

২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন এনেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
রোববার (০৫ অক্টোবর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের রচনামূলক অংশে অনুবাদ প্রশ্ন বাতিল করা হয়েছে। আগে এই অংশে অনুবাদের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ ছিল, যা এখন সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে রচনামূলক অংশে অনুচ্ছেদ রচনা, চিঠিপত্র, সারাংশ বা সারমর্ম, ভাব সম্প্রসারণ, সংবাদ প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ— এই ছয়টি বিভাগ থাকবে।
অন্যদিকে আইসিটি বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামোয় সংক্ষিপ্ত–উত্তর প্রশ্ন বাদ দেয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত–উত্তরের ১০ নম্বর যুক্ত করা হয়েছে বহুনির্বাচনী অংশে, ফলে এখন থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য মোট ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। তত্ত্বীয় অংশে ২৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে এবং ব্যবহারিক অংশে মোট ২৫ নম্বরের কাজ করতে হবে— যন্ত্রসংযোগ, প্রতিবেদন প্রণয়ন ও মৌখিক পরীক্ষা মিলিয়ে এটি হবে।
এ ছাড়া, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশ্ন কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফিন্যান্স অংশ থেকে ৮টি ও ব্যাংকিং অংশ থেকে ৭টিসহ মোট ১৫টি সংক্ষিপ্ত–উত্তরের প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে যেকোনো একটি বিভাগ থেকে অন্তত চারটি প্রশ্নসহ মোট ১০টির উত্তর দিতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন ৮টি থাকবে, যার মধ্যে ৫টির উত্তর দিতে হবে, প্রতিটি অংশ থেকে ন্যূনতম ২টি করে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০টি, প্রতিটির মান ১।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নতুন প্রশ্ন কাঠামো কার্যকর হবে। এছাড়া, দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায়ও (টেস্ট এক্সাম) বাংলা ২য় পত্র, আইসিটি এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্ন এই নতুন কাঠামো অনুযায়ী প্রস্তুত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ উল্লেখ করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক, অভিভাবক এবং ২০২৬ সালের পরীক্ষার্থীদের এ নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দাবি জানান প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, তারা মনে করেন, সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করেছেন। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হচ্ছেন মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মন্তব্য করুন


ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু অফলাইনে নয়, অনলাইনেও আওয়ামী লীগ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজসহ সাইবার স্পেসে দলটির কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
রোববার (১১ মে) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানান।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, আমরা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিপত্র জারি হলে এসব পেজ নিষিদ্ধ করতে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে চিঠি পাঠালে সেটি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গ, গতকাল শনিবার (১০ মে) রাতে উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসার পরপরই দলটির ভেরিফায়েড পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতেও পেজে শেয়ার করা হয়। তাছাড়া এ পেজ থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরেন উস্কানিমূলক পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন


নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির কিংস পার্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে শুধু নতুন দল গঠন করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ব্যাপারটি এমন নয়। আমাদের জাতিগতভাবে পরিবর্তন হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সমালোচনা থাকাটা স্বাভাবিক, না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অন্তর্বর্তী সরকারের সরাসরি রাজনীতি করার আকাঙ্ক্ষা আমরা দেখি না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার।’
যে শক্তি দেশের জন্য ইতিবাচকভাবে কাজ করবে, তাদের সবাইকে শুভকামনা জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, কীভাবে পরিসংখ্যান ম্যানিপুলেট করে উন্নয়নের গল্প সাজানো হয়েছে। যদিও উন্নয়নের কথা শোনানো হয়েছে, তবে প্রকৃতপক্ষে ভেতরে ভেতরে চলছে লুটপাটের এক বিশাল মহাযজ্ঞ।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল।" তিনি আরও বলেন, "আর্থিক খাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল আতঙ্কজনক। এই ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে, তবে কেউ এ নিয়ে কথা বলেনি।"
শ্বেতপত্রটি আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হবে।
মন্তব্য করুন


আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণের একপর্যায়ে বলেন, আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।
জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি প্রশ্নটি এখন আপনাদের সামনে পাঠ করে শোনাচ্ছি। প্রশ্নটি হবে এ রকম—
আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?
ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছেসেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে ভোটাররা মতামত জানাতে পারবেন। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হবার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্তভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করতে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যেন আমরা গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি কোনো অসম্মান না দেখাই।
শনিবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি আরও বলেন, ছাত্ররা যে কারণে আত্মত্যাগ করেছিল, তা যেন পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ রাখে। তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এবং তা সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সর্বাত্মক চেষ্টা করব, যেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা যদি এ ত্যাগ না করতেন, তাহলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও তার জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকত না। বহু বছর ধরে আমাদের মনে যে প্রশ্নগুলো ছিল, তার উত্তর খোঁজার সুযোগ আমরা পাইনি। কিন্তু অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সেই সুযোগ পেয়েছি।
মন্তব্য করুন


রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সার্ভার চালুর কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, এখন এনআইডি সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে এটি সচল হয়েছে। মাঝে মধ্যে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দরকার পড়ে। যার কারণে সার্ভার বন্ধ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এনআইডি সার্ভারের পরিষেবা বন্ধ করা হয়। এর আগে গত ১৬ আগস্টেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে এনআইডি সেবা বন্ধ ছিল। এছাড়া চলতি বছরে কয়েকবার এনআইডি সার্ভার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে।
মন্তব্য করুন


জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে কোনো অস্থিরতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ত মন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর একটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো শঙ্কা দেখছেন কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রায় হওয়ার পরে কোনোরকম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি।
বিজয় দিবসেও কোনো অস্থিরতার শঙ্কা নেই। কোনো কর্মসূচিতেও পরিবর্তন নেই। আগে যেভাবে সব কর্মসূচি হয়েছে, এবারও সেভাবে হবে। গতবার প্যারেড হয়নি, এবারও হবে না।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে উঠিয়ে নেওয়া উচিত নয়, কিন্তু গতকাল রাতে ডিবি পরিচয়ে এক সাংবাদিককে তুলে নেওয়া হয়েছে। পরে আবার ফেরতও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জিনিসটা আমি প্রথম শুনলাম। অনুসন্ধান করার পর হয়তো আমি জানতে পারব।
এভাবে তুলে নেওয়াটা অপরাধ কিনা, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আমি দেখব।’
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ২০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের সব মহল থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সে আলোচনা এখনো চলমান। চূড়ান্ত চুক্তির আগে সেটা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, আশা করছি শুল্ক কমতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ যারা আরোপ করেছেন (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের ওপর বিষয়টি বেশি নির্ভর করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তির কোনো তারিখ এখনো পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার ২০ শতাংশের ঘোষণা এলেও দেশটির সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তি এ মাসের শেষে হতে পারে। চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর)।
মন্তব্য করুন


আগামী নির্বাচনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের জন্য ঐতিহাসিক পরীক্ষা বলে জানিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জাতীয় নির্বাচন। এটি কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়, এটা আমাদের গণতন্ত্রের শিকড়কে আরো মহিমান্বিত করার এক সুযোগ।
রবিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন কেবল ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া নয়, এটা জনগণের বিশ্বাসেরও প্রতিফলন। আমাদের প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য নির্বাচনের সময় মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের প্রত্যেকের কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মনিটর করা হবে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলব।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু আইন-কানুন শেখানো নয়, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা জানব কিভাবে চাপের মধ্যেও নিরপেক্ষ থাকা যায়। কিভাবে সংঘাতের পরিবর্তে সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। কিভাবে মানুষের আস্থা অর্জন ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা যায়।
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এই দায়িত্ব পালন পালন করি তবে আমরা পুলিশের ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রমাণের সুযোগ এসেছে, বাংলাদেশ পুলিশ একটি আধুনিক, গণতন্ত্র বান্ধব এবং কার্যকর বাহিনী।
আইজিপি বলেন, আমি প্রত্যেককে আহ্বান জানাই, প্রশিক্ষণে শেখা প্রতিটি কৌশল ও লব্ধ জ্ঞান মাঠে কাজে লাগাতে হবে। সর্বোচ্চ ধৈর্য, বিচক্ষণতা ও আত্মসংযম প্রদর্শন করতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন হোক। এই লক্ষ্যে আমরা সবাই দক্ষতা, নিরপেক্ষতা দিয়ে আস্থা অর্জন করব।
মন্তব্য করুন