

জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দাবি জানান প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, তারা মনে করেন, সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করেছেন। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হচ্ছেন মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মন্তব্য করুন


সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে এবং এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব নয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
জুলাই-আগস্টে নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার চলবে, নির্বাচনও চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকার দায়িত্ব নেবে, তারা সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা প্রতিটি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।"
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার শুরু করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেন এবং বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটে।"
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দল আজ বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।"
তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। তার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান এখন দেশকে হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।"
মন্তব্য করুন


উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৭) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রশীদ মোল্লা জানান, মামলায় তারেক রহমানসহ খালাস পাওয়া বেশ কয়েকজন আসামি পলাতক ছিলেন। রায়ে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বে থাকা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের সেই আদেশ বিচারিক আদালতে আসলে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তারেক রহমানসহ অন্যদের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না বলে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শনিবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টারা ছাড়া এই বৈঠকে কাউকে রাখা হয়নি।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না। তিনি চলে যাবেন বলেননি। তিনি অবশ্যই থাকছেন। আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বড় দায়িত্ব, এই দায়িত্ব ছেড়ে আমরা যেতে পারবো না। আমরা যে কাজ করছি এবং এসব কাজ করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করেছি। এখন সেগুলো সমাধান করে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো।
এদিকে রিজওয়ানা হাসান জানান, আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলেছি। কে কোন কথা কোথায় বলব সেসব আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা আলী ইমান মজুমদার বলেন, আমি কিছু বলতে পারছি না। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কাছে বৈঠক সস্পর্কে জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস গত বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। বিভিন্ন পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের মাধ্যমে। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিষয়টি সামনে আসার পর সব পক্ষ থেকেই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


আইনি বাধা না থাকলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, তা কমিশনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। যদি আদালত বা সরকার নিষেধাজ্ঞা না দেয়, তবে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ একটি নিবন্ধিত দল। নির্বাচনে কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। গত নির্বাচনের মতো বহিঃশক্তি নির্বাচন কমিশনে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না।
এছাড়া, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, "এখন আমরা বিবেকের চাপে আছি। এদেশে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব, খারাপ নির্বাচন করাও সম্ভব।" আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, এবং এবার আগের মতো ভোট হবে না। তিনি বলেন, "পাঁচ আগস্টের পর ভোটের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ৯১ ও ৯৬ সালের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"
বর্তমান ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার থাকার বিষয়টি তুলে ধরে সিইসি বলেন, "অনেকেই মারা গেছেন, কিন্তু তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।" তিনি জানান, কেউ মারা গেলে তাদের স্বজনরা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে আসেন না, এবং এই সুযোগটি বিগত নির্বাচনে নেওয়া হয়েছিল।
বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, "এটি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। আমরা এখনও তাদের সুপারিশনামা পাইনি। তবে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না।"
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সিইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তিনি চট্টগ্রামে সফর করেছেন।
মন্তব্য করুন


তিন দশক আগে ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, মামলাটি বিদ্বেষ্পূর্ণ, রায়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে বিচারিক আদালত।
বুধবার (৫ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতকে বলেন, শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে ফাঁসি ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। মামলা চলাকালীন পাঁচ আসামি মারা গেছেন। ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
মন্তব্য করুন


ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরার সেই শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী।
অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক জানান, সকালে শিশুটির দুই দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রথমবার সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃদস্পন্দন ফিরে এলেও বেলা ১২টায় আবারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এবার সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আজ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিএমএইচের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। দুবার তাকে স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এছাড়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক।
ওসি গোলাম ফারুক বলেন, আদালতের নির্দেশে সালমান শাহ হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। এতে ১১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা রুজুর পর তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার ১১ আসামির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে থাকতে পারেন। দেশে থাকা আসামিদের শনাক্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য তাদের নামসহ তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, মামলার তদন্তে কোনো ধরনের চাপ নেই। শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলার বাদী হলেন তার মামা আলমগীর কুমকুম।
এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হককে। এছাড়া ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। মোট ১১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তীসময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেয়।
তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই ওই প্রতিবেদন মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং দাবি করে আসেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


দেশের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও বাম ধারার বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা। তিনি জানান, ‘অসুস্থ অবস্থায় বাসা থেকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’
বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বামপন্থি রাজনীতিবিদ, তাত্ত্বিক, লেখক ও গবেষক। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও বৌদ্ধিক জীবনে তিনি বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও বিশ্লেষণ করেছেন। চলতি বছর সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে, তবে তিনি পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
তার উল্লেখযোগ্য গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ (তিন খণ্ডে), ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’, ‘পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতি’, ‘বাঙালীর সমাজ ও সংস্কৃতির রূপান্তর’, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ’ এবং ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বাংলাদেশের কৃষক’।
তার পিতা আবুল হাশিম ছিলেন প্রগতিশীল মুসলিম লীগ নেতা ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বদরুদ্দীন উমর ও তার পিতা দুজনেই সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পরে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি বিস্তৃত গবেষণা সম্পন্ন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সরকারের বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে বিপ্লবী রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
১৯৭০-৭১ সালে তিনি গণশক্তির সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পার্টির মতাদর্শ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ লেখক শিবির, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তিনি কাজ চালিয়ে যান।
নিজের আত্মজীবনী ‘আমার জীবন’ গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন: ‘আমার জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর, রোববার, দুপুর দুটোয়।’
বুদ্ধিজীবী ও গবেষক হিসেবে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে সক্রিয় ছিলেন।
চলতি বছর লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরসহ ৮ বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে সরকার। তবে বদরুদ্দীন উমর পুরস্কারটি ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।’
মন্তব্য করুন


মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সাবেক ও কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন।
এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় বাংলাদেশ জেল প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদের আদালতে আনা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন সেনা হেফাজতে আছেন। আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন।
তারা হলেন— বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তারা পলাতক রয়েছেন। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনা হেফাজতে আছেন। বাকি দুজন পলাতক।
মন্তব্য করুন


দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার (৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। তবে এই ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩৪৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৬০৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৭২ জন। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮৬৯ জন। ঢাকায় ১ হাজার ২৫২ এবং ঢাকার বাইরে ৬১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সর্বোচ্চ ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন