২০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা: উপদেষ্টা আসিফ

২০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা: উপদেষ্টা আসিফ
ছবি: সংগৃহীত



বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এই পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 


২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের অন্যতম সফলতা হিসেবে দেখছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।


শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানায়। 


ওই পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, ‘১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ। অ্যানাদার সাকসেস অফ ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট’। 


এদিকে হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। 


ভারতের তুলনায় কম শুল্ক হওয়ায় একে একটি সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।  বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সফল হয়েছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এ খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য সুসংবাদ।’


বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলও একই কথা বলেন। তার ভাষায়, এ সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই বাংলাদেশের জন্য খুশির খবর। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বাজার হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় প্রথমে ভারতকে সেই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের চেয়ে ভারতের ওপর বেশি শুল্ক নির্ধারণ হয়েছে—২৫ শতাংশ।


অর্থাৎ, মার্কিন ক্রেতারা এখন বাংলাদেশকেই চীনের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সব অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।


আজ শনিবার রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।


উপদেষ্টা বলেন, বনকে কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী ও জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে।


উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সুফল প্রকল্পের ভেরিফিকেশন করাতে হবে।


তিনি বলেন, জাতীয় বন জরিপের দ্বিতীয় চক্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বনবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার গঠন, বনভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।


উপদেষ্টা বলেন, ভূপ্রকৃতি, ভূমি ব্যবহার ও ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সংক্রান্ত মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।


তিনি আরও জানান, এই কার্যক্রম একটি ভালো উদ্যোগ। এখন প্রয়োজন থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস, অনলাইন ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং এবং পাঁচ বছর অন্তর তথ্য হালনাগাদ করা। 


উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

দেশের প্রথম মনোরেল হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে

দেশের প্রথম মনোরেল হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রথম মনোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নগরীর যানজট নিরসনে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। 


রোববার (১ জুন) সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জার্মানি প্রতিষ্ঠান ওরাসকম ও মিশরের প্রতিষ্ঠান আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপের এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি নগরীতে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে।


চুক্তি অনুযায়ী ওরাসকম ও আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপ মনোরেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।


মনোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও বাস্তবায়ন কাঠামো তুলে ধরেন আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউসার আলম চৌধুরী। 


তিনি জানান, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে যানজট ও পরিবহণ সংকট ক্রমবর্ধমান। মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। আমরা এই প্রকল্পে পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’


তিনি জানায়, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য তিনটি রুট হচ্ছে : লাইন-১ (২৬.৫ কি.মি.) কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে), লাইন-২ (১৩.৫ কি.মি.): সিটি গেট থেকে শহীদ বাশিরুজ্জামান স্কয়ার (এ.কে. খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) পর্যন্ত  লাইন-৩ (১৪.৫ কি.মি.): অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) পর্যন্ত। 


সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মনোরেল প্রকল্প চট্টগ্রাম নগরীর গণপরিবহন খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত মনোরেল প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার এবং এতে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। পুরো অর্থায়ন আনবে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান-ওরাসকম কনস্ট্রাকশন ও আরব কন্ট্রাক্টরস।


তিনি বলেন, ‘এই বিনিয়োগের জন্য চসিকের কোনো আর্থিক দায় থাকবে না। কেবল আমরা প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও ভূমি বরাদ্দ দেব। এই মনোরেল শুধু যানজট নিরসনে নয়, বরং চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, পর্যটন ও ব্যবসাবান্ধব নগরীতে রূপান্তর করার দিকেও এগিয়ে নেবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগের একটি আধুনিক সেতুবন্ধন তৈরি করবে। মনোরেল থেকে রাজস্ব আসবে শুধু টিকিট নয়, বরং বিজ্ঞাপন, স্টেশনে দোকানপাট, আশপাশের সম্পত্তিমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেও। একটি ভাল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে ৫-৭ গুণ পর্যন্ত অর্থনৈতিক রিটার্ন পাওয়া যায়।’


অনুষ্ঠানে গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও টেকসই নগরীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে মনোরেল প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও নগরবাসীকে নিয়ে একটি ইকোনমিক ফোরাম গঠন করে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নে কাজ করবো।’


চসিক কর্মকর্তারা জানান, মনোরেল একটি আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা, যা একক রেলপথ দিয়ে চলে। এটি সাধারণত উঁচু পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়। মনোরেল প্রযুক্তি মেট্রোরেলের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ সাশ্রয়ী। এটি কম জায়গায় স্থাপন করা সম্ভব, ফলে ঘনবসতিপূর্ণ শহর বা স্থাপনার মধ্য দিয়েও সহজে চলাচল করতে পারে। মনোরেলের যাত্রী ধারণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও এটি দ্রুত নির্মাণযোগ্য এবং শহরের যানজট কমাতে কার্যকর। বর্তমানে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের কিছু শহরে মনোরেল সফলভাবে চালু রয়েছে।


কর্মকর্তারা আরও জানান, এর আগে ২০২১ সাল থেকে বিদেশি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মনোরেল নির্মাণে চসিককে প্রস্তাব দিয়েছিল। এ বিষয়ে তারা কয়েকবার তৎকালীন সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

কীভাবে দেশ ছেড়েছেন ওবায়দুল কাদের, ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল

কীভাবে দেশ ছেড়েছেন ওবায়দুল কাদের, ব্যাখ্যা চায় ট্রাইব্যুনাল
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।


আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি জানান, 'আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে তিনি পালিয়েছেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি—এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হোক।'


তিনি আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।'


তাজুল ইসলাম আরও জানান, 'গুমের ঘটনার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস।'


'তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় দিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।


এদিকে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।


এই ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম।


উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

আ.লীগের মৃত্যু ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন

আ.লীগের মৃত্যু ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মৃত্যু ঢাকায় এবং দাফন ভারতের দিল্লিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।


সোমবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।


সালাহউদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে।


তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা–এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা নষ্ট করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে আওয়ামী লীগ৷


তিনি আরো জানান, এ দেশে সব জাতি ধর্মের মানুষ একসঙ্গে এসব সংস্কৃতি পালন করবে, এর মধ্যে ধর্ম চর্চাকে আনা যাবে না। যারা সংস্কৃতিকে নষ্ট করবে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।


এ সময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে ভারতীয় সংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

চিকিৎসা নিতে ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা নিতে ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চোখের জরুরি চিকিৎসার জন্য স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক গেছেন। সোমবার (১২ মে) দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেন।


বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলামের চোখে সমস্যা দেখা দিলে তাকে দ্রুত গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, তার চোখের রেটিনায় জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।’


তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের পরামর্শে ব্যাংককের রুটনিন আই হসপিটালে যোগাযোগ করে দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলবে।’


মির্জা ফখরুল ইসলামের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী জানিয়েছেন, বিএনপি মহাসচিবের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

কুয়েট সংঘর্ষ: ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান, সেই যুবদল নেতা মাহবুবুরকে বহিষ্কার

কুয়েট সংঘর্ষ: ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান, সেই যুবদল নেতা মাহবুবুরকে বহিষ্কার
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।


কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফ হাতা শার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিটি যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

মাকে মনে পড়ে

মাকে মনে পড়ে

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। ঢাকা পোস্ট এবারের মা দিবসে মায়ের স্মৃতিচারণে কিছু লেখার আহবান জানিয়েছে। সেই লেখা যদি কর্তৃপক্ষের ভালো লেগে যায় তাহলে লেখাটি হয়তো এই নির্ধারিত সংবাদমাধ্যমের ফিচার বিভাগে ছাপানোর কথা। এমন ভাবনা থেকে যে কেউ জন্মদাত্রী মাকে নিয়ে দুই লাইন লিখতে চাইবে কিন্তু কারো কারো পক্ষে এটা বেশ কঠিন। বিশেষ করে যে সন্তানের মা খুব সহসাই নিরবে কাউকে না বলে চলে গেছে দূর নক্ষত্রে ভিড়ে।

এক শোকাভিভূত অভিজ্ঞতা থেকে মাকে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে কারণ মা একজন সন্তানের জন্য কত বড় আর্শীবাদ সেটা সদ্য মা হারানো সন্তানের থেকে আর কে ভালো জানবে?

জন্মের পর থেকে শুরু করে শৈশব কৈশোর এবং যৌবনের প্রতিটি পর্যায়ে মা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মায়ের হাতে ভর দিয়ে পদচারণা শুরু, মায়ের চোখে পৃথিবী দেখা, গল্প শোনা, এলোমেলোভাবে কলম ধরে প্রথম কিছু একটা লিখতে চেষ্টা করা, আবার কখনো একটু ভয় পেয়ে মুরগির ছানার মতো বুকের মধ্যে লুকিয়ে পড়া, খানিক বাদে বের হয়ে আবার আকাশ দেখা, এমন অসংখ্য স্মৃতিতে জর্জরিত হয়ে তবেই তো একজন সন্তান বিকশিত হয়। আর এভাবেই মায়ের ছায়াতলে আমরা দিন দিন বড় হয় আর আমাদের মায়েরা ছোট হতে থাকে। মা নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য, কল্যাণের জন্য ত্যাগের এক মহিমান্বিত উদাহরণ রচনা করে যায় প্রতিনিয়ত।

সন্তান মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। আর এজন্যই বোধহয় মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কই একমাত্র স্বার্থহীন সম্পর্ক। তাই তো পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে অনেক উঁচুতে রাখা হয়েছে। ধর্ম, বর্ণ জাতি, গোষ্ঠী, সর্বত্রই মায়ের মর্যাদা সবার উপরে। এমনকী স্রষ্টার পক্ষ থেকেও কঠোর সতর্কবার্তা রয়েছে মায়ের মর্যাদার বিষয়ে। 

পৃথিবীতে মা বেঁচে থাকাটা সন্তানের জন্য যে কতোটা সাহসের, কতোটা অনুপ্রেরণার সেটা বোধহয় মাকে হারানোর পরেই বেশি অনুভব হয়। মা হচ্ছেন একটা সন্তানের কাছে এমন একটি ব্যাংক, যেখান থেকে যত খুশি ঋন নেয়া যায় কিন্তু সেই ঋন পরিশোধ না করলেও কোনো জেল-জরিমানা হয় না। 

এতো তাড়াতাড়ি মাকে হারিয়ে ফেলবো সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। মাসে দুই-একবার করে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। মায়ের চোখে আমি ছিলাম ভীষণ অবাধ্য, রোগা, না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছি ইত্যাদি। ডায়াবেটিসের কারণে মা চোখে কম দেখতো অথচ সন্তানের চোখের নিচে কালো দাগ, বড় বড় চুল, কিংবা গলার নিচের হাড় এসব আর কেউ না দেখলেও কেবল মা-ই দেখতে পেতেন। ভালো-মন্দ কিছু খাবার নিয়ে পেছনে পেছনে এ ঘর থেকে ওই ঘরে যাওয়া, মায়ের এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত দাগ কেটে যাচ্ছে বুকের গভীরে। আল্লাহর কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন মাকে তার জান্নাতের ছায়ায় আশ্রয় দেন। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

গণভবনে ‘আয়নাঘরের’ রেপ্লিকাসহ জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার

গণভবনে ‘আয়নাঘরের’ রেপ্লিকাসহ জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
ইউনূসের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‌“জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‌“জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”

গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর লাখো জনতা গণভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা গণভবনের দেয়াল এবং বিভিন্ন কক্ষে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি আঁকে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণভবনের এই জাদুঘরে একটি 'আয়নাঘর' পুনর্নির্মাণ করা উচিত, যেখানে শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে বিরোধী ও ভিন্নমত পোষণকারীদের আটক করে নির্যাতন চালাতো। জাদুঘরে পরিদর্শনকারী দর্শনার্থীরা এই আয়নাঘর দেখে নির্যাতনের সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে পারবে।”

অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা দলকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনের ২০০৯ সাল থেকে ঘটে যাওয়া সকল অপকর্মের স্মৃতিগুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে।” এছাড়া অন্যান্য দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মৃতিকে সংরক্ষণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানার জন্যও বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকের পাওনা শোধ না করলে মালিকদের জেলে যেতে হবে : উপদেষ্টা

২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকের পাওনা শোধ না করলে মালিকদের জেলে যেতে হবে : উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহা সামনে রেখে শ্রমিকদের পাওয়া পরিশোদের জন্য চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মালিকদের সময় দিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করলে যেসব মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।


উপদেষ্টা জানান, ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।


যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি।


বুধবার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাত্রার প্রস্তুতিমূলক সভা করেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সভা শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা জানান তিনি।


বেতন পরিশোধ না করলে মালিকরা দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় পাঁচজন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। আরো অনেকের বিরুদ্ধে হবে।  হয় পাওনা শোধ করতে হবে, অন্যথায় জেলে যেতে হবে।


ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় লঞ্চে অস্ত্রধারী চার জন করে আনসার থাকবে, বাল্কহেড ঈদের আগে ও পরে তিনদিন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

হামাসকে নির্মূল করার আগে যুদ্ধ শেষ হবে না: নেতানিয়াহু

হামাসকে নির্মূল করার আগে যুদ্ধ শেষ হবে না: নেতানিয়াহু
নেতানিয়াহুরে ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।

তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে, গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের— যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও।

এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরাইলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তিনি আরও বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’।

এছাড়া ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০