ডেস্ক রিপোর্ট:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী।
বুধবার, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরীন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন করেন বাবরের আইনজীবী শিশির মনির।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। অন্যদিকে, অন্যান্য পাঁচজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। ৬ নভেম্বর এই শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ প্রয়োজনীয় নথি উপস্থাপন করে এরপর যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবর মূলত এ মামলার আসামি ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, ২৮টি সাক্ষী হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং ওই তদন্তের মাধ্যমে বাবরসহ ১১ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়। পরে ৫৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বাবরকে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
শিশির মনির বলেন, মামলার চলাকালীন ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর যে পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা আইন অনুযায়ী হয়নি এবং বেআইনিভাবে করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো সরাসরি প্রমাণ বা সাক্ষ্য নেই।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছে যে বাবরের নির্দেশে পাঁচজনকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই পাঁচজনই জেলে রয়েছেন।
আইনজীবী শিশির মনির দাবি করেন, তার (বাবর) বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রভাবিত করার অভিযোগ সঠিক নয়, কারণ তৎকালীন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও সচিব এর বিপরীত মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, যেহেতু কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই, তাই দ্রুত বাবরকে এ মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া উচিত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ঘটনা সঠিক, তবে প্রকৃত দোষী নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তাই তিনি আদালতের সামনে বাবরের বেকসুর খালাস দাবি করেছেন।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় চোরাচালান মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী (যিনি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জন হলেন: এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম, ডিজিএফআইর সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এনএসআইর সাবেক উপপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, এনএসআইর সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ এবং ট্রলার মালিক হাজী আবদুস সোবহান। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরা আপিলও করেন।
অস্ত্র আইনে দায়ের করা অন্য মামলায়, একই আসামিদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অস্ত্র আটক মামলার অপর ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তারা মুক্তি লাভ করেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এসময় কারা ফটকে তাদের আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার ৪০ আসামির জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।
মুক্তি পাওদের মধ্যে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২ জন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে পাঁচজন এবং কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ১০ জন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গেল সোমবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের (প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) বিচারক ইব্রাহীম মিয়া বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ৪০ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পাওয়া ৪০ জনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে পাঁচজন, পার্ট -২ থেকে ১০ জন ও হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১১ জন মুক্তি লাভ করেন। এছাড়া বুধবার এই ইউনিট থেকে আরও এক বিডিআর সদস্য জামিনে মুক্তি পান।
এর আগে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১৭৮ জন বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ২১৮ জন জামিন পেলেন। সাবেক বিডিআর সদস্য ও তার স্বজনরা জামিনে মুক্তি পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগাের জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন জানান, বন্দি ২৭ সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসার পর কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিপন্থি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিকউল্লাহ এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে এক নারী আইনজীবীকে হেনস্তা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন করে ভোটগ্রহণের দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভের সময় সমিতির সম্পাদকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সে সময় সমিতির সম্পাদক ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল নূর এ হামলার জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে দায়ী করেছেন। এর জন্য তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা বলছেন, উদোর পিণ্ড বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোল, হামলা, ভাঙচুর, মামলা, সাংবাদিক পেটানো, প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে এ নির্বাচনে।
নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছিলেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। তারপর থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আন্দোলন করে আসছেন।
তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও মিছিল-সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে আইনজীবীরা সম্পাদকের কক্ষের সামনের অংশ ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় কক্ষে আবদুন নূর দুলাল অবস্থান করছিলেন।
পরে অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল বলেন, আজ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একটি প্রোগ্রাম ছিল নিচে (বার অফিসের সামনে)। আমরা এখানে (দোতলায় সম্পাদকের কক্ষে), আমরা তো নিচে যাইনি। ওরা চড়াও হয়ে এখানে এসে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা করেছে। এটা হচ্ছে একটা কাপুরুষতা। আমরা সরকারি দলে থাকার পরও সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছি। প্রতিদিন তারা প্রতিবাদ করে এখানে এসে ঝগড়া লাগানোর চেষ্টা করে। তারা এখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে আসে না। তারা আসে সহিংসতার জন্য। তারা অফিস ভাঙচুর করেছে। কয়েকজনকে আহত করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেব।
অন্যদিকে বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তারা (আওয়ামীপন্থি) ভাঙচুর করে আজ আমাদের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা তথা সাধারণ আইনজীবীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিএনপিপন্থি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকেলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেন আওয়ামিপন্থি আইনজীবীরা।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ সাত নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করা হয়।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
শাহবাগ থানার একটি মামলায় ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমির হোসেন আমু ও শাজাহান খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই থানার আরেকটি মামলায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন রাব্বি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এছাড়া মিরপুর থানার একটি মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শেরেবাংলা নগর থানার একটি মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আসামিদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ২১ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করে। শুনানির দিন সংশ্লিষ্ট আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
মো. মনির হত্যা মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট শাহবাগের চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মনির। ওই দিন দুপুরে আসামিদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে গুলশানে অবস্থিত ৫৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এ আবেদনটি উপস্থাপন করেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম আবেদনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ জারি করেন।
এর আগে, গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনার পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ধানমন্ডির সুধা সদন বাড়ি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। একই রায়ে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা সিদ্দিক, রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে জমি, বাড়ি ও আটটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব সম্পদের বাজার মূল্য আনুমানিক ৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৩২০ টাকা। এছাড়া শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পূর্বে, ৪ মার্চ পুতুলের নেতৃত্বাধীন সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করা হয়। গত ১৮ মার্চ শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়, যেখানে মোট ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা জমা ছিল।
গত ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে আরও ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তিন দিন এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।
এছাড়া পৃথক মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) মশিউর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার পর আসামিদের কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ৯টার দিকে তাদের আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, শাহবাগ থানায় দায়ের করা মানিক মিয়া হত্যা মামলায় পলককে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক। ৬ মামলায় তার মোট ৩৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
এদিকে পল্টন থানায় দায়ের করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে শাহ কামালকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়া আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন যুবদল নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় শাহ কামালকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
শাহ কামাল গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হন। পরদিন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আফরোজা জেসমিন এ রায় দেন। বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি হরতালের সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হায়দারপুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার বাদী ছিলেন পুলিশ, আর আসামি করা হয়েছিল খালেদা জিয়াসহ মোট ৩২ জনকে।
কুমিল্লা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে চার্জশিটে ৪২ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে ৩৬ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয়জন উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ায় তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, “এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলা বলে প্রমাণিত হয়েছে।”
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
পঞ্চদশ সংশোধনী মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রশ্নে রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। রায় ঘোষণা এখনও চলমান রয়েছে।
এর আগে, বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবসের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এছাড়া ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম, চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহসহ সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ৬ জন কর্মকর্তার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় করা পৃথক মামলায় তাদের এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুন্সীগঞ্জের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ানপ্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখার) আরশাদ হোসেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা/ কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎখাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদদে নানান অযৌক্তিক দাবি দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করছে। বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম কাজে লিপ্ত আছে।
এতে আরও অভিযোগ করা হয়, তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করার শামিল। তাদের এ সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা তথা জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা। যা দেশদ্রোহীতার শামিল।
মন্তব্য করুন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তি পেয়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বের হন। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারুল ইসলামের করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন