ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ১৫ আগস্ট ও ৭ মার্চ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা। মানববন্ধন করতে চাইলে বাধা ও একপর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছিলেন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে। তা শোনার পরই বিএনপির ৫০-৬০ নেতাকর্মী এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের একজন কর্মীকে বিএনপি সমর্থিত ৪-৫ জন বেধড়ক মারধর করেন।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘ওই ধর ধর, আওয়ামী লীগ ধর, সব কয়কারে ধর-পালাইতেছে।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বলেন, ‘এই দেশে আওয়ামী লীগের ইতিহাস কেউ কখনও মুছতে পারবে না। আমরা ছিলাম, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে কানাডায় নাগরিকত্বের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পেতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল বলেও দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে দুদক জানায়, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরের সঙ্গী করা হয়েছে। তার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে দেয়া তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। এছাড়া পুতুল পাসপোর্টধারী কানাডার নাগরিক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
পুতুল পারিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠা প্লট আয়ত্ব করেন। এরই মধ্যে তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে দুদক আরও জানায়, এছাড়া পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ লুফে নিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন।
তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। এতে সরকারের বিপুল অর্থে ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
গণসংবর্ধনার আয়োজন করেন গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিপি নুর বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন- আমি ঢাকা থেকে নির্বাচন করব; কিন্তু মা-মাটিকে তো ভুলে যাওয়া যায় না। এই চরের কাদামাটি, এই নদীর পানি গায়ে মেখে বড় হয়েছি, এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কী করে। আপনারা যদি সমর্থন করেন তাহলে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) থেকেই নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে রাষ্ট্র ঠিক করতে বেগ পেতে হচ্ছে। হয়ত আগামী ২-১ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা না করে সংহতি এবং সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পুরনো দল পুরনো নেতৃত্ব দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব দরকার। গণঅধিকার পরিষদের যে গণজোয়ার উঠেছে, আমরা এ রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
ভিপি নুর বলেন, একক কোনো দল যেন সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না করতে পারে তাই দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, সংসদের মেয়াদ চার বছর করার দাবি করেছি। সব দলের যেন সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকে এ প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। কোনো অপরাজনীতি নতুন বাংলাদেশে চলবে না।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এই সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন, এই ভেবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা তারা আবার আক্রান্ত হতে পারেন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনার অভিযোগ জানান। কোনো শক্তি নেই যারা আপনাদের গায়ে আবার হাত দিতে পারবে।’’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘‘গুম কমিশনের সদস্যদের কাছে যেসব বিবরণ আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর ছাত্র-ছাত্রীরা শহর-বন্দরগুলোতে দেয়াল ও দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও যারা আগে গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে তারা লিখে গেছেন, রেখেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে। এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই।’’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেবল দেশে নয়, গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌশলী করিম খানের সঙ্গে আমার ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়তে পারে, সে জন্য আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। আপনারা দেখেছেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অতীতের গুমের ঘটনাগুলোর তদন্তকাজেও আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করতে ঢাকায় তারা তাদের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামক একটি সংগঠনের সমর্থকেরা হামলা চালায়। তারা হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “যদি এমন ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, তবে সারা বাংলার মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান, সংগঠক বিল্লাল হোসেন, মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত হিমু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, এবং গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার হিসেবে ভারতের উচিত হবে আইন মেনে চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে, তবে কিছু বিষয়ে আরও সংশোধন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, তবে শেখ হাসিনাকে যদি ফেরত না দেওয়া হয়, তাহলে তার (শেখ হাসিনার) অবর্তমানেই সরকার বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) নিয়ে বিবেচনা করবে এবং যদি প্রয়োজন হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে সরকার পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে সংশোধন করা হয়েছে, তার প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বলেন, আইনের আরও কয়েকটি জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। সম্মিলিতভাবে পরামর্শ করে সে বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার যাতে আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাইখ মাহদী এবং এস এম মইনুল করিম।
লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা থার্টি সেভেন ল ফার্মের যুগ্ম প্রধান ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানকে সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মন্তব্য করুন
৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল এবং বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই এ প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সর্বস্তরের এমন জোরালো আপত্তির মুখে অবশেষে সরকার সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।
রোববার (২৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ৮ আগস্ট কোনো দিবস পালিত হচ্ছে না, ৫ আগস্ট পালিত হবে গণঅভ্যুত্থান দিবস।
নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি জানায়, রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এর আগে গত বুধবার (২৫ জুন) ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আলাদা পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।
পরিপত্রে দিবসটিকে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল।তবে আজ সেটি বাতিল হয়ে গেল।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মৃত্যু ঢাকায় এবং দাফন ভারতের দিল্লিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা–এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা নষ্ট করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে আওয়ামী লীগ৷
তিনি আরো জানান, এ দেশে সব জাতি ধর্মের মানুষ একসঙ্গে এসব সংস্কৃতি পালন করবে, এর মধ্যে ধর্ম চর্চাকে আনা যাবে না। যারা সংস্কৃতিকে নষ্ট করবে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।
এ সময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে ভারতীয় সংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা অনেক ভালোভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের বেশ ভালো মানের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাদের অব্যাহতভাবে এ মানের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন শাহরিয়ার আলম। ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিলের প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন>>বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় পুলিশের পরিবর্তে থাকবে আনসার
জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে প্রচুর কাজ আছে। আমরা এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা এনগেজমেন্টে যেতে চাচ্ছি না। ইটস নট এ ইস্যু। এটা আমাদের নিয়মিত কার্যপরিধির একটা অংশ এবং সবাইকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিল নিয়ে আর কথা বলতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, আমরা খুবই অবগত এবং এটাই আমাদের লাস্ট ওয়ার্ড। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে, দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এ রিলেটেড ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।
গত রোববার (১৪ মে) থেকে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ মোট ছয় দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা বাতিল করেছে সরকার।
কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা বাতিলের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও আবশ্যকতা নেই।
এদিকে, বিদেশি কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বা আগামী রোববারের (২১ মে) মধ্যে নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানোর কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মন্তব্য করুন
আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারবো কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা, আমাদের চাপ সৃষ্টি করে যেতে হবে যাতে তারা স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।
তিনি জানান, বার্মিজ সামরিক জান্তাকে খুশি করার জন্য তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র ঘনিষ্ঠ চাটুকার ও কিছু কূটনীতিক রোহিঙ্গাদের জন্য এক নতুন নাম তৈরি করেছিলেন- FDMN, অর্থাৎ 'জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক'। এই শব্দটি আসলে বার্মিজ গণহত্যার মূল আখ্যানকে মেনে নেয়ার একটি কৌশল, যেখানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো 'FDMN' নয়- তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। 'FDMN' শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। (আমি নিজে ওই দুটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম)
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের দিন দুই সপ্তাহ পিছিয়েছে। এ নিয়ে রায়ের দিন চতুর্থ দফা পেছাল।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৪ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেন।
এর আগে রায়ের দিন পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করলেও এবার জাহাঙ্গীর আলমের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের দিন পেছানো হলো।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
পরে ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ রিট খারিজের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। আমরা জবাব দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেছি। দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি আবার রায়ের জন্য আসবে।
এর আগে গত ২ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের দিন তৃতীয় দফা পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত ৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফা পিছিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রুলের রায় ঘোষণার জন্য ২ মে দিন ধার্য করা হয়।
গত ২৮ মার্চ এ রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর ৩০ মার্চ রায়ের জন্য রাখেন আদালত। কিন্তু ওইদিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদন গ্রহণ করে রায় ঘোষণা পিছিয়ে ৪ এপ্রিল দিন রাখেন। এদিনও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওইদিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর মধ্যে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি। গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। ভোটগ্রহণ ২৫ মে। তবে ঋণ খেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন