স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পেলেই স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, জনগণ যদি আরও সংস্কারের দাবি করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, "জনগণ যদি মনে করে যে সংস্কারের প্রয়োজন নেই, তবে যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ছেড়ে দেবে।"
সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা চিকিৎসা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার ভঙ্গুর অবস্থা তুলে ধরে তিনি বিগত সময়ে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করেন। এসময় তিনি বলেন, "সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরপরই স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।"
মন্তব্য করুন
সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা নয়, সকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখানে পর্যালোচনা করা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের মাটি কেটে নেওয়া, অবৈধ পাহাড় ধ্বংসসহ পরিবেশগত নানা সমস্যা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
মিয়ানমার সীমান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আরাকান সীমান্ত একটি জটিল অঞ্চল। আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও বাস্তবে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে। এখানে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বৈত করের সমস্যা রয়েছে—একদিকে মিয়ানমার সরকার, অন্যদিকে আরাকান আর্মি উভয়ই শুল্ক আদায় করে। তবে আমরা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। সর্বোপরি, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।’
সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরাকান আর্মির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কিছু সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাদের কিছু সদস্য বাংলাদেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে—এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে ভাইরাল ভিডিওগুলোর সবই সত্য নয়, আবার সবটা মিথ্যও বলা যাবে না। এখানে সতর্কতার সঙ্গে বিচার করা জরুরি।’
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি—পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল। আমি এখানে তিন দফায় দায়িত্ব পালন করেছি। একসময় ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে গণহারে প্রাণহানি হতো, যা মিডিয়ায়ও আসত না। এখন পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সাজেক পর্যন্ত ভ্রমণ করছেন। ছোটখাটো অপরাধ সমতলেও ঘটে, শুধু পাহাড়কে দোষারোপ করা যায় না।’
যৌথ বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনীর অভিযান কোনোভাবেই কমেনি। বরং গণমাধ্যম ও জনসাধারণের সহযোগিতায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্য ঘটনা প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের কিছু মহল বিভ্রান্তি ছড়ায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সর্বদা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—এ ধারা বজায় রাখার অনুরোধ রইল।’
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘাত প্রসঙ্গে তার পরামর্শ, ‘এরা আমাদেরই তরুণ ভাই। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’
চট্টগ্রামের রাউজানে সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া—এ অঞ্চলে পাহাড় ও সমতলের মিশ্র অবস্থান। সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে পাহাড়ে আত্মগোপন করছে। আমরা স্থানীয় পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কোনো অপরাধী প্রকাশ্যে থাকলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতরা সাক্ষাৎ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত (২০ জন অনাবাসী রাষ্ট্রদূতসহ) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৮ জন একত্রিত হয়ে বৈঠক করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকারের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ এটি প্রথমবার। এই বৈঠক বাংলাদেশ ও ইইউ-এর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রফিকুল আলম আরও বলেন, আসন্ন যৌথ সভায় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যত গঠনে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকার কারণে নয়াদিল্লির বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থিত বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া দূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত বুলগেরীয় দূতাবাস থেকে ৮৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত রোমানিয়া দূতাবাস থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদান করছে।
রফিকুল আলম বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দেশে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাংককে অবস্থিত কাজাখস্তান দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এছাড়া, চলমান আলোচনা অনুযায়ী, বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তারা ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদান করতে আগ্রহী।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার আলোচনা করবে।
আজ রবিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আমরা বেশকিছু মতামত পেয়েছি। এটি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হবে। সামনে এ বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হবে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা বলেছিলাম, কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি করা হবে, এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে আলোচনা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মন্তব্য করুন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবৈধভাবে পাসপোর্ট নেওয়া ঠেকাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এখনই তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া তুলে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে এই প্রক্রিয়া তুলে দিলে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সুযোগ পাবে। এজন্য এখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাসপোর্ট জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এমআরটি (মেশিন রিডেবল টেম্পোরারি) পাসপোর্ট নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আর এমআরটি পাসপোর্ট এখন আর থাকবে না।”
পাসপোর্ট পেতে সাধারণ মানুষ এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই ভোগান্তি কমিয়ে আনার জন্য সরকার কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের বিদেশিদের আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পাসপোর্ট প্রক্রিয়া থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।
এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।
৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় গভর্নর।
একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
গভর্নর জানান, নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি, সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তিনি জানান, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এজন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।
ড. আহসান এইচ মনসুর আরও জানায়, আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক—আমাদের দাবি যথাযথ কি না। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।
তিনি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এ পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন।
তিনি জানায়, কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর জানান, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে আমদানিকারকদের তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানের দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট থাকলেও শাকসবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই। তবে কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তাকে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে।
এসময় গত ডিসেম্বরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযান দুর্ঘটনায় নিহত ৬ শ্রমিকের পরিবারকে সচিবালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুই লাখ টাকা এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”
আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
নারী সংস্কার কমিশন বাতিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১২ দফা ঘোষণাপত্র দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন সংগঠনটির নায়েবে আমীর মাওলানা মাহফুজুল হক।
ঘোষণাপত্রের প্রথম দফাতে নারী সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের পাশাপাশি আলেম ও নারী প্রতিনিধি নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি করা হয়।
বাকি দফাগুলো হলো- সংবিধানে আল্লার উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন ও বহুত্ববাদ বাদ দিতে হবে। শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের গতি আনতে হবে, নির্বাচনের আগে বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদের হাতে নিহত সাইফুলের হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে দায়ের করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও যারা গুম-খুন করেছে তাদের বিচার করতে হবে। গাজায় হামলা নিয়ে সরকারের অবস্থান ও ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাইমারি থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশিদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়াও নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন ও ২৩ মে চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।
এর আগে, শনিবারের সমাবেশকে সফল করতে এদিন ফজরের নামাজের পর থেকেই ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনটির নেতারা এসময় সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিতে যোগদান করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল ও গণসংযোগ করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। মিছিলে তারা দেশের ধর্মপ্রাণ জনতাকে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ‘ইসলাম ও ন্যায়বিচারের’ পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
কাতারের আমিরের পাঠানো ওই ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এই বিশেষ এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে এক ধরনের ভাসমান হাসপাতাল বলা যেতে পারে। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা।
পাঠকদের জন্য এখানে এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:
আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম: এই বিমানগুলিতে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ।
আইসিইউ সুবিধা: বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থাকে।
ডাক্তার এবং নার্স: এই বিশেষ বিমানে সবসময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার এবং নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম।
স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ: রোগীর আরামের জন্য এই বিমানগুলি অত্যন্ত আরামদায়কভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ: বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, অর্থাৎ, দীর্ঘ দূরত্বের বিমান যাত্রার ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স একটি অত্যাধুনিক এবং বিশ্বাসযোগ্য বিমান যা জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। এর দ্রুত গতি, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম এটিকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে।
জানা গেছে, কাতারের আমিরের পাঠানো এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চিকিৎসক, বিএনপি নেতারা, ব্যক্তিগত কর্মী এবং দুজন গৃহকর্মী থাকবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন আবার লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করে পরে দেশে ফিরতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, মা-ছেলের দীর্ঘ কাঙ্ক্ষিত এই সাক্ষাতে দেশ, দল ছাড়াও ভবিষ্যতের রাজনীতি নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
মন্তব্য করুন