৫ আগস্ট শুধু একটা বিশেষ দিবস নয়, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন: প্রধান উপদেষ্টা

৫ আগস্ট শুধু একটা বিশেষ দিবস নয়, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার। বিগত ১৬ বছরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি ছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির হাতিয়ার।


আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।


তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে গুলিবিদ্ধ আহদের চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি এবং তৎকালীন সরকার হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে আহদের চিকিৎসা দেয়া না হয়।


জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত নিহতদের স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, শহীদ পরিবার এবং আহতদের আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের বিদেশে চিকিৎসা করানো হয়েছে।


তিনি বলেন, ৫ আগস্ট শুধু একটা বিশেষ দিবস নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা, গণজাগরণের উপাখ্যান এবং ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন। আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের কারণে আত্মত্যাগের কারণে আমরা আমরা পেয়েছি স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে সাম্য সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এদেশের জনগণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। লাখো প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পরেও এদেশের মানুষ সুবিচার ও গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে।


ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক সংকটময় অধ্যায়। ১৬ বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এদেশের এই বিপুল সংখ্যক তরুণরা ১৬ বছর ধরে ক্রমাগত হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। ভালো ফলাফল করেও চাকরির জন্য ক্ষমতাসীনদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে। চাকরিকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর তদবীর বাণিজ্য। যে তরুণ ঘুষ দিতে পারেনি এলাকার মাফিয়াদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে পারেনি, তার চাকরি হয়নি।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি, যেটা মূলত ছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির আরেকটা হাতিয়ার। এর বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ দীর্ঘদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভ করলেও ফ্যাসিবাদী শাসকের টনক নড়েনি। দীর্ঘদিন এই সেক্টরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণী তৈরি করা হয়েছিল। যারা আর্থিক বা অন্য সুবিধার বিনিময়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলবে-কাজ করবে। স্বৈরাচারের পক্ষের সঙ্গি হলেই তার চাকরি হবে।


এসময় প্রধানউপদেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

টেকনাফে পাহাড় থেকে বন কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে অপহরণ

টেকনাফে পাহাড় থেকে বন কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে অপহরণ
পাহাড়


ডেস্ক রিপোর্টঃ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কক্সবাজারের সীমান্ত পরিদর্শনকালে টেকনাফে হ্নীলা জাদিমুড়া পশ্চিম পাহাড় থেকে ১৭ শ্রমিকসহ ১৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বন বিভাগের জায়গায় কাজ করতে গেলে তাদেরকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।

অপহৃতরা হলেন বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, শ্রমিক আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১),সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০),সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিন (১৮)। এছাড়া আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে অনেকে রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকা থেকে ফরেস্টসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বাগানে কাজ করতে গেলে ১৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে অপহরণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ ট্রান্সফোর্স গঠন করে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় টেকনাফে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।


বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসালম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, শামসুল আলমকে বুধবার রাতে মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।


সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।


ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার জানান, আজ শামসুল আলমকে আদালতে তোলা হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

সিরিয়ায় ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হা’মলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হা’মলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বিমান হামলা


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আইএসের শীর্ষ নেতা, সহযোগী এবং বিভিন্ন ক্যাম্প লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, বি-৫২, এফ-১৫ এবং এ-১০ সহ একাধিক মার্কিন বিমান ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমেই সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।

২০০০ সালের জুলাই মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর অর্থাৎ ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।

২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধকে ঘিরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। সম্ভবত তার আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পরবর্তী টার্গেট সিরিয়া হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সেসময় ইরাকে তাদের বিরোধীদের কাছে অস্ত্র চোরাচালানে সহায়তার জন্য দামেস্ককে দায়ী করছিল। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি বৈরুতে বিস্ফোরণে নিহত হলে এ ঘটনার জন্য অনেকে সিরিয়া ও তার সহযোগীদেরই দায়ী করে।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ক্রেমলিনের সূত্র উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে আসাদ ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।

ক্রেমলিনের একটি সূত্র বলেছে, রাশিয়া সবসময় সিরিয়ার সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিল। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনার পুনরারম্ভের জন্য জোর দিচ্ছি।

তাসের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে দেশটির প্রথম উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের সময় নিশ্চিত করেছে। পলিয়ানস্কি বলেন, আসাদ সরকারের পতনের গভীরতা এবং এর প্রভাব রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কী হতে পারে, তা এখনই বলা কঠিন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস
ছবি: সংগৃহীত

তিন দশক আগে ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, মামলাটি বিদ্বেষ্পূর্ণ, রায়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে বিচারিক আদালত।


বুধবার (৫ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।



এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতকে বলেন, শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে ফাঁসি ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।


তিনি আরও বলেন, এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। মামলা চলাকালীন পাঁচ আসামি মারা গেছেন। ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।


এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।


পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

শেখ হাসিনাকে দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু

শেখ হাসিনাকে দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু
ছবি: সংগৃহীত




‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন টিম। এর মধ্যে দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু হলো।


চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম রোববার দুপুর ১২টার পর ট্রাইবুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে।


শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন।


জুলাই-আগস্টজুড়ে সারা দেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায়ে গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত সংস্থা।


আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিরুদ্ধেও আনা হয় পাঁচটি অভিযোগ।


এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডিসেম্বরের মধ্যে জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। এ সময়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে। বিচার এমনভাবে করা হবে কেউ যেন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে।


শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে।


সপ্তাহ দেড়েক আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম জানায়, জুলাইয়ে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগ আনা হয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, কোনো উত্তেজনা নেই: উপদেষ্টা

সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, কোনো উত্তেজনা নেই: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সীমান্তে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে এবং সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই। সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণেরও কোনো কার্যক্রম নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।


মঙ্গলবার ময়মনসিংহ নগরীর সিটি করপোরেশন শহীদ সাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে সশস্ত্র বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি জানান, আগামী মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ডিজি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।


এছাড়া ভারতের সঙ্গে করা কিছু অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ভারতের সঙ্গে কিছু অসম চুক্তি হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে এসব চুক্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। যেসব চুক্তি অসম বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “পুলিশই তদন্ত করবে। অন্য কোনো সংস্থাকে তদন্তের সুযোগ দেওয়া হবে না। ট্রাইব্যুনালের তদন্তও পুলিশের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। পুলিশ যেন তাদের আগের কর্মোদ্দীপনা ও দক্ষতা ফিরে পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।”


সারের সংকট নিয়ে আলোচনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। তবে কেউ যদি কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব ডিলার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। আগামী মাস থেকেই এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। কোনো অবস্থাতেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”


কৃষকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার পাবেন। এ বিষয়ে কোনো শঙ্কা নেই।”


বিদেশি গণমাধ্যমের অপপ্রচারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিদেশি মিডিয়াগুলো অনেক সময় আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ভুল খবর প্রচার করত। কিন্তু দেশের সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করায় এখন বিদেশি মিডিয়াগুলো আর অপপ্রচার করতে পারে না। এজন্য দেশের সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতেও সত্য প্রকাশে সাংবাদিকদের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।”

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো
ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি মাসে ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ১,৪৫৯ টাকা।


বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে। এই নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।


এছাড়া, প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।


এর আগে, গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।


গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম ৩ পয়সা কমানো হয়েছিল, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমানো হয় এবং নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬ জন গ্রেপ্তার, তদন্তে অগ্রগতি

আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬ জন গ্রেপ্তার, তদন্তে অগ্রগতি
আইনজীবীর ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের হাতে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনার ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় আরও জানানো হয়, সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গতকালই ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে আরও ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভসহ (ককটেল) আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে।



global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ছবি: সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে মানুষ। এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আর সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।


ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তার কমিশন।


সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জনগণের সহযোগিতা চাই। নির্বাচনী অনিয়ম রুখতে এবং সত্যিকারের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।’


সিইসি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহের এই কর্মসূচি চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সবকিছু শেষ করে জুনের মধ্যে হালনাগাদ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।


২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকছে। একইসঙ্গে মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং ঠিকানা পরিবর্তনের সুবিধাও রাখা হয়েছে।


নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা ফেরানোর উপর জোর দিয়ে সিইসি বলেন, ‘যেদিন মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভয়ভীতিহীন পরিবেশে ভোট দিতে পারবে, সেদিনই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সংগ্রাম আজ থেকে শুরু হলো।’


তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন অনিয়ম প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা ব্যালট বাক্স লুটের মতো অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।’


তরুণদের ভোটের প্রতি আগ্রহ ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘অনেক তরুণ জানিয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। এটাই আমাদের যাত্রার সূচনা।’


ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানে। আমরা জনগণের সাথে আছি এবং তাদের পাশে থেকে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবো।’


সরকার প্রধানের দেওয়া সম্ভাব্য সময়সূচি অনুযায়ী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসি সেই সময়কে মাথায় রেখে কাজ করছে বলে জানান সিইসি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে।


সিইসি বলেন, ‘এ যাত্রা লম্বা হতে পারে। তবে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে নির্ভুল ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত




‎অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ থাকায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।


‎আদেশে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ দেশত্যাগ করতে পারেন, যা অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার দরখাস্তদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দরখাস্তে বর্ণিত ব্যক্তিদের বিদেশ গমন নিষেধাজ্ঞার আদেশ হওয়া প্রয়োজন।


‎‎আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশে বলা হয়, ‎অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্ত ও অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় দরখাস্তটি মঞ্জুরযোগ্য মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার প্রার্থীত মতে জিএম কাদের ও শেরীফা কাদেরের বিদেশ গমণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হলো। সেই সঙ্গে স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপারসহ (ইমিগ্রেশন-প্রশাসন) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।


‎‎জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন দিতে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণ করা হয়, যার মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের।


‎চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে জিএম কাদেরের স্ত্রী শরীফা কাদের সংসদ সদস্য হন।


‎অভিযোগে আরও বলা হয়, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ।


‎২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জি এম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।


‎আর তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের তারও একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।


‎১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া জিএম কাদের জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০