

স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ২০২৩-২৪ মৌসুম মোটেই ভালো কাটেনি চেলসির। ১ ম্যাচ বাকি থাকলেও লিগে তারা আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। তবে আপন আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন দলটির তরুণ ফুটবলার কোলে পালমার। ভোটাভুটিতে হয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের সেরা তরুণ ফুটবলার।
গত গ্রীষ্মের দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছেন পালমার। এই মৌসুমে ২২টি গোল দেওয়া ছাড়াও ১০টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। গোলে অবদানের দিক বিবেচনায় প্রিমিয়ার লিগে যেটি যৌথ সর্বোচ্চ।
কয়েকদিন আগেই ২২তম জন্মদিন পালন করেছেন পালমার। তার আগেই গড়ে ফেলেছেন দারুণ একটি রেকর্ড। প্রিমিয়ার লিগের কোনো মৌসুমে ২১ বছর বা তার আগে ৩০টির বেশি গোলে অবদান রাখা মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় পালমার। এর আগে এই কীর্তি দেখিয়েছেন রবি ফাওলের ও ক্রিস সাটন।
লিগে গোল্ডেন বুটের (সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার) লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হল্যান্ডের পরেই আছেন পালমার। অ্যাসিস্টের দিক দিয়েও যৌথভাবে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পালমার। ১৩ অ্যাসিস্টে সবার ওপরে অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনস।
২০২৩-২৪ মৌসুমে পালমার
গোল সংখ্যা: ২২, প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয়
অ্যাস্টিস্ট: ১০টি, যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
গোলে অবদান: ৩২টি, যৌথভাবে সর্বোচ্চ
গোল ও অ্যাসিস্ট দুই বিভাগেই দুই সংখ্যায় পৌঁছানো চার ফুটবলারের একজন পালমার। তিনি ছাড়া এই মাইলফলকে আছেন ওয়াটকিনস, মোহাম্মদ সালাহ ও অ্যান্থনি গর্ডন। এছাড়াও দিদিয়ের দ্রগবা ও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চেলসির ঘরের মাঠে এক মৌসুমে ১৬ গোল দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন পালমার। আগামী রবিবার স্টামফোর্ড ব্রিজে এএফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে সেই রেকর্ড ভাঙার দারুণ সুযোগ আছে পালমারের সামনে।
প্রিমিয়ার লিগে আগের মৌসুমগুলোতে সেরা তরুণ খেলোয়াড়
২০১৯-২০: ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড (লিভারপুল)
২০২০-২১: ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি)
২০২১-২২: ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি)
২০২২-২৩: আর্লিং হল্যান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি)
মন্তব্য করুন


ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলোত্তি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তার স্কোয়াড নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী নেইমারকে বিশ্বকাপে দেখা যাবে কি না, এ নিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মহলসহ ভক্তদের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল সরগরম আলোচনা। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আনচেলোত্তি বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার করে দিলেন।
আনচেলোত্তি বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা নেইমারকে নিয়ে খুবই আগ্রহী। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এখন ডিসেম্বর, বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। মে মাসে যখন আমি স্কোয়াড ঘোষণা করবো, তখন যদি নেইমার যোগ্য প্রমাণিত হয়, ফিট থাকে, অন্যদের সমান বা তাদের চেয়েও ভালো থাকে, তাহলে সে বিশ্বকাপে খেলবে। বিষয়টি এতটাই সরল।’
এ মৌসুমে সান্তোসের হয়ে নেইমার এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলেছেন।
করেছেন ৮ গোল ও ১টি অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও তার পারফরম্যান্স ছিলো উল্লেখযোগ্য, ৪ ম্যাচে ২ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট।
মন্তব্য করুন


চোটের কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। সঙ্গী জর্দি আলবাও ছিলেন চোটে ভুগছেন। সেমিফাইনালে দুজনকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে মাঠে নামতেই মেসি-আলবার জুটি যেন ফিরিয়ে এনেছে বার্সেলোনার সোনালি দিনের স্মৃতি।
অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালে মেসির জোড়া গোল আর সুয়ারেজের সঙ্গে তেলেসকো সেগোভিয়ার দারুণ বোঝাপড়ায় আসে আরেক গোল—এই তিন গোলেই ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখালেও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে বসে মায়ামি। ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকনের ভুলে বল পান অরল্যান্ডোর উইঙ্গার মার্কো পাসালিচ। বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।
ফ্যালকন তখন হ্যান্ডবলের দাবি তুললেও রেফারি তা খারিজ করে দেন।
এরপর ৭৫ মিনিটে সমতায় ফেরে মায়ামি। বক্সে মায়ামির উইঙ্গার তাদেও আয়েন্দেকে ফেলে দেন ডেভিড ব্রেকালো। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অরল্যান্ডোর ডিফেন্ডারকে, আর মেসি গোলকিপারের বাঁ পাশে নিখুঁত শটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন।
৮৮ মিনিটে আসে বার্সেলোনার দিনগুলো মনে করিয়ে দেওয়া গোল। বাঁ প্রান্ত দিয়ে উঠে বক্সের মাথায় আলবাকে পাস দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। আলবার নিখুঁত ফিরতি পাস থেকে বাঁ পায়ের শটে জালে বল পাঠান আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এ বছর মায়ামির হয়ে এটি মেসির ৩৩ ম্যাচে ২৭তম গোল।
তবে অরল্যান্ডোর দুঃস্বপ্ন শেষ হয়নি এখানেই।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করেন ভেনেজুয়েলান মিডফিল্ডার তেলেসকো সেগোভিয়া। এতে ৩–১ ব্যবধানে জয় পায় মেসির মায়ামি।
অন্য সেমিফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ও সিয়াটল সাউন্ডার্সের মধ্যে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। রোববারের ফাইনালে ওঠার মধ্য দিয়ে আগামী বছরের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল।
মন্তব্য করুন


ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন, মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্লাব সতীর্থদের কাছ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ পান মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে কেক কেটে তাকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন দেখা যায়নি। অবসর নেওয়ার দুদিন পর, বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আজ মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, মুশফিকের জন্য বিশেষ আয়োজনের ভাবনা তাদের আছে। তিনি মুশফিককে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার পথে ‘নাবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘এটা (মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা) আমরা পরিকল্পনা করব। এটা তো খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। মুশফিক সম্ভবত দেশের একজন কিংবদন্তি। দীর্ঘ ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ ক্রিকেট যে আজকে এই অবস্থায় এসেছে, তার মধ্যে সে অন্যতম একজন নাবিক, যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পথ দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি, ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সে যে পথটা দেখিয়েছে, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য তা অনেক বড় অনুপ্রেরণা। ক্রিকেট বোর্ড অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে তার সব অর্জন স্মরণ করেছি আমরা। বিসিবি থেকে একটা বার্তা দিয়েছি, আমার লেখা ছিল। আমরা চেষ্টা করব, ক্রিকেট বোর্ড থেকে পরিকল্পনা করব কীভাবে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া যায়।’
মন্তব্য করুন


২০২৪ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে আচমকা জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সালাউদ্দিন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর জাতীয় দলের কোচের পদে থাকবেন না তিনি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিবৃতিতে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন, ‘আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর তিনি (সালাউদ্দিন) পদত্যাগ করতে চান বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য প্রদানের পূর্বে আমরা অভ্যন্তরীণ আলোচনা করব।’
পদত্যাগের বিষয়ে সালাউদ্দিন প্রথমে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। পরে ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় এই কোচ অবশ্য জানিয়েছেন, সময়টা উপভোগ করছেন না তিনি, ‘কোচিং করানোটা আমার উপভোগের একটা জায়গা। মাঠই আমার সব। যদি কোনো কারণে সেটা উপভোগ না করতে পারি, তাহলে সরে যাওয়াই ভালো। আমি আমার দায়িত্বটা আর উপভোগ করছি না।’
কেন উপভোগ করছেন না, সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে জানিয়েছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে কাজ করতে তার কোনো সমস্যা নেই। অবশ্য বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাজমূল আবেদীনের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে কথাবার্তাই নাকি বন্ধ সালাউদ্দিনের! জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভাল করে বিসিবির এই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগই।
গত সোমবার হঠাৎ করেই মোহাম্মদ আশরাফুলকে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ নিয়োগ করে বিসিবি। তাই সালাউদ্দিনের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ মনে করা হচ্ছে আশরাফুলকে নতুন ব্যাটিং পরামর্শক নিয়োগ দেওয়াকে। তবে এ ব্যাপারে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, কোচিং স্টাফে আশরাফুলের অন্তর্ভুক্তিকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।
ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সালাউদ্দিনের বেশ ভূয়সী প্রশংসা করেই তাকে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে ব্যাটিং কোচের অনুপস্থিতিতে সালাউদ্দিনকেই বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে ব্যাটিং কোচের কাজ করতে হয়েছে। কাগজ-কলমে ব্যাটিং কোচ না হওয়া সত্ত্বেও ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এ ছাড়া সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজে নুরুল হাসান সোহানকে দিয়ে উইকেটকিপিং না করিয়ে জাকের আলী অনিকের উইকেটকিপিং করানোর দায়ও তাকে দেওয়া হয়েছে। অথচ, সালাউদ্দিন চেয়েছিলেন নুরুলই কিপিং করুক। কিন্তু অধিনায়ক জাকের চেয়েছেন কিপিং তিনি করবেন। সালাউদ্দিনের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স তাতে হস্তক্ষেপ করেননি।
এর আগে, ২০০৬–২০১০ সালে বাংলাদেশের সহকারী কোচ ও ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সালাউদ্দিন। পরবর্তীতে ২০১০-১১ সালে বিসিবির ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির বিশেষজ্ঞ কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ায় কোচ সালাউদ্দিন আবার ফিরবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আসন্ন বিপিএলেও তাকে দেখা যেতে পারে কোনো দলের কোচ হিসেবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলা হলো না সাকিব আল হাসানের। দেশে ফিরতে চাইলেও তাকে দুবাই থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সাকিবকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনের বেলা বেশ নাটক হয়েছে। তিনি দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে দুবাই আসেন ট্রানজিটের জন্য। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সেখানে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব নিজেই জানান, তার দেশের মাটিতে টেস্টকে বিদায় জানানো হচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে সরকার তাকে দেশে ফিরতে বারণ করেছে।
এরপর গতকাল রাতেই এ বিষয়ে কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের দেশে আসা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটি আমার বিষয় নয়।'
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট—সাকিব তখন পোস্ট দিলো যে সে কোথাও আনন্দ করছে। এটা কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে?'
তিনি বলেন, 'এছাড়া যে সমস্ত জুয়া, বেটিং, উশৃঙ্খল আচরণ... আমার মনে হয় এটার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী। এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও করেছে। মায়া লাগে। কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায়, সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।'
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ফুটবলে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যে ইতিবাচক, আবার কখনো নেতিবাচক খবর শোনা যায়।
ইংল্যান্ডের যুব দলে খেলা হামজার বাংলাদেশি জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা এখনো ফিফার দফতরে আটকে রয়েছে। বাফুফে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ফিফাকে পাঠিয়েছে, কিন্তু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি থেকে এখন পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
এদিকে ভারতের কিছু গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, আগামী মার্চে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নামবে এবং হামজাও এই ম্যাচে খেলবেন। আগামী বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ-২০২৭ এর বাছাইয়ের তৃতীয় পর্ব শুরু করবে। বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।
ভারতের মাটিতে খেলা নিয়ে ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বড় দুই দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে হামজার খেলার সম্ভাবনা কেমন? আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, "আমরা আপনাদের সময়মতো সঠিক তথ্য দেবো। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে হামজাকে নিয়ে কোনো আপডেট নেই। আপনারা যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছেন তা এখন পর্যন্ত সত্য নয়। যখনই কোনো আপডেট হবে, সবার আগে আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।"
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, "এ মুহূর্তে কোনো নতুন তথ্য দিতে পারছি না। আমরা কাজ করছি। ফিফা আমাদের কাছে যা যা চেয়েছে সবই দিয়েছি। অন্য দেশের গণমাধ্যমে যা লেখা হচ্ছে, সেগুলো আগের খবর। হামজা পাসপোর্ট পেয়েছেন, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ছাড়পত্র দিয়েছে, এসব খবর নতুন নয়। আমি হামজাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আশাবাদী।"
মন্তব্য করুন


মিয়ানমারে সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাইয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই নানা সমালোচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সর্বশেষ আজ হাইকোর্ট থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চার মাসের মধ্যে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করার।
আজ সকালে হাইকোর্ট থেকে এই নির্দেশনা আসার ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফেডারেশনে আসেন। ভবনের নিচেই উপস্থিত সাংবাদিকরা সালাউদ্দিনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ পর উপস্থিত সবাইকে ডেকে কথা বলবেন বলে জানান। ফেডারেশনে তার কক্ষে উপস্থিত অন্য কর্মকর্তাদেরও তিনি বলেছিলেন মিডিয়ায় এই বিষয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সাংবাদিকরা অবশ্য বাফুফে ভবনে অপেক্ষায় থাকেন দীর্ঘক্ষণ। প্রবেশের মতো সালাউদ্দিন বেরিয়ে যাওয়ার পথেও সাংবাদিকদের সামনে পড়েন। তখন পুনরায় তাকে জিঞাসা করলে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি।
সম্প্রতি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে কথা বলতে এসেই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছেন তাই এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গণমাধ্যমকে বলেন, 'এখনো আমরা নির্দেশনার কোনো কপি পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আপনাদেরও অবহিত করা হবে।’
আরও পড়ুন>>> দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত কাজী সালাউদ্দিন
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তার অধীভুক্ত সংস্থাগুলোতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করে না। তৃতীয় পক্ষের বড় ধরনের হস্তক্ষেপ থাকলে সেই সংস্থাকে বহিষ্কারও করে। দুদকের প্রতি হাইকোর্টের এই নির্দেশনা ফিফার আইন ও দৃষ্টিতে কেমন এ নিয়েও বাফুফে কর্তারা কিছু বলেননি।
বাফুফেতে দুর্নীতির বিষয়টি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে দুদক বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনকে চিঠি দিয়েছিল। সেই তদন্ত বেশ কিছু দিন চলার পর কাজী সালাউদ্দিনের তদন্তে কিছু পাওয়া যায়নি বলে চিঠি দিয়ে নিষ্পত্তিও করেছিল।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হলো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায়। শ্রীলঙ্কান কোচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই হেড কোচকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে। নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের নাম।
হাথুরুকে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাখবেন না ফারুক আহমেদ, এমন গুঞ্জন ছিল দুই মাস আগ থেকেই। অবশেষে গতকাল সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগ মুহূর্তে অথবা আগেরদিন রাতেই বিসিবিপ্রধানের ফোনে কোচ পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে পারেন হাথুরুসিংহে। যদিও সেটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতির ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ। তার বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
হাথুরু এসব অপরাধ হয়তো ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।
উল্লেখ্য, হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আগেভাগেই লঙ্কান এই কোচকে বিদায় করে দিলো বিসিবি।
মন্তব্য করুন


স্পোর্টস ডেস্কঃ
পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানের যুবাদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে সমান ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতের বিপক্ষে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজিজুল হাকিম তামিমের দলের।
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই অর্ধেক কাজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধা অগ্নিঝরা বোলিংয়ে মোট ৬ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ৩৭ ওভারে মাত্র ১১৬ রান করে। জবাব দিতে নেমে ২২.১ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ। ৬৫ বলে ২৮ রান করেন মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ। ৪১ বলে ১৮ রান করেন অধিনায়ক সাদ বাইগ। ৩০ বলে ১০ রান নেন হারুন আরশাদ। বাকিরা ছিলেন এক অংকে আটকা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০) ও জাওয়াদ আবরারকে (২৫ বলে ১৭) হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমসের ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পায় যুব টাইগাররা। ৩৬ বলে ২৬ রান করে শিহাব জেমস আউট হয়ে গেলে রিজান হোসেনকে নিয়ে ম্যাচ জেতান আজিজুল হাকিম।
৪২ বলে ৬১ রানের হার না মানা অনবদ্য ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। তার সঙ্গে রিজান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
মন্তব্য করুন


বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন