১০০ আসনে হবে সংসদের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে মনোনীত হবেন সদস্যরা

১০০ আসনে হবে সংসদের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে মনোনীত হবেন সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত




জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট। এই সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর), অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর যে ভোট পাবে, সেই হারে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।


তবে এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল ও জোটগুলো। তারা বলেছে, উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনীত হতে হবে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে।


বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনা চলছে। আজই আলোচনার সমাপ্তি টানতে চান বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন।


আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’ 


তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যেই আলোচনার পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।


আগের ধারাবাহিকতায় আজকেও সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য কীভাবে মনোনীত হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এ প্রস্তাব সমর্থন করে। অপরদিকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের দাবি জানায়।


আলোচনায় দলগুলোর ভিন্নমত থাকায় এক পর্যায়ে বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর ঐকমত্য কমিশন ভোটের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত জানায়।


কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে, সেটিকে উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।


নিম্নকক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিলগুলো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।


আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সব সংশোধন আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।


কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি। তারা সংসদের নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। যুক্ত হিসেবে এই দলগুলো বলছে, দেশের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের কোনো প্রয়োজন নেই।


আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

দেশ থেকে নৌকা মার্কাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে: নাহিদ

দেশ থেকে নৌকা মার্কাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে: নাহিদ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নৌকা মার্কা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।


শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।


নাহিদ ইসলাম বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিচার করব এবং দেশকে সংস্কার করব।"


তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এই প্রথমবারের মতো রাজপথে নামেনি, জীবন দেয়নি। এর আগেও বহুবার মানুষ সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭২ সালে 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বিনষ্ট হয়। দেশকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়। মুজিববাদী সংবিধানে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর নামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করা হয়।"


তিনি বলেন, "বাংলাদেশে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ স্বৈরশাসনের পতন ঘটায়। কিন্তু ৩০ বছর পর আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।"


জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত নয় মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"


তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।"


নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে কাজ করবে? আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ হাসিনা কি গণহত্যাকারী? তাদের বলছি, আপনারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।"


সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সরকারের সমালোচনা করেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে আমদানিকারকদের তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।


মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানের দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


উপদেষ্টা জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট থাকলেও শাকসবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


তিনি আরও বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই। তবে কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তাকে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে।


এসময় গত ডিসেম্বরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযান দুর্ঘটনায় নিহত ৬ শ্রমিকের পরিবারকে সচিবালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুই লাখ টাকা এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।


অর্থ উপদেষ্টা জানান, চালসহ বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও তিন মাস সময় লাগবে। এজন্য আগামী মার্চে সংশোধিত বাজেটে ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি জানান।


তিনি আরও উল্লেখ করেন, চালসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্যের সরবরাহ এখন থেকে আর কমতে দেয়া হবে না। চাল, ডাল, সারসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না।


এছাড়া, অনেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করেন, তবে এটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১২টি পুরোপুরি কার্যকর, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে। এটিও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।


global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সহায়তা দেবে

পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সহায়তা দেবে
ক্যাথরিনের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেছেন, তার সরকার বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফেরত আনার প্রচেষ্টায় ঢাকা সরকারকে পূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে।

রবিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন ক্যাথরিন ওয়েস্ট। তিনি বলেন, "এটা আপনাকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আমাদের সমর্থন পেয়েছেন।"

ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রায় ষোল বছরের শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার ফেরত আনার জন্য ঢাকা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে যুক্তরাজ্য তার সহায়তা প্রদান করবে।

ইউনূস তার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, অলিগার্ক ও আমলাদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনা অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশে পাচার হচ্ছে।

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস তার সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বর্ণনা দেন, যার মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং পূর্ববর্তী শাসনামলে ঘটে যাওয়া ব্যাপক ভোট কারচুপি থেকে বিরত থাকা এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য।

পশ্চিমা দেশগুলো সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করে উল্লেখ করে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ব্রিটেন নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় ও সাংবিধানিক সংস্কারের মূল দিকগুলোতে প্রাণবন্ত বিতর্ক দেখতে চায়। "বিতর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ," তিনি বলেন।

মন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী, স্থানীয় জনগণ ও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০.৩ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান সহায়তা ঘোষণা করেছেন।

ড. ইউনূস মিয়ানমারের সহিংসতা-জর্জরিত রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগণের জন্য একটি "জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ অঞ্চল" প্রতিষ্ঠার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যাতে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে না আসে এবং দাতব্য সংস্থা ও সাহায্য গোষ্ঠীগুলো নির্বিঘ্নে বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে খাদ্য ও সহায়তা পৌঁছে দিতে পারে।

বৈঠকে তারা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা, সংখ্যালঘুদের অধিকার, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ৪০ মেগাওয়াট জ্বালানি চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন।

ইউনূস বলেন, তার সরকার জলবিদ্যুৎ সমৃদ্ধ নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুৎ গ্রিড তৈরিতে পুরোপুরি সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, হিমালয়ের পাদদেশের দুই দেশ থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানি করলে বাংলাদেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারবে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বৈঠকে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত ছাত্র ও অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের একটি মেডিকেল টিম চলতি মাসে দেশে এসেছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

ভ্যাটের প্রসঙ্গে যা বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভ্যাটের প্রসঙ্গে যা বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখ ভুয়া, এমন তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন।


শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।


বশির উদ্দিন বলেন, "সমাজে বৈষম্য তৈরি হওয়ায় আন্দোলন হয়েছে, যা দূর করা সম্ভব নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে।"


করের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, "প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় করই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এর যথাযথ প্রয়োগ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"


অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো অনৈতিকভাবে লাভ করেছে, যা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।


একই সভায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সম্মানীয় ফেলো এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।


এ অর্থনীতিবিদ বলেন, "আমরা অবাক হয়ে দেখেছি কীভাবে অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কর সংগ্রহ করতে হলে ক্রমান্বয়ে প্রত্যক্ষ কর প্রদানকারীর কাছে যেতে হয়, কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ কর আহরণে কোনো পরিকল্পনা দেখছি না। যারা কর দেয় না, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের এ বিষয়টি চিন্তিত করেছে। আগামী গরমে জ্বালানি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, এই আশঙ্কা করছি।"


এছাড়া, রেকর্ড পরিমাণ আমন উৎপাদন করলেও সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য নেই জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, "সংগ্রহ অভিযানে আগে যেমন দুর্নীতি ছিল, তা এখনো বিদ্যমান। কৃষক তার ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।"


এ সরকার কী ধরনের অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার রেখে যাবে, এ প্রশ্ন তুলেন দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, "সুষম, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে যে ধরনের প্রশাসনিক কাঠামো বা সংস্কার প্রয়োজন, সে ধরনের কোনো রূপরেখা আমরা দেখলাম না।"

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, আমি খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী

আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, আমি খুনির কাছ থেকে কিছু নেয়নি:  প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’

তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’

দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’

তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’

১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’

আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।


প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচন করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। এই উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।


নির্বাচন আয়োজনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে আমার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ উপভোগ করছিলাম, তাই প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে অন্য কিছু করার জন্য আমাকে টেনে আনা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরা এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব, যা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।


নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন / সমবায়ী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় নয়। বাংলাদেশ যা করেছে তা একটি উদাহরণ, যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতা রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়; তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।


প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ বলেছে, সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে এমন দেশকে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত না হলেও, তা নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ভিত্তিতে।


এবারের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নেওয়া হয়।


বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশের সাম্প্রতিক বিজয় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি স্বৈরশাসককে উৎখাত করা হয়েছে। আগস্টে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যিনি ১৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছিলেন। এর আগে তিনি এক সময় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তার শাসনামলে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।


প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় সাধারণত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তবে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেটি ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এই সরকারকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে, কিন্তু তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

নির্বাচনের আগে এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে এসপি-ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির দিকনির্দেশনা মূলক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার হাতে এসপি ও ওসিদের বদলি পদায়নের ক্ষমতা রয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন করা হবে। এখানে সচিবালয় সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও লটারিতে উপস্থিত রাখা হবে।’


তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য কাজ করবে। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। নিজ নিজ এলাকায় তাঁরা প্রশিক্ষণ নেবেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন জাতীয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সে জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে।’


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। ওই ভাষণের ধারাবাহিকতায় আজকে এই সভা ডাকা হয়েছে। নির্বাচনের আগে যে সমস্ত লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

জো বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের

জো বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের
জো বাইডেনের ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।

সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস শুক্রবার একটি সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অন্য ডেমোক্র্যাটকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বাইডেনকে ‘একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া’ হিসেবে বর্ণনা করে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পরিষদ বলেছে, “প্রেসিডেন্ট এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বিতর্ক প্রমাণ করেছে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন- তার নিজের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।”

বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন।

ট্রাম্প ও বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে এর যেকোনোটি বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করার মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রহণ করার কোনও কারণ দলের নেই। আমেরিকানরা যা নিজেদের চোখে দেখেছেন, বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা তারা এড়িয়ে যাবেন বা হিসেবে নেবেন না— সরলভাবে এটা আশা করা হবে এক বড় জুয়া’, বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্য কাজ গ্রহণযোগ্য হবে না: রুহুল কবির রিজভী

নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্য কাজ গ্রহণযোগ্য হবে না: রুহুল কবির রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো নির্বাচন পরিচালনা। এই বিষয়টি উপেক্ষা করে যদি অন্তর্বর্তী সরকার অন্যান্য কাজে বেশি মনোযোগ দেয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।


শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘রোড টু ইলেকশন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।


রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সরকারের দায়িত্ব হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। তবে নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই সংবিধান প্রদত্ত আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে।


এ সময় তিনি জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়ারও আহ্বান জানান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০