সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ডাম্পট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান, যিনি পেকুয়ার ধনিয়াকাটার ছৈয়দ আলমের ছেলে; চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফিরোজ, তার স্ত্রী শারমিন এবং তাদের শিশু সন্তান। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি এলাকায় মিনি ট্রাক (ডাম্পট্রাক) ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন আহত হন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কারাগার থেকে পালানো বন্দীদের মধ্যে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি আরো জানান, লুট হওয়া ২৯টি অস্ত্রও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
কারা মহাপরিদর্শক জানান, ‘পালানোদের মধ্যে ৯ জন জঙ্গি, ৬৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন।
বাকিরা বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। বর্তমানে কারাগারে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী আছেন ১৬৩ জন। আরো ২৮ জন ডিভিশনের আবেদন করেছেন, তবে তার অনুমোদন পাননি।’
তিনি আরো জানান, কারাগারকেন্দ্রিক সংশোধন কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে বাংলাদেশ জেলের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদে’। এ জন্য ‘কারেকশন সার্ভিস অ্যাক্ট-২০২৫’ খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দীদের স্থান সংকুলানের জন্য নতুন করে দুটি কেন্দ্রীয় ও চারটি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে। এছাড়া সমন্বয় বাড়াতে ঢাকা বিভাগকে ভেঙে দুটি বিভাগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন করা সম্ভব বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সব দলকেও সহযোগিতা করতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের ৩ নম্বর ভোটকেন্দ্র তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের শরীরে থাকা ৪০ হাজার বডিক্যামেরা সেন্টার থেকে মনিটর করা হবে।
সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার মোতায়েনসহ ৮০ হাজার সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্য থাকবে।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যেকোনো অন্যায় দেখলে তা প্রতিহত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
তিনি আরো বলেন, গত জুলাইয়ের থেকে এই জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
থানায় কেউ আসতো না। আনসার বাহিনী বিদ্রোহ করছিল, অন্যান্য বাহিনীগুলোও অতোটা সক্রিয় ছিল না। এখনও হয়তো আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারিনি। তবে পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে আমাদের নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তি যেন আইনের আওতায় না আসে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকার লোভে অনেকের নামে জুলাই-আগস্টে মামলা হয়েছে। কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেই চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এর উপরই নির্ভর করে সরকারের সফলতা।’
এই তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ৩৫৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়াও জনসেবা, জনদুর্ভোগ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, আইনকানুন ও বিধিমালা সংশোধন এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অংশগ্রহণকারী ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা সম্মেলনে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অধিকাংশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের নবনির্মিত ভবনে হবে। এসব অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করবেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দিক-নির্দেশনা দেবেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা হবে।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং মন্ত্রিপরিষদ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর ফিডব্যাক অধিবেশন ও সম্মেলনের মূল্যায়ন এবং সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার রেওয়াজ থাকলেও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ রাখা হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ডিসি সম্মেলন।
এই তিন দিনব্যাপী সম্মেলন ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার আলাস্কায় এক গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে অ্যানকোরেজে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা কথা হয় তাদের মধ্যে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাদের বৈঠক ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ের মীমাংসা বাকি রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে অগ্রগতি অর্জনের জন্য আমাদের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। চুক্তি ‘শেষ পর্যন্ত’ তাদের ওপর নির্ভর করবে এবং তাঁদের সম্মত হতে হবে।
চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি নেই উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যায়ে পৌঁছাইনি।’
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়েও তিনিও ‘আন্তরিকভাবে আগ্রহী’। এই যুদ্ধকে ‘ট্রাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য এই যুদ্ধের ‘মূল কারণগুলো’ নিরসন করতে হবে।
বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ইউক্রেন সংঘাত ছিল জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এই সংঘাতের মূল কারণগুলো নির্মূল করতে হবে।’ তবে মূল কারণগুলো বলতে কী বুঝিয়েছেন, তার বিস্তারিত তিনি উল্লেখ করেননি।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়ার পথ বেছে নেবেন বলে আশা করছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘শুভ কামনার স্বর প্রকাশের জন্য আমি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, উভয়পক্ষকেই ফলাফলের দিকে নজর দিতে হবে।
পুতিন আরও বলেন, ‘ট্রাম্প স্পষ্টত তার দেশের সমৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগী। তবে তিনি এটাও বুঝেছেন, রাশিয়ারও নিজের স্বার্থ রয়েছে।’
পুতিন জানান, বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ইউক্রেন সংঘাত। তিনি বলেন, ‘একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এই সংঘাতের মূল কারণগুলো নিরসন করতে হবে।’ তবে মূল কারণগুলো কী বোঝানো হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি আশা করছেন ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়ার পথ বেছে নেবেন। তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শুভ কামনার জন্য এবং উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষকেই ফলাফলকেন্দ্রিক হওয়া উচিত।
সূত্র: বিবিসি
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় একটি বিল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার দোয়াইজলা নামক বিলে ফসলি জমির পাশে ওই দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন- দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের প্রয়াত দুলু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০) এবং খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সুখাকেন্দ্রায় গ্রামের রহুল আমিন মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া (৩৫)। তারা ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিল তোলা, সংযোগ স্থাপন ও মেরামতের কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, মরদেহে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ কারণে তারা নিশ্চিত হতে পারছে না যে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে।
মনিরের ছোট বোন জান্নাত আক্তার জানান, "মনির আমার একমাত্র ভাই, তাকে কারা হত্যা করেছে আমরা বলতে পারব না। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, এখন তাদের কি হবে?"
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মরদেহ দুটি খড়ের ওপর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে খড়ের একটি গাদা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাতের কোনো এক সময় তারা খড় নিয়ে এখানে বসে মাদকসেবন করছিলেন। মাদকে সম্ভবত বিষাক্ত কিছু ছিল, যা সেবনের পর তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, "রবিবার সকালে দোয়াইজলা বিলে কৃষকরা কাজ করতে এসে দুজনের মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে ঘটনা নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে খবর দেই। তারা দুজনই ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতেন। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।"
ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বদিলউল আলম সানোয়ার বলেন, "মনির ও মোহন আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মনির বাড়িতে থাকত এবং মোহন অফিসে। মোহনের বাবা আমাকে জানিয়েছেন, রাত ১১টার পর শেষবার মোহনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারপর তাকে আর অফিসেও পাওয়া যায়নি।"
তারা মাদক সেবন করতেন কিনা জানতে চাইলে সানোয়ার বলেন, "মনির মাদকাসক্ত ছিল, কিন্তু মোহন মাদক সেবন করত কিনা আমি জানি না।"
এ বিষয়ে দেবীদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ মো. শাহীন জানান, "আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিরিঞ্জ, সিগারেট, স্পিরিটের খালি বোতলসহ বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও তথ্য এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’
এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।
জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার ওপরের বা সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। রোববার এ আদেশ জারি করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জুলাই থেকে আরও ৬০ দিন পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ)।
মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর ২ মাস করে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
মন্তব্য করুন