

ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশায় বিবি কুলসুম (৪০) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিবি কুলসুম চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়।
রোববার (১৪ মে) গভীর রাতে সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিবি কুলসুম ওই গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী।
কুলসুমের স্বজনরা জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের মামলার ভয়ে ঈদের আগে থেকে কুলসুমের স্বামী অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার দিন রাতে কুলসুম তিন সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। কখন কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউ টের পায়নি। স্বামী তছির রোববার রাত থেকে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েছেন। কল রিসিভ না হওয়ায় তছির তার বড় ছেলেকে সোমবার (১৫ মে) সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলেন (বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামে থাকেন)। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে তছিরও বাড়িতে ছুটে আসেন।
পূর্ব ইলিশার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ভোলা সদর থানা পুলিশের ওসি মো. শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনা জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেও হতে পারে। তবে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও সিআইডির টিম মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খুব দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমনকে কম মামলা দিয়ে আদালতের প্রেরণ করার জন্য জোর তদবিদ করছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কুমিল্লায় ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণ করায় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সুমনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া সুমন নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের মোগলটুলি উত্তর গাংচর এলাকার মৃত আলাউদ্দিন আহাম্মদের বড় ছেলে।
তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা সুমন সম্প্রতি নিজেকে মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এক নেতার অনুসারীদের সাথে চলাফেরা করেন। গতকাল ছাত্রলীগ- যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে বিএনপির ওই অংশের নেতাকর্মীরা তার জন্য জোর তদবির শুরু করেন, যাতে করে দু একটি মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়, এবং সহজেই জামিনে বের হয়ে আসতে পারে। শোনা যাচ্ছে একটি দুর্বল মামলা দিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে আরো হয়তো মামলা হতে পারে। তবে তিনি তদবিরের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।
ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন


ভারত থেকে মাদক ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করার অপরাধে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত রিয়াদ হোসেন (২৯) কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাটকেশ্বর গ্রামের জসিমের ছেলে। অপর যুবক মামুন মিয়া (২৯) একই গ্রামের মৃত মঞ্জিল মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা র্যাব ১১ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
মেজর সাদমান জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভাটকেশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে একটি বিদেশী পিস্তল,৩ রাউন্ড গুলি একটি ম্যাগজিন, বিপুল পরিমান মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুই যুবকের মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনে রিয়াদের বিরুদ্ধে ১৮ টি ও মামুনের বিরুদ্ধে ৫ টি রয়েছে।
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান।
তিনি জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ বন্ধ থাকবে। দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
মন্তব্য করুন


জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হৃদরোগ, বাতজ্বর ও ডায়াবেটিকস এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: রুহুল আমিনকে ফাঁসাতে নানা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি মহল। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার রুহুল আমিন জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর এলাকায় আমি ১২ বছর যাবত চেম্বার করি।এ এলাকার হাজার হাজার রোগী আমার চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নিকলী হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক এর মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস বিভিন্ন সময় রিপোর্ট জালিয়াতি ও ভুয়া রিপোর্ট করে আমার কাছে ধরা পড়ে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আমি চেম্বার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেই।তারা আর এসব ভুল করবেনা মর্মে ক্ষমা চায় এবং আমাকে বিভিন্নজনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে চেম্বার করার অনুরোধ করে। আমি ভুল ও জালিয়াতি না করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে চেম্বার অব্যাহত রাখি। উল্লেখ্য আমি নিকলী ও পাশ্ববর্তী সরারচর বাজারে দুইটি চেম্বার করি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরারচর, শুক্রবার সকালে নিকলী ও শুক্রবার বিকেলে পুনরায় সরারচর চেম্বার করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিকলী চেম্বার মালিকের বাসায় একটি রুমে থাকি। আমার পরিবার ২০১৭ সালে বাজিতপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে আমি ওদের বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান করতে হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সেহরির সময় চেম্বার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরীর মাদকাসক্ত ছেলে ওমর বেলায়েত (পূণ্য)আমার কক্ষে মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিকভাবে আহত করে।
তখন ওর বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে মাদকাসক্ত ও উন্মাদ ছেলেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ও আমার লুন্ঠিত মালামালসহ আটক করে।ছেলে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বের হওয়ার পর আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।আমি চেম্বার মালিককে জানাই ছেলেকে জেল থেকে বের করলে আমাকে জানাতে এবং জেল থেকে রিহ্যাবে দিতে।কিন্তু তারা তা না করে আমাকে না জানিয়ে ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করে। আমি বিষয়টি জেনে আমার নিরাপত্তা ইস্যুটিতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওদেরকে নিকলী চেম্বার ছেড়ে দেয়ার মৌখিক নোটিশ দেই। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে।তারপরও আমি ১৮ এপ্রিল চেম্বারে না বসলে আমাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সরারচর চেম্বারে এসে জানায় - নিকলীর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যাক্তি আমার কাছে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এতে আমি ১৯ এপ্রিল টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। আমি কাউকে টাকা না দেয়ায় ২২ এপ্রিল কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে। ২৩ এপ্রিল তারা ঠিক একমাস আগে যে মামলায় তাদের নিজের ছেলের বিরুদ্ধে আমার ও তার নিজের বাবা-মায়ের উপর হামলার করেছিলো সেই ঘটনাকেই ভিন্নখাতে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আমি মাত্র একটি চেম্বার না করার পরপরই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। অথচ আমি ১২ বছর তাদের চেম্বারে রোগী দেখার পরও তারা কোনদিন আমার বিরুদ্ধে ন্যুনতম অভিযোগ করেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল ও সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মুখরোচক ভুয়া নিউজ করে আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ভুয়া অভিযোগ দায়ের করে আমাকে প্রচন্ড হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় দেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্রজনতা, ডাক্তার সমাজ, বিবেকবান সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার অনুরোধ একজন ডাক্তারকে ভয়াবহ হয়রানি থেকে রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য চীনে অবস্থান করেছিলেন। গত ১৮ জুলাই থেকে তিনি চীনে অবস্থান করছেন। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজনের হুমকি-ধমকির জন্য এলাকায় সব সময় অবস্থান করতে পারেননি এই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ তাকে ৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় উপজেলার নিউ মার্কেট চত্ত্বরের মারধরের একটি মামলায় ৮১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। চীনে অবস্থান করে কিভাবে মারধরের মামলার আসামি হলেন , এ বিষয়টি বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়।
দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ির মো: নাজমুল হক বাদি হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেবিদ্বার উপজেলায় আওয়ামী লীগের মত বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং রয়েছে। আওয়ামী লীগে যেমন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও আবুল কালাম আজাদের দুই গ্রুপ ছিল, তেমনি বিএনপিতেও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুরুল আহসান মুন্সি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সির আলাদা আলাদা গ্রুপ রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের একটা অংশ অপর অংশকে বিপদে ফেলার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সর্ম্পক উন্নয়ন করে বিভিন্ন মামলায় নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে কোন প্রকার সংঘর্ষে না থেকেও মামলার আসামি হচ্ছেন অনেকে। ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগির ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি আজাদের ভাই মামুনের পক্ষে কাজ না করায় প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির ফলে ইউপি কার্যালয়েও যেতে পারতেন না চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু। চেয়ারম্যান মিঠুর বসতজমিতে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। তাঁর জমি দখলের পায়তারাও হচ্ছে। যার ফলে বছরজুড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই চেয়ারম্যান। ফলে জুলাই মাসে অসুস্থ্য হয়ে চীনে যান চেয়ারম্যান মিঠু। সেখানেই বর্তমানে অবস্থান করছেন। সেই চীনে থেকে রাজনৈতিক কারনে মামলার আসামি হয়েছেন চেয়ারম্যান মিঠু।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মো: নাজমুল হকের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এই বিষয়ে ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু জানান, আমি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ্য। তাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। আমাকে অন্যায়ভাবেই মামলার আসামি করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়টির সমাধান করবেন।
এই বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের আওতাধীন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচনে ২ জন প্রার্থীর তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র বৈধতা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ মে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে নির্বাচনী বিধিমোতাবেক ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত হলফনামায় তাদের মামলা সংক্রান্ত
উধরষু ইধহমষধফবংয গরৎৎড়ৎ
কোনো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেন নাই। তারপরও কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন এবং জাকির হোসেন দুলালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন তার হলফনামায় একাধিক মামলার তথ্য গোপন করেছেন। যেমন, ২০০২ সালের মোহাম্মদপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩০২/৩৪ অনুযায়ী মামলা নং-৩৯/২০০২ , ২য় মামলা ২০০৬ সালের তেজগাঁও থানাতে অস্ত্র আইনের ধারা ১৯ (ক) অনুযায়ী জি আর নং-৭৯৮/২০০৬, ৩য় মামলা ২০০৪ সালের মিরপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ দন্ড বিধি অনুযায়ী জি আর নং- ৮২/২০০৪, চতুর্থ মামলা ২০০৪ সালের সবুজবাগ থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩) ধার অনুযায়ী জি আর নং-৪০২/২০০৪ সহ আরো অনেক মামলা তিনি গোপন করেছেন।
অপর প্রার্থী জাকির হোসেন দুলাল তার হলফনামায় নিম্নের মামলার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১৯ সালের গোসাইরহাট থানাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ (এ) অনুযায়ী এফআইআর -০৭/৩৫ ।
এই মামলাগুলো ছাড়াও এই ২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা সংক্রান্ত সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এর এতগুলো মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের হলফনামায় ইচ্ছাকৃত মামলার তথ্য গোপন করেছেন, যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) দফা (ঙ) এর পরিপন্থি।
যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী মনোনয়নপদত্রর সাথে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে এবং মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল তাদের হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন বিধায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ হওয়ার কথা।
এই ঘটনা বাইরে প্রকাশের পর নির্বাচনী এলাকা গোসাইরহাটে ভোটার ও অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলার ভোটার দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার আগেই তারা অবৈধ, তাদের কাছ থেকে কিভাবে গোসাইরহাটবাসীর উন্নয়ন হবে!?” আরো একজন ভোটার আল-আমিন বলেন, “এতগুলো মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন অতিসত্ত্বর বাতিল করা হোক ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হোক”। এছাড়াও সাধারণ মানুষের আলোচনায় সুষ্ঠ ভোট না হওয়ার আশংকা প্রকট হচ্ছে।
গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রশ্ন করেন,”আমার হলফনামায় মাত্র ১টি নিষ্পত্তিকৃত মামলার তথ্য না দেওয়াতে, নির্বাচন কমিশনার আমার মনোনয়নপত্রটি স্থগিত করলেন, অথচ মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এতগুলো মামলার তথ্য গোপন করেও কিভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়? ” তিনি আরো বলেন, “আমি আশা করি আগামী আপিল শুনানীর দিনে, নির্বাচন কর্মকর্তা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি ভোট উপহার দিবেন”
উল্লেখ্য, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন বৈধতার আপীলের শুনানী আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটার ও সকল প্রার্থী ১১ মে নির্বাচন কমিশনার থেকে সঠিক সিদ্ধান্তের আশায় থাকবে।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামক একটি সংগঠনের সমর্থকেরা হামলা চালায়। তারা হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “যদি এমন ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, তবে সারা বাংলার মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান, সংগঠক বিল্লাল হোসেন, মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত হিমু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রার্থী সামিরা আজিম দোলার নেতৃত্বে লাকসামে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল গণমিছিল।
আজ (৭ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে লাকসাম বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক সমবেত হন। পরে উপস্থিত হন মরহুম কর্নেল আনোয়ার আজিমের সুযোগ্য কন্যা ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সামিরা আজিম দোলা। তাকে দেখতে ও সমর্থন জানাতে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়।
দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী মিছিলের নেতৃত্ব দেন সামিরা আজিম দোলা নিজে। মিছিলটি লাকসাম শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলেন, “গত ৩ নভেম্বর বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় কুমিল্লা-৯ আসনে আবুল কালামের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। আমরা এই মনোনয়ন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা চাই তৃণমূলের জনপ্রিয় নেত্রী সামিরা আজিম দোলাকে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হোক।”
যুবদল নেতা জাহিদ বলেন, “আমরা বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি আহ্বান জানাই—জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সামিরা আজিম দোলাকেই মনোনয়ন দিন। তারেক রহমান সাহেব বলেছেন—জনপ্রিয় যার, ধানের শীষ তার। আমরা চাই এই নীতির প্রতিফলন হোক কুমিল্লা-৯ আসনে।”
লাকসাম বিএনপি নেতা জসিম বলেন, “লাকসামে ৮০ শতাংশ জনগণ মরহুম কর্নেল আনোয়ার আজিমের সমর্থক ছিলেন। আজ তার উত্তরসূরী সামিরা আজিম দোলা সেই জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। যদি আবুল কালামকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়, তবে এই আসনে বিএনপি বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।”
মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সামিরা আজিম দোলা। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর আস্তা আছে দলের ওপর ভরসা আছে “জনতার জরিপে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, আমি সবার এগিয়ে আছি। প্রাথমিক তালিকায় নাম না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা হবে তফসিলের পরে।”
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই গণমিছিলে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন, যা লাকসাম শহরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ এক নারীকে আটক করেছে আলেখারচর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা।
গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলেখারচর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা নন্দনপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে সালমা আক্তার (৪২) নামে এক নারীকে আটক করা হয়। তিনি নন্দনপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
অভিযানে তার কাছ থেকে ১৫১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ৪৭ হাজার ১০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আটক নারী ও উদ্ধার হওয়া মালামাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পন্ন করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন