স্পোর্টস ডেস্ক:
কোপা আমেরিকার দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। নতুন কয়েকটি মুখ নিয়ে দল ঘোষণা করেছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। দলে চমক হিসেবে আছেন পোর্তোর তরুণ ফরোয়ার্ড ইভানিলসন।
শুক্রবার (১০ মে) কোপা আমেরিকা ও দু'টি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেন দরিভাল। দলে জায়গা হয়নি কাসেমিরো ও রিচার্লিসনের। সবশেষ দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন এন্দ্রিক।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডে আরও জায়গা পাননি আর্সেনালের ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুসের। রিশার্লিসন অবশ্য পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েননি। ক্লাবের হয়ে খেলার সময় পায়ের পেশিতে তিনি চোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দরিভাল।
হাঁটুর চোটের কারণে অনেক আগে থেকেই মাঠের বাইরে আছেন নেইমার। খুব স্বাভাবিকভাবেই আসছে টুর্নামেন্টের দলে নেই আল হিলালের এই ফরোয়ার্ড। আক্রমণভাগে ভিনিসিউস জুনিয়র ও রদ্রিগো জুটির সঙ্গে কাঁধ মেলাবেন এন্ড্রিক।
ব্রাজিল দল:
গোলকিপার: আলিসন, এডারসন, বেন্তো। ডিফেন্ডার: দানিলো, ইয়ান কুতো, গিলেরমো আরানা, ওয়েন্দেল, বেরাল্দো, মার্কিনিয়োস, গাব্রিয়েল, এদের মিলিতাও।মিডফিল্ডার: আন্দ্রেয়াস পেরেইরা, ব্রুনো গিমারাইস, দগলাস লুইস, জোয়াও গোমেস, লুকাস পাকেতা।ফরোয়ার্ড: এন্দ্রিক, গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, এভানিলসন, রাফিনিয়া, রদ্রিগো, ভিনিসিউস জুনিয়র, সাভিনিয়ো।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
৮ জুলাই ২০১৪। ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের হইহুল্লোড় আর উচ্ছ্বাস। স্টেডিয়ামের ভেতরে ব্রাজিল-জার্মানির মধ্যকার ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন। সেখানকার দর্শকদের আনন্দ অভিব্যক্তি দেখে রোমাঞ্চকর এক লড়াই শুরু হওয়ার প্রহর গুনছে পুরো ফুটবলবিশ্ব।
টুর্নামেন্টে তখন পর্যন্ত দুই দলই অপরাজিত। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরির স্বীকার ব্রাজিলের প্রধান তারকা নেইমার জুনিয়র হাসপাতালে। আর টানা দুই ম্যাচে হলুদকার্ড দেখে নিষিদ্ধ দলের মূল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
ব্রাজিলের দুই তারকা না থাকলেও আশা করা হচ্ছিল, দুর্দান্ত এক সেমিফাইনালই দেখবে বিশ্ব। কারণ, ২০০২ বিশ্বকাপে এই জার্মানিকেই ২-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।
খেলা শুরুর আগে মারাকানা স্টেডিয়ামের ভেতরের চিত্র।
কিন্তু কে জানতো, কিছুক্ষণ পরই লেখা শুরু হবে ব্রাজিল ফুটবলের কালো অধ্যায়। যে কালোতে ঢাকা পড়বে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসের আগের সব ক্ষত। ব্রাজিলিয়ানদের হতে হবে সেমির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় খলনায়ক। ঘরের মাঠে টানা ৬২ ম্যাচে অপরাজিত সেলেসাওদের হজম করতে হবে ৭-১ গোলের ন্যাক্কারজনক হার।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের সঙ্গে ফুটবল ইতিহাসের বিভীষিকাময় ঘটনাই ঘটেছিল সেদিন। ১১ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে ডানপায়ের শটে ব্রাজিলের জালে প্রথম কম্পন সৃষ্টি করেন টমাস মুলার। সেই তো শুরু। এরপর ২৯ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইনের চিত্র ব্রাজিল ০-৫ জার্মানি।
গোল হজমের পর হতাশায় মুখ লুকাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো।
মারাকানায় সেদিন ৬ মিনিটে ৪ গোল হজম করে ব্রাজিল। ২৩ মিনিটে জার্মানির মিরাস্লাভা ক্লোসা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এতে অনেক ব্রাজিল সমর্থকের অক্ষিকোটর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে পানির স্রোত। এরপর একের পর এক গোলে সেই পানির স্রোত বইতে শুরু করে পুরো মারাকানায়।
টনি ক্রুসের প্রথম গোল উদযাপন করছে জার্মানি।
২৪ মিনিটে গোল করেন টনি ক্রস। তার ২ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার। ২৯ মিনিটে মাঝমাঠের খেলোয়াড় সামি খাদিরার গোলে ব্যবধান ৫-০ করে বিরতিতে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ ও ৭৯ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন জার্মান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে হর্স্ট স্কুরেল। এতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ব্রাজিল ০-৭ জার্মানি। ম্যাচের শেষ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অস্কার (৭-১)।
মন্তব্য করুন
পুরো সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল একবারে চোখে পড়ার মতো। হাতেগোনা কয়েকটা ইনিংস ছাড়া ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো খেলতে পারেননি বাংলাদেশের যুবারা। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও চোখে পড়েছে ব্যাটারদের দৈন্যদশা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮০ রানে হেরে পাকিস্তানের কাছে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশের যুবারা।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাজ্জাদ আলীর বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ রান করা আশিকুর রহমান শিবলি। আরেক ওপেনার মইনুল ইসলাম তন্ময় আউট হয়েছেন পরের ওভারেই।
রানের খাতা খোলার আগেই আলী আসফান্দের বলে লেগ বিফোর হন তন্ময়। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে বিপদজনক হয়ে উঠার আগেই জিসান আলমকে প্যাভিলিয়নে পাঠান সাজ্জাদ। ডানহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন দুই চার ও এক ছক্কায় ৬ বলে ১৪ রান করা জিসান।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরিফুল ইসলামকে বিদায় করেছেন আরাফাত মানহাজ। স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন ২৪ বলে ৯ রান করা আরিফুল। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে টাইগারদের টেনে তোলেন আহরার আমিন পিয়ান ও শিহাব জেমস।
বিপদ সামলানোর পাশাপাশি দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন আহরার আমিন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আরাফাতের বলে টপ এজ হয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫৩ রান করা এই ব্যাটার। এদিকে তাকে সঙ্গ দেয়া শিহাব হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৬৮ বলে।
এরপর দ্রুতই জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, মাহফুজুর রাব্বি, শিহাব, একান্ত শেখ, ওয়াসি সিদ্দিকীকে হারায় বাংলাদেশ। ফলে ১৩ ওভার বাকি থাকতেই ১৬৪ রানে অল আউট হয় স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের যুবাদের হয়ে আলী আসফান্দ ও আরাফাত তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান তোলে পাকিস্তান। সফরকারীদের হয়ে হামজা নওয়াজ ৭২, শাহজাইব খান ৬৭, আজান আওয়াইজ ৪১ এবং আরাফাত ৪০ রান করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন মাহফুজুর রাব্বি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
একের পর এক রেকর্ড গড়েই যাচ্ছে বায়ার লেভারকুসেন। জাভি আলোনসোর অধীনে দলটি গতকাল আইনট্রাঙ্কট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫-১ উড়িয়ে দেয়। ফলে বুন্দেসলিগায় ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি। এর মাধ্যমে বেনফিকার করা ৫৯ বছরের পুরনো রেকর্ড স্পর্শ করল তারা।
ইউরোপিয়ান দল হিসেবে ৫৯ বছর আগে ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ছিল পর্তুগালের ক্লাবটি। লেভারকুসেন আর এক ম্যাচ জিতলেই ভেঙে যাবে সেই রেকর্ড। ইউরোপে রেকর্ড গড়তে আর এক ম্যাচ অপরাজিত থাকার দরকার তাদের।
নিজেদের পরের ম্যাচ লেভারকুসেন খেলবে রোমার বিপক্ষে। ইউরোপা লিগের ওই ম্যাচে অন্তত ড্র করতে পারলেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়বে তারা। রোমার বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল জাভির শিষ্যরা।
গতকাল ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ে লেভারকুসেনের হয়ে গোল করেন গ্রানিত জাকা, প্যাট্রিক সিক, এক্সেকুয়েল প্যালাসিউস, জেরেমি ফ্রিমপং ও ভিক্টর বোনিফেস।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলা হলো না সাকিব আল হাসানের। দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাকিবকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনের বেলা বেশ নাটক হয়েছে। তিনি দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে দুবাই আসেন ট্রানজিটের জন্য। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সেখানে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব নিজেই জানান, তার দেশের মাটিতে টেস্টকে বিদায় জানানো হচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সরকার তাকে দেশে ফিরতে বারণ করেছে।
এরপর গতকাল রাতেই এ বিষয়ে কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের দেশে আসা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটি আমার বিষয় নয়।'
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট—সাকিব তখন পোস্ট দিলো যে সে কোথাও আনন্দ করছে। এটা কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে?'
তিনি বলেন, 'এছাড়া যে সমস্ত জুয়া, বেটিং, উশৃঙ্খল আচরণ... আমার মনে হয় এটার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী। এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও করেছে। মায়া লাগে। কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায়, সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।'
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজে খেলবেন সাকিব আল হাসান। আজ বুধবার শেরে বাংলায় বোর্ডের মিটিংয়ের আগে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর সময় ঘনিয়ে এলেও এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি। সাকিব এই সিরিজে খেলবেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বিসিবির পক্ষ থেকে। সেজন্য সাকিবের সম্পর্কে জানতে চাইলে বোর্ড সভাপতি বলেন, “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে বলতে চাই, যেহেতু আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের নাম এখনও দেওয়া হয়নি, তাই তার (সাকিব) বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট খেলতে সাকিবকে বোর্ড নিষেধ করেছে, এই বিষয়ে স্পষ্টতা দিতে ফারুক বলেন, “সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের কোনো দায় নেই। আমরা ওই পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত নই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকার এবং সাকিব (জড়িত) ছিল। আমরা শুধু সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব ঘরের মাঠে খেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সাকিব শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি আগের সরকারের (পতিত শেখ হাসিনা সরকার) সময়ে একজন এমপি ছিলেন। সেক্ষেত্রেও কিছু বিষয় আছে। সব মিলিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা আর ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা এক ছিল না। আমি একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে দেখেছি, একজন ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে। সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, বাংলাদেশ জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি সে খেলতে পারতো, তাহলে এটি ভালো হতো।”
ফারুক আহমেদ যোগ করেন, “আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে হবে। সেগুলো বিবেচনা করে সে শেষ মুহূর্তে আসতে পারেনি। তবে বোর্ডের করার কিছু ছিল না। এটি সম্পূর্ণ আইনি বিষয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়। এটি ছিল সাকিব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীল। বোর্ডের এ ব্যাপারে কিছু করার ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী যদি সাকিব আসতেন, তাহলে আমরা যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারতাম। যেহেতু তিনি আসেননি, তাই এ নিয়ে কথা বলার কোনো মানে নেই।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোমভেন্যু হিসেবে নিয়ে এই সিরিজ আয়োজন করবে আফগানিস্তান। ৬ নভেম্বর সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৯ ও ১১ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ; যারাই গিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি। ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে তাদের অজেয় যাত্রা ভাঙল নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল টম ল্যাথামের দল।
বেঙ্গালুরুতে হওয়া প্রথম টেস্টে কিউই পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ালেও প্রথম ইনিংসের সেই দুর্দশা ঢাকা যায়নি। হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পুনেতে হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে চেয়েছিল রোহিত শর্মার দল। তবে নিজেদের পাতা ফাঁদে তারা নিজেরাই পড়ে। ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিনে ভারত লড়াই করলেও দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে ভারতকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন কিউেই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।
আজ পুনেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারত হারল ১১৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তোলে ২৫৫ রান। ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রানের বিশাল স্কোর। তবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ২৪৫ রানেই।
পুনেতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ আরও একবার ব্যর্থ। ম্যাচ হারের আগেই সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ফুলটস বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ভারতের ক্রিকেটের আরেক স্তম্ভ রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। পুনে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘শূন্য’ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন মাত্র ৮ রান।
বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে ভারত হেরেছিল ৮ উইকেটে। দ্বিতীয় টেস্টে হারল ১১৩ রানে। তৃতীয় ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে। যদিও মুম্বাইতে সেই কাজটি সহজ হবে না রোহিত শর্মার দলের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের যে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে!
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এলেই যেন তাসকিন আহমেদকে লক্ষ্য করে ওত পেতে থাকে ইনজুরি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। মাংসপেশীর ইনজুরিতে পড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনিশ্চিত তাসকিনের খেলা। তবে এখনো আশা হারায়নি বিসিবি। তাসকিনকে পেতে শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি সংস্থাটি।
তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার, সেটি নিতে পারছেন না তাসকিন। আসর শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনজুরির কারণে এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তাসকিন। তার বিকল্প হিসেবে ডাক পেতে পারেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। বিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন তাসকিন। সেখানে চিকিৎসা করা হবে তার। এরপর সময় মতো যদি চোট থেকে সেরে উঠতে পারেন তাসকিন, তাহলে বিশ্বকাপে খেলবেন। যদি চোট কেটে উঠতে না পারেন, তাহলে দেশে ফিরে আসতে হবে ডানহাতি সেনসেশনাল এই পেসারকে।
আগামী ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচগুলো হবে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। বিশ্বকাপের আগে এটিই হবে বাংলাদেশের শেষ প্রস্তুতি।
এদিকে আজ সোমবার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার জোর সম্ভাবনা থাকলেও তাসকিনের চোটের রিপোর্ট দেখার অপেক্ষায় দল ঘোষণা করেনি বিসিবি। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দল ঘোষণা করা বলে জানিয়েছে বিসিবি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্টের মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুম শেষে ক্লাব ফুটবল ও আগামী মাসে নিজেদের ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউরো শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার বিদায় জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এরআগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে জার্মানি। ঐ আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েন ক্রুস। পরে ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে স্বদেশী ক্লাব বায়ান মিউনিখ ছেড়ে নাম লেখান নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর আস্তে আস্তে ক্লাবটির মিডফিল্ডে সবচেয়ে বড় আস্থার নাম হয়ে ওঠেন তিনি। আর ইতিমধ্যে তার গায়ে লেগেছে মাদ্রিদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারের তমকা। ক্লাবটির হয়ে মোট ২৪টি শিরোপা জিতেন এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।
গতকাল ফুটবলকে বিদায় জানানোর সেই পোস্টে রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ জুলাই ২০১৪। সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। সেদিনটি আমার জীবন বদলে দিয়েছে। একজন ফুটবলার হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে। ঐদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবের হয়ে আমার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পর চলতি মৌসুম শেষে আমার রিয়াল মাদ্রিদের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। আমি এই সময়গুলো কখনো ভুলবো না। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যারা আমাকে এখানে স্বাগত জানিয়েছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। প্রিয় মাদ্রিদস্তাস, ধন্যবাদ প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের স্নেহ ও ভালোবাসার জন্য।’
এছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে ক্রুস বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি। রিয়াল মাদ্রিদ আমার শেষ ক্লাব হবে। আমি অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। আমার কাছে মনে হয় আমি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ অন্যদিকে নিজ দেশ জার্মানির জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন ফুটবলার হিসেবে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের মধ্যে দিয়ে আমি জাতীয় দলের জার্সিকে বিদায় জানাব।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি জোরদারে প্রতিটি দেশ খেলায় ব্যস্ত।
বাংলাদেশ দল নিজেদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি জোরদারে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে দুই ম্যাচ। দুটি ম্যাচে টানা জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে টানা দুই ম্যাচ জয়ের পরও হাতাশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলছেন- জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের সঙ্গে জিতে আত্মবিশ্বাস তেমন পাওয়া যাবে না। তার চেয়ে ভারত-পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তি দলগুলোর সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হতো।
ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সাকিব আল হাসান বলেছেন, জিম্বাবুয়ে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখা উচিত নয়। বিশ্বকাপ পুরো আলাদা একটা মঞ্চ, অনেক চাপ থাকে। সেই চাপ কাটিয়ে উঠলেই ভালো পারফরমেন্স হবে। তবে গতবারের থেকে এবারের পারফরমেন্স ভালো করার চেষ্টা তো থাকবেই দলের, সেক্ষেত্রে গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ যেহেতু আমাদের অজানা, তাই সেখানে তাদের বিরুদ্ধে খেলার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু একদম দুর্বল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে খেলে কখনো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। গতবার নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
মন্তব্য করুন