দলের কম্বিনেশন তৈরির জন্যই এত প্রচেষ্টা। সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ইনজুরির কারণে ৬ সপ্তাহের জন্য ছিটকে যাওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তার মতে, ভারতের আবহাওয়া বাংলাদেশ দলের কাছে পরিচিত হওয়ায় অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে তারা কিছুটা এগিয়ে থাকবে। বিশ্বকাপে গেলে কিংবা সেখানকার কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় টাইগারদের দলীয় কম্বিনেশন হতে পারে বলে মনে করছেন সাকিব, ‘আমরা যখন রেজাল্টের পর কথা বলি তখন বোঝা যায় সেটি কতটা ঠিক-ভুল। সিদ্ধান্তটা আগে হয়, রেজাল্টটা হয় পরে। আমি নিশ্চিত কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক ও সিদ্ধান্ত প্রণেতা যারা আছেন, তারা সবাই ভালো চিন্তা করবে। যখন আমরা বিশ্বকাপ যাব, তখনই আমাদের আসল কম্বিনেশনটা তৈরি হবে। এটি প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
৮ জুলাই ২০১৪। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের হইহুল্লোড় আর উচ্ছ্বাস। স্টেডিয়ামের ভেতরে ব্রাজিল-জার্মানির মধ্যকার ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন। সেখানকার দর্শকদের আনন্দ অভিব্যক্তি দেখে রোমাঞ্চকর এক লড়াই শুরু হওয়ার প্রহর গুনছে পুরো ফুটবলবিশ্ব।
টুর্নামেন্টে তখন পর্যন্ত দুই দলই অপরাজিত। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরির স্বীকার ব্রাজিলের প্রধান তারকা নেইমার জুনিয়র হাসপাতালে। আর টানা দুই ম্যাচে হলুদকার্ড দেখে নিষিদ্ধ দলের মূল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
ব্রাজিলের দুই তারকা না থাকলেও আশা করা হচ্ছিল, দুর্দান্ত এক সেমিফাইনালই দেখবে বিশ্ব। কারণ, ২০০২ বিশ্বকাপে এই জার্মানিকেই ২-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।
খেলা শুরুর আগে মারাকানা স্টেডিয়ামের ভেতরের চিত্র।
কিন্তু কে জানতো, কিছুক্ষণ পরই লেখা শুরু হবে ব্রাজিল ফুটবলের কালো অধ্যায়। যে কালোতে ঢাকা পড়বে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসের আগের সব ক্ষত। ব্রাজিলিয়ানদের হতে হবে সেমির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় খলনায়ক। ঘরের মাঠে টানা ৬২ ম্যাচে অপরাজিত সেলেসাওদের হজম করতে হবে ৭-১ গোলের ন্যাক্কারজনক হার।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের সঙ্গে ফুটবল ইতিহাসের বিভীষিকাময় ঘটনাই ঘটেছিল সেদিন। ১১ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে ডানপায়ের শটে ব্রাজিলের জালে প্রথম কম্পন সৃষ্টি করেন টমাস মুলার। সেই তো শুরু। এরপর ২৯ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইনের চিত্র ব্রাজিল ০-৫ জার্মানি।
গোল হজমের পর হতাশায় মুখ লুকাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো।
মারাকানায় সেদিন ৬ মিনিটে ৪ গোল হজম করে ব্রাজিল। ২৩ মিনিটে জার্মানির মিরাস্লাভা ক্লোসা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এতে অনেক ব্রাজিল সমর্থকের অক্ষিকোটর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে পানির স্রোত। এরপর একের পর এক গোলে সেই পানির স্রোত বইতে শুরু করে পুরো মারাকানায়।
টনি ক্রুসের প্রথম গোল উদযাপন করছে জার্মানি।
২৪ মিনিটে গোল করেন টনি ক্রস। তার ২ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার। ২৯ মিনিটে মাঝমাঠের খেলোয়াড় সামি খাদিরার গোলে ব্যবধান ৫-০ করে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ ও ৭৯ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন জার্মান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে হর্স্ট স্কুরেল। এতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ব্রাজিল ০-৭ জার্মানি। ম্যাচের শেষ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অস্কার (৭-১)।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যক্তিগত জীবনেও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক খুবই শান্ত মেজাজের। হইচই এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন তিনি। তবে এবার অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে ধোনি অন্য রূপে ধরা দিলেন।
অতীতে কখনো প্রকাশ্যে যেটা করতে দেখা যায়নি তাকে, সেটাই করলেন। ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানীর ছেলে অনন্ত আম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে নাচলেন ধোনি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে সপরিবার যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। আর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ধোনির নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ক্রিকেটার ঈশান কিষাণ এবং স্ত্রী সাক্ষীর অনুরোধে সেখানে নেচেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হাজির হয়েছেন। সেখানে বলিউড তারকা থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদেরও নাচতে-গাইতে দেখা গেছে। তবে সবার নজর কেড়েছে ধোনির নাচের প্রতিভা। এর আগে যে কখনোই কোনো অনুষ্ঠানে তাকে নাচতে দেখা যায়নি।
জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর পর এখন অখণ্ড অবসর সময় কাটছে ধোনির। শুধু আইপিএলের মৌসুম এলেই তাকে ক্রিকেট মাঠে দেখা যায়। ধোনির অধীনে ভারত ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেছে। খেলোয়াড়ি জীবনে নিজের হেলিকপ্টার শট, ফিনিশিং এবং বুদ্ধিদীপ্ত উইকেটকিপিংয়ের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবার শোবিজ জগতে প্রবেশ করছেন! তবে অভিনয় নয়, ব্যবসায়িক উদ্যোগে তিনি নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। তিনি এখন চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। ব্রিটিশ পরিচালক ম্যাথু ভন-এর সাথে যৌথভাবে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি নতুন প্রযোজনা সংস্থা, যার নাম ইউআর-মার্ভ!
এই প্রযোজনা সংস্থার মূল লক্ষ্য হল প্রচলিত চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতির সাথে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় করে শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করা।
রোনালদো এবং ম্যাথু ভনের এই অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই সফলতার মুখ দেখছে। তারা একসাথে দুটি অ্যাকশন চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। প্রথম ছবিটি সম্পর্কে শীঘ্রই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে রোনালদো বলেন, "এটি আমার জন্য একটি রোমাঞ্চকর অধ্যায়, কারণ আমি সবসময় নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খুঁজে বেড়াই।"
অন্যদিকে, কিক-অ্যাস ও কিংসম্যান-এর মতো ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের পরিচালক ম্যাথু ভনও রোনালদোর সাথে কাজ করতে খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, "ক্রিশ্চিয়ানো ফুটবল মাঠে এমন কিছু গল্প তৈরি করেছেন, যা কল্পনাতীত। এবার আমরা একসাথে দর্শকদের জন্য অনুরূপ অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প নিয়ে আসতে চাই।"
ফুটবলের বাইরেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ইউআর ক্রিস্টিয়ানো নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন এবং পর্তুগালের বড় মিডিয়া প্রতিষ্ঠান মিডিয়ালিভ্রে-তে বিনিয়োগ করেন। তার লক্ষ্য পরিষ্কার—বিনোদন শিল্পেও একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলা।
এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে রোনালদো শোবিজ জগতে কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে ফ্যানদের মধ্যে এখনই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে!
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ২০ জুন কোপা আমেরিকার ট্রফি ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন লিওনেল মেসিরা। একটিতে প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার ইকুয়েডর, আরেকটিতে মধ্য আমেরিকার গুয়েতেমালা।
আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) কাল আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ দুটির প্রতিপক্ষ ও ভেন্যু নিশ্চিত করেছে।
কোপা আমেরিকার আগে আর্জেন্টিনা দলের প্রীতি ম্যাচের খবর জানা গিয়েছিল আগেই। তবে একটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ও ভেন্যুর বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল না। এএফএ ওয়েসবাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা। আর গুয়েতেমারার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ১৪ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে।
দুটি ম্যাচের মধ্যে লাতিন আমেরিকান দল ইকুয়েডরকে প্রস্তুতির জন্য সেরা প্রতিপক্ষ মনে করছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে হেরেছে ইকুয়েডর, সর্বশেষ পাঁচটিতে ৩ জয় ২ ড্র তাদের। কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা–ইকুয়েডর দু দলই নিজ গ্রুপ থেকে প্রত্যাশিতভাবে এগোতে পারলে মুখোমুখি দেখা হবে কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে।
ইকুয়েডরকে ‘কঠিন প্রতিপক্ষ’ আখ্যা দিয়ে স্কালোনি বলেন, খেলোয়াড়েরা লম্বা একটা মৌসুম শেষ করে খেলতে নামবে। অনেকেরই মৌসুমজুড়ে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হয়েছে। যে দুটি ম্যাচ আছে, এর মধ্যেই দল প্রস্তুত হয়ে যাবে। ইকুয়েডর কঠিন প্রতিপক্ষ। আর গুয়েতেমালা ম্যাচে অনেক দর্শক হয়। সেটাও ভালো ম্যাচই হবে। কারণ, মানুষ দিন শেষে ভালো ফুটবলই দেখতে আসে।
এদিকে কোপা আমেরিকায় প্রতিটি দলকে ২৩ জনের পরিবর্তে ২৬ জনের স্কোয়াড ঘোষণার সুযোগ দিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর আগে উয়েফাও এবারের ইউরোয় ২৬ জনের দলের অনুমোদন দিয়েছে।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে, আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম। ২৫ জুন নিউজার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ চিলি। আর ২৯ জুন মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ প্রতিপক্ষ পেরু।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের যুবাদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে সমান ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতের বিপক্ষে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজিজুল হাকিম তামিমের দলের।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই অর্ধেক কাজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধা অগ্নিঝরা বোলিংয়ে মোট ৬ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১১৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে ২২.১ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ। ৬৫ বলে ২৮ রান করেন মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ। ৪১ বলে ১৮ রান করেন অধিনায়ক সাদ বাইগ। ৩০ বলে ১০ রান নেন হারুন আরশাদ। বাকিরা ছিলেন এক অংকে আটকা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০) ও জাওয়াদ আবরারকে (২৫ বলে ১৭) হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমসের ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পায় যুব টাইগাররা। ৩৬ বলে ২৬ রান করে শিহাব জেমস আউট হয়ে গেলে রিজান হোসেনকে নিয়ে ম্যাচ জেতান আজিজুল হাকিম।
৪২ বলে ৬১ রানের হার না মানা অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। তার সঙ্গে রিজান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
মন্তব্য করুন