

কোনো ধরনের চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজ যত শক্তিশালীই হোক কিংবা যে পরিচয়ই দেয়া হোক, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাদক বহনকারীদের ধরা যাচ্ছে, কিন্তু মাদকের গডফাদারদের ধরা যাচ্ছে না। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, উভয় দেশই চায় সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, ভারতের সম্পর্ক হবে পুরো বাংলাদেশের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
এ সময় রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তাদের মতামত জানিয়েছে। সেই বিতাড়িত শাসককে প্রতিবেশী একটি দেশ আশ্রয় দিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই কথা বলবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দলীয় না হয়ে দেশের সঙ্গে হোক। আর এই সম্পর্ক ইতোমধ্যে উন্নতির দিকে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরার সেই শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী।
অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক জানান, সকালে শিশুটির দুই দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রথমবার সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃদস্পন্দন ফিরে এলেও বেলা ১২টায় আবারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এবার সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আজ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিএমএইচের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। দুবার তাকে স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এছাড়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ১৫ জেলা ও আশপাশের দ্বীপ-চরাঞ্চলে ১-৩ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মধ্যরাতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় ১৫ জেলা ও এর আশপাশের দ্বীপ-চরাঞ্চল ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার।
এমন অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সকল কার্যক্রম যেন আইনসম্মত ও সাংবিধানিক হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আজকের বৈঠকে মূলত বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ে আলোচনা হবে।
কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ জানায়, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নতা থাকলেও সেসব সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আলোচনা করছে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়েই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সমাপ্তি ঘটতে পারে।
মন্তব্য করুন


৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজিপি) এ কে এম শহিদুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। পরে র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এ সময় র্যাবের ১৬ সদস্য বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ জন কর্মকর্তাসহ মোট ৪,২৪৬ জন সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আনসার বাহিনীর বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। র্যাব এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার আসামি গ্রেপ্তারসহ অবৈধ ২০ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, "আমি যতদিন দায়িত্বে থাকব, ততদিন র্যাব গুম ও খুনের মতো কর্মকাণ্ডে জড়াবে না। এর আগে র্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ছিল। আমি র্যাবের পক্ষ থেকে সেসবের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
মন্তব্য করুন


নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। আজ বুধবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি তথ্য জানান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচনের সময় প্রশাসনে একটি বড় ধরনের রদবদল হয়, এটি নির্বাচন কমিশন করে। এখানে কারো কোনো তদবির কিংবা বক্তব্য থাকবে না। যাকে যেখানে দেয়া হবে সেখানে যেতে বাধ্য থাকবে।
তিনি জানান, গত ৩টি নির্বাচনে যারা জড়িত ছিলো, প্রো অ্যাক্টিভ বা ওভার অ্যাক্টিভ ছিলো তাদের কাউকে এবার রাখা হবে না। নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষে সামান্যতম কাজ করলে, তাকে প্রত্যাহার করে প্রচলিত আইন অনুয়ায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকালও ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে; নির্বাচন যথা সময়ে হবে, আইনশৃঙ্খলা নিয়েও কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। বিগত ৩টি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের শক্ত বার্তা দেয়া হবে। আগামী নির্বাচন একটা মডেল নির্বাচন হোক সকলেই চায়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ছয়তলা ভবনসহ ৮টি ফ্ল্যাট ও সম্পত্তি জব্দ (ক্রোক) ও অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসন এ আদেশ দেন। মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন।
আজ জব্দ ও অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদ ও ফ্ল্যাটের মধ্যে রয়েছে রুপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায় ৩৯ দশমিক ৩০ কাঠা জমির ওপর দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, স্ত্রী জিসানের নামে আদাবর থানার পিসিকালচার এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তিতে থাকা ৬ তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার এপারেলসের শেয়ার।
দুদকের উপপরিচালক বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জীশান মীর্জা ও মেয়েদের নামে দেশে-বিদেশে শতশত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, চার্জশিট দাখিল, আদালতে বিচার শেষে সাজা অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল, এরপর আদালতে বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিক করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি এবং ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। খুঁজে পাওয়া সম্পদের মধ্যে ৫২১ বিঘা জমি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
মন্তব্য করুন


ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। জুলাই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪০৩ থেকে ৩৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কমেছে অটোগ্যাসের দামও। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম এক টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুন মাসে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।
আজ বুধবার নতুন এ মূল্যের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির বোতলজাত এলপিজির দাম ৬২৫ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম এক হাজার ৪২১, ১৫ কেজির দাম এক হাজার ৭০৫, ১৬ কেজির দাম এক হাজার ৮১৮, ১৮ কেজির দাম দুই হাজার ৪৬, ২০ কেজির দাম দুই হাজার ২৭৩, ২২ কেজির দাম আড়াই হাজার, ৩০ কেজির দাম তিন হাজার ৪০৯, ৩৩ কেজির দাম তিন হাজার ৭৫০, ৩৫ কেজির দাম তিন হাজার ৯৭৭ এবং ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫ হাজার ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুন সবশেষ সমন্বয় করা হয় অটোগ্যাসের দাম। সে সময় ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ২৭ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে চার দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে সাত দফা। এ দফা ছিল অপরিবর্তিত। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে। তবে দাম অপরিবর্তিত ছিল ডিসেম্বরে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি আরও মন্তব্য করেছেন যে এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার একটি অত্যন্ত নিরাপদ ও শক্তিশালী ভিত্তি পাবে।
বুধবার জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এনএইচকে)-কে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ইউনূস বলেন, "যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন নতুন নির্বাচিত সরকারের কাজ করার জন্য একটি খুবই নিরাপদ ও সঠিক ভিত্তি থাকবে।"
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তরুণরা ইতিমধ্যেই তাদের প্রভাবশালী ভূমিকা প্রদর্শন করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "তরুণরা তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে জানাতে চায়। আমাদের মধ্যে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।"
অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস নিশ্চিত করতে চান যে বাংলাদেশ তার নিজ পায়ে দাঁড়াবে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, "আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ তখন একটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা ছিল।"
জাতীয় নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠনের জন্য অপরিহার্য অংশ। তিনি এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন প্রাথমিক সময়সীমা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন


ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রথমবার আইন লঙ্ঘনের দায়ে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে। পুনরায় একই অপরাধ করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
রোববার, জনস্বার্থ রক্ষার্থে এসব ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে রাজধানীর সব ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর কারণে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ হয়। অতিরিক্ত শব্দদূষণ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং মানসিক চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, ফানুস উড়ানোর ফলে অগ্নিকাণ্ড এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মন্তব্য করুন