ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, কীভাবে পরিসংখ্যান ম্যানিপুলেট করে উন্নয়নের গল্প সাজানো হয়েছে। যদিও উন্নয়নের কথা শোনানো হয়েছে, তবে প্রকৃতপক্ষে ভেতরে ভেতরে চলছে লুটপাটের এক বিশাল মহাযজ্ঞ।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল।" তিনি আরও বলেন, "আর্থিক খাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল আতঙ্কজনক। এই ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে, তবে কেউ এ নিয়ে কথা বলেনি।"
শ্বেতপত্রটি আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের চলমান নানান ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ লক্ষ্যে তিনি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আজ (বুধবার) বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, বুধবার তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করেছেন। তিনি তাদের সঙ্গে বসবেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহা সামনে রেখে শ্রমিকদের পাওয়া পরিশোদের জন্য চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মালিকদের সময় দিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করলে যেসব মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা জানান, ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি।
বুধবার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রার প্রস্তুতিমূলক সভা করেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সভা শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা জানান তিনি।
বেতন পরিশোধ না করলে মালিকরা দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় পাঁচজন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। আরো অনেকের বিরুদ্ধে হবে। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, অন্যথায় জেলে যেতে হবে।
ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় লঞ্চে অস্ত্রধারী চার জন করে আনসার থাকবে, বাল্কহেড ঈদের আগে ও পরে তিনদিন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যা পুলিশের পেশাদারিত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধার করা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সকল ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, দলীয় স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করে বড় ধরনের অন্যায় করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। পুলিশ যেন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রভাবের শিকার না হয়, সেজন্য পুলিশের সংস্কারে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে লুট হওয়া ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার বাকি রয়েছে। এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মামলার ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে। যেসব নিরীহ মানুষকে ভুলক্রমে আসামি করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। হয়রানি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জাম আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে, গত ৫ আগস্ট এই বাহিনীর কিছু যানবাহন ও সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যা অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যক্ষম করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসএসএফ একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা আমার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে বিদেশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। আমি এসএসএফ-এর সার্বিক পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্ট। এজন্য আমি সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসএসএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী, তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এই বাহিনী আমার নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরগুলো সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিবের রাষ্ট্রীয় সফরের সামগ্রিক নিরাপত্তা এই বাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা হুমকির ধরন ও প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসএসএফ সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এসএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
ড. ইউনূস বলেন, সম্প্রতি এসএসএফ যমুনার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করেছে। এসএসএফ একইভাবে এই কার্যালয়েরও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করবে। এসএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত মনোবলের সন্নিবেশে দিন দিন আরো উন্নতি সাধন করবে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্নস্থানে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বিভিন্ন শহরে গাজাবিরোধী বিক্ষোভের সময় সংঘটিত হিংস্র ও অবৈধ ঘটনার ওপর বাংলাদেশ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলা এবং ভাঙচুর কাজ জন নিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অপমানজনক।
এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মামলা দায়ের করা চলছে।
তিনি আরো বলেন, যারা বিচারের আওতায় আসবে তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রচেষ্টায়, পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছিল।
এ ছাড়া আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আরো ব্যক্তি জড়িত শনাক্ত করার জন্য বিক্ষোভের সময় তোলা ভিডিও ফুটেজ কঠোরভাবে পর্যালোচনা করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সহিংসতা ও ধ্বংসের জন্য দায়ী তাদের গ্রেপ্তার না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন কাউকে অনুরোধ করছি যে তথ্য নিয়ে তদন্ত করতে সাহায্য করতে পারে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যারা আমাদের সমাজের শান্তি ও স্থায়িত্বকে দুর্বল করতে চায় তাদের জবাবদিহি করা হবে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে নয়, ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া, গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেন, “২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।”
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সংস্কার এবং ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে ২০২৫ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সীমানা রক্ষায় তোমরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। সীমান্তে প্রতিপক্ষের কাছে কোনো অবস্থাতেই পিঠ প্রদর্শন করবে না।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার ও কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে প্রতিপক্ষের কাছে কোনো অবস্থাতেই পিঠ প্রদর্শন না করার জন্য আমি তোমাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ মাতৃকার রক্ষায় তোমরা প্রয়োজনে জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না।বিজিবির নবীনদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে নাতিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে চাই যে, তোমরা আমাদের হতাশ ও নিরাশ করবে না। জেনে রাখবা, তোমাদের দেওয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই দেশের মানুষের নির্বিঘ্ন ঘুম নিশ্চিত করবে। তোমরাই হবে আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সুপরিচিত এ বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা এবং সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সঙ্গে পালন করে আসছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সৈনিকরা আজ তোমরা যে তেজোদ্দীপ্ত কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেছো তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল তোমাদের কঠোর প্রশিক্ষণ, নিরলস প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও অদম্য আগ্রহের জন্য। মনে রাখবা, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। তোমরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তোমাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব।বিজিবির নবীনদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সীমানা রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দেবে, ‘এক ইঞ্চি মাটি’ হাতছাড়া করবে নাএসময় অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০২তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ৩০ জুলাই বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) শুরু হয়। প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে সর্বমোট ৬৯৫ জন রিক্রুটের মধ্যে ৬৪৯ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
দীর্ঘ ২৩ সপ্তাহের অত্যন্ত কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আজ আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের সূচনা হলো।
মন্তব্য করুন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে পৃথক দুটি ধারায় ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি আব্দুল মালেক দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া, তিনি তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখল করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এর আগে, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও জাল টাকাসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মালেক। তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত তাকে উভয় ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এদিকে, আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন।
মন্তব্য করুন
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। পুলিশ যে পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সেটি সবাই জানে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সারাদেশে চুরি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করার জন্য পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছাত্রসমাজের সহযোগিতা চাই। সবাই মিলে একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তাধীন। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এছাড়া, সমন্বয়কদের হুমকি সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এখনো কোনো গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পরে জনগণ এমন একটি পুলিশ বাহিনী চায়নি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষের পুলিশের ওপর এত ক্ষোভ কেন, তা বিশ্লেষণ করা উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতো, তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।
মন্তব্য করুন