

ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মেঘের রাজ্যে পর্যটকদের না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জোবাইদা আক্তারের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনভর সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় বিবদমান দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় মূলত বুধবার থেকে সাজেক যেতে না করছে প্রশাসন।
এর আগে, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দফায় দফায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। পরে ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটির সকল পর্যটন কেন্দ্র থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলামেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ইয়াছিন আহমেদ নামের ১৩ বছরের এক কিশোর। ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে তার আরও ২ বন্ধু।
নিহত কিশোর চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে মোশারফ (২৬), মেহবুব মিয়ার ছেলে অনিক (১৬)। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা বাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াছিন শৈশব থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির। তাকে মারধর করেও বিদ্যালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়নি। শিক্ষা বিমুখ ইয়াছিন বন্ধুদের সাথে সে প্রায়ই মোটরসাইকেলে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেত। সোমবার দুপুরে তার চাচাতো ভাই মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ ব্যবসায়ী মোশারফের মোটরসাইকেলে করে ইয়াছিন ও তার বন্ধু অনিক সহ ঘুরতে বের হয়। নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে নূরীতলা এলাকায় দূর্ঘটনার শিকার হয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম জানান, খুব দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেলটি ছুটে আসছিল। এসময় একটি বাস তাদেরকে ওভারটেকিং করার সময় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কে আঁছড়ে পড়ে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিন নামের ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুজনকে কুমিল্লায় রেফার করেন।
এদিকে সোমবার সকালেই ইয়াছিনের বাবা শাহজাহান মিয়া ও মা জোৎস্না বেগমের চোখের অপারেশন কুমিল্লার আলেখার চরে অবস্থিত চক্ষু হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে তারা চোখে বেন্ডেজ লাগানো অবস্থায়ই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। ইয়াছিন এই দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় কিন্তু সেখানে কাউকে পায়নি।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৭ কিশোর জেলেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী,হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি ও নাজমুল হাসান। ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. ইব্রাহিমকে। আর মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া অপ্রাপ্ত কিশোর জেলেরা হলেন মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব। আটক এসব জেলেদের বাড়ি শহরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২ জেলেকে ইলিশ ধরা অবস্থায় হাতেনাতে আটক, ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর ষ্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে চরম অনিয়ম চলছে বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মিঠুকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। আর ভিতরে কোনরকমে যদি প্রবেশ করেও কোন কাজ পরিচালনা করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা ইউপির কাজ বন্টন করছে। এমন নানা ধরণের অভিযোগ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি টিসিবির কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চালও ভাগাভাগি করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কয়েকজন ওয়ার্ড মেম্বার। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তেমন যেতে পারেন না। উনার কাজকর্ম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। টিসিবি কার্ড ও চাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিজের মত করে বন্টন করেছে। সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর নানা নির্যাতন, হামলা-মারধর চলছেই। উনার জমি দখল ও কলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ভয়ে-আতংকে তিনি এলাকাছাড়া।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু জানান, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি বিগত সময়ে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চভাবে জনগণের সেবা করতে। জনগণও আমাকে সব কাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর আমি বেশ বিপদে আছি। আমাকে আমার কার্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কোন কাজকর্ম আমি করতে পারছি না। পদে পদে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে আমাকে। এই দুইদিনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়নের কয়েকজন সুবিধেভোগি ওয়ার্ড মেম্বার টিসিবি ও চাল নিজেরাই ভাগাভাগি করে বন্টন করেছে। আমাকে একবারও জিগেস করেনি। আমি সব সময় কার্যালয়ে যোতে চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। আমি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তা মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড সাহেবকে এবং পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: তোফায়েল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমির হোসেন চৌধুরী ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: জামাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান মিঠু সাহেব অনেকদিন ধরে অসুস্থ্য। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাই ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারে না। আমরা সবাই মিলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেককেই ১০ কেজি করে চাল না দিয়ে ২৫০/৩০০ গ্রাম করে কম দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে টিসিবি কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারকৃত চাল দেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, আমরা গরীব মানুষ। কিন্তু টিসিবি কার্ড পাইনি। চালও পাইনি। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করছি। চেয়ারম্যান সাহেবও নাই , আর আমরাও চাল পাই না।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান সাহেবকে কার্যালয়ে আসতে কেউ বাঁধা দিচ্ছে কি না তা আমি বলতে পারবো না। আর টিসিবি ও চাল বিতরণ কে ভাগাভাগি করছে, তাও জানি না। কোন জায়গায় সমস্যা তা জানি না। চাল কম দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, অনেক বস্তায় চাল কম থাকে। তাই অনেককে ২০০/১০০ গ্রাম করে চাল কম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান সরকার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমরা উনাকে কোন বাঁধা দেইনি আসতে। আর টিসিবি ও প্রধানমন্ত্রীর চাল ভাগাভাগি ও বিতরণ আমি করিনি। সব মেম্বাররা মিলে করেছে। তারা সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়ার পর আমাকে এসে ২৫০/৩০০ কার্ড দিয়েছে। তারা বলছে গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দিতে। আমি না করেছি। তারা জোর করে দিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ মিথ্যা। দলীয় অর্ন্তকোন্দল নিরসনে কোন ভূমিকা নিয়েছেন কিনা ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাই মিঠুকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। অথচ গত সাংসদ নির্বাচনে সে এমপি সাহেবের( স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনেও সে আনারস প্রতিকের( এমপি আজাদের ছোট ভাই মামুন) বিপক্ষে কাজ করেছে। এসব কারণে এমপি সাহেবের সাথে তার দূরত্ব রয়েছে। তারপরেও এমপি সাহেব তার বিপক্ষে আজও কোন কথা বলেনি। সর্বোপরি আমরা তাকে কোন বাঁধা দেইনি।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কুমিল্লার ৯টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
কুমিল্লা -১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) সংসদীয় আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা -৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, কুমিল্লা -৪( দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও বি পাড়া) আসনে হাজী জসিম, কুমিল্লা -৬ (সদর ও সদর দক্ষিণ) সংসদীয় আসনে মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা -৮ (বরুড়া) সংসদীয় আসনে জাকারিয়া তাহের সুমন , কুমিল্লা -৯ ( লাকসাম-মনোহরগন্জ) আসনে আবুল কালাম ওরফে চৈতি কালাম, কুমিল্লা -১০ ( লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে আব্দুল গফুর ভূইয়া, কুমিল্লা -১১ ( চৌদ্দগ্রাম) আসনে কামরুল হুদা।
কুমিল্লা -২ ( হোমনা-তিতাস) ও কুমিল্লা -৭ (চান্দিনা) আসনে পরে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রাইভেটকার ভর্তি ৩২ কেজি গাঁজাসহ ৪ জনকে আটক করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি -২ সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন, বিলকিছ (২৮), আয়েশা বেগম (৪২), গিয়াস উদ্দীন (২৮) এবং আব্দুল খালেক (২৯)। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে ৩২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া বিলকিছ (২৮) নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার কাছারকান্দি গ্রামের হযরত মিয়া এর মেয়ে, আয়েশা বেগম (৪২) একই গ্রামের মৃত বাদশা মিয়া এর মেয়ে, গিয়াস উদ্দীন (২৮) নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত হাফেজ আহমেদ এর ছেলে এবং আব্দুল খালেক (২৯) একই থানার একলাছপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি -২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন


আজ শনিবার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে জেলাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কুমিল্লা টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা (বুলু)।
আজ সম্মেলনে কোন ভোট হচ্ছে না। কাউন্সিলর তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় তা প্রকাশও করা সম্ভব হয়নি। এদিকে সমঝোতার মাধ্যমে শীর্ষ ৫ পদ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শীর্ষ ৫ পদ ঘোষণা করা হবে সম্মেলনে:
সভাপতি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদিকে গত প্রায় একমাস ধরে জেলা বিএনপির লাখ লাখ কর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে নেতৃত্বে দেখতে অপেক্ষায় ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে জনপ্রিয় দুই নেতা প্রতিদ্বন্দ্বী করায় পুরো জেলাজুড়ে ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল। প্রতিদিনই জেলার সর্বত্র নেতাকর্মীদের আলোচনায় ছিল সাধারণ সম্পাদক দুই প্রার্থীর নাম। কিন্তু হঠাৎ সম্মেলনের ৩ দিন আগে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতা কিংবা ছাড় দেয়ার ফলে আমীরুজ্জামান আমীর সরে গেলে বা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে সম্মেলনের আগেই আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সিনিয়র সহ সভাপতি পদে ৩ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীতা থেকে সরে আসা আমীরুজ্জামান আমীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন ও সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিক মিয়া। তবে এখানে সমঝোতার মাধ্যমে আমীরুজ্জামান আমীর সিনিয়র সহ-সভাপতি হতে যাচ্ছেন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা, বরুড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক স্বপন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী ও সদর দক্ষিণের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমান । এ পদে কামরুল হুদা সমঝোতার মাধ্যমে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা জামান , দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হক ভূইয়া স্বপন। এ পদে সমঝোতার মাধ্যমে নজরুল হক ভূইয়া স্বপন নির্বাচিত হচ্ছেন।
যে কারনে কাউন্সিলর ( ভোটার) চূড়ান্ত করতে পারেনি আহ্বায়ক কমিটি:
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আওতাধীন উপজেলা ও পৌরসভা মিলিয়ে মোট ১৪টি ইউনিট আছে। প্রতিটি ইউনিট থেকে ১০১ জন কাউন্সিলর (ভোটার) আছেন। সে ক্ষেত্রে কোনো পদে ভোট হলে মোট ১ হাজার ৪১৪ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে ৫টি ইউনিট ছাড়া বাকি ৯টি ইউনিটের কমিটি জেলাতে জমা না হওয়ায় কাউন্সিলর ( ভোটার) চূড়ান্ত হয়নি। ফলে প্রার্থী থাকলেও ভোট সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। তাই সমঝোতার মাধ্যমে সেরা ৫ পদ চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি পদগুলো পরে ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া প্রচার সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মোজাহিদ চৌধুরী।
মো: মোজাহিদ চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে যারা ছাত্রদল করে আসছে, যারা জেলা ও মহানগরে স্থান পায়নি, তাদের জেলা কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
সহ-সভাপতি পদে আলোচনায় থাকা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা: গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল জানান, প্রথমত আমি চাই জেলা দক্ষিণ বিএনপির এই সম্মেলন সফল হোক। সাংগঠনিক যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই পদ পাবে এই প্রত্যাশা করছি। জাকারিয়া তাহের সুমনের নেতৃত্বে নতুন কমিটি সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আলোচনায় আমীরুজ্জামান আমীর জানান, সকলের প্রচেষ্টায় একটি সফল ও সার্থক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আশা করি যোগ্য ব্যক্তিরা পদে আসবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম জানান, আমরা একটি জাকঁজমকপূর্ণ, সার্থক ও সফল সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে গত ২৯ এপ্রিল ৯ বছরের শিশু তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণসহ নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ সদস্যরা। এর আগে নিহত শিশুটির মা বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণসহ হত্যার ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে গত ৩০ এপ্রিল রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ফেরুয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক ও হত্যাকারী মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘাতক মফু কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল খালেকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটির পিতা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। নিহত সোনালী উপজেলার শিশু শিক্ষা বিদ্যা নিকেতন কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। সকাল ৭টায় সে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়, বেলা ১১ টার দিকেও ভিকটিম বাড়ী না ফিরলে ভিকটিমের মা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং কালক্ষেপন না করে তিনি তার মেয়ের স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। স্কুলে পৌছানোর পর স্কুল শিক্ষিকার শরনাপন্ন হয়ে মেয়ের বিষয়ে কোন হদিস না পেয়ে ভিকটিমের মা স্কুল থেকে ফেরার পথে ভিকটিমের বেশ কয়েকজন সহপাঠির কাছে জানতে পারেন যে, ভিকটিম স্কুল শেষে বাড়ি চলে গিয়েছে। অতঃপর ভিকটিমের মা বাড়ি ফিরে আসেন এবং স্থানীয় লোকজন ও আশেপাশের প্রতিবেশীদের সহায়তায় সম্ভাব্য সকল স্থানে তার মেয়ের সন্ধান করেন। ইতিমধ্যে ভিকটিমের মা তার প্রবাসী স্বামীর সাথে আলোচনা করে আশেপাশের কয়েকজন লোকজন নিয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। বিকেল সোয়া ৩টায় ভিকটিমের লাশের বিষয়ে অবহিত করলে ভিকটিমের মা ও সাথে থাকা লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান এবং ভিকটিমের মরদেহ দেখতে পান। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি ভিকটিমের মাসহ অন্যান্য লোকজনদেরকে জানায় যে, সে আসামী মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে ঘটনার দিন বেলা সোয়া ১১ টার সময় ঘটনাস্থলের রাস্তার পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভিতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নিহত ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামীর প্রতিবেশীর মেয়ে এবং পূর্ব পরিচিত। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী মফিজুল তার অসৎ কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে গত ২৯ এপ্রিল সকাল আনুমানিক পৌণে ১১ টায় ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ভিকটিমের আসার অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। পথিমধ্যে ভিকটিম স্কুল থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌছালে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে কৌশলে রাস্তার পাশের ধানী জমিতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামী মফিজুল ভিকটিমের মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে ভিকটিম শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অতঃপর আসামী মফিজুল ভিকটিমের কোন নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ও অন্যান্য লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমের মৃতদেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে নিজ এলাকা হতে পালিয়ে চাঁদপুরে চলে যায় এবং সেখানে আত্মগোপন করে।
নারায়নগঞ্জ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, রুমা উপজেলার গভীর জঙ্গলে কেএনএ-র একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায় সেনাবাহিনী। এরপর অভিযান চালালে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে কেএনএ-র তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনীর এই অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে এবং এই দলটি পাহাড়ি এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন ওরফে জিসান (৭) নামে এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আসামিদের দুটি ধারায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম ওরফে রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো.সালমান হোসেন শিবলু (২২)।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, হতার শিকার জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের মায়ের অসুস্থতার কথা বলে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আসামি রনি ও তার বন্ধু শিবলু। পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে। একই দিন সন্ধ্যার পরে তার পরনের জামা কাপড় দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে তার শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার দুদিন পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। আদালত ২২জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন করাদন্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের পিতা প্রবাসী ছিল। আসামি রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের কাকা হয়। মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনতে রনি তার বন্ধু লাভলুসহ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রায় দেন।
মন্তব্য করুন