

ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলোত্তি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তার স্কোয়াড নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী নেইমারকে বিশ্বকাপে দেখা যাবে কি না, এ নিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মহলসহ ভক্তদের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল সরগরম আলোচনা। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আনচেলোত্তি বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার করে দিলেন।
আনচেলোত্তি বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা নেইমারকে নিয়ে খুবই আগ্রহী। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এখন ডিসেম্বর, বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। মে মাসে যখন আমি স্কোয়াড ঘোষণা করবো, তখন যদি নেইমার যোগ্য প্রমাণিত হয়, ফিট থাকে, অন্যদের সমান বা তাদের চেয়েও ভালো থাকে, তাহলে সে বিশ্বকাপে খেলবে। বিষয়টি এতটাই সরল।’
এ মৌসুমে সান্তোসের হয়ে নেইমার এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলেছেন।
করেছেন ৮ গোল ও ১টি অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও তার পারফরম্যান্স ছিলো উল্লেখযোগ্য, ৪ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট।
মন্তব্য করুন


ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পারফর্ম করা তরুণ ক্রিকেটারদের চান রবি শাস্ত্রী। এদের গড়ে তুলতে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের সাময়িক সময়ের জন্য দলের বাইরে চান ভারতের সাবেক এই কোচ। অবশ্য ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি রোহিত-কোহলিরা ফর্মে না থাকেন বা ধারাবাহিক না হন- সেক্ষেত্রে ওই সময়ে এগিয়ে থাকা ক্রিকেটারকেই দলে চান তিনি।
এবারের আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করছেন ইয়াশভি জয়সাওয়াল, জিতেশ শর্মা, তিলক ভার্মা, নেহাল ওয়াধেরা, রিঙ্কু সিং, প্রভসিমরান সিং, আনমলপ্রীত সিংদের মতো ক্রিকেটাররা। জয়সাওয়াল, রিঙ্কু, জিতেশরা যেমন আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত রান করে দল জেতাচ্ছেন, বাকিরাও প্রয়োজন অনুযায়ী দারুণ খেলছেন।
বিশেষ করে ১২০-৩০ বা ১৭০-৮০, এমনকি দুইশর বেশি স্ট্রাইক রেটেও রান করছেন অনেকেই। এসব প্রতিভাবানদের হারাতে চান না শাস্ত্রী। দ্রুতই তাদের ভারতীয় দলে চান সাবেক এই ক্রিকেটার।
শাস্ত্রী বলেন, 'এরপর প্রথম যে টি-টোয়েন্টি সিরিজই আসে, এই তরুণদের খেলানো উচিত। এদের সামনে আনা উচিত। তাদের এখনই প্রস্তুত করা উচিত। রোহিত, কোহলির মতো ক্রিকেটাররা আগেই প্রমাণিত। আপনি জানেন তারা কী করতে পারে।'
'আমি আইপিএলে পারফর্ম করাদেরই দলে চাইব যেন তারা সুযোগ পায়। এতে তারাও যেমন সুযোগ পাবে, রোহিত-কোহলিরাও ওয়ানডে আর টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজেদের সতেজ রাখতে পারবে।'
ক্রিকইনফোর সেই অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীর এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়, 'তাহলে রোহিত, কোহলি বা লোকেশ রাহুলরা কি জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না?'
জবাবে শাস্ত্রী বলেন, 'এক বছর অনেক লম্বা সময়। কেউ ফর্মে থাকতে পারে। ফর্ম হারাতেও পারে। আপনার ওই সময়ের সেরা ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্যই অভিজ্ঞতা বা ফিটনেস- এসবও বিবেচনায় আসবে। কে সেই মুহূর্তে ধারাবাহিক, রান করছে কিনা, কোথায় রান করছে- এসবও দেখতে হবে।'
'দলে সঠিক পজিশনের জন্য সঠিক ক্রিকেটারকে দরকার। কেউ যদি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিন-চারে ব্যাটিং করে তাহলে জাতীয় দলে তাকে দিয়ে আপনি ওপেন করাবেন বা ছয়ে নামাবেন- ব্যাপারটা কিন্তু তেমন নয়।'
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হলো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায়। শ্রীলঙ্কান কোচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই হেড কোচকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে। নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের নাম।
হাথুরুকে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাখবেন না ফারুক আহমেদ, এমন গুঞ্জন ছিল দুই মাস আগ থেকেই। অবশেষে গতকাল সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগ মুহূর্তে অথবা আগেরদিন রাতেই বিসিবিপ্রধানের ফোনে কোচ পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে পারেন হাথুরুসিংহে। যদিও সেটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতির ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ। তার বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
হাথুরু এসব অপরাধ হয়তো ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।
উল্লেখ্য, হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আগেভাগেই লঙ্কান এই কোচকে বিদায় করে দিলো বিসিবি।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন। তবে সাবেক এই আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য দেশে ফিরে খেলায় অংশগ্রহণ করুন, এটা চান না একদল ক্রিকেটপ্রেমী। তারা মিরপুর স্টেডিয়াম ঘিরে বেশকিছু কর্মসূচি পালনের পর ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবির পরামর্শে সাকিব এই সিরিজে অংশ নিতে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
তাই ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে কানপুরে খেলা টেস্টই সাদা পোশাকে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের তার প্রতি ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনা করে সাকিব কানপুর টেস্ট দিয়েই ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারতেন কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
স্থানীয় একটি ক্রীড়াবিষয়ক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকিব ইস্যুতে আশরাফুলের সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘আগেই বলেছি সাকিব চাইলেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা কানপুরেই করতে পারতেন।’
সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান ক্রিকেট বিশ্লেষক আশরাফুল মনে করেন, সাকিবকে ঘিরে যে পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়েছে এটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু ছিল না। তাই ‘রাজনীতিবিদ’ সাকিবের দেশের মাটিতে খেলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘তাকে ঘিরে দেশে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা তো তিনি আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আমার কাছে তো মনে হয় সাকিব এখানেও হয়তো বা এই বিষয়ে একটা গেম খেলেছেন। যেহেতু সে এখন রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের সাতমাসের এমপি ছিলেন তিনি।’
কানপুর টেস্ট দিয়েই সাকিব লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বললে ভালো করতেন বলে মত আশরাফুলের, ‘কানপুরেই সাকিব টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলে আজ হয়তো আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না।’
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ফুটবলে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যে ইতিবাচক, আবার কখনো নেতিবাচক খবর শোনা যায়।
ইংল্যান্ডের যুব দলে খেলা হামজার বাংলাদেশি জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা এখনো ফিফার দফতরে আটকে রয়েছে। বাফুফে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ফিফাকে পাঠিয়েছে, কিন্তু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি থেকে এখন পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
এদিকে ভারতের কিছু গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, আগামী মার্চে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নামবে এবং হামজাও এই ম্যাচে খেলবেন। আগামী বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ-২০২৭ এর বাছাইয়ের তৃতীয় পর্ব শুরু করবে। বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।
ভারতের মাটিতে খেলা নিয়ে ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বড় দুই দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে হামজার খেলার সম্ভাবনা কেমন? আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, "আমরা আপনাদের সময়মতো সঠিক তথ্য দেবো। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে হামজাকে নিয়ে কোনো আপডেট নেই। আপনারা যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছেন তা এখন পর্যন্ত সত্য নয়। যখনই কোনো আপডেট হবে, সবার আগে আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।"
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, "এ মুহূর্তে কোনো নতুন তথ্য দিতে পারছি না। আমরা কাজ করছি। ফিফা আমাদের কাছে যা যা চেয়েছে সবই দিয়েছি। অন্য দেশের গণমাধ্যমে যা লেখা হচ্ছে, সেগুলো আগের খবর। হামজা পাসপোর্ট পেয়েছেন, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ছাড়পত্র দিয়েছে, এসব খবর নতুন নয়। আমি হামজাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আশাবাদী।"
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
আজ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব খোলা। এরপরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে দর্শক উন্মাদনার কমতি নেই। মিরপুর শেরে বাংলায় প্রথম ম্যাচেই গ্যালারি ভরে গেছে দর্শকে। স্টেডিয়ামের গেটেও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্যনীয়।
দর্শকদের চাপ এত বেশি ছিল, খেলা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই হোম অব ক্রিকেটের মূল প্রবেশদ্বার ২ নম্বর গেটের বাইরে টিকিট না পাওয়া দর্শকদের উন্মত্ত আচরণে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। টিকিট না পেয়ে ২ নম্বর গেট দিয়ে মূল গেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন দর্শকরা। এক পর্যায়ে গেটের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা।
অপ্রত্যাশিত এ ঘটনা বাদ দিলে দর্শকদের এই উন্মাদনা বিপিএলের মতো আসরে ইতিবাচক। বিশেষ করে এর আগে বিপিএলে সিলেট, চট্টগ্রামে এই উন্মাদনা থাকলেও ঢাকার মাঠে দর্শক কম দেখা গেছে। এবারের শুরুতে বেশ দর্শক দেখা গেলো।
প্রথম ম্যাচ চলছে ফরচুন বরিশাল আর দুরন্ত রাজশাহীর। দ্বিতীয় ম্যাচ সন্ধ্যায় ঢাকা ক্যাপিটালস আর রংপুর রাইডার্সের। হাইভোল্টেজ সে ম্যাচে দর্শক উন্মাদনা আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে।
দেড়মাসব্যাপী বিপিএলের একাদশ আসর ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজে খেলবেন সাকিব আল হাসান। আজ বুধবার শেরে বাংলায় বোর্ডের মিটিংয়ের আগে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর সময় ঘনিয়ে এলেও এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি। সাকিব এই সিরিজে খেলবেন কিনা, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বিসিবির পক্ষ থেকে। সেজন্য সাকিবের সম্পর্কে জানতে চাইলে বোর্ড সভাপতি বলেন, “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে বলতে চাই, যেহেতু আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের নাম এখনও দেওয়া হয়নি, তাই তার (সাকিব) বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট খেলতে সাকিবকে বোর্ড নিষেধ করেছে, এই বিষয়ে স্পষ্টতা দিতে ফারুক বলেন, “সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের কোনো দায় নেই। আমরা ওই পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত নই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকার এবং সাকিব (জড়িত) ছিল। আমরা শুধু সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব ঘরের মাঠে খেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সাকিব শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি আগের সরকারের (পতিত শেখ হাসিনা সরকার) সময়ে একজন এমপি ছিলেন। সেক্ষেত্রেও কিছু বিষয় আছে। সব মিলিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা আর ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা এক ছিল না। আমি একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় হিসেবে দেখেছি, একজন ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে। সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, বাংলাদেশ জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি সে খেলতে পারতো, তাহলে এটি ভালো হতো।”
ফারুক আহমেদ যোগ করেন, “আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে হবে। সেগুলো বিবেচনা করে সে শেষ মুহূর্তে আসতে পারেনি। তবে বোর্ডের করার কিছু ছিল না। এটি সম্পূর্ণ আইনি বিষয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়। এটি ছিল সাকিব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীল। বোর্ডের এ ব্যাপারে কিছু করার ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী যদি সাকিব আসতেন, তাহলে আমরা যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারতাম। যেহেতু তিনি আসেননি, তাই এ নিয়ে কথা বলার কোনো মানে নেই।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোমভেন্যু হিসেবে নিয়ে এই সিরিজ আয়োজন করবে আফগানিস্তান। ৬ নভেম্বর সিরিজের প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৯ ও ১১ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটির জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের এই দলে আছেন সাকিব আল হাসান। আর বাদ পড়েছেন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে থাকা খালেদ আহমেদ।
১ম টেস্টের বাংলাদেশ দল
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
দুর্দান্ত ফর্ম থাকার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্ট দলে জায়গা হয়নি শাহিন আফ্রিদির। অথচ ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট শিকার করেন তিনি। পাকিস্তানের সিরিজ জয়ে তার আগুনে বোলিংয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তবু কেন পাকিস্তানের টেস্ট দলে জায়গা হলো না আফ্রিদির? পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, মূলত নির্বাচকদের সঙ্গে বিবাদের জেরেই এমনটা হয়েছে।
ওয়ানডে সিরিজের পর নির্বাচকরা তাকে একটি চারদিনের ম্যাচে অংশ নিতে বলেছিলেন। তবে আফ্রিদি সে ‘আদেশ’ না মানার কারণেই নাকি তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়নি। তবে একইভাবে বাবর আজমও চারদিনের ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর পরও তাকে ঠিকই দলে রাখা হয়েছে।
টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে টেস্ট সিরিজের জন্য দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে এক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে কোনো ইতিবাচক সিগন্যাল দেয়নি।
এদিকে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে একজন বাঁহাতি পেসারের অভাব বোধ করছে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদির পাশাপাশি আরেক বাঁহাতি পেসার মীর হামজাকেও স্কোয়াডে রাখেননি নির্বাচকরা।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
২০২৬ সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের খেলার সংখ্যা এবং কোন কোন খেলা অনুষ্ঠিত হবে, সে তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকা দেখে বিশেষ করে উপমহাদেশের ক্রীড়া কর্মকর্তা এবং অ্যাথলেটদের মাথায় হাত। ২০২২ সালের চেয়ে অন্তত ৯টি খেলা কমিয়ে আনা হয়েছে ২০২৬ গ্লাসগো গেমসে। যেখানে বাদ দেয়া হয়েছে ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলা।
মূলতঃ স্থান পরিবর্তনের কারণে খেলার সংখ্যাও কমিয়ে আনা হলো। ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসে হবে মাত্রটি ১০টি খেলা। ২০২২ সালে হয়েছিল ১৯টি। ৯টি খেলা কমিয়ে আনায় উপমহাদেশীয় দেশগুলোর পদক জয়ে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের।
২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শহরে; কিন্তু তারা জানিয়ে দেয় আর্থিক সমস্যার কারণে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব না। যে কারণে, ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের সুযোগ পায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো।
১২ বছর পর স্কটল্যান্ডের এই শহরে ফিরছে কমনওয়েলথ গেমস; কিন্তু মাত্র ১০ ধরনের খেলা আয়োজন করতে পারবে তারা। আর্থিক কারণেই কম খেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে বাদ পড়েছে ক্রিকেট, হকির মতো খেলা। এছাড়া বাদ দিতে হয়েছে ব্যাডমিন্টন, শুটিং, কুস্তিও। এই খেলাগুলো থেকে ভারতেরই সবচেয়ে বেশি পদক জয়ের সম্ভাবনা ছিল।
গ্লাসগোতে ২০২৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স, ট্র্যাক সাইক্লিং, নেট বল, ভারোত্তোলন, বক্সিং, জুডো, বাস্কেটবল এবং লন বল খেলা হবে। মোট চারটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে খেলাগুলো। গেমস উপলক্ষে ভিলেজ তৈরি করা হবে না। খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের রাখা হবে হোটেলে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে গ্লাসগোয় কমনওয়েথ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেবার তারা খরচ করেছিলো ৫৪০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৮ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা)। এবার এই খরচ অনেক কমিয়ে আনা হবে। ৭৪টি কমনওয়েলথ দেশ এবং স্বাধীন অঞ্চল থেকে মোট তিন হাজার অ্যাথলেট গেমসে অংশ নেবে।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
ফ্রেঞ্চ সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ছেন এই খবর বেশ আগেই চাউর হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তার নতুন গন্তব্য হতে যাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দলে এমবাপ্পে কত নম্বর জার্সি পড়বেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে ফরাসি গণমাধ্যম লা পেরিসিয়ানের দাবি, রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সি পড়বেন এমবাপ্পে।
রিয়ালের সাবেক খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাড় ভক্ত এমবাপ্পে। তাকে অনুসরণ করেই পিএসজিতে ৭ নম্বর জার্সি পড়েন তিনি। ২০১৮ সালে রিয়াল ছাড়েন রোনালদো।
কিন্তু রিয়ালে রোনালদোর রেখে যাওয়া সাত নম্বর জার্সিটা এমবাপ্পের জন্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, সেখানে সাত নম্বর জার্সিটি পরছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। আর সেই জার্সির মান ভালোভাবেই রেখে চলছেন রিয়ালের অন্যতম সেরা এই তারকা।
রিয়ালের হয়ে দশ নম্বর জার্সিতেও খেলে গেছেন বিখ্যাত সব তারকা। হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফুটবলার ফেরেঙ্ক পুসকাস রিয়ালের হয়ে এই নম্বরের জার্সিই গায়ে চাপিয়েছেন। আর এখন রিয়ালে দশ নম্বর জার্সি পরেন ক্রোয়াট তারকা লুকা মদরিচ।
৭ নম্বর জার্সি না পাওয়া নিয়ে এমবাপ্পের অবশ্য কোনো অভিযোগ থাকার কথা নয়। জিদানের এই উত্তরসূরি যে ফ্রান্স দলে ১০ নম্বর জার্সিটাই পরেন!
মন্তব্য করুন