

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারীকে আটক করেছে আলেখারচর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা।
গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলেখারচর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা নন্দনপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে সালমা আক্তার (৪২) নামে এক নারীকে আটক করা হয়। তিনি নন্দনপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
অভিযানে তার কাছ থেকে ১৫১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ৪৭ হাজার ১০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আটক নারী ও উদ্ধার হওয়া মালামাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পন্ন করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
মাত্র পাঁচ বছরের এক ছোট্ট শিশু, মুনতাহা আক্তার জেরিন। তার মিষ্টি হাসি ও চঞ্চলতা পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করত। প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয় এই শিশুটিকে, এবং এতে জড়িত ছিলেন তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। কিছুদিন আগে তার খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান বিবি শিশুটিকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যান।
ঘরের ভেতর ওড়না ও রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে রাখা হয়। গভীর রাতে মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের পাশের নালায় পুঁতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে মরদেহটি পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এসময় আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩ নভেম্বর দুপুরে মুনতাহা পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে মুনতাহার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে অনেকেই মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য আবেগঘন পোস্ট দেন এবং স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালের ৪ মালিকের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটি পুনরায় চালুর জোর দাবি জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালটি যখন নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে ছিল, তখন ২৩ জন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেটি সচল করেছিলেন। অথচ মালিকপক্ষ ৪ জন যথাক্রমে মাহবুব আরব মজুমদার, এস এম সাইফুর রহমান, জুয়েল খান ও সাইফুল আমিন এখন চুক্তিভঙ্গ করে নতুনভাবে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ফলে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুমিল্লাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে হাসপাতালটি চালু করেছিলাম। অথচ মালিকপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা অবিলম্বে হাসপাতাল পুনরায় চালুর ব্যবস্থা চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক খায়রুন্নেসা, হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ রিপন, জসিম উদ্দিন, মামুনুর রহমান, আসাদুজ্জামান রাসেল, মোজাম্মেল হকসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালটি কুমিল্লা অঞ্চলে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিক সরঞ্জামসহ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিল।
মন্তব্য করুন


দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি এয়ারগান এবং ৩টি ছুরিসহ শহীদ মিয়া নামের এক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করে।
আটক হওয়া ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় লালমাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানী ঢাকায় আরও তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দিনগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও বসুন্ধরা এলাকায় দুটি রাইদা পরিবহন ও একটি রাজধানী পরিবহনে আগুন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানায়, রাত ১২টা ৫৪ মিনিটে সংবাদ আসে যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে পার্কিং অবস্থায় রাজধানী পরিবহন বাসে আগুন লাগার। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে আগুনের কারণ জানা যায়নি।
রাত ৪টার দিকে উত্তরার সোনারগাঁও জনপদ রোডে পার্কিং অবস্থায় রাইদা পরিবহন বাসে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া রাত ২টা ৭ মিনিটে যাত্রাবাড়ীর কাজলা টোল প্লাজায় রাইদা পরিবহনের বাসে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও জানায়, রাজধানীর বসুন্ধরা মেন গেট ১০০ ফিট সড়কে রাত ২টা ৩৫ মিনিটে একটি প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। পরে খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চলন্ত বাসে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
তার আগে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চান্দগাঁও ক্যাম্পের অফিস থেকে পলাশ সাহা নামে এক কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বহদ্দারহাটে অবস্থিত র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পলাশ সাহা (৩৭) র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন জানান, পলাশ সাহাকে তার অফিস কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তার পরিবারের উদ্দেশে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পলাশ সাহার স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
মন্তব্য করুন


জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা ইউনিট গঠিত হয়েছে। শনিবার কুমিল্লা কর আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতারা তিন বছরের জন্য ওই কমিটি অনুমোদন দেন। এতে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান রাজনকে সভাপতি, অ্যাডভোকেট মোঃ ইফতেখার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্যদের ওই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন চৌধুরী শিশু ও অ্যাডভোকেট ইকরাম হোসেন। সহ-সভাপতি আইটিপি আবুল মিয়া। সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ সাগর। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাহাউদ্দিন রাজন ও অ্যাডভোকেট আবু সুফিয়ান। দপ্তর সম্পাদক আইটিপি মোঃ আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকতের নেছা পাখি, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনাজ সুলতানা সুমা, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ শাহজাহান ভুইয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরে আলম ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল সরকার। সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট সামসুর রহমান ফারুক, অ্যাডভোকেট মোঃ কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মোঃ জালাল আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট এফ আহম্মেদ শান্ত, অ্যাডভোকেট মোঃ শুকুর আলী সাফী, অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কাজি মামুনুর রশিদ, আইটিপি রেজাউল খান চৌধুরী ও আইটিপি আবদুল কাদের ভুইয়া। প্রধান উপদেষ্টা পিপি অ্যাডভোকেট কাইমূল হক রিংকু। উপদেষ্টারা হলেন- অ্যাডভোকেট মোঃ শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক খন্দকার ও অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলাম।
মতবিনিময়ঃ
তার আগে শনিবার সকালে কুমিল্লা কর আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে কমিটি গঠনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। কুমিল্লা জেলা কর আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান রাজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কমপ্লেইন্ট এন্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মতিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ এইচ এম মাহবুবুস সালেকিন, ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম, ঢাকা ট্যাক্সেস বার ইউনিটের সেক্রেটারী মোঃ মনজুর হোসেন পাটোয়ারী, ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মজুমদার মেজবা, জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফ হোসেন খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম, ঢাকা ট্যাক্সেস বার ইউনিটের জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ শামীম মনি, কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান খন্দকার, কুমিল্লা কর আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আইটিপি বাবুল মিয়া, কুমিল্লা বার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকরাম হোসেন, কর আইনজীবী সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক আইটিপি আবুল খায়ের ও অ্যাডভোকেট বরকতের নেছা পাখি। এসময় সিনিয়র অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন চৌধুরী শিশু সহ আইনজীবী ও আইটিপিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করা যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৩ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুবলীগ নেতা সুমনের ঘরের পাশে ঝোপে বস্তার নিচে লুকানো এলজি টি উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
গ্রেফতার হওয়া সুমন নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের মোগলটুলি উত্তর গাংচর এলাকার মৃত আলাউদ্দিন আহাম্মদের বড় ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা সুমনের অস্ত্রটি বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ের আড়ালে বস্তার নিচে লুকানো রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে সেনাবাহিনীর আদর্শ সদর ক্যাম্প শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মোগলটুলির গাংচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রটি উদ্ধার করে।
সদর ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৌহিদের নেতৃত্বে একটি পেট্রোল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রটি উদ্ধার করে কোতয়ালী থানায় জমা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমন বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নেন। পরে পরে পুলিশের অভিযানে সুমন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সহযোগীরা আতঙ্কে তার অস্ত্রটি তার বাড়ির পাশে ফেলে যায়।
যৌথ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সুমন ও তার অনুসারীরা আরও অস্ত্রশস্ত্রের মালিক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও তৎপরতা সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ্য যে, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমন সদরের সাবেক এমপি হাজী আ কম বাহাউদ্দিন বাহারের অন্যতম অনুসারী ছিলেন। ৫ আগস্টের পরে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে চলাফেরা শুরু করেন। এমনকি মোগলটুলী মোড়ে কুসিকের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টার ব্যানার করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা সুমন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে এমনকি দুর্বল মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করার জন্য বিএনপি'র একটি অংশ জোর তদবির করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মেঘের রাজ্যে পর্যটকদের না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তারের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনভর সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় বিবদমান দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় মূলত বুধবার থেকে সাজেক যেতে না করছে প্রশাসন।
এর আগে, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দফায় দফায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটির সকল পর্যটন কেন্দ্র থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
মন্তব্য করুন


ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় বিবি কুলসুম (৪০) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিবি কুলসুম চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়।
রোববার (১৪ মে) গভীর রাতে সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিবি কুলসুম ওই গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী।
কুলসুমের স্বজনরা জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের মামলার ভয়ে ঈদের আগে থেকে কুলসুমের স্বামী অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার দিন রাতে কুলসুম তিন সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। কখন কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউ টের পায়নি। স্বামী তছির রোববার রাত থেকে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েছেন। কল রিসিভ না হওয়ায় তছির তার বড় ছেলেকে সোমবার (১৫ মে) সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলেন (বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামে থাকেন)। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে তছিরও বাড়িতে ছুটে আসেন।
পূর্ব ইলিশার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ভোলা সদর থানা পুলিশের ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনা জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেও হতে পারে। তবে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও সিআইডির টিম মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খুব দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
মন্তব্য করুন


বিদেশি পিস্তলসহ কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার (৪ জূলাই) ভোর রাত ৫ টায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক হওয়া খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন