আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবিলা নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার, ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চিঠিতে তিনি কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথ নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধ এবং ট্রাম্পের ‘আগ্রাসী অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ নীতির ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তুলে ধরেন।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, ট্রুডো যখন তাকে জানান যে, তিনি আর ফ্রিল্যান্ডকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চান না, তার এক সপ্তাহ পরেই পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত আসে। ফ্রিল্যান্ডের ধারণা ছিল যে, তিনি পার্লামেন্টে সরকারের বার্ষিক আর্থিক আপডেট উপস্থাপন করবেন, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই ঘোষণা ট্রুডোর প্রশাসনকে সংকটে ফেলতে পারে, কারণ এটি ইতিমধ্যেই নড়বড়ে সংখ্যালঘু সরকারের দিকে চলে যাচ্ছে।
নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর, জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে একের পর এক পদত্যাগের আহ্বান আসছে। অনেকের ধারণা, তিনি তার দলের ভবিষ্যতের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এক জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার সময় ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৬৩ শতাংশ, কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে তা কমে ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচজন লিবারেল সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে ট্রুডোর পদত্যাগের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।”
গাজার রাফাহতে অবস্থিত উদ্বাস্তুদের একটি ক্যাম্প।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েল শীঘ্রই গাজার রাফাতে হামলা চালাতে পারে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, গাজায় সাহায্য প্রদানে ইসরায়েলের ধীর অগ্রগতিকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বা ন্যায্যতা দেওয়ার একটি অজুহাত হিসেবে দেখা উচিত নয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের ওপর প্রভাব আছে এমন দেশগুলোকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রায় সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি 'দীর্ঘ প্রতিশ্রুত' হামলা চালানো হবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।"
গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের প্রভাব কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে আন্তোনিও গুতেরেস জানালেও তিনি সেখানে আরো সাহায্য পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছেন। গুতেরেস বিশেষভাবে ইসরায়েলের প্রতি গাজার উত্তরাঞ্চলের দুটি সংযোগস্থল খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্চ মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং সম্ভবত মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে গাজায় ও জুলাই মাসের মধ্যে ছিটমহলগুলোতে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। গুতেরেস বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের অসহায় মানুষ "ইতোমধ্যেই ক্ষুধা ও রোগে মারা যাচ্ছে।"
সাহায্য বাড়াতে এবং রাফাহতে হামলা এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের উপর কী প্রভাব রাখতে পারে এমন প্রশ্ন করা হলে গুতেরেস বলেন, "একটি সম্পূর্ণ বিধ্বংসী ট্র্যাজেডি এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করাই গুরুত্বপূর্ণ।"
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় সাহায্য বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়ে তিনি বুধবার (১ মে) নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করবেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনের বেশী মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ও জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত গত বুধবার তাদের কিছু শহরে দুই থেকে তিনবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং এখনও ভারতের আক্রমণের ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যদি ভারত কোনো কারণ বা প্রমাণ ছাড়াই কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা জবাব দেব। পাকিস্তানকে এর উত্তর দিতেই হবে। আমরা যদি এখনই ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই, তাহলে আমাদের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকবে। তবে আমরা ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করব না।"
পাকিস্তানের বেসরকারি চ্যানেল জিও টিভি-এর অনুষ্ঠান 'আজ শাহজাইব খানজাদা কে সাথ'-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খাজা আসিফ বলেন, "ভারত কিছু শহরকে দুই থেকে তিনবার টার্গেট করার চেষ্টা করেছে, অন্তত রাডারের মাধ্যমে, যাতে প্রয়োজনে সেখানে হামলা চালানো যায়।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আক্রমণ প্রতিহত করতে কিছু শহরে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং এর চরম মূল্য দিতে হবে।"
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, "ভারত যা করছে, আমরা তা সহ্য করব না, বরং কঠোর জবাব দেব।" এছাড়াও, তিনি বলেন যে দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া সংকট এখনও শেষ হয়নি।
মন্তব্য করুন
চাঁদে সূর্য ওঠার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভারের কোনো সাড়া পায়নি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, চাঁদে যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকবে, তত ক্ষণ বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ইসরো এক চন্দ্রদিবস, অর্থাৎ পৃথিবীর হিসাবে আগামী ১৪ দিন অপেক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু সাড়া যে পাওয়া যাবেই না, তেমন কথা বলতে পারছি না। আমরা চাঁদের হিসাবে গোটা একটা দিন অপেক্ষা করতে পারি। কারণ, এই সময়ের মধ্যে অনবরত সূর্যের আলো পড়বে চাঁদের মাটিতে। ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ১৪তম দিনেও সাড়া মিলতে পারে বিক্রম, প্রজ্ঞান থেকে।
চাঁদের মাটিতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালিয়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। তারপর তাদের ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাতে সূর্যের আলো না থাকায় এই যন্ত্রগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল। চাঁদে রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২০০ থেকে ২৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে নামতে পারে পারদ। এই তীব্র ঠান্ডা চন্দ্রযানের যন্ত্রপাতি সহ্য করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে সূর্যের আলো পেয়ে যন্ত্রগুলো গরম হলে আবার তা থেকে সাড়া মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার যাতে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, তার জন্য বিক্রমের রিসিভার চালু রেখেছিল ইসরো।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে গেছেন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ১০টি এবং আলাস্কায় ৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার মাধ্যমে তিনি মোট ২৭৯ ইলেকটোরাল ভোট অর্জন করেছেন। এই ভোটসংখ্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে, ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন যখন তার ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা ছিল ২৬৬, যা ম্যাজিক ফিগার থেকে চার ভোট কম। এখন প্রয়োজনীয় ভোটসংখ্যা অর্জন করায় তার জয় নিশ্চিত হয়েছে।
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ৬ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক সরকার। এদিন মোট ৫ হাজার ৮৬৪ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশিও রয়েছে। শনিবার (০৪ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস প্রতি বছর ৪ জানুয়ারি পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে মিয়ানমার (তৎকালীন বার্মা) ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি মিয়ানমারে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে উদযাপিত হয় এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পতাকা উত্তোলন, সামরিক কুচকাওয়াজ ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
২০২১ সালের শুরুর দিকে সামরিক বাহিনী একটি নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে। তারপর গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে সহিংসভাবে দমন করলে মিয়ানমার সংকটে নিমজ্জিত রয়েছে, যা একটি জাতীয় সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে।
জান্তা সরকার বলেছে, তারা এ বছর নির্বাচন দেবে। তবে এই পরিকল্পনাকে প্রহসন বলে নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো।
জান্তার হাতে আটক থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিও রয়েছেন। ৭৯ বছর বয়সী এই নেত্রী ১৪টি ফৌজদারি অভিযোগের আওতায় ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যার মধ্যে উসকানি, নির্বাচনী জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে তার আইনজীবীদের মতে, তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন
দিল্লির ৪৪টি স্কুলে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি পাওয়া স্কুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডিপিএস আরকে পুরাম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হুমকি পাওয়ার পরপরই স্কুলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই হুমকি ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি ওই ইমেইলের একটি কপি হাতে পেয়েছে।
ইমেইলটি রোববার রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে পাঠানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, স্কুল ভবনের ভেতরে একাধিক বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ইমেইলে আরও বলা হয়েছে, বোমাগুলো আকারে ছোট হলেও সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লুকানো হয়েছে।
ইমেইল প্রেরক বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য ৩০ হাজার ডলার দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, বোমাগুলো ভবনে বড় কোনো ক্ষতি করবে না, তবে এতে বহু মানুষ আহত হতে পারে।
এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সকালে যখন স্কুল বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিতে আসতে শুরু করে এবং অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে নামিয়ে দিতে আসেন, তখনই বোমা হামলার সতর্কতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল থেকে দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে প্রথম একটি বোমা হামলার হুমকির ফোন পায়। এরপর সকাল ৭টা ৬ মিনিটে ডিপিএস আরকে পুরাম স্কুল থেকেও ফোন আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, স্থানীয় পুলিশ এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় ভিসা নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে ৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দেশটির পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স থেকে তাদের আটক করা হয়। চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী সিডুয়া এলাকার একটি বাসভবন থেকে বাংলাদেশিদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ১৮ থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে, জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র ভিজথা হেরাথ বলেন, যারা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অতিরিক্ত সময় ধরে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছেন বা ভিসা বিধি লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে ২০২৫ সালে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছরের আগমনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৪ সালের শেষে চীনের জিডিপি অন্তত ১৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। খবরটি রয়টার্সের।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে শি জিনপিং বলেন, গত বছরে চীন দেশের ভিতরে এবং বাইরের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের উচ্চমান ধরে রাখতে সর্বাত্মক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
চীন দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ ব্যবসায় মন্দা, স্থানীয় সরকারের ঋণের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোক্তাদের আস্থার অভাবে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। গত বছর এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে দেশটিকে। এর মধ্যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে উচ্চ রফতানি শুল্ক আরোপের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের সীমানার বাইরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি পুরোনো থেকে নতুন চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের চাপও বাড়ছে।
তবে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। শি জিনপিং আরও বলেন, ‘‘প্রতিবারের মতো আমরা ঝড়বৃষ্টির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠব, কঠিন সময়ের মধ্যে আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠব। নিজেদের সক্ষমতার ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।’’
চীনের কর্তৃপক্ষ গত সেপ্টেম্বরে ঋণের সুদের হার হ্রাস এবং বাড়ি ক্রয়ে বিধিনিষেধ কমানোর মতো পদক্ষেপ নিয়ে নির্মাণ ব্যবসা ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙা করার চেষ্টা করেছে।
বিদায়ী বছরের শেষ মাসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ২০২৫ সালে তুলনামূলক সহজ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর বাস্তবায়ন হলে, বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বিধিনিষেধমূলক নীতিমালা আসবে। পাশাপাশি, ২০২৫ সালে ভোক্তা ব্যয় এবং বন্ড ইস্যু বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা বিয়ন্সে নোলস। শুক্রবার স্থানীয় সময়ে হিউস্টনের একটি জনসমাবেশে এ সমর্থন জানান তিনি।
বিয়ন্সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, "আমি এখানে একজন সেলিব্রিটি হিসেবে আসিনি, এবং একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেও আসিনি। আমি এখানে এসেছি একজন মা হিসেবে।" তিনি বলেন, "একজন মা হিসেবে আমি চাই আমাদের সন্তানরা এমন একটি বিশ্বে বেড়ে উঠুক, যেখানে তাদের নিজেদের স্বত্বার ওপর নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা থাকবে, যেখানে আমরা বিভক্ত নই—আমাদের অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের জন্য।"
হিউস্টনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে, বিয়ন্সে উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান কমলা হ্যারিসকে নির্বাচিত করার জন্য এবং বলেন, “এবার আমেরিকার জন্য একটি নতুন গান গাওয়ার সময়।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেন।
এসমাবেশে বিয়ন্সের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার সঙ্গী এবং অভিনেত্রী কেলি রাউল্যান্ডও। বিয়ন্সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “এটি এমনই একটি গান, যা ২৪৮ বছর আগে শুরু হয়েছিল।”
ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমর্থনে বিয়ন্সের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সংযুক্তি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে আশাবাদী মনোভাব সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করছেন, এটি কমলা হ্যারিসের প্রচারণাকে আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও টেক্সাসে তার দলের জন্য প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন, যা এই অঙ্গরাজ্যকে তার দলের জন্য একটি শক্তিশালী অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিয়ন্সের মতো সেলিব্রিটিদের রাজনৈতিক সমর্থন নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। এর ফলে আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের জন্য পরিস্থিতি আরও সুবিধাজনক হতে পারে।
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা থেকে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ ঘোষণাটি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও শুক্রবার কানাডাকে জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডো বলেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক এবং দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। শুক্রবার তিনি বলেন, কানাডা এই সিদ্ধান্তের জবাব দিতে প্রস্তুত এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৃঢ় ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, "আমরা এটি চাই না, কিন্তু যদি ট্রাম্প এগিয়ে আসেন, তাহলে আমরাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্পই টেবিলে আছে।"
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অটোয়ার কর্মকর্তারা কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। তবে তারা এখনই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চাইছেন না।
ট্রুডো তার বক্তব্যে কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, সামনে কঠিন সময় আসতে পারে। তিনি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক এক উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে দেশটি বর্তমানে একটি সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি।
ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে কানাডার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করলেই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তবে এই শুল্কের আওতায় কানাডা থেকে আমদানি করা তেল অন্তর্ভুক্ত হবে না। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার তেলে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন